সৌমিত্রের স্নায়বিক অবস্থার অবনতি
শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিলো। এরইমধ্যে এলো একটি খারাপ খবর। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শরীরে ফের স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ৮৫ বছর বয়সী এই তারকার “গ্লাসগো কোমা স্কেল” অনেকটাই নেমে গিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার মেডিক্যাল দলের প্রধান অরিন্দম কর বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় তার স্নায়বিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। তার যে জিসিএস স্কোর ১১-র আশপাশে ছিলো, সেটি আবার ৯-১০-এর আশপাশে নেমে গিয়েছে। পাঁচ সদস্যের স্নায়ুরোগের বোর্ড জানিয়েছে, ইমিউনোগ্লোবিন এবং স্টেরয়েডের ফলে এটা হয়েছিল। সেই ওষুধ বন্ধ করে দেওয়ায় জিসিএস স্কোর আবার কমে গিয়েছে।”
আশঙ্কার বিষয় হল এই সূচক ৩-এ পৌঁছলেই রোগীর ব্রেন ডেথ ধরা হয়। এই সূচক দেখেই বোঝা যায়, রোগী কতটা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। আচমকা অভিনেতার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ায় দ্রুত মিটিং এ বসেন বেলভিউ হাসপাতালে তার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ১৬ জনের টিম।
ডা. অরিন্দম কর বলেন, স্নায়ুর কার্যকলাপ স্বাভাবিক করতে বিগত কয়েকদিন ধরে ইমিউনোগ্লোবিউলিন এবং উচ্চমাত্রায় স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছিল অভিনেতাকে। স্টেরয়েড ছাড়া স্বাভাবিকভাবে তার মস্তিষ্ক কাজ করছে কি না তা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেখানেই দেখা গিয়েছে সমস্যা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৬ অক্টোবর কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ৯ অক্টোবর বিকেলে হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউ’তে। পরে তাকে ১১ ও ১২ অক্টোবর প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হলে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিলো।
কিন্তু ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় সৌমিত্রের অবস্থার আরও অবনতি হয়। পাশাপাশি প্রবীণ এই অভিনেতার প্রস্টেট ক্যানসার নতুন করে ছড়ায় ফুসফুস ও মস্তিষ্কে। মূত্রথলিতেও সংক্রমণ ঘটে। এ কারণে তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো।