শুভ জন্মদিন জাফর ইকবাল

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জাফর ইকবাল

জাফর ইকবাল

আশির দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা অভিনেতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। পেয়েছিলেন রোমান্টিক তারকার তকমাও। একজন দক্ষ অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি তিনি ছিলেন সংগীতশিল্পীও। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে।

 

বিজ্ঞাপন

কথা হচ্ছে- প্রয়াত চিত্রনায়ক জাফর ইকবালকে নিয়ে। আজ ২৫ সেপ্টেম্বর তার ৭০তম জন্মদিন। ১৯৫০ সালের এইদিনে তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধের আগে জাফর ইকবাল চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। গান গেয়েই ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতা খান আতাউর রহমানের সঙ্গে। তার অভিনীত প্রথম ছবির নাম ‘আপন পর’। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালে। খান আতাউর রহমান পরিচালিত এ ছবিতে তার সঙ্গে ছিলেন কবরী।

বিজ্ঞাপন
জাফর ইকবাল

সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন জাফর ইকবাল। ‘সূর্যগ্রহণ’ ও এর সিকুয়েল ‘সূর্য সংগ্রাম’ চলচ্চিত্রে ববিতার বিপরীতে অভিনয় করেন। ১৯৭৫ সালে ‘মাস্তান’ চলচ্চিত্রে নায়কের ভূমিকায় শুরু হয় নতুন যাত্রা। এতে অভিনয় করেই রোমান্টিক তারকার তকমা পান তিনি।

 

তার অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘দিনের পর দিন’, ‘সূর্য সংগ্রাম’, ‘বেদ্বীন’, ‘অংশীদার’, ‘আশীর্বাদ’, ‘অপমান’, ‘পরিবর্তন’, ‘সিআইডি’, ‘গৃহলক্ষ্মী’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘ফুলের মালা’, ‘মর্যাদা’, ‘সন্ধি’, ‘ছোবল’, ‘প্রেম বিরহ’, ‘বন্ধু আমার’, ‘গর্জন’, ‘অবুঝ হৃদয়’ ‘নয়নের আলো’, অন্যতম। প্রায় ১৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন জাফর ইকবাল। যার বেশিরভাগই ছিল ব্যবসা সফল।

 

ববিতার সঙ্গে জাফর ইকবালের জুটি ছিল দর্শক নন্দিত। ববিতার বিপরীতে ৩০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যেত। চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকেই বলেন, ‘সুখে থেকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরনী’ গানটি জাফর ইকবাল ববিতার জন্যই গেয়েছিলেন। তাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় হতাশ হয়েই জাফর ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জোর গুঞ্জন উঠেছিল। যদিও প্রেমের বিষয়ে ববিতা বা জাফর ইকবাল কেউ-ই কখনো মুখ খোলেননি।

 

‘অবুঝ হৃদয়’ ছবিতে জাফর ইকবাল ও ববিতার রোমান্টিক দৃশ্যগুলো সেই গুঞ্জনকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। এতে ববিতা ও চম্পা দুই বোনের বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। জুটি হিসেবে শুধু ববিতা নন, চম্পা, সুচরিতা, রানী, দিতি—সবার সঙ্গে দর্শক তাকে পছন্দ করেছিল।

ববিতা ও জাফর ইকবাল

১৯৯২ সালের ৮ জানুয়ারি মাত্র ৪১ বছর বয়সে ব্লাড ক্যান্সার মতান্তরে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জাফর ইকবাল।