কুমিল্লা-৬: ‘ভোট দিতে যাবার আগে চিন্তা করবো’



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কুমিল্লা-৬ আসনের ভোটের হালচাল/ ছবি: বার্তা২৪.কম

কুমিল্লা-৬ আসনের ভোটের হালচাল/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা থেকে: বুধবার রাত সোয়া ৮টা। কুমিল্লা রেইসকোর্স এলাকা। ঢাকায় ফেরার পথে প্রাইভেট কার থামিয়ে কিছুক্ষণের যাত্রা বিরতি। রাতের ঝলমলে আলোয় একটু ঘোরাঘুরি। বুঝতে চেষ্টা করছিলাম এখানকার ভোটারদের মধ্যে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ভোট নিয়ে কতটা আগ্রহ।

সময় স্বল্পতার কারণে গ্রামের ভোটার কিংবা শহরের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ না হলেও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সঙ্গে কিছু সময় কথা হয়। আলাপচারিতায় উঠে আসে কুমিল্লা-৬ আসনে ভোটারদের মনোভাব ও ভোট দিতে পারা না পারার নানা আশঙ্কার কথা।

রেইসকোর্স এলাকায় একটি হার্ডওয়ার দোকানে তিন জন বৃদ্ধকে পরিবার, পরিবেশসহ নানা বিষয়ে আলাপরত দেখা গেল। তাদের কাছে প্রশ্ন ছিল, এখানকার ভোটের খবর কী?

তাদের একজন আব্দুল হালিম। বয়স ৬০ এর কোটায়, পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘একটি দল (আওয়ামী লীগ) প্রচার প্রচারণা করছে, কিন্তু অন্য দলের নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, এলাকায় থাকতে পারে না। এমন হলে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগে চিন্তা করতে হবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/20/1545305232875.gif

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত ৫৭ বছর বয়সী শহিদুল হকও উপস্থিত ছিলেন ঐ আলাপচারিতায়। তিনি বলেন, ‘‍এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে, সামনে এক পা ফেলার আগে অনেকবার ভাবতে হয়। সামনে যাবো কি যাবো না। তাই পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে তবেই ভোটকেন্দ্রে যাবো।’

তবে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ঢুকতেই মাইকিং করতে দেখা গেছে, ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে। শহরের প্রত্যেকটি এলাকায় নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি ধানের শীষ প্রতীকের ব্যানার-পোস্টার টাঙানো চোখে পড়েছে।

ফুটপাতে শীতের কাপড় কেনায় ব্যস্ত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার সাজেদা বেগম বলেন, ‘‍নৌকার প্রার্থীর লোকজন বেশ কয়েকবার আামদের এলাকায় এসেছেন, ভোট চেয়েছেন। তবে ধানের শীষের কেউ আসেননি। ভোট নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। নিরাপত্তা ঠিক থাকলে ভোটকেন্দ্রে যাবো।’

স্থানীয় এক সিএনজি চালক জানালেন, বিএনপির কর্মী সমর্থকরা গ্রেফতার এড়াতে গোপনে কাজ করছেন। গভীর রাতে বাড়ি বাড়ি ভোট চাইছেন। যেসব এলাকায় আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থক বেশি সেসব এলাকা এড়িয়ে চলছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ক্যাম্প অফিস রয়েছে। কিন্তু বিএনপির কোনো অফিস চোখে পড়েনি।

বেশ কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে রাজনৈতিক প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন। তাদের একজন বললেন, ‘রাজনীতির আলাপ করা যায় না। বুঝেন না অবস্থা? ভালোই ভালোই নির্বাচনটা হলেই বাঁচি। ক্ষমতায় কে গেলো না গেল তা বুঝি না। কেউ তো আর খেতে দেবে না, নিজের কাজ করেই খেতে হবে।’ তাই গ্যাঞ্জাম- মারামারি ছাড়াই একটি ভোট হোক- এমনটাই চাওয়া কুমিল্লা-৬ আসনের সাধারণ ভোটারদের।

এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আকম বাহার উদ্দীন, ধানের শীষ প্রতীকে হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, জাকের পার্টির আবুল হোসেন মজুমদার ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ তৈয়ব।

উল্লেখ্য, কুমিল্লা আদর্শ সদর, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ও কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা নিয়ে কুমিল্লা-৬ আসন। যেখানে মোট ভোটার চার লাখ ১৫ হাজার ৮০১ জন; এর মধ্যে নারী ভোটার দুই লাখ সাত হাজার ৮০১ ও পুরুষ ভোটার দুই লাখ আট হাজার।

   

সংসদ নির্বাচনে হাঁকডাক দিলেও উপজেলা নির্বাচনে মাঠে নেই তারা



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্য হাঁকডাক দিয়ে ২৮টি রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।

নির্বাচনের ফলাফলে বেশির ভাগ দলের প্রার্থী ও দলের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এই তালিকায় রয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট প্রার্থীরাও।

জাতীয় নির্বাচনের চার মাস পর অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকারের বড় নির্বাচন উপজেলা পরিষদ। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রতীকে অংশগ্রহণ না করলেও দলের নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্রভাবে ভোটের মাঠে লড়ছেন।

এবারের ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ কয়েকটি দল সরাসরি ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। সংসদ নির্বাচনে বেশ ঘটা করে অংশ নিলেও ভোটপ্রাপ্তিতে তলানিতে থাকার পর পরবর্তীতে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বিএনএম ও তৃণমূল বিএনপি সাংগঠনিক তৎপরতাহীন হয়ে পড়ে।

উপজেলা নির্বাচন নিয়েও তাদের তোড়জোড় নেই। কোথাও নেই তাদের দলীয় প্রতীকের প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী। ফলে ভোটে যেমন কমেছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তেমনি কমেছে ভোট পড়ার হার। আবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় দুই দফার নির্বাচনে ৪৯ জন ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, এবারের উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলায় পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। তবে কিছু উপজেলায় দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিএনপির তৃণমূলের নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনে নামসর্বস্ব দল আলোচনায় থাকলেও বেশির ভাগ দলের আলোচনা নেই উপজেলা নির্বাচনে।

এবারের উপজেলা নির্বাচনে নিবন্ধিত কোনো দলই দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেন। সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও নামমাত্র অংশ নিয়েছে নির্বাচনে। নির্বাচনের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। দলটির ভোটব্যাংকও তলানিতে। সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর আরো কোণঠাসা দলটির অবস্থান।

২০১৫ সালে ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন বিএনপির এক সময়ের নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।

বিএনপি থেকে দুই নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকারকে নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর দলটির প্রথম কাউন্সিল হয়। নিজেদের ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১শ ৩৩টি আসনে প্রার্থী দিলেও কোনোটিতেই জয় পায়নি তৃণমূল বিএনপি। দলটির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয় তখন। জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবির পর চলতি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়নি দল ও দলের কোনো নেতাকর্মী।

উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি অংশ নেয়নি কেন জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান বার্তা২৪কমকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে বহিরাগত ও অযোগ্য লোক দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব হয়ে টাকা-পয়সা লুট করে দলের ক্ষতি করছেন। নির্বাচনে দলের লোকজনকে নামিয়ে কোনো সহযোগিতা করেনিন। ফলে দলের নেতাকর্মীরা দলের প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছেন। সাংগঠিকভাবে অগোছালো থাকায় তৃণমূল বিএনপি এইবারের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

নির্বাচন ব্যবস্থাপনার বিষয়ে এই নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে দল গুছিয়ে আগামীতে নির্বাচনে যাবে দলটি।

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল আজিজ সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আমাদের কোনো প্রার্থী আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেননি। দলের ভেতরে নেতাকর্মীরা হতাশা রয়েছেন। দলীয় ও নেতাকর্মীদের অবস্থা বিবেচনা করে আমরা এবারের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। সামনে দলকে শক্তিশালী করে স্থানীয় সরকারের অন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি।

এদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর অনাগ্রহে উপজেলা নির্বাচনে কমেছে ভোটের হার। সাধারণত জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি বেশি থাকে। কিন্তু ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেখা যায়, প্রথম দুই ধাপের নির্বাচনে ভোটের হার গড়ে ৩৫ শতাংশ।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় সংসদের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটের হার কমে যাওয়া উদ্বেগজনক। দিনে দিনে যেভাবে ভোটের হার কমছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, নির্বাচন ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। একপক্ষীয় ব্যবস্থায় দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা চলে যাওয়ায় ভোটে আস্থা হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

এদিকে, তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মতো দল সংসদ নির্বাচনে আলোচনায় থাকায় ইসলামী ঐক্যজোট ও জাকের পার্টি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

ইসলামী ঐক্যজোটের প্রচার সম্পাদক আনছারুল হক ইমরান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না। বিক্ষিপ্তভাবে দুই, একজন হয়ত স্বতন্ত্র পরিচয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে তৃণমূল থেকে জানা গেছে।

জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের দল এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করেনি। একইসঙ্গে প্রথম দুই দফায় কোনো প্রার্থী দেয়নি। পরবর্তী দুইধাপে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে দেওয়া হয়নি।

এদিকে, মহাজোটে থাকা সরকারপন্থী দলগুলোর মধ্যে জাতীয় পার্টি, জেপি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি বিক্ষিপ্তভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। দলগুলো যেখানে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও ভোটব্যাংক রয়েছে, এমন জায়গা দেখে প্রার্থী দিয়েছে দলগুলো।

এর আগে ২০১৯ সালেও বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলো স্থানীয় সরকারের নির্বাচন বর্জন করে। সেই সময় সরকার সমর্থিত একাধিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। তারও আগে ২০১৪ সালে বিএনপিসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল স্থানীয় সরকারের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। সেই নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে যেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল; তেমনি নির্বাচনে ভোটের হার ছিলও উল্লেখযোগ্য।

২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬০ শতাংশের ওপরে। এবারের নির্বাচনে ভোটের হার ৩৫ শতাংশ।

;

উপজেলা নির্বাচন: চট্টগ্রামে শপথ নিলেন প্রথম ধাপের নির্বাচিতরা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে শপথ নিলেন প্রথম ধাপের নির্বাচিতরা

চট্টগ্রামে শপথ নিলেন প্রথম ধাপের নির্বাচিতরা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা শপথ নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম নির্বাচিতদের শপথবাক্য পাঠ করান। এসময় চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, বান্দরবান জেলার সদর আলীকদম, খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী, জুরাছড়ি, বরকল, ফেনী জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, সুবর্ণচর, কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, মেঘনা, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, কমলনগর, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা শপথ গ্রহণ করেন।

শপথ গ্রহণ শেষে বিভিন্ন উপজেলার নির্বাচিতদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিভাগীয় কমিশনার। পরে সার্কিট হাউসের বাইরে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নিজ নিজ উপজেলার নির্বাচিতদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমান রুহেল ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মিরসরাইয়ের নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন।

এ সময় এনায়েত হোসেন নয়ন বলেন, ‘জাতীয় সংসদের সবচেয়ে স্মার্ট এমপি মাহবুব উর রহমান রুহেল ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছেন। আমি তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে স্মার্ট নেতার স্মার্ট মিরসরাই স্লোগানকে সামনে রেখে কাজ করে যেতে চাই। তার তত্ত্বাবধানে মিরসরাইকে একটি সমৃদ্ধ, আধুনিক, স্মার্ট, পরিবেশবান্ধব, শিল্পোন্নত ও সারাদেশের মধ্যে মডেল উপজেলায় রূপান্তরে নিরলসভাবে কাজ করে যাব।’

সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সন্দ্বীপের যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ যেসব সেক্টরে কাজ করার সুযোগ আছে নিজের সর্বোচ্চটুকু উজাড় করে কাজ করব। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক এমপি মাহফুজুর রহমান মিতার পরামর্শ নিয়ে উপজেলাব্যাপী অবকাঠামোসহ সকল ধরনের জনদুর্ভোগ লাঘবে কাজ করে যাব।’

;

শপথ নিলেন রংপুরের ১৯ উপজেলার প্রতিনিধি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রংপুর বিভাগের ১৯ উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা শপথ গ্রহণ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তাদেরকে শপথবাক্য পাঠ করান বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন। এ সময় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফরসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শপথ গ্রহণ শেষে নব-নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মানুষের সেবা ও উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন বলেন, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন ও মানুষের সেবা করা। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারলে অনেক অসাধ্য কাজও করা সাধন করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০৪১ সালের স্বপ্ন দেখছি। বিদেশি কোনো রাষ্ট্র এসে এটি বাস্তবায়ন করে দিয়ে যাবে না। তারা শুধু বড় বড় পরামর্শ দিবে। দেশের উন্নয়ন আমাদেরকেই করতে হবে। সেই সক্ষমতা, দৃঢ় মনোবল ও আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মে রংপুর বিভাগের ১৯ টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ১৯ জনসহ ৫৭ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন

;

শপথ নিলেন রাজশাহীর নবনির্বাচিত ২৩ উপজেলা প্রতিনিধি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
শপথ নিলেন রাজশাহীর ২৩ উপজেলা প্রতিনিধি

শপথ নিলেন রাজশাহীর ২৩ উপজেলা প্রতিনিধি

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে রাজশাহী বিভাগের নির্বাচিত ২৩টি উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ শপথ নিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দকে শপথ বাক্য পাঠ করান বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

শপথ অনুষ্ঠান শেষে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আপনারা বাছাই হয়েছেন একটি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে। আপনারা অনেক কষ্ট করেছেন, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গেছেন এবং অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে অনেক আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এখন আপনাদের দায়িত্ব অনেক। সে দায়িত্ব হচ্ছে ভোটার এবং জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করা। তার জন্য প্রয়োজন একটি সুন্দর পরিকল্পনা।

হুমায়ূন কবীর বলেন, জনপ্রতিনিধিরা সামগ্রিক যোগ্যতা, প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতার ভিত্তিতে কোনো সমাজ বা জাতিকে বিনির্মাণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশকে একটি অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নের রোল মডেলে নিয়ে গেছেন, তার মূল কারিগর কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা। আমরা শুধু আপনাদের সঙ্গে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবো।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -এর সোনার বাংলা গড়তে হলে আগে সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। আপনারা প্রতিপক্ষের প্রতি ক্ষোভ রাখবেন না। ন্যায়পরায়ণতার সাথে সকলে মিলে কাজ করবেন। এ সময় তিনি তারুণ্যে শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

এর আগে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিভাগীয় কমিশনার।

স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়সল মাহমুদ, আরএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার অনির্বান চাকমা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, সুশিল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।

;