ড্রোন ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ, আ.লীগ প্রার্থী রিপনকে তলব

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন

ছবি: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন

ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করায় নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপনকে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

একই সাথে কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় গাইবান্ধার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও বগুড়ার সহকারী জজ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত একটি পত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৩ ডিসেম্বর সাঘাটা উপজেলা পরিদর্শনকালে দেখা যায়-মাহমুদ হাসানের ছবি ও নাম সম্মিলিত অর্ধশতাধিক পোস্টার এবং বৃহদাকৃতির একাধিক ব্যানার বিভিন্ন দেয়ালে ও গাছে লাগানো আছে। এছাড়া প্রায় ১৫/২০ ফিট দীর্ঘ মাহমুদ হাসানের একটি নির্বাচনী প্রতীক নির্মাণ করা হয়েছে যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৭, (৩), (৬), (৭) এবং ১২ অনুচ্ছেদ এর লঙ্ঘন মর্মে প্রতীয়মান হয়।

এছাড়া নোটিশে আরও বলা হয়েছে, মাহমুদ হাসান রিপন মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন ব্যাপক সংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে শোভাযাত্রা ও মিছিল করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেই শোভাযাত্রা ড্রোন ক্যামেরার ভিডিও মাহমুদ হাসান তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম) প্রচার-প্রচারণা করেছেন। যেখানে ভিউ হয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার, শেয়ার করেছে ৩৩৭ জন এবং লাইক পড়েছে ১৮ হাজার ২'শ জনের। যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৮(ক), (খ) এবং ১২ অনুচ্ছেদ এর লঙ্ঘন মর্মে প্রতীয়মান।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে মাহমুদ হাসান রিপনেরর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। ফলে তার মন্তব্য জানা যায়নি।

মাহমুদ হাসান রিপন গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের বর্তমান সাংসদ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সভাপতি ।