মানহানির মামলায় হারলেন ‘স্ত্রী নির্যাতনকারী’ জনি ডেপ
হেরে গেলেন হলিউড হার্টথ্রব জনি ডেপ। ব্রিটেনের দ্য সান পত্রিকার বিরুদ্ধে তার মানহানির মামলা খারিজ হয়ে গেছে।
স্ত্রী নির্যাতনকারী জনি ডেপকে ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস’ সিরিজের নতুন ছবিতে নিয়ে সত্যিই কি খুশি জেকে রাউলিং, এমন শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্য সান। ৫৭ বছর বয়সী এই অভিনেতা তাই সংবাদপত্রটির প্রকাশনা সংস্থা নিউজ গ্রুপ নিউজপেপারসের (এনজিএন) বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন।
যদিও নির্বাহী সম্পাদক ড্যান উইটন দাবি করে এসেছেন, ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরটি পুরোপুরি সঠিক।
বিচারক জাস্টিস নিকোল জানান, সান তাদের প্রতিবেদনে যা লিখেছে তা প্রমাণিত হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, ‘সমস্ত প্রমাণ একত্র করে বলা যায়, জনি ডেপের একাধিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড। এ কারণে অ্যাম্বার হার্ডের জীবনে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ডেপ।’
বিচারক উল্লেখ করেন, ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১২টিই ঘরের ভেতর ঘটেছিল। বাকি দুটির মধ্যে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ও ২০১৫ সালের নভেম্বরের ঘটনাগুলো প্রমাণিত হয়নি।
জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ডের বন্ধু ও স্বজন এবং তাদের সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
গত জুলাইয়ে লন্ডনের রয়েল কোর্টস অব জাস্টিসে ১৬ দিন ধরে মামলাটির শুনানি হয়।
মামলায় জিতে দ্য সান-এর একজন মুখপাত্র ৩৪ বছর বয়সী অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডকে তার সাহসী মনোভাবের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় অ্যাম্বার হার্ডের লেখা একটি কলামের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলায় লড়ছেন জনি ডেপ। তার অভিযোগ, নিবন্ধটিতে তাকে স্ত্রী নির্যাতনকারী বোঝানো হয়েছে।
২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জনি ডেপের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ এনেছেন অ্যাম্বার হার্ড। এর মধ্যে ২০১৫ সালে অতিরিক্ত মদ্যপান ও মাদকসেবনের পর সাবেক স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় কথা বলেন ডেপ।
২০১১ সালে ‘দ্য রাম ডায়েরি’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে সম্পর্কে জড়ান জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড। দুই বছর চুটিয়ে প্রেমের পর ২০১৪ সালে তারা চুপিসারে সেরে ফেলেন বাগদান। ২০১৫ সালে হয়ে যায় বিয়ে।
বিয়ের ঠিক পরের বছর শুরু হয়ে যায় সাবেক এই তারকা দম্পতির গৃহবিবাদ। ২০১৬ সালের ২১ মে স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে তার মুখে নাকি মোবাইল ফোন ছুড়ে মেরেছিলেন জনি ডেপ। এমন অভিযোগে নির্যাতনের মামলা ঠুকে সংসারের ইতি চান অ্যাম্বার হার্ড। ২০১৭ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।