খুলনায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন / ছবি: বার্তা২৪

কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সকল জল্পনা-কল্পনা, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আর সংশয়ের অবসান ঘটিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রোববার (৩০) সকাল ৮টায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই খুলনা জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শীতের কুয়াশা উপেক্ষা করেই ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

খুলনায় ১০টি দলের মোট ৩৫ প্রার্থী বিভিন্ন দল থেকে এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে দুই জন নারী প্রার্থীও আছে। ১০ বছর পরে প্রধান দুটি দলসহ সকল দলের অংশগ্রহণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে খুলনা-২ আসনে ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

রিটার্নিং অফিসার ও খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ‘কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আজ ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546152263935.jpg

খুলনা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ নির্বাচনে ছয়টি আসনের ৭৮৬টি ভোট কেন্দ্রের ৩ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ৯৮৯ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ২ হাজার ৯৫০ জন এবং মহিলা ভোটার ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৯ জন।

ছয়টি আসনের মধ্যে খুলনা-২ আসনের ১৫৭টি ভোট কেন্দ্রের ৭২০টি ভোট কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এই কেন্দ্রগুলোতে সেনাবাহিনীর তিনজন করে সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। বাকি পাঁচটি আসনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/30/1546152314381.jpg

খুলনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৬ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর ৯ প্লাটুন, বিজিবির ২০ প্লাটুন ও কোস্ট গার্ডের ১০ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ভোটের মাঠে ৪৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।

   

কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১

কক্সবাজারে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা, ছুরিকাঘাতে নিহত ১

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার প্রথম নির্বাচনে হামলা, অবরোধ এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।  মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখা দিলেও ভোটগ্রহণ শেষ হতেই খবর আসে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে টেলিফোন প্রতীকের এক কর্মী সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে।

টেলিফোন মার্কার সমর্থক দেলোয়ার নামক এক ব্যক্তিকে আটক করে রাখে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকেরা এ খবরে তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতের শিকার হন নিহত সফুর আলম।

পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মামমোরা পাড়া এলাকার নুর উদ্দিন এর ছেলে সফুর আলম।

দেলোয়ার জানান, তিনি একটি বাড়িতে খাবার খেতে গেলে সেখানে তাকে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মীরা সমর্থকেরা আটকে রাখে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে ছুটে গেলে সেখানে সফুর আলমকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

পরে আহতকে উদ্ধার করে ৪ টা ২০ মিনিটের সময় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ড. সাজ্জাদুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালেব।

;

সিলেটে ভোট কেন্দ্রে অসুস্থ ভোটার, হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ভোট দিতে গিয়ে মফিজ মিয়া নামের এক ভোটারের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর ১টার দিকে তেলিকাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে মারা যান তিনি।

মৃত মফিজ মিয়া (৫৫) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাতল পাড়ের বেলাজুর গ্রামের সাবেক মৃত তাজু ইসলামের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর।

তিনি বলেন, ভোটের মাঠে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে শুনেছি।

;

সোনাইমুড়ীতে ৬ নির্বাচন কর্মকর্তা আটক, ২ জনের কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জালভোটে সহযোগিতা করার অভিযোগে দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও চার পোলিং অফিসারকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনা করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন।

অপরদিকে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার আমিশাপাড়া নজরুল একাডেমি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে দুপুরে তানিমুর রহমান নামের এক ব্যক্তি জাল ভোট দিতে আসেন। তখন কেন্দ্র পরিদর্শনে যাওয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে বিষয়টি ধরা পড়ে। এ সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও মো. কামাল উদ্দিন এবং চারজন পোলিং কর্মকর্তা মো. সোলাইমান সেলিম, কোহিনুর আক্তার, মহিনুল ইসলাম ও সাবিনা ইয়াসমিনকে দায়িত্ব থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে সেখানে নতুন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও চার পোলিং অফিসারকে থানায় আনা হয়েছে। সরকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, ভুয়া ভোটারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন

৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১শ ৫৬টি উপজেলায় ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভোট কম পড়ার কারণ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, আমি নিঃসন্দেহভাবে মনে করি, ৩০ শতাংশ ভোট কখনো উৎসাহ ব্যাঞ্জক মনে করি না।

ভোটের হার কম হওয়ার একটা প্রধানত বড় কারণ হতে পারে, দেশের প্রধান বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে প্রকাশ্য ও ঘোষণা দিয়ে ভোট বর্জন করেছে। জনগণকে ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত করেছে।

গণতান্ত্রিক দেশে পক্ষে বিপক্ষে থাকতে পারে। সংকট হচ্ছে, রাজনীতিতে। রাজনীতি যে সংকট রয়েছে, সেটা কাটিয়ে সুস্থ ধারায় রাজনীতি প্রবাহিত হবে। ভোটাররা উৎসাহিত হয়ে ভোটকেন্দ্রে আসবেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ১শ ৫৬ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১শ ৩২টি উপজেলায় ব্যালটে ও ইভিএমের ২৪টি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

নির্বাচনে তেমন কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। কয়েক জায়গায় শুধু হাতাহাতি হয়েছে। দুই-একজন হয়ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য কোনো সহিংসতা হয়নি। নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পূর্ণ হয়েছে।

নির্বাচনে ভোটের হার আমরা যে পর্যন্ত পেয়েছি, সেটা ৩০ শতাংশের বেশি হতে পারে। তবে নির্ভুল তথ্য বুধবার (২২ মে) পাবেন।

ভোটকেন্দ্রে একজন সাধারণ ভোটার এবং একজন আনসার সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ২ জন নিহত হয়েছেন। তবে সেটি ভোটকেন্দ্রের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে নয়। আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিভিন্ন জায়গায় হাতাহাতিতে ৩৪ জনের মতো আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে একজন আহত হয়েছেন। যেখানে অনিয়ম হয়েছে, সেখানে প্রশাসন তৎপরতা দেখিয়েছে।

বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনায় ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ভোট কারচুপির কারণে ১০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার বিষয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, আজকে কয়েকটি জায়গায় সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এই তথ্য আমাদের কাছে নাই। আপনারা লিখিত আমাদের দেন, কোন কেন্দ্রে, কোথায় বাধা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। আমাদের সহযোগিতা আপনাদের প্রতি থাকবে।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১শ ৫৬ উপজেলায় মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে।

নির্বাচনে তিনটি পদে এক হাজার ৮শ ২৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৬শ ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬শ ৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫শ ৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

এই ধাপে তিন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন প্রার্থী। রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় সব পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

১শ ৫৬ উপজেলায় মোট তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭শ ৪৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। ভোটগ্রহণ করা হয় ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রের ৯১ হাজার ৫শ ৮৯টি ভোটকক্ষে।

এর মধ্যে ২৪ উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে এবং ১শ ৩২ উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হয়।

ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হয়। এছাড়া উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত রয়েছেন। ১৬টি উপজেলায় নিয়োজিত করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন লাখ ৫৩ হাজার ৭শ ২০ জন সদস্য ভোটের দায়িত্বে মাঠে রয়েছেন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবির ৪শ ৫৮ প্লাটুন, ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ৪৭ হাজার ৮শ ২৯ জন, স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে পুলিশ ১৯ হাজার ৫৭ জন, র‍্যাবের দুই হাজার ৭শ ৬৮ জন ও আনসার সদস্য রয়েছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ২শ ৮৭ জন।

নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনের জন্য প্রতি তিন ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। প্রতি উপজেলায় নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজের জন্য ছিলেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটের নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণের দু’দিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

অন্যদিকে, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। রয়েছে মাঠ পর্যায় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং ও সমন্বয় সেল। এ সেল যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। ইতোমধ্যে, যান চলাচলও সীমিত করা হয়েছে ভোটের এলাকায়।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এর আগে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে। ভোটাররাও আগের নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবেন।

দেশের ৪শ ৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪শ ৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১শ ৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। অন্যগুলোতে আগামী ২৯ মে ও ৫ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে। কয়েকটি উপজেলার মেয়াদ পূর্তি না হওয়ায় ভোটের তফসিল এখনো দেয়নি ইসি।

;