দক্ষিণ এশিয়ার বাছাই করা চলচ্চিত্র নিয়ে ভারতের দিল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো 'ইন্ডাস ভ্যালি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২০'। এতে 'সেরা প্রামাণ্যচিত্র বিভাগ'-এ পুরস্কার জিতেছে বাংলাঢোল প্রযোজিত ‘কাসিদা অব ঢাকা’।
১-৯ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে প্রদর্শিত হয় বিভিন্ন বিভাগে জমা পড়া ছবিগুলো। ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশাল ভারদ্বাজের ‘পট্টাখা’ ছিল উদ্বোধনী চলচ্চিত্র। সমাপনী ছবি হিসেবে দেখানো হয় নন্দিতা দাসের ‘মান্টো’। উৎসবে প্রামাণ্যচিত্র হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশের ‘কাসিদা অব ঢাকা’। এটি নির্মাণ করেছেন লেখক ও নির্মাতা অনার্য মুর্শিদ।
বিজ্ঞাপন
নির্মাতা বলেন, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বাংলাঢোলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কাসিদার মতো হারিয়ে যাওয়া অথচ ঐতিহ্যবাহী একটি বিষয় নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছি। কাসিদা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। একে সংরক্ষণ করতে হবে। কাসিদার জন্য পুরস্কার প্রাপ্তিতে ভালো লাগছে। আশা করছি ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ অব্যাহত রাখবে বাংলাঢোল।
বিজ্ঞাপন
'কাসিদা অব ঢাকা'র ধারাবর্ণনা করেছেন অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, চিত্রগ্রহণ করেছেন রাসেল আবেদীন তাজ, সম্পাদনা করেছেন অনয় সোহাগ ও আবহসংগীত করেছেন প্রিন্স শুভ।
গতকাল রোববার দক্ষিণি সুপারস্টার আল্লু অর্জুনের হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসের বাংলোয় ভাঙচুর করেছে একদল দুষ্কৃতকারী। সন্ধ্যা থিয়েটারে রেবতী নামের এক নারীর মৃত্যুর বিচার চাইতে এ হামলা চালিয়েছে তারা। এ ঘটনার পর আল্লু অর্জুনের ছেলে–মেয়ে আল্লু অয়ান ও আল্লু অরহাকে তাদের দাদার বাসায় পাঠানো হয়েছে। সন্তানদের সুরক্ষার কারণে তাদের নিরাপদ স্থানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আল্লু অর্জুন।
আল্লু অর্জুনের বাসায় হামলাকারীদের শনাক্ত করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ। তাদের ভাষ্য, ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ অ্যাকশন কমিটির (জেএসি) আট সদস্য জোরপূর্বক আল্লু অর্জুনের বাসায় ঢুকে সম্পত্তি নষ্ট করেছে। পুলিশ এই আটজনকে গ্রেপ্তার করে জুবিলি হিলস থানায় রেখেছে। এর মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা আল্লু অর্জুনের বাংলোর ভেতর ঢুকে তার সম্পত্তি নষ্ট করেছে। বাড়ির ভেতরের ফুলের টব ভাঙচুর করেছে। এই দক্ষিণি তারকার বাসা লক্ষ্য করে আক্রমণকারীরা টমেটো ছুঁড়েছে। আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে তারা নানান স্লোগান দিয়েছে। এই প্যান ইন্ডিয়া তারকার বাংলোর নিরাপত্তারক্ষীরা হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, আল্লু সেই সময় বাসায় ছিলেন না।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি আল্লু অর্জুনের বাসায় এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে বিক্ষোভকারীরা আল্লু অর্জুনের বাসার বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। এই দক্ষিণি তারকার বাসার কিছু সম্পত্তি তারা নষ্ট করেছে। আল্লুর বাসা লক্ষ্য করে তারা টমেটো ছুড়েছে বলে অভিযোগ।
হামলাকারীদের দাবি ছিল, সন্ধ্যা থিয়েটারে পদদলিত হয়ে রেবতীর মৃত্যুর জন্য আল্লু অর্জুনকে এক কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৪ ডিসেম্বর আল্লু অর্জুনের ছবি ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারে সন্ধ্যা থিয়েটারে গিয়েছিলেন ৩৫ বছরের রেবতী। তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী ভাস্কর ও ১৩ বছরের ছেলে শ্রীতেজ। এদিন রাতে শো চলাকালে আল্লু অর্জুন হঠাৎই সন্ধ্যা থিয়েটারে গিয়েছিলেন। আর তখন এই দক্ষিণি তারকাকে দেখার জন্য দর্শকদের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ভিড়ে ঠাসা প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে একে অপরকে ধাক্কা দিতে শুরু করেছিল। আর তখন ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে রেবতীর মৃত্যু হয়। তার ছেলে শ্রীতেজ গুরুতর আহত হয়ে এখনো চিকিৎসাধীন। আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পুলিশের অনুমতি না নিয়ে হঠাৎই থিয়েটারে গিয়েছিলেন। এ কারণে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে গাড়ির মধ্যে আল্লুর দুই সন্তান অরহা ও অয়ানকে। মেয়ে অরহার চোখে–মুখে বিরক্তির ছাপ দেখা গেছে। জানা গেছে, তারা তাদের দাদা আল্লু অরবিন্দের বাসায় গিয়েছে। আল্লু অর্জুন এখন পর্যন্ত তার বাসায় হামলা ও বিক্ষোভ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
গত রোববার রাতে আল্লু অরবিন্দ তার ছেলের বাসায় হামলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। আল্লু অরবিন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। খ্যাতনামা এই চিত্রনির্মাতা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আজ আমাদের বাড়িতে যা কিছু ঘটেছে, তা সবাই দেখেছেন। এখন সময় এসেছে আমাদের এর হিসাব অনুযায়ী কাজ করার। এখন কোনো বিষয়ের ওপর প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য সঠিক সময় নয়।’
বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটির বর্ষপূর্তি আগামী ২৭ ডিসেম্বর। এদিন বিকাল ৪টায় কারওয়ান বাজার ‘এন এল আই ’ মিলনায়তনে জমজমাট আয়োজন করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ‘হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩‘ প্রদান করা হবে।
জানা গেছে, অনুষ্ঠানে সঙ্গীতাঙ্গনের প্রায় অর্ধশত তারকাশিল্পী পারফর্ম করবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সৈয়দ আবদুল হাদী, খুরশিদ আলম, ফকির শাহাবুদ্দীন, রিজিয়া পারভীন , শাহনাজ বেলী, এস এম শফি, স্বীকৃতি, সুমি শবনম, সোহেল মেহেদী, ক্লোজআপ তারকা নোলক বাবুসহ অনেকে।
এবার আজীবন সম্মাননা দেওয়া হবে দেশ বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী ও খুরশিদ আলমকে। এছাড়া আরও অনেক গুনীজন স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড’ পাবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বাংলাদেশ এনাজি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এর চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। মহতি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন ন্যাশনাল লাইফ ইনসুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ কজিম উদ্দিন । সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এম ইব্রাহীম পাটোয়ারী।
এক ছাদের তলায় আর থাকছেন না যিশু সেনগুপ্ত-নীলাঞ্জনা। পথও বেঁকে গিয়েছে দু’জনের। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে যিশুর সমস্ত ছবি ও নিজের নামের পাশ থেকে সেনগুপ্ত পদবি মুছে দিয়েছিলেন নীলাঞ্জনা। তার পরই স্পষ্ট হয় তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন।
গত কয়েক মাসে ফেসবুকে নানা ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন নীলাঞ্জনা। কটাক্ষের তির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যে যিশুর দিকেই, সে কথা বুঝতে অসুবিধা হয় না। যদিও কোথাও যিশুর নাম করেন না তিনি। এই মুহূর্তে ‘খাদান’ সিনেমার সাফল্য নিয়ে ব্যস্ত যিশু। বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে দেব-যিশুর যুগলবন্দি। এর মাঝেই ফের যিশুকে খোঁচা দিলেন নীলাঞ্জনা!
তিনি লিখেছেন, ‘সম্পর্কে থাকাকালীন সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা হল সবচেয়ে অসম্মানজনক কাজ, যা কোনও মানুষ করতে পারে না। যদি তুমি কোনও সম্পর্কে সুখী না থাকো, তা হলে সেটা চুকিয়ে অন্য সম্পর্ক শুরু কর।’
সেনগুপ্ত পদবি সরিয়ে ফেলার পরে ইনস্টাগ্রামে নীলাঞ্জনা নিজের পরিচয় দেন ‘নিনি চিনি’র মাম্মা হিসাবে। কিছু দিন আগেও সম্পর্ক এবং বিয়ে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন নীলাঞ্জনা। তিনি লিখেছিলেন, ‘কেউ ২৫ বছরে বিয়ে করে, কিন্তু ৫ বছর পরেই ডিভোর্স হয়ে যায়। কেউ ৪০ বছরে বিয়ে করেছে, কিন্তু সেখানে এক জীবনের ভালবাসা পেয়ে গিয়েছে। তাই আপনার দেরি হয়নি, আবার সময়ের আগেও কিছু হয়নি। আপনি যেখানে রয়েছেন ঠিক সেখানেই থাকার কথা ছিল।’
টলিপাড়ায় কানাঘুষো, যিশু নাকি নিজের পিএসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। প্রেমের টানেই নাকি ঘর ছেড়েছেন। যদিও তার অতি ঘনিষ্ঠদের দাবি, যা রটেছে তা ঘটেনি। মহিলা পিএসের সঙ্গে প্রেম নেই যিশুর। তা হলে সেনগুপ্ত দম্পতির সম্পর্কে এমন ফাঁক এল কী ভাবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) সম্প্রচারিত হয়েছে আধুনিক গানের অনুষ্ঠান সঙ্গীতা। ৭ টি মৌলিক গান দিয়ে সাজানো এ অনুষ্ঠানটি দর্শক-শ্রোতাদের নিকট বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
‘এই শহরে আজ নামলো যে বৃষ্টি’, ‘জীবনের মঞ্চে করে গেলে তুমি কি দারুণ অভিনয়’, ‘করি পাগলামি তুমি আর আমি’, ‘ভুল যদি ভেঙে যায়’, ‘আকাশের মত আমি একাই ছিলাম’, ‘প্রশ্ন করেছি আমি’, ‘আমি তো আগের মতই আছি’ ইত্যাদি শিরোনামের গানগুলো পরিবেশন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী মুহিন খান, অর্পিতা মল্লিক, তন্বী সাহা, এজানুর রহমান, নম্রতা বড়ুয়া সেতু, তানজিম তাবাসসুম অর্থী ও শবনম প্রিয়াঙ্কা।
গানগুলো লিখেছেন গীতিকার জাহাঙ্গীর রানা, রঙ্গু শাহাবুদ্দিন, আবুল হাসান তুহিন, শিরিন আকতার ইসলাম, জয়নুল আবেদীন, ইউনুস আলী মোল্লা এবং মনিরুজ্জামান মনির। সবগুলো গানের সুর ও সঙ্গীত আয়োজন করেছেন বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক গোলাম সারোয়ার।
তিনি বলেন, সঙ্গীতার মত একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের সব কয়টি গানের সুর ও সঙ্গীত আয়োজন করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। এই গানগুলোর যারা গীতিকার সবাই খুব ভালো লিখেছেন এবং শিল্পীরা আবেগ দিয়ে গেয়েছেন। প্রতিটি গান দর্শক-প্রিয় হয়েছে। বিটিভির দর্শক টানতে সঙ্গীতা অনুষ্ঠানটি ভূমিকা রাখছে’।
অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন মোঃ তারিকুজ্জামান মিলন এবং উপস্থাপনা করেছেন জোনাকি জ্যোতি।