আতঙ্ক নয়, ভোট উৎসবমুখর হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নির্বাচন ভবনে ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র ও গণমাধ্যম বুথ পরিদর্শন সিইসির/ছবি: মেহেদী হাসান

নির্বাচন ভবনে ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র ও গণমাধ্যম বুথ পরিদর্শন সিইসির/ছবি: মেহেদী হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।

তিনি বলেন, ব্যাপকসংখ্যক ও সর্বাধিক প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। উৎসবমুখর ভোট হবে এটাই আশা। শুক্রবার সকালে নির্বাচন ভবনে ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র ও গণমাধ্যম বুথ পরিদর্শন করতে গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/28/1545981114332.jpg

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে বিএনপি ও বিরোধীপক্ষের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘অবশ্যই ভুল প্রমাণ হবে। আমরা প্রস্তুত, ভোটররা সবাই উৎসবমুখর এবং আনন্দঘণ পরিবেশে ভোটে অংশগ্রহণ করবে।’

তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রচারণা আজ শুক্রবার সকাল আটটা থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন যারা প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থক সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যার যার অবস্থান থেকে নির্বাচনে অংশ নিবেন। কাউকে কোনো রকমে কেউ যেন বাধা দিতে না পারে। যার যার ভোট যেন সে দিতে পারে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে সকলকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘যাতে করে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারেন। সকলের জন্য নিরাপত্তা, সকলের জন্য নিরাপদ অবস্থান সৃষ্টি করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করবো। দেশবাসী যারা ভোটার তারা যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন সে আশাই করবো।’

   

‘রিমাল’-এর প্রভাবে আরো ৩ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর প্রভাবে নতুন করে আরো ৩ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এর আগে সোমবার (২৭ মে) ১৯টি উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করার নির্দেশ দেয় ইসি। এ নিয়ে মোট ২৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করলো নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ইসি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলা, কচুয়া উপজেলা ও নেত্রকোনা খায়লিয়াজুরি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইসি জানায়, তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১শ ১২টি উপজেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। মামলার জটিলতা ও ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর প্রভাবে এখন পর্যন্ত ২৫টি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। সেই হিসাবে বুধবার (২৮ মে) অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

৯১ উপজেলায় ভোট পর্যবেক্ষণে থাকবে ৩২৭৭ জন পর্যবেক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় ধাপের ৯১ উপজেলা নির্বাচনে ভোট পর্যবেক্ষণে ৩২৭৭ জন পর্যবেক্ষককে মাঠে থাকার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিযেছেন, আগামী ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ ও সংশ্লিষ্ট আইন মেনে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ১৫ টি পর্যবেক্ষক সংস্থার কেন্দ্রীয়ভাবে ২২৯ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৩ হাজার ৪৮ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে প্রদান করা হবে। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের কার্ড ও স্টিকার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় হতে প্রদান করতে হবে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে:

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে স্থানীয় পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সরবরাহ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন হতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের জন্য EO-2 ফরম, EO-3 ফরম, এসএসসি সনদের সত্যায়িত অনুলিপি, সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবিসহ একটি আবেদন রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিবে।

রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসার এসব তথ্য পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে কমিশন থেকে অনুমোদিত বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করবেন এবং তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র প্রদান করবেন।

কোনো পর্যবেক্ষক যদি কোনো রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কিংবা স্থানীয় কমিটির পদাধিকারী হন কিংবা স্থানীয় নির্বাচনি এজেন্ট/প্রচারণা কমিটি/পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে কোনো কার্ড ইস্যু করা যাবে না।

পর্যবেক্ষকগণ অনধিক ৫ জনের টিম করে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্য তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা গাড়ির স্টিকার সরবরাহ নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না।

নির্ধারিত পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার ইস্যু করে তা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং তা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেরণ করতে হবে।

;

সিলেটে শপথ নিলেন ১১ উপজেলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত সিলেট বিভাগের ১১টি উপজেলার নির্বাচিত ১১ জন জনপ্রতিনিধি শপথ গ্রহণ করেছেন।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের হলরুমে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান শপথ গ্রহণ করেন। শপথবাক্য পাঠ করান সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি।

৯ মে সিলেট বিভাগের চারটি জেলার মধ্যে ১১টি উপজেলায় প্রথম ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার যারা শপথ নিয়েছেন, তারা হলেন- সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সুজাত আলী রফিক, ভাইস চেয়ারম্যান মো.সাইফুল ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান হাছিনা।

দক্ষিণ সুরমায় চেয়ারম্যান মো. বদরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান আইরিন রহমান কলি।

বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা মুহিবুর রহমান সুইট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান করিমা বেগম।

গোলাপগঞ্জে চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম, ভাইস চেয়ারম্যান মো.নাবেদ হোসেন ও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) সেলিনা আক্তার শীলা।

দিরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়, ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম মুনসুর সুদীপ ও ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) ছবি বেগম।

শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট অবনী মোহন দাস, ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম চৌধুরী অপু ও ভাইস চেয়ারম্যান শর্বরী মজুমদার।

জুড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মণি, ভাইস চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ (জুয়েল রানা) ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী বেগম।

বড়লেখায় চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম।

কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, ভাইস চেয়ারম্যান রাজ কুমার কালোয়ার, নারী ভাইস চেয়ারম্যান নেহার বেগম।

আজমিরীগঞ্জে চেয়ারম্যান মো.আলাউদ্দিন মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মিলোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) মাহমুদা আক্তার রেপা।

বানিয়াচংয়ে চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফ হুসেন খান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা আক্তার বিউটি।

;

চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন

চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে এক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারই আপন দুই ভাই।

রোববার (২৬ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী জাহেদুল হকের বিরুদ্ধে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তার দুই ভাই মুহাম্মদ ছাইদুল হক ও মোহাম্মদ নেছারুল হক। এতে তারা অভিযোগ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ভাই তাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুহাম্মদ ছাইদুল হক ও মোহাম্মদ নেছারুল হক বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই ভাইয়ের সম্পদ লুট করেন, জায়গা-সম্পত্তি দখল করেন তিনি কীভাবে উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের সম্পদ ও জনগণের জানমাল রক্ষা করবেন?’

জাহেদুল হক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধার ফল জনগণ পাবেন কিনা সেটি নিয়ে সন্দিহান দুই ভাই। তারা বলেন, ‘আমরা তার কাছ থেকে জনগণ সেবা পাবেন কিনা সেটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান ও আশঙ্কায় রয়েছি। বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা গ্রামে ১৯৮২ সালে আমাদের পিতা মরহুম নুরুল হক সওদাগর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমিনিয়া-ফোরকিয়া নুরিয়া এতিমখানা ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা এবং কমর আলী সওদাগর নামে জামে মসজিদ। ২০১৬ সালে মাদ্রাসাটির ব্যয়ভার বহনের জন্য নগদ সাড়ে সাত কোটি টাকা জমা থাকলেও বর্তমানে সেই টাকা জাহেদুল হকসহ কয়েক জন কুক্ষিগত করে রেখেছেন।’

ভাইয়ের বিরুদ্ধে বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন জানিয়ে মুহাম্মদ ছাইদুল হক ও মোহাম্মদ নেছারুল হক বলেন, ‘আগামী ২৯শে মে অনুষ্ঠেয় বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আমাদের পরিবারেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে আমরা পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার স্বার্থে বোয়ালখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।’

তবে দুই ভাইয়ের অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহেদুল হকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

;