মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে ভাই ইশান খান ও আসলাম খানকে হারিয়েছেন দিলীপ কুমার। তারা দু’জনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। কিন্তু তাদের মৃত্যুর সংবাদ এখনও বলিউডের বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী সায়রা বানু।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে, দিলীপ কুমারের ভাইদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ভক্তদের কাছে তাদের আত্মার শান্তির জন্য দোয়া চেয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
একইসঙ্গে সায়রা বানু আরও জানিয়েছেন, দিলীপ কুমারের শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে তাকে এখনও পর্যন্ত তার ভাইদের মৃত্যুর সংবাদটি জানানো হয়নি।
মাঝে মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভক্তদের ৯৭ বছর বয়সী দিলীপ কুমারের শারীরিক অবস্থার আপডেট দিয়ে থাকেন সায়রা বানু।
বিজ্ঞাপন
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তিনি জানিয়েছিলেন, দিলীপ কুমারের শরীরের কথা চিন্তা করেই এই মুহূর্তে তাকে তার ভাইদের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। এ প্রসঙ্গে সায়রা বানুর ভাষ্য, “সত্যি বলতে তার ভাইদের মৃত্যুর সংবাদ এখনও তাকে জানানো হয়নি। আমরা তাকে সব ধরণের দুঃখজনক খবর থেকে দূরে রাখতে চাই। শুধু তার ভাইদের মৃত্যু সংবাদ নয়, আমরা তাকে অমিতাভ বচ্চনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিও জানাইনি। কেননা তিনি অমিতাভকে খুব ভালোবাসেন।”
দিলীপ কুমারের প্রকৃত নাম মোহাম্মদ ইউসুফ খান। রূপালি পর্দায় ক্যারিয়ার শুরুর সময় নাম পাল্টান তিনি।
ছয় দশকের অভিনয় জীবনে ‘মধুমতি’, ‘দেবদাস’, ‘মুঘল-এ-আজম’, ‘গঙ্গা যমুনা’, ‘রাম অউর শ্যাম’, ‘কর্ম’র মতো অসংখ্য ধ্রুপদী চলচ্চিত্রে দেখা গেছে তাকে।
দিলীপ কুমারকে বলা হয় বড়পর্দার ‘ট্র্যাজেডি কিং’। তাকে এই তকমা এনে দিয়েছে ‘আন্দাজ’, ‘বাবুল’, ‘মেলা’, ‘দিদার’, ‘যোগান’ প্রভৃতি চলচ্চিত্র। সবশেষ ১৯৯৮ সালে ‘কিলা’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
২০১৬ সালে ভারত সরকারের কাছ থেকে পদ্মবিভূষণ খেতাব পান দিলীপ কুমার। ১৯৯১ সালে তাকে দেওয়া হয় পদ্মভূষণ। এর তিন বছর পর তিনি পান দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড।
বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল। ইতিমধ্যে সিনেমাটির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। বছর কয়েক আগেই কাজটি শুরু করতে চেয়েছিলেন মানস। কিন্তু নানা কারণে আর সেটি শুরু করা হয়নি। তবে এবার শুরু করছেন।
জানা গেছে, এতে অভিনয় করবেন ভারতের কিংবদন্তি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তার বিপরীতে দেখা যাবে বাংলাদেশের নন্দিত অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে।
সিনেমাটির চিত্রনাট্য হবে হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে। আর তাই নির্মাতা আগামী সপ্তাহে আসছেন বাংলাদেশ।
পরিচালক ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেন, ‘আসলে হুমায়ুন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের অনেক জায়গার উল্লেখ থাকবে। সেই কারণেই ঢাকা, কিশোরগঞ্জ-সহ একাধিক ঐতিহ্যবাহী জায়গায় যাওয়ার কথা। যদি জায়গাগুলো দেখা থাকে তবেই তার সঠিক উপলব্ধি আমার মধ্যে থাকবে। আর আমি চিত্রনাট্য সেভাবে লিখতে পারব।'
আগামী সপ্তাহেই বাংলাদেশে এসে আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে মানসের। তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘চিত্রা নদীর পারে’ সিনেমা দেখা পর থেকেই মিমির ভক্ত বনে গেছেন মানস। ‘নদীর নাম মধুমতী’, ‘প্রিয়তমেষু’র মতো ছবিও রয়েছে অভিনেত্রীর ঝুলিতে।
কিন্তু গণ অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে এখন পালাবদলের সরকার। সেখানে শুটিং করতে পারবেন, এমন প্রশ্নে নির্মাতার উত্তর, তিনি পারবেন। বললেন, ‘আমি এখন সবে চিত্রনাট্য লেখার কাজে হাত দিচ্ছি। তার আগে আমার তিনটি ছবির লাইন-আপ রয়েছে। সেই কাজ শেষ করেই এই নতুন কাজ শুরু করতে পারব। ততদিনে শুটিং নিশ্চয়ই করতে পারব সেখানে।’
উল্লেখ্য, ‘সহজ পাঠের গপ্পো’র সাফল্যের পর কলকাতার প্রায় প্রত্যেকটা প্রযোজনা সংস্থা থেকেই ছবি তৈরি করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন মানস। তবে পরিচালকের পাখির চোখ দীনেশ গুপ্তর বায়োপিক। বার বার বাধা এসেছে। শুধু টাকার জন্য নয়, কখনও প্রকৃতির সঙ্গে, কখনও আবার নিয়তির সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে মানসকে।
২০২০ সালেই শুটিং শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু শুটিংয়ের ঠিক চার দিন আগেই বিপত্তি। সারা দেশে লকডাউন। সমস্ত কিছু ওলটপালট হয়ে যায়। মানসের এই ছবিতেই কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ের কথা ছিল। কিন্তু কোভিড কালেই প্রাণ হারান অভিনেতা। কিন্তু দীনেশ গুপ্তর গল্প বড়পর্দায় তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর মানস। সেই সঙ্গে নতুন কাজগুলোও চালিয়ে যাচ্ছেন সমান্তরালভাবে।
থিয়েটার আর্টিস্টস এসোসিয়েশন অব ঢাকা (TAAD)-এর মূল লক্ষ্য হলো ঢাকা মহানগরীর থিয়েটার চর্চায় মঞ্চে এবং নেপথ্যে যুক্ত নাট্যশিল্পীদের অধিকার, স্বার্থ ও দাবি, কল্যাণ, পারস্পরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ, শৈল্পিক দক্ষতা উন্নয়ন। সে তাগিদ থেকেই মূলত তাদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠন হিসেবে থিয়েটার আর্টিস্টস এসোসিয়েশন অব ঢাকা গঠিত হয়েছে।
গতকাল (২২ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হলো TAAD-এর প্রথম সাধারণ সভা। রেজিট্রেশনকৃত ১৭০ জন সদস্যের মধ্যে ৮০ জন সদস্য উপস্থিত থেকে তাদের মতামত প্রদান করেন। তারা ঞঅঅউ এর ১৩ সদস্যের একটি এক্সিকিউটিভ কমিটি অনুমোদন করেন, যা ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত কাজ করবে।
TAAD-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন গুণী অভিনেতা ও থিয়েটার ব্যক্তিত্ব আজাদ আবুল কালাম পাভেল। ভাইস প্রেসিডেন্ট- আইরিন পারভীন লোপা, সেক্রেটারি জেনারেল- সাইফ সুমন, সেক্রেটারি অর্গানাইজেশন- তৌফিকুল ইসলাম ইমন, ট্রেজারার- শামীম সাগর, সেক্রেটারি অফিস- আসাদুল ইসলাম, সেক্রেটারি কমিউনিকেশন- নাজনীন হাসান চুমকি, সেক্রেটারি ইভেন্ট- অপু শহীদ, সেক্রেটারি ওয়েলফেয়ার- কাজী রোকসানা রুমা এবং সেক্রেটারি ক্লাব- এ কে আজাদ সেতু। এছাড়া এক্সিকিউটিভ মেম্বাস হিসেবে আছেন অম্লান বিশ্বাস, রেজা আরিফ ও সঞ্জিতা শারমীন পিয়া।
TAAD কোনভাবেই থিয়েটার দল বা থিয়েটার দলগুলিকে নিয়ে গঠিত কোনো সংগঠনের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। কারণ এটি শুধুমাত্র ব্যক্তির সংগঠন, কোনো দলের নয়। ঢাকা মহানগরে নিয়মিতভাবে অন্তত গত পাঁচ বছর ধরে নাট্যচর্চার সাথে যুক্ত যে কোনো নাট্যশিল্পী (অভিনেত্ব, নির্দেশক, নাট্যকার, ডিজাইনার, নেপথ্য মঞ্চশিল্পী) এই এসোসিয়েশনে আবেদন করতে পারবেন। এখানে প্রতিটি সদস্য একজন একক ব্যক্তি হিসেবে যুক্ত হবেন। তিনি কোনো থিয়েটার দলের প্রতিনিধিত্ব করতেও পারেন আবার নাও পারেন। তবে তাকে অবশ্যই ঢাকা মহানগরের থিয়েটার সংশ্লিষ্ট কোনো না কোনো কাজের সাথে যুক্ত থাকতে হবে।
স্থপতি ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝরের কথা ও সুরে গাইলেন দেশের প্রখ্যাত তিন তারকা সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, বাপ্পা মজুমদার ও সায়ান চৌধুরী অর্ণব। তাদের গানগুলো প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বাংলাভাষায় অন্যতম বৃহৎ মৌলিক গানের সংকলন ‘যেটা আমাদের নিজের মতোন’-এ।
চলতি বছরের ৮ জুন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিল্পী, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট গুণীজনের উপস্থিতিতে ৬৩ গানের এ সংকলনের প্রকাশযাত্রা শুরু করেন নির্ঝর। গানগুলো তৈরি ও প্রকাশ করছে ইকেএনসি (এক নির্ঝর কোলাবরেশানস) ও গানশালা। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ৩৫টি গান। বছরজুড়ে গান প্রকাশের এই যাত্রায় এবার দেশিয় সংগীতের এই তিন জনপ্রিয় তারকা শিল্পীর গানও শোনা যাবে।
প্রকাশিত ভিন্নধর্মী গানগুলো ইতিমধ্যেই সমাদৃত হয়েছে শ্রোতামহলে। শুধু বড়দের নয়, শিশুদের কণ্ঠে ‘অ তে অজগর আসবে কেন তেড়ে’, ‘কোনটা বড়দের’ কিংবা ‘বাঘ বলে মিয়াঁও’-এর মতো গানগুলোও প্রশংসিত হয়েছে শ্রোতাদের কাছে।
উদ্বোধনী আয়োজনে প্রকাশিত হয় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে সংকলনের প্রথম গানটি। এরপর প্রকাশিত গানগুলোয় কণ্ঠ দিয়েছেন ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, শফি মণ্ডল, নবনীতা চৌধুরী, কোনাল, সভ্যতাসহ অনেকেই। সংগীতসংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতিটি গানের কথাই চিন্তার দুয়ার খুলে দিচ্ছে সকল বয়সী শ্রোতাদের।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় এনামুল করিম নির্ঝর তার ‘নয় বছরের বড়’ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্থাপত্য, চলচ্চিত্র ও সঙ্গীত এবং অন্যান্য সৃজনশীল- সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে নয়টি চলচ্চিত্রের মধ্যে পাঁচটির নির্মাণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বছরজুড়ে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হচ্ছে সংকলনটির গানগুলো।
শুধু গান প্রকাশই নয়, সংকলনটির মধ্য দিয়ে সঙ্গীত মাধ্যমের পেশাজীবিদের লড়াইয়ের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছেও যুক্ত ছিল নির্ঝরের। তাই প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের পাশপাশি নবীন শিল্পীদেরও তিনি এ সংকলনে যুক্ত করেছেন। পাশাপাশি, নবীন ও প্রবীণ শিল্পীদের মধ্যে একটা আন্তরিকতা নির্মাণের প্রয়োজনও তিনি অনুভব করেছেন।
এনামুল করিম নির্ঝর বলেন, ‘এই ৬৩টি গানের মধ্যে ১০ জন শিল্পী খুব জনপ্রিয়, ১০ জন কিছুটা পরিচিত, বাকি ১০ জন্য হয়তো ভালো গান গায় কিন্তু তেমনভাবে পরিচিতি পায় নাই কিংবা কেউ কেউ শিশু শিল্পী। সবাইকে একসাথে করার মানে হচ্ছে একটা স্মৃতি, অনুপ্রেরণা এবং নতুন যোগসূত্র তৈরি করা। এর মাধ্যমে একটা সম্ভাবনা তৈরি হলেও হতে পারে। এই ৬৩ টা গানের মাধ্যমে অন্তত একটা স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখার চেষ্টা ছিলো সব সময়; কারণ এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেব করা হচ্ছে।’
‘যেটা আমাদের নিজের মতোন’-প্রকাশিত হচ্ছে গানশালা- ইকেএনসির ইউটিউব চ্যানেলে। সংকলনটিতে উল্লেখিত শিল্পীরা ছাড়াও আরও গান গেয়েছেন সুজিত মোস্তফা, লাবিক কামাল গৌরব, তানভীর আলম সজীব, সুনিধি নায়েক, সভ্যতা, ফারহিন খান জয়িতা, সাগর দেওয়ানসহ মোট ৫৪ জন তরুণ ও প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। গানগুলোর সংগীতায়োজন করেছেন ১২ জন তরুণ সঙ্গীত পরিচালক।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে গানশালা থেকেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মৌলিক গানের সংকলন এক নির্ঝরের গান প্রকাশিত হয় যেখানে ১০১টি গান সন্নিবেশিত ছিল।
আরও উল্লেখ্য এই যে, ব্যক্তিগত মেধা ও প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতার পারস্পরিক ঐক্যচর্চা হিসেবে ইকেএনসি (এক নির্ঝর কোলাবরেশানস) বিভিন্ন সৃজনশীল মাধ্যমে তরুণ পেশাজীবীদের নিয়ে নিরলস কাজ করে চলেছে। করপোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি (সিএসআর) প্রক্রিয়াকে আরো অনুপ্রাণিত করতে এনামুল করিম নির্ঝর তার ইন্টেলেকচুয়াল সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটির (আইএসআর) মাধ্যমে নিঃস্বার্থভাবে নিজের মেধা (গানের কথা ও সুর) বিনিয়োগ করছেন। এই প্রকল্পে সিএসআর ফান্ডের সহায়তা নিয়ে গানশালার সাথে আছে স্বনামধন্য সিটি গ্রুপ।
ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দেশটির মর্যাদাপূর্ণ ‘বালি যাত্রা উৎসব ২০২৪’ মাতালেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘কল্পতরু’র শিল্পীরা। সাংস্কৃতিক কূটনীতির অনবদ্য প্রয়াসের অংশ হিসাবে ‘কল্পতরু’র নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয় এই উৎসবে।
প্রতি বছর ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের ঐতিহাসিক শহর কটকে অনুষ্ঠিত উৎসবটিকে এশিয়ার বৃহত্তম উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক উৎসব হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৫-২২ নভেম্বর (২০২৪) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৭ দিনের এই উৎসবে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং স্লোভাকিয়ার বিখ্যাত সব সাংস্কৃতিক দল অংশ নেয়। উড়িষ্যা রাজ্য সরকারের আতিথ্যে উৎসবে অংশ নেয় বাংলাদেশের নৃত্যদল কল্পতরু।
উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক দল পৌছালে তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রথায় রাজসিক অভ্যর্থনা জানানো হয়। উৎসবে যোগ দিয়ে ‘কল্পতরু’ নৃত্য বিদ্যালয়ের ৯ জন শিল্পী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গানের আবহে মনোমুগ্ধকর নাচ পরিবেশন করেন। এছাড়াও উৎসবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ‘লাঠিখেলা’ এবং ‘রায়বেশে’ পরিবেশনা আয়োজনে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।
‘বালি যাত্রা’ উৎসব দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। উৎসবটি ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও নিবিড় করে তুলেছে বলেই মনে করেন এর উদ্যোক্তারা।
উৎসবে যোগ দিয়ে নিজের উচ্ছ্বসিত অনুভূতি তুলে ধরে ‘কল্পতরু’র অধ্যক্ষ ড. লুবনা মারিয়াম বলেন,‘ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গভীর ও বহুমুখী। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু তা আমাদের সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করতে পারে না।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বালি উৎসবে বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহণকে ‘দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান শক্তিশালী সম্পর্কের এক অনন্য দৃষ্টান্ত এবং যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতিফলন’ হিসেবে বর্ণনা করেন।