শরীর দিয়ে কথা বলেন কিশোরগঞ্জের রিফাত



তন্ময় আলমগীর, অতিথি লেখক
রিফাত ইসলাম

রিফাত ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘মূকাভিনয়’ শব্দটি এলেই চলে আসে পার্থ প্রতিম মজুমদারের নাম। এই মূকাভিনেতা কেবল বাংলাদেশের নয়, গোটা বিশ্বের আকাশেই জ্বলছেন তারা হয়ে। কিন্তু পার্থ প্রতিম মজুমদারের পর আর কে আছেন?

কাছাকাছি কারো নাম আসে না। একটু দূর গেলে আরো কয়েকটা নাম আসবে। তবে সেগুলো সাধারণের কাছে পরিচিত নয়। আজকের গল্পের নায়কও অপরিচিত। তরুণ এক ‘নীরবতার শিল্পী’।

এই মূকাভিনেতার নাম রিফাত ইসলাম। বাড়ি কিশোরগঞ্জ। তবে তার খ্যাতি মফস্বল শহর ছাপিয়ে। ভারতেও দেখিয়ে এসেছেন তার প্রতিভার ঝলক। মানুষ অভিভূত হয় তার অভিনয় দেখে। যারা দেখেন, তাদের একটা অংশ জানেন না, এই অভিনয়ের পরিচয়!

রিফাত ইসলাম

ইউটিউবে একটি ভিডিও পাওয়া যায় ‘টু ইন ওয়ান’ শিরোনামে। মূকাভিনয়ের এই ভিডিওটি রিফাতের ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে আপ করা আছে। এটি মঞ্চস্থ হয় ঢাকায়।

ভিডিওতে দেখা যায় দুই পাশে দু’টি পর্দা। মাঝখানে একটা শরীরি নাচ। একটা শরীর পুরুষের, অন্যটা নারীর। পুরুষের শরীর দেখে চেনা যায়, তিনি রিফাত ইসলাম। নারীর শরীরটি কার? ওই শরীরটিও তার, সেটা স্পষ্ট হয় অভিনয়ের শেষের দিকে। একই শরীরে দুইরকম উপস্থাপনা!

ব্যক্তিগত ইউটিউবে এই উপস্থাপনায় দর্শকসংখ্যা একেবারেই কম। তবে যারা একবার দেখেছেন, তারা বার বার দেখতে চান। এদেরই একজন সাংবাদিক আহমদ আমিন। রিফাত ইসলামকে আগে থেকেই চিনতেন। জানতেন মফস্বলের এক সংবাদকর্মী আর ভিডিও এডিটর হিসেবে। রিফাত মূকাভিনয় করেন, সেটাও জানতেন। কিন্তু এতোটা নিখুঁত জানা ছিলো না আহমদ আমিনের।তিনি বললেন, ‘ইউটিউব ঘাঁটতে গিয়ে ভিডিওটি আমার সামনে আসে। পরিচিত মুখ দেখে কৌতুহলী হই। দেখার পর তাজ্জব বনে যাই। জীবনে অনেক মূকাভিনয় দেখেছি। কিন্তু রিফাতের মতো প্রতিভার দেখা পাইনি।’

দেশের শীর্ষ একটি সংবাদমাধ্যমের পাঠক সংগঠনের অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছিলেন রিফাত। গাজীপুরের ওই মঞ্চে তিনি উপস্থাপন করেন রোবট-এর চরিত্র। গল্পের প্লট ছিলো হরতাল। একটি রোবটকে পাঠানো হয় ফটো সাংবাদিকতার কাজ দিয়ে। ক্যামেরা নিয়ে রোবট তার কাজ করছিলো। হঠাৎ উড়ে আসে একটি গুলি। ঠিক সেই সময়ই এক শিশুর কান্না শুনা যায়। গুলিবিদ্ধ রোবট যেভাবে শিশুকে উদ্ধার করে, সেই নীরব অভিনয় দেখে মঞ্চের সামনে বাহ্বা পড়ে যায়।

সেদিনের সেই বাহ্বা আকাশ কাঁপিয়েছিলো, এমনটাই জানালেন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত মো. জিয়াউর রহমান। তিনি একজন স্কুলশিক্ষক। ওই সময় ছিলেন পত্রিকাটির পাঠক সংগঠনের কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি। রিফাতকে ওই অনুষ্ঠানে নিয়ে যান তিনিই।

জিয়াউর রহমান বলেন, ‘অন্যদের উপস্থাপনা ছিলো গতানুগতিক। এর মধ্যে রিফাতের ব্যতিক্রম উপস্থাপনা ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলো। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের একজন ছিলেন সাইদুজ্জামান রওশন। তিনি রিফাতকে ব্যক্তিগতভাবে পুরস্কৃত করেন।’

রিফাত ইসলাম

এ প্রসঙ্গে রিফাত বললেন, ‘রওশন ভাই আমাকে অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত থাকতে বললেন। পরে জিজ্ঞেস করলেন অভিনয়ের কস্টিউম তৈরি করতে কেমন খরচ পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই সেই খরচটা আমাকে দিয়ে দেন তিনি।’

এই ঘটনাটা রিফাতের জন্য ছিলো উৎসাহের। অভিনয় করতে গিয়ে এমন আরো উৎসাহ পাচ্ছেন তিনি। এইসব উৎসাহ থেকে তৈরি হচ্ছে শক্তি। সেই শক্তিতেই মাথা তুলতে চান তিনি।

মূকাভিনয়ের উৎসাহটা কীভাবে পেলেন তিনি? উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে হিন্দি গানের সঙ্গে গ্রামের বিয়েবাড়িতে নাচ করতেন। নাচের উৎসাহ পেয়েছেন বড় ভাই গাজী মাজহারুল ইসলামের কাছ থেকে। গ্রামের অনুষ্ঠানে ভাই নাচতেন। দর্শকের বাহ্বা পেতেন। সেই থেকে তার লোভ হয় নাচ শেখার।

একটা সময় দেখা গেলো শহরতলিতে বড় কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে, সেখানে ডাক পড়তো রিফাতের। নাচতেন তুমুল শব্দে গানের সঙ্গে। মাইকেল জ্যাকসনের নাচও নেচেছেন তিনি। তখন মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু হয়েছে। তখন তার গান বাংলাদেশের শহর-গ্রামে ভাইরাল। এর সঙ্গে স্থানীয় পরিমন্ডলে ভাইরাল হয়ে উঠলেন রিফাতও।

এভাবে কিছুদিন চললো। রিফাত নাচ দেখিয়ে ক্লান্ত। এবার নতুন কিছু চাই। নতুন কিছু তৈরি করতে হলে দরকার নতুন কিছু জানা। রিফাত বলেন ‘আমি দেখলাম, শহরের পরিশীলিত লোকেরা আমার এই নাচ গ্রহণ করছেন না। শহরতলির মঞ্চে হইহই তুলতে পেরেছি। তবে শিল্প-সংস্কৃতির লোকেরা আমাকে এড়িয়ে চলতেন। এটা আমাকে আঘাত করলো।’

রিফাত ইসলাম

তিনি ইউটিউব ঘাঁটলেন। দেখতে থাকলেন বিভিন্ন নাচের মুদ্রা। কিছু নাচ দেখলেন, নির্বাক। শরীর দিয়েই সব বলা হয়ে যায়। ওই নাচগুলো ভালো লাগতে শুরু করলো তার। কেবল নাচ নয়, কথা না বলে অভিনয় করার দিকে ঝুঁকলেন তিনি।

তখনো রিফাত জানেন না, এই অভিনয়ের নাম কী।

তিনি বলেন, ‘মূকাভিনয়ের পুরোপুরি ধারণা আসে মূকাভিনেতা মীর লোকমান ভাইয়ের থেকে। ২০১৬ সালে একটি অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে পরিচয়। বলা যায় সেদিন থেকেই মূকাভিনয়ে কাজ শুরু করি। লোকমান ভাইয়ের সুবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক মূকাভিনয় উৎসব ও ভারতের ত্রিপুরায় একটি আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নেই।’

ধারণা পাওয়ার পর কলা-কৌশল শিখলেন কীভাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে রিফাত জানালেন ‘আমি ইউটিউব থেকে নানা মুদ্রা শিখতে থাকলাম। পরে ওগুলোকে এক করে প্যাকেজ বানালাম।’

তিনি বললেন, ‘আমার মনে হলো, কাজের ভেতর গল্প থাকতে হয়। গল্প মানুষকে টানে। পরে আমি কিছু গল্প তৈরি করলাম। ওগুলোর বিপরীতে তৈরি করলাম অভিনয়ের আলাদা কৌশল। যখন গল্প নিয়ে অভিনয় শুরু করতে থাকলাম, খুব সাড়া পেলাম।’

সেগুলো উপস্থাপনা করতে লাগলেন কিশোরগঞ্জ শহরের শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে। শহরে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে, ‘জলছবি’। এর সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান কায়েস। তিনি তাকে সুযোগ করে দিলেন। সভাপতি বিপুল মেহেদি তাকে নিয়ে কাজে নামলেন। এরপর থেকে শুরু হলো রিফাত-এর নান্দনিক যাত্রা। এই যাত্রা কঠিন, পথ দীর্ঘ। তবে ‘দূর’ যেতে হলে সেই দীর্ঘ পথ-ই পাড়ি দিতে হবে তাকে।

রিফাত ইসলাম

বাবা রফিকুল ইসলাম, মা রেনুয়ারা খাতুন তাকে নিয়ে আশাবাদী। অথচ একটা সময় ছিলো, এইসব কাজে বাবা এবং মা বাধা হয়ে দাঁড়াতেন। এখন ছেলের খ্যাতি ছড়াতে শুরু করেছে। খ্যাতির সঙ্গে সামনে থেকে সরে গেছে পারিবারিক বাধাও। মা রেনুয়ারা খাতুন যখন বাড়ির বাইরে যান। ছেলের সুনাম কানে আসে। লোকেরা বাড়িতে এসে ছেলের খোঁজ করেন। এতটুকুতেই তাঁরা খুশী।

পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে কাজ করছেন। এর এডিটর ইন চিফ আহমাদ ফরিদ। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, রিফাতের পক্ষে কতদূর যাওয়া সম্ভব? তিনি সোজা জানালেন, ‘অনেক দূর’।

সত্যিই অনেক দূর যাবার স্বপ্ন নিয়ে এগুচ্ছে রিফাত। মুখাভিনয়ের পাশাপাশি একজন তুখোর অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছা তার। শিল্পচর্চায় নিবেদিত প্রাণ এই তরুণের মাঝে সেসব গুণাবলী আছে তাতে সন্দেহ নেই।

   

বগুড়ায় সিনেমা হলে দর্শক টানতে বিরিয়ানি বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া।
সিনেমা হলে দর্শক টানতে বগুড়ার অভিনব পন্থা অবলম্বন

সিনেমা হলে দর্শক টানতে বগুড়ার অভিনব পন্থা অবলম্বন

  • Font increase
  • Font Decrease

সিনেমা হলে দর্শক টানতে বগুড়ার ধুনটে অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে হল কর্তৃপক্ষ। উপজেলা সদরে ঐতিহ্যবাহী ঝংকার সিনেমা হলে ১০০ টাকার প্রতিটি টিকিটের সঙ্গে দর্শকের হাতে বিনামূল্যে এক প্যাকেট বিরিয়ানি তুলে দেয়া হচ্ছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে দর্শক টানতে সিনেমা হলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই খাবারের আয়োজন করেন। এই উদ্যোগ বিনোদন প্রিয় দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

দেশে এক সময় বিনোদনের বড় মাধ্যম ছিল সিনেমা। আর হলে গিয়ে সিনেমা দেখা ছিল আনন্দ উদযাপনের অন্যতম অংশ। কালের বিবর্তনে আর অপ সংস্কৃতির প্রভাবে  সিনেমা হলগুলো প্রায় বিলুপ্ত হওয়ায় সেই জায়গা দখল করেছে স্মার্টফোন, ট্যাব। 

ধুনট শহরে ঈসা খানের মালিকানাধীন ঝংকার সিনেমা হলটি ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়। ভালো ছবি নির্মাণ না হওয়ার কারণে সিনেমা হলের দর্শক কমতে থাকে। এক পর্যায়ে দর্শক শূন্যতায় সিনেমা হলটিতে ছবি প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ এক দশক পর ২০ এপ্রিল থেকে আবারো ঝংকার সিনেমা হলে ছবি প্রদর্শন শুরু করেছেন হল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে হলে প্রদর্শন হচ্ছে আদর আজাদ ও পূজা চেরি অভিনীত সিনেমা ‘লিপস্টিক’। ঝংকার সিনেমা হলে দর্শকের জন্য ৫০০ আসন রয়েছে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা। এবার টিকিটের সঙ্গে প্রত্যেক দর্শকের হাতে ফ্রি এক প্যাকেট বিরিয়ানি তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামী একমাস খাবারের এই ব্যবস্থা চালু থাকবে। সিনেমা হলে প্রতিদিন দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা, সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে প্রতিদিন দুপুর ১২টা ও বিকেল ৩টায় দর্শকের উপস্থিতি কম থাকে। তবে সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় হল ভর্তি দর্শক পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে আশানুরূপ দর্শকের সাড়া মিলেছ। এক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখছেন হলের পরিচালক।

হলের দর্শকরা জানান, সিনেমা হলে টিকিটের সাথে বিরিয়ানি ফ্রি পাওয়ার বিষয়টি এবারই প্রথম। হলে বসে ভালো ছবি দেখার পাশাপাশি বিরিয়ানির স্বাদ পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। এই ব্যবস্থা চালু রাখলে সিনেমা হলে দর্শক ফিরে আসবে বলে মনে করেন দর্শকরা।

ধুনটে ঝংকার সিনেমা হলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেন বলেন, সিনেমা হলে যতদিন দর্শক আসবে ততদিন টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি দেওয়া হবে। দর্শক টানতেই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে নির্মাতারা ভালো ছবি তৈরি করলে আবারও সিনেমা হলমুখী হবেন দর্শক। পাশাপাশি সরকারি প্রণোদনা পেলে এ ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।

;

এফডিসিতে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এফডিসিতে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা

এফডিসিতে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শতাধিক সংবাদকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই ঘটনার সূত্রপাত।

কে বা কারা এ হামলা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন শিল্পী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর।

জানা যায়, এদিন বিকেলে ২০২৪-২৬’র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে প্রথমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু শপথ পাঠ করান। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন।

শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মিশা-ডিপজল পরিষদ। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট নিকটতম প্রার্থী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট, একই পদে ২০৯ ভোট পেয়েছেন নিপুণ আক্তার।

;

‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’ গানে তোরসা



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহ আবদুল করিম ও হাসন রাজার ভাটির দেশ থেকে ইট-পাথরের ঢাকা, প্রেম-বিচ্ছেদের সুখ কিংবা বেদনা থেকে রাজপথের মিছিল—সবকিছুর মেলবন্ধন ঘটায় যে মানুষ, সেই মানুষের গান গাওয়ার সংকল্প তুহিন কান্তি দাসের। প্রথমবারের মতো এই সঙ্গীত শিল্পী নিয়ে এলেন একক অ্যালবাম। এর নাম রেখেছেন ‘সন্ধ্যা নামিলো শ্যাম’।

এতে রয়েছে মোট চারটি গান। এগুলো হলো ‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’, ‘আসমানেরও চাঁদ’, ‘দরদিয়া’ ও ‘হারিয়ে টের পাই’। তার মধ্যে ‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’ গানটি সম্প্রতি ভিডিও আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এতে মডেল হয়েছেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৯’ মুকুট জয়ী রাফাহ নানজিবা তোরসা। তার সঙ্গে ছিলেন খালিদ মাহমুদ সাদ। ফরিদপুরের বিভিন্ন নানন্দিক লোকেশনে ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। এরই মধ্যে গান-ভিডিও শ্রোতামহলে সাড়া ফেলেছে।

এ প্রসঙ্গে মডেল তোরসা বলেন, মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার আগে বেশকিছু মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছিলাম। তারপর অনেক প্রস্তাব এসেছিল কিন্তু করিনি। ‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’ গানের নির্মাণ পরিকল্পনা, গান সবকিছু বেশ ভালো লাগে তাই আগ্রহ নিয়ে কাজটি করেছি। গানটি প্রকাশের পর সবাই বেশ প্রশংসা করছে। আশা করছি, সব শ্রেণির মানুষের গান-ভিডিওটি ভালো লাগবে।

;

শাকিবের ‘তুফান’-এ বিশেষ চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের শেষের দিকে বেশ ঘটা করে ঘোষণা দেয়া হয় বছরের অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘তুফান’র। অভিনেতা শাকিব খান ও নির্মাতা রায়হান রাফি জুটির এই সিনেমা আসন্ন ঈদে মুক্তি প্রস্তুতি চলছে। মাঝে ঘোষণা দেয়া হয় এ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে আছেন কলকাতার নায়িকা মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা।

এবার তুফান’র আরেকটি তথ্য নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। কেননা তুফান সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।

এই সিনেমায় নিজের উপস্থিতি নিয়ে চঞ্চল বলেন, ‘তুফান সিনেমায় আমাকে বিশেষ একটা চরিত্রে দেখা যাবে। রায়হান রাফী এই সময়ের প্রতিভাবান একজন পরিচালক। সেই সাথে শাকিব-এর সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা একদম অন্যরকম। তাদের সাথে এক সঙ্গে কাজ করতে পারলে ভালো লাগবে। আর এতো বড় তিনটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এক হয়েছে অবশ্যই ভালো কিছুই হবে।’

‘তুফান’ সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ বাংলাদেশ, আলফা আই ও চরকি। এই তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘তুফান’ এর আগে আরেকটি বড় সিনেমার ঘোষণা দেয়। সিনেমাটির নাম ‘দম’। আর পরিচালনা করবেন রেদওয়ান রনি। ‘দম’ সিনেমার মূল ভূমিকায় দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।

পরিচালক রায়হান রাফীর এখন সময় যাচ্ছে সিনেমার শুটিং-এর শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে। রাফী বলেন, ‘চঞ্চল ভাই আমাদের দেশের শক্তিমান অভিনেতা। তুফান-এ শাকিব ভাইয়ের সাথে সাথে উনাকে পাওয়াটা আমার জন্য আনন্দের।’

এসভিএফ-এর ডিরেক্টর ও কো-ফাউন্ডার মহেন্দ্র সোনি বলেন, ‘চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এর আগে ওটিটি কনটেন্টে কাজ হয়েছে। অনেকদিন ধরে তাকে নিয়ে বড় পর্দায় কাজ করার পরিকল্পনা ছিল। আমি নিশ্চিত তিনি তুফান-কে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।’

আলফা-আই স্টুডিওজ লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘তুফানে শাকিব খান অন্যরকম, সম্পূর্ণ ভিন্নরপে ধরা দিবে দর্শকদের সামনে। এমন একটি শক্তিশালী চরিত্রের বিপরীতে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করতে পারে এমন একজন শক্তিমান অভিনেতা দরকার ছিল আমাদের। আমি মনে করি, চঞ্চল ভাইয়ের কারণে চরিত্রটির প্রতি জাস্টিস হবে তাই তুফানে উনার সম্পৃক্ততা।’

চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি, ‘চঞ্চল ভাইকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তিনি আমাদের জন্য গর্ব। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বাইরেও তার কাজের সুখ্যাতি রয়েছে। তার সঙ্গে আমার বেশ কিছু কাজের অভিজ্ঞতা হয়েছে। তুফান সিনেমায় তার এই উপস্থিতি অন্যরকম মাত্রা যোগ করবে বলে আমি মনে করি।’

;