মার্কেট সরকারি করার প্রলোভন, আ.লীগ মনোনীত প্রার্থীকে শোকজ
![প্রলোভন দেখিয়ে শোকজ খেলেন মাহফুজুর রহমান মিতা](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2023/Dec/07/1701954196467.jpg)
প্রলোভন দেখিয়ে শোকজ খেলেন মাহফুজুর রহমান মিতা
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা 'নির্বাচিত হলে মার্কেট সরকারি করে দেব' ব্যবসায়ীদের পরিকল্পিতভাবে প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় নিয়ে এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভেযোগ করেছেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন চৌধুরী। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে মাহফুজুর রহমান মিতার কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মিতার কাছে ব্যাখ্যা তলব করে চিঠি দিয়েছেন আসনটির নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। আসনটির স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন চৌধুরী নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মিতাকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ৪ ডিসেম্বর সন্দ্বীপের এরশাদ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পরিকল্পিতভাবে প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় নিয়ে যান মাহফুজুর রহমান মিতা। এ সময় মিতা ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি নির্বাচিত হলে এই মার্কেটটি (বিপণিবিতান) সরকারি করে দেবেন। একইভাবে শিবের হাটের ব্যবসায়ীদের তিনি প্রলোভন দেখিয়ে তার বাসায় নিয়ে যান। এ ছাড়া ৪ ডিসেম্বর মাইটভাঙা সিনেমা হল এলাকায় মিতা নিজে উপস্থিত থেকে তার নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেছেন বলে অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
চিঠিতে চট্টগ্রাম-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতাকে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে সশরীরে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মাহফুজুর রহমান মিতা জানান, তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কোনো ধরনের বৈঠক করেননি। নির্বাচনী অফিসও উদ্বোধন করেননি। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।
এর আগে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর কাছে ব্যাখ্যা তলব করে চিঠি দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।