আলোচনায় বরিশাল-৪ আসন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আলোচনায় বরিশাল-৪ আসন। ছবি: প্রতীকী

আলোচনায় বরিশাল-৪ আসন। ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে, ভোট নিয়ে জনগণের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। কেউ দলীয় ব্যানারে, আবার কেউ স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের পর জেলার ৬টি আসনের মধ্যে ৫টির পরিস্থিতি ভালো ছিল। ৬টির মধ্যে ভিন্নতর নদী বেষ্টিত হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-৪ আসন। আসনটিতে বড় দুটি দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এখন প্রকাশ্যে।

রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারে প্রায়ই প্রতিপক্ষের ওপর হামলা আর নেতাকর্মীদের দলবদলের খবরে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এই আসনটি। ফলে দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে সর্বদাই উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। আর নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এর মাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্বিগুণ হারে।

গত বুধবার (২৮ অক্টোবর) মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মেজবাউদ্দীন ফরহাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন সংসদ পংকজ নাথের অনুসারীরা। এতে উত্তর জেলা বিএনপির নেতাসহ প্রায় ২০ জন কর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলীয় নেতারা। এর আগেও বেশ কয়েকবার রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক রাখতে বিএনপির নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।

আর এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনও করেন বিএনপির প্রার্থী মেজবাউদ্দীন ফরহাদ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বরিশাল-৪ আসনে এখনো নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। এরই মধ্যে বর্তমান সাংসদ পংকজ নাথ তার ইচ্ছে মতো প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিং এজেন্ট বাছাই করছে। তিনি তার ক্যাডার বাহিনীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনের শুরুতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে পঙ্কজ নাথ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার অভিযোগের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনে রদবদলের জোর দাবি জানান তিনি।

তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পংকজ নাথ জানান, বিএনপির নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল দীর্ঘদিনের। তারাই নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। কারণ তারা বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং নৌকার পক্ষে গণজোয়ার মেনে নিতে পারছে না।

এদিকে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দুই দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দল বদলের হিড়িক পড়েছে। গতকাল শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) সকালে নিজদলের প্রভাবশালী নেতার অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি ও এবারের মনোনীত প্রার্থী মেজবাউদ্দীন ফরহাদের হাতে ফুল দিয়ে দলটিতে যোগ দিয়েছেন উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা জলিল সিকদার, জালাল সিকদার, নুর নবী বিশ্বাস, কাজী নাজিম উদ্দিনসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।

এর ২ দিন আগে গত বুধবার (২৮ নভেম্বর) উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা (উত্তর) ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মো. দেলোয়ার দুলাল শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বর্তমান সাংসদ পংকজ নাথের হাতে নৌকা তুলে দেন। এ সময় তারা বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দেন।

আসনটির নির্বাচনী ইতিহাসে দেখা গেছে, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বরিশাল-৪ আসন ছিল বিএনপির দখলে। তবে বর্তমানে আসনটিতে আধিপত্য ক্ষমতাসীনদের। এর ফলে হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা এক প্রকার কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে। যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এখানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের অবস্থান খুবই নাজুক। স্বেচ্ছাসেবক লীগের একক আধিপত্যের কারণে প্রতিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিদ্রোহী হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শুধু বিরোধী দলই নয়, নিজ দলের প্রতিপক্ষ নেতাকর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ আছে বর্তমান সাংসদ ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথের অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত, ২টি উপজেলা, একটি পৌরসভা এবং ২১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বরিশাল-৪ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৪ হাজার ১২৮ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৫ হাজার ৪১৭ এবং নারী ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭১১ জন।

   

সিলেটে ভোট কেন্দ্রে অসুস্থ ভোটার, হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ভোট দিতে গিয়ে মফিজ মিয়া নামের এক ভোটারের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর ১টার দিকে তেলিকাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে মারা যান তিনি।

মৃত মফিজ মিয়া (৫৫) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাতল পাড়ের বেলাজুর গ্রামের সাবেক মৃত তাজু ইসলামের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর।

তিনি বলেন, ভোটের মাঠে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে শুনেছি।

;

সোনাইমুড়ীতে ৬ নির্বাচন কর্মকর্তা আটক, ২ জনের কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জালভোটে সহযোগিতা করার অভিযোগে দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও চার পোলিং অফিসারকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনা করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন।

অপরদিকে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার আমিশাপাড়া নজরুল একাডেমি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে দুপুরে তানিমুর রহমান নামের এক ব্যক্তি জাল ভোট দিতে আসেন। তখন কেন্দ্র পরিদর্শনে যাওয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে বিষয়টি ধরা পড়ে। এ সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও মো. কামাল উদ্দিন এবং চারজন পোলিং কর্মকর্তা মো. সোলাইমান সেলিম, কোহিনুর আক্তার, মহিনুল ইসলাম ও সাবিনা ইয়াসমিনকে দায়িত্ব থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে সেখানে নতুন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও চার পোলিং অফিসারকে থানায় আনা হয়েছে। সরকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, ভুয়া ভোটারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন

৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১শ ৫৬টি উপজেলায় ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভোট কম পড়ার কারণ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, আমি নিঃসন্দেহভাবে মনে করি, ৩০ শতাংশ ভোট কখনো উৎসাহ ব্যাঞ্জক মনে করি না।

ভোটের হার কম হওয়ার একটা প্রধানত বড় কারণ হতে পারে, দেশের প্রধান বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে প্রকাশ্য ও ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন করেছে। জনগণকে ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত করেছে।

গণতান্ত্রিক দেশে পক্ষে বিপক্ষে থাকতে পারে। সংকট হচ্ছে, রাজনীতিতে। রাজনীতি যে সংকট রয়েছে, সেটা কাটিয়ে সুস্থ ধারায় রাজনীতি প্রবাহিত হবে। ভোটাররা উৎসাহিত হয়ে ভোটকেন্দ্রে আসবেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ১শ ৫৬ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১শ ৩২টি উপজেলায় ব্যালটে ও ইভিএমের ২৪টি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

নির্বাচনে তেমন কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। কয়েক জায়গায় শুধু হাতাহাতি হয়েছে। দুই-একজন হয়ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য কোনো সহিংসতা হয়নি। নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পূর্ণ হয়েছে।

নির্বাচনে ভোটের হার আমরা যে পর্যন্ত পেয়েছি, সেটা ৩০ শতাংশের বেশি হতে পারে। তবে নির্ভুল তথ্য বুধবার (২২ মে) পাবেন।

ভোটকেন্দ্রে একজন সাধারণ ভোটার এবং একজন আনসার সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ২ জন নিহত হয়েছেন। তবে সেটি ভোটকেন্দ্রের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে নয়। আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিভিন্ন জায়গায় হাতাহাতিতে ৩৪ জনের মতো আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে একজন আহত হয়েছেন। যেখানে অনিয়ম হয়েছে, সেখানে প্রশাসন তৎপরতা দেখিয়েছে।

বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনায় ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ভোট কারচুপির কারণে ১০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, আজকে কয়েকটি জায়গায় সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এই তথ্য আমাদের কাছে নাই। আপনারা লিখিত আমাদের দেন, কোন কেন্দ্রে, কোথায় বাধা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। আমাদের সহযোগিতা আপনাদের প্রতি থাকবে।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১শ ৫৬ উপজেলায় মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে।

নির্বাচনে তিনটি পদে এক হাজার ৮শ ২৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৬শ ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬শ ৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫শ ৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

এই ধাপে তিন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন প্রার্থী। রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় সব পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

১শ ৫৬ উপজেলায় মোট তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭শ ৪৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। ভোটগ্রহণ করা হয় ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রের ৯১ হাজার ৫শ ৮৯টি ভোটকক্ষে।

এর মধ্যে ২৪ উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে এবং ১শ ৩২ উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হয়।

ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হয়। এছাড়া উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত রয়েছেন। ১৬টি উপজেলায় নিয়োজিত করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন লাখ ৫৩ হাজার ৭শ ২০ জন সদস্য ভোটের দায়িত্বে মাঠে রয়েছেন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবির ৪শ ৫৮ প্লাটুন, ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ৪৭ হাজার ৮শ ২৯ জন, স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে পুলিশ ১৯ হাজার ৫৭ জন, র‍্যাবের দুই হাজার ৭শ ৬৮ জন ও আনসার সদস্য রয়েছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ২শ ৮৭ জন।

নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনের জন্য প্রতি তিন ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। প্রতি উপজেলায় নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজের জন্য ছিলেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটের নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণের দু’দিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

অন্যদিকে, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। রয়েছে মাঠ পর্যায় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং ও সমন্বয় সেল। এ সেল যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। ইতোমধ্যে, যান চলাচলও সীমিত করা হয়েছে ভোটের এলাকায়।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এর আগে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে। ভোটাররাও আগের নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবেন।

দেশের ৪শ ৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪শ ৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১শ ৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। অন্যগুলোতে আগামী ২৯ মে ও ৫ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে। কয়েকটি উপজেলার মেয়াদ পূর্তি না হওয়ায় ভোটের তফসিল এখনো দেয়নি ইসি।

;

কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় আহত ৬, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি বিভাগীয় কমিশনারের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অন্তত ৬ সমর্থক আহত হয়েছেন। তবে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর সতর্কতায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মজিদ সরদার ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফের সমর্থকদের মাঝে এ সংঘর্ষ ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের বিষয়টি জানার পর অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, ভোটগ্রহণে কোনো প্রভাব পড়েনি। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামাণিক জানান, সকালে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক আছে।

তবে এদিন দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর সতর্কতায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই সকাল থেকে দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলার মোট ২৬৭টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে।

এ সময় তিনি ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দিতে আশ্বস্ত করেন। আর সেখানে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নারী ও তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশি।

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কল্যাণ চৌধুরী জানান, দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজশাহীর দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সকালে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কোথাও বড় ধরনের সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে দুর্গাপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর অন্তত ৬ সমর্থক আহত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, যেমন পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিজিবি, যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

;