শুভ জন্মদিন ‘বিশ্বসুন্দরী’
সাল ১৯৯৪। বিভিন্ন দেশের সুন্দরীদের নিয়ে সান সিটিতে বসেছিলো বিশ্ব সুন্দরীর আসর। যেখানে সকলকে হারিয়ে সেরার মুকুট মাথায় তুলেছিলেন সদ্য একুশে পা দেওয়া এক ভারতীয় কন্যা। পরে আপামর দর্শকদের বিমোহিত করতে সেই সুন্দরী নাম লেখালেন চলচ্চিত্রে। ‘স্বপ্নকন্যা’ হয়ে ধরা দিলেন রূপালি পর্দায়।
শরৎ বাবুর ‘পার্বতী’ রূপে যেমন তিনি সফল, তেমনি রবি ঠাকুরের ‘বিনোদিনী’ হয়েও। প্রোভোকডের কিরণজিতের পর সম্রাট আকবরের প্রেয়শী ‘যোধা’ হয়ে নিজেকে করেছেন পরীক্ষিত। তার নামেই প্রকাশ পায় রুপ-গুনের মহিমা।
‘নিম্বুরা নিম্বুরা’ থেকে ‘ক্রেজি কিয়া রে’ দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন বলিউডের অন্যতম নৃত্যশিল্পী হিসেবে। কথা হচ্ছে- ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা সুন্দরী ও জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে নিয়ে।
১৯৭৩ সালের ১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করা এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর ৪৭ বছরে পা দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও ঐশ্বরিয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বিখ্যাত পরিচালক মনিরত্নমের পরিচালিত তামিল ছবি ‘ইরুভার’ দিয়ে। এরপর বেশকিছু দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করেন।
বলিউডে তার প্রথম ছবি ‘অউর পেয়ার হোয়া গায়া’। তবে পরিচিতি আসে সঞ্জয়লীলা বানসালির সাড়া জাগানো ছবি ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ দিয়ে। এই ছবিতে তিনি দর্শকদের বিমোহিত করেন, একই বছর মুক্তি পাওয়া ‘তাল’ ছবিটি তার জয়রথকে আরো এগিয়ে দেয়। যশরাজ ফিল্মসের ‘মোহাব্বাতে’তে স্বল্প উপস্থিতিতেও নজর কেড়ে নিয়েছিলেন। এরপর আবার বড় সাফল্য আসে বানসালির ‘দেবদাস’ দিয়েই। এই ছবিতে পার্বতী রূপে এককথায় তিনি অনন্য।
এর ঠিক পরের বছরেই ঋতুপর্ণ ঘোষের হাত ধরে আসলেন বাংলা ছবির জগতে। রবি ঠাকুরের ‘চোখের বালি’র বিনোদিনী হয়ে দর্শক থেকে সমালোচক সবার মন জয় করলেন। নিজের প্রতিভা মেলে ধরেন ‘রেইনকোট’, ‘জোশ’ থেকে ‘কুছ না কাহো’, ‘খাঁকি’ পর্যন্ত।
২০০৬ সালে জনপ্রিয় সিরিজ ‘ধুম’- এ আসেন একেবারে ভিন্নরূপে। পরে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলেন ‘গুরু’ দিয়ে। ‘গুজারিশ’-এর মাধ্যমে আবার তিনি বানসালির চিত্রপটে, দর্শকপ্রিয়তা না আসলেও অভিনয় প্রশংসা পেয়েছিল।
আরো অভিনয় করেছিলেন ‘সরকার রাজ’, ‘অ্যাকশন রিপ্লে’, ‘রাবণ’ ছবিতে। জনপ্রিয় ছবি ‘ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ ছবির মাধ্যমে হলিউডের জগতে পা রাখেন। এরপর ‘প্রোভোকড’সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন। তবে হলিউডের ছবিতে নিয়মিত হতে গিয়ে বলিউডে খানিকটা অমনোযোগী হয়ে পড়েছিলেন অ্যাশ।
বেশ কয়েক বছর বিরতি দিয়ে ‘জাজবা’ দিয়ে আবার ফিরেন পর্দায়। ‘সর্বজিৎ’ ছবিতে প্রশংসিত হলেও ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এ অভিনয় করে সমালোচিত হন। সবর্শেষ ‘ফ্যানি খান’ ও দর্শকদের হতাশ করেছে।
বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন পেয়েছেন পদ্মশ্রী। দুইবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে ভূষিত হওয়া সহ আরো বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
২০০২ সাল থেকে নিয়মিত কান চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচায় হাঁটছেন। জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হয়ে সমাজ সচেতনতামূলক কাজে নিজেকে যুক্ত করেছেন।
ব্যক্তিজীবনে বিয়ে করে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে।আরাধ্য বচ্চন নামে একটি মেয়ে রয়েছে এই তারকা দম্পতির ঘরে।