এক শতাংশ স্বাক্ষর পদ্ধতি বাতিলের দাবি আনোয়ার হোসেনের 

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় এলাকায় এক শতাংশ ভোটার সমর্থন স্বাক্ষর পদ্ধতি বাতিল চেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি নেত্রকোনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল আবেদন শেষে তিনি এই কথা বলেন। এর আগে ভোটার স্বাক্ষর জটিলতায় রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করে।

বিজ্ঞাপন

নেত্রকোনা-৫ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আমার মত একজন মানুষের ১ শতাংশ ভোটার সমর্থন না থাকার অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল করেছে এটা গুরুতর বিষয়। তখন আমার কাছে মনে হয়েছে এমন পদ্ধতি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য এটা একটা কৌশল।' 

তিনি বলেন, 'আমাদের কাণ্ডারি জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ভোটে দাড়াতে পারবেন। এলাকার মানুষ আনন্দিত তারা এবার ভোট দিতে পারবে এবং ভোটে প্রতিযোগিতা হবে। এক শতাংশ ভোটার সমর্থনের যেই অভিযোগে আমার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তখন সাধারণ মানুষ বলছে ষড়যন্ত্র করে একজন ভালো মানুষের মনোনয়ন বাতিল করছে। আমি মনে করি এই আইনটা পরিবর্তন হওয়া উচিত। কেউ যদি না করেন তাহলে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে কাজ করবো।' 

এর আগে গতকাল এক শতাংশ ভোটার স্বাক্ষর জটিলতায় ৪২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ঘোষণার পর নির্বাচন জমে গিয়েছিলো। যখন দেখছে সামান্য কারণে ভালো প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় তখন আর পরিবেশ ভালো থাকেনা। মানুষ বলছে কিসের ভোট।' 

এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯ টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তার মধ্যে ১৯'শ ৮৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা ও বাকি ৭৩১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে বাতিল হওয়া প্রার্থিতা কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।