কানে রুনা লায়লা ও আরিফিন শুভকে নিয়ে যা বললেন নাসিরুদ্দিন শাহ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নাসিরুদ্দিন শাহ, রুনা লায়লা ও আরিফিন শুভ

নাসিরুদ্দিন শাহ, রুনা লায়লা ও আরিফিন শুভ

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ ফ্রান্সে সাগরপাড়ের শহর কানে চলছে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এবং প্রভাবশালী কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৭তম আসর। লম্বা অভিনয় ক্যারিয়ারে অনবদ্য সব চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও  সেখানে এবারই প্রথমবার হাজির হয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তি অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।

উৎসবে চতুর্থ দিনে নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনীত ‘মন্থন’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে ‘কান ক্লাসিকে’। চার যুগ আগে অভিনয় করেছিলেন ‘মন্থন’ সিনেমায়। সেটি ছিল নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। গুজরাটের দুগ্ধখামারীদের ওপর কর্পোরেট আগ্রাসন ঘিরে বর্ষীয়ান নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের ধ্রুপদি এই সিনেমাকে সম্মান জানিয়ে এই বিভাগে ঠাঁই দিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।

‘মন্থন’ ছবির দৃশ্যে নাসিরুদ্দিন শাহ

এই শ্যাম বেনেগালই নির্মাণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। প্রসঙ্গক্রমে সে কথা তুললে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের নাসিরুদ্দিন শাহ্ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ছবিটি আমি দেখেছি। খুবই ভালো ছবি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে হয়, শ্যাম বেনেগালের ছবিটি ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি, মূল চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন (আরিফিন শুভ) তিনি দারুণ করেছেন। আমি ছবিটি উপভোগ করেছি। ছবিটি দারুণ ইনফরমেটিভ, ইন্টারেস্টিং এবং নাটকীয়।’

নাসিরুদ্দিন শাহ্ শুধু শুভ’র প্রশংসাই করেননি। তিনি উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনের গর্ব  রুনা লায়লাকে দারুণভাবে সম্মান দিয়েছেন তার কথায়। বাংলাদেশে দু’বার মঞ্চে পারফর্ম করতে এসেছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। সেই স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, ‘ঢাকার দর্শকরা চমৎকার। আমার সবচেয়ে আনন্দ লেগেছে রুনা লায়লাজির সঙ্গে দেখা করে।’

সবশেষে বাংলা ভাষা জানেন কিনা বলতেই নাসিরুদ্দিন শাহ বলেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি।’

কান চলচ্চিত্র উৎসবে নাসিরুদ্দিন শাহ ও তার স্ত্রী বর্ষিয়ান অভিনেত্রী রত্না পাঠক শাহ

শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ‘মন্থন’ (১৯৭৬) চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হয় গত শুক্রবার পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের বুনুয়েল থিয়েটারে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। এর প্রদর্শনীতে নাসিরুদ্দিন শাহ ছাড়াও ছিলেন তার স্ত্রী বর্ষিয়ান অভিনেত্রী রত্না পাঠক শাহ, ‘মন্থন’-এর নায়িকা স্মিতা পাতিলের পরিবার, প্রযোজক এবং ভারতের ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের পরিচালক শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর।

ভারতের বৃহত্তম দুগ্ধ উন্নয়ন আন্দোলন তথা শ্বেত বিপ্লবের পটভূমিতে তৈরি হয় ‘মন্থন’। এটি ছিল ভারতের প্রথম গণঅর্থায়নে নির্মিত চলচ্চিত্র। দেশটির গুজরাট রাজ্যের ৫ লাখ কৃষক ছবিটি নির্মাণে ২ রুপি করে দান করেন। ভার্গিস কুরিয়েনের দুগ্ধ সমবায় আন্দোলনে অনুপ্রাণিত ‘মন্থন’। ছবিটির অন্যতম গল্পকার তিনি।

কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে ‘মন্থন’ ছবির টিম

ভার্গিস কুরিয়েনের বিলিয়ন লিটার আইডিয়া তথা অপারেশন ফ্লাড ভারত দুধের ঘাটতির দেশ থেকে বিশ্বের বৃহত্তম ও শীর্ষ উৎপাদনকারীতে পরিণত হয়েছে। তার শ্বেত বিপ্লবের কর্মপন্থা বিশ্বের বৃহত্তম কৃষি উন্নয়ন কর্মসূচি হিসেবে পরিচিত। ভারতের ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন ২০১৪ সাল থেকে এই কীর্তিমানের জন্মদিনকে জাতীয় দুগ্ধ দিবস হিসেবে পালন করছে। ভারত সরকারের কাছ থেকে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রী, কৃষিরত্ন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন দেশে অনেক সম্মাননায় ভূষিত করা হয় তাকে। ২০১২ সালে ৯০ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন তিনি।

হিন্দি ভাষায় নির্মিত ২ ঘণ্টা ১৪ মিনিটের ‘মন্থন’ দেখিয়েছে গ্রামীণ ক্ষমতায়নকে কেন্দ্র করে কাল্পনিক আখ্যানের মাধ্যমে শ্বেত বিপ্লবের উৎপত্তি। এতে আরও অভিনয় করেছেন গিরিশ কারনাড, অমরিশ পুরি, কুলভূষণ খারবান্দা, মোহন আগাসে, অনন্ত নাগ, রাজেন্দ্র যশপাল, আভা ঢুলিয়া, সাধু মেহের ও অঞ্জলি পায়গানকার।

‘মন্থন’ ছবির একটি দৃশ্যে সহশিল্পীদের সঙ্গে স্মিতা পাতিলা, নাসিরুদ্দিন শাহ

৪৮ বছরের পুরনো ‘মন্থন’ ছবির প্রিন্ট পুনরুদ্ধার করেছে ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশন। এর ৩৫ মিলিমিটার মূল নেগেটিভ সংরক্ষিত ছিলো এনএফডিসিতে (ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র সংগ্রহশালা)। পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে কাজ করেছেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল, চিত্রগ্রাহক গোবিন্দ নিহালানি, চেন্নাইয়ের প্রসাদ করপোরেশনের প্রাইভেট লিমিটেডের পোস্ট–স্টুডিওস এবং ইতালির লি’মাজিন রিত্রোভাতা ল্যাবরেটরি। অর্থায়নে সহযোগিতা করেছে ভার্গিস কুরিয়েনের গড়া প্রতিষ্ঠান গুজরাট কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন লিমিটেড। ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে সংরক্ষিত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত ৩৫ মিলিমিটার প্রিন্ট থেকে শব্দ ডিজিটালে রূপান্তর করা হয়েছে।

১৯৭৭ সালে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র এবং সেরা চিত্রনাট্যকার (বিজয় টেন্ডুলকার) স্বীকৃতি জিতেছে ‘মন্থন’। ভারত থেকে অস্কারে পাঠানো হয় এই ছবি। এতে ‘মেরো গাম কথা পারে’ গানের জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা গায়িকা বিভাগে পুরস্কার জয় করেন প্রীতি সাগর।

‘মন্থন’ ছবির দৃশ্যে স্মিতা পাতিলা
   

‘তুফান’-এর ভয়, নাকি অন্য কারণে সরে গেল সিয়াম-বুবলীর ‘জংলি’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘জংলি’ ও ‘তুফান’ সিনেমার পোস্টার

‘জংলি’ ও ‘তুফান’ সিনেমার পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহায় মুক্তির কথা ছিল এ সময়ের জনপ্রিয় দুই চিত্রতারকা সিয়াম আহমেদ ও শবনম বুবলী অভিনীত ‘জংলি’ সিনেমাটি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সিনেমাটির প্রযোজক-পরিচালক।

খবরটি জানাজানির পর অনেকেই ধারণা করছেন, সুপারস্টার শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমার দাপটে ভয় পেয়ে সরে গেল কিনা ‘জংলি’! এমন প্রশ্নে ছবিটির নির্মাতা এম রাহিমের অকপট জবাব, ‘তুফান আর জংলি এক জনরার সিনেমা নয়। তুফান আসবে এটি জেনে-বুঝেই আমরা একই ঈদে সিনেমাটি মুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলাম। তাছাড়া ‘তুফান বনাম জংলি’ কখনোই আমরা সমর্থন করি না। আমি বরং দলবল নিয়ে তুফান দেখতে যাব। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে দুটি ছবিরই ভালো ব্যবসা করতে পারা উচিত। তাহলেই ইন্ডাস্ট্রি গ্রো করবে। আমাদের বাজার বড় হবে।’

‘জংলি’ সিনেমার পোস্টারে সিয়াম আহমেদ

তবে কেন ঈদে ছবিটি মুক্তি দিচ্ছেন না জানতে চাইলে নির্মাতা জানান, ‘টানা শুটিং করেছি আমরা। একই সঙ্গে ভারতে চলছিল ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। শুটিংয়ের পাশাপাশি ডাবিংও চলছিল ঢাকায়। মে মাসে আউটডোরে শুটিংয়ের সময় প্রচণ্ড গরমে ইউনিটের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবু আমরা কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে গেছি। সবশেষ ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে শুটিং বন্ধ রাখতে হয় আমাদের। পুরো একটি সেট ঝড়ে ভেঙে যায়। প্রকৃতির ওপর তো কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। দর্শকদের যে সিনেমা আমরা উপহার দিতে চাই, সেই কোয়ালিটি অ্যাচিভ করা সম্ভব হবে না এই ঈদে। এই মানের সিনেমার সঙ্গে কোয়ালিটিতে কম্প্রোমাইজ করাটা একেবারেই আনএথিক্যাল হবে।’

‘জংলি’র নির্মাতা এম রাহিম

‘জংলি’র মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। তার বিপরীতে রয়েছেন শবনম বুবলী। এছাড়া ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ। ছবিটির চারটি গানের সুর ও সংগীত করেছেন প্রিন্স মাহমুদ।

;

গুরুত্বপূর্ণ ছবি মুক্তির প্রাক্কালে ঋতুর কপালে শনির দশা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অযোগ্য’র পোস্টারে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

অযোগ্য’র পোস্টারে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৭ জুন মুক্তি পাচ্ছে কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় জুটি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি আর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত অভিনীত ৫০তম সিনেমা ‘অযোগ্য’। ছবি মুক্তির এই শুভক্ষণেই ঋতুপর্ণার জীবনে হঠাৎ যেন লেগেছে শনির দশা!

গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তলব এসেছে অভিনেত্রীর। আগামী ৫ জুনই দপ্তরে উপস্থিত থাকতে হবে এই ঋতুপর্ণাকে।

কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি

২০১৯-এ অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালি কেলেঙ্কারি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের পাঁচ বছর পরে আবারও অন্য মামলায় তলব করা হয়েছে এই সিনেমার নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। যদিও খবরটি শোনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এটিকে ষড়যন্ত্র দাবি করেছেন নায়িকা। শুধু তাই নয়, এ নিয়ে কোনো চিঠি পাননি বলেও জানান অভিনেত্রী। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শের পরই সিদ্ধান্ত নেবেন ৫ জুন ইডির ডাকে তিনি যাবেন কি না?

এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে তার আসন্ন ছবি ‘অযোগ্য’র ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছে। প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি চলবে কি চলবে না তা নিয়ে চিন্তিত সমালোচকরা।

অনেকে আবার মনে করছেন, ছবি মুক্তি পেলেও এ সময়ে এমন একটি নেতিবাচক খবর ‘অযোগ্য’র ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

কিন্তু ঋতুর তলব নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয় ছবিটির পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলী। আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এর তিনি বেশ আত্মবিশ^াসের সঙ্গে জানান, ‘‘টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ৩০ বছর ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শোবিজ অঙ্গনে। বছরের পর ধরে জনপ্রিয়তার চূড়ায় রয়েছেন তিনি। ঋতুপর্ণাকে দর্শকের একটি বড় অংশ পছন্দ করে। তার ছবি মুক্তি পেলেই প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমান ভক্তরা। আমি জানি, তারা ‘অযোগ্য’ দেখতেও আসবেন। দর্শকসংখ্যা কমার কোনো প্রশ্নই নেই। ছবিটি না দেখলে বরং বড় কিছু মিস করবে সবাই।’’

এমনকি নায়িকার ব্যক্তিজীবন নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাতে রাজি নন পরিচালক। বর্তমানে সিনেমার প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছে ‘অযোগ্য’ টিম। প্রেক্ষাগৃহে কেমন সাড়া ফেলবে ‘অযোগ্য’, সেটিই এখন দেখার বিষয়। আর ইডির তলবের বিষয়টি কীভাবে সুরাহা করবেন নায়িকা, সেটিও জানা যাবে ততোদিনে।

অযোগ্য’র পোস্টার

;

একসঙ্গে সুখে আছেন মালাইকা-অর্জুন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অর্জুন কাপুর ও মালােইকা আরোরা

অর্জুন কাপুর ও মালােইকা আরোরা

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের চেয়ে বয়সে ১২ বছরের ছোট অভিনেতা অর্জুন কাপুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে অনেক নিন্দা সহ্য করতে হয়েছে বলিউড ডিভা মালাইকা আরোরাকে।

তবে তিনি দমে যাননি। কিংবা বাইরের মানুষের তিক্ত মন্তব্য নিজের সম্পর্কে এনে পরিবেশ নষ্ট করেননি।

অর্জুন কাপুর ও মালােইকা আরোরা

তিনি বরং নেটফ্লিক্সের স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শোতে নিজের প্রেম নিয়ে নিজেই মজা করেছেন। নিজের গাটস-এর পরিচয় দিয়েছেন।

কিন্তু এই ক’বছরে এই জুটির সম্পর্ক ভাঙণের গুঞ্জন থেমে থাকেনি। সম্প্রতি তো ভারতের অনেক নামি-দামী গণমাধ্যমও প্রচার করেছে তাদের বিচ্ছেদের খবর!

মালাইকা-অর্জুনের সম্পর্ক ভেঙ্গে গেছে, শুক্রবার এই গুঞ্জন ছিল সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমগুলোর আলোচনায়। কিন্তু মালাইকা অরোরার ম্যানেজার জানিয়েছেন, তারা একসঙ্গেই আছেন এবং সুখে আছেন।

মালােইকা আরোরা ও অর্জুন কাপুর

বিচ্ছেদের গুঞ্জন মূলত শুরু হয় অর্জুন কাপুর বেড়াতে গিয়ে নিজের কিছু ছবি পোস্ট করার পরে। মালাইকা সাথে নেই কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনরা। এরপর মালাইকাকেও এক পার্টিতে একাই যেতে দেখা গেছে। এতে গুঞ্জনের আগুনে ঘি পড়ে!

তবে মালাইকার প্রাক্তন ম্যানেজারকে এই জুটির বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘না, না। এসব মিথ্যা।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, গুজব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজেদের সম্পর্কের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হতে চান মালাইকা-অর্জুন।

২০১৭ সালে ১৮ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানেন আরবাজ খান ও মালাইকা

২০১৭ সালে ১৮ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন আরবাজ খান ও মালাইকা। তার বছর দুয়েকের মধ্যে নতুন করে প্রেমে পড়েন মালাইকা। অর্জুন কাপুরের জন্যই নাকি আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন মালাইকা- এমন নিন্দাও শুনতে হয়েছে তাকে।

তথ্যসূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস

;

ফের কালজয়ী ‘মন তোরে পারলাম না’ নিয়ে মুজিব পরদেশি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
লিভিং রুম সেশানে মুজিব পরদেশি

লিভিং রুম সেশানে মুজিব পরদেশি

  • Font increase
  • Font Decrease

আশি ও নব্বইয়ের দশকের সাড়া জাগানো শিল্পী মুজিব পরদেশি। তার একাধিক গান শুনে এখনো মানুষের মুখে মুখে। তার মধ্যে অন্যতম ‘মন তোরে পারলাম না’ গানটি। কালজয়ী এই গানের অবেদন একটুও কমেনি। তাইতো এবার লিভিং রুম সেশান-এ আবারও তৈরী হলো এই গানটি। প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার হাসান মতিউর রহমানের অনবদ্য সৃষ্টি ‘মন তোরে পারলামনা বোঝাইতে’ গানটির নতুন সংগীতায়োজন করলেন পাভেল আরিন। নতুন আঙ্গিকে করা গানটিও গেয়েছেন মুজিব পরদেশি।

গতকাল বৃহস্পতিবার গানটি উন্মুক্ত হয় টাইমজোন নিবেদিত লিভিং রুম সেশানের ইউটিউব চ্যানেলে।

লিভিং রুম সেশানে সংগীত পরিচালক পাভেল আরিন

বাংলা গানের পুরোধা ব্যক্তিত্বদের গানে ক্রমেই সমৃদ্ধ হচ্ছে লিভিং রুম সেশান। যাত্রা শুরু থেকেই শেকড় ও শুদ্ধতার মেলবন্ধনে এগিয়ে যাচ্ছে সংগীত পরিচালক পাভেল আরিনের এ মিউজিক্যাল প্রজেক্ট। হয়ে উঠছে বাংলা গানের নতুন এক অপ্রতিদ্বন্দী প্লাটফর্ম।

লিভিং রুম সেশান-এ মুজিব পরদেশির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে পাভেল বলেন, ‘অত্যন্ত বিনয়ী স্বভাবের শিল্পী তিনি। বাংলা ফোক মিউজিককে নতুন রূপে তিনিই উপস্থাপন করেছেন। তার গানের সাথে অনেক আগে থেকে পরিচিত হলেও ২০১৫ থেকে তার সাথে ব্যক্তিগত পরিচয়। আমাদের ব্যান্ড চিরকুট এর জাহিদ নিরবের মামা হওয়ার সুবাদে আমরাও মামা বলে ডাকি। তারই ধারবাহিকতায় আমার অনুষ্ঠানে মামাকে আমন্ত্রণ জানাই। আমার এক ডাকেই বিনাবাক্যে মামা আসলেন, গাইলেন, আর সারারাত আড্ডা দিলেন। শুনলাম তার বর্ণাঢ্য জীবনের গল্প।’

‘মন তোরে পারলাম না বুঝাইতে’র নতুন আঙ্গিকের ভিডিও’র দৃশ্য

হাসান মতিউর রহমানের ‘মন তোরে পারলাম না বুঝাইতে’ গানটিকে কেন বেছে নিলেন লিভিং রুম সেশানে? পাভেলের উত্তর, ‘অনেক আগে থেকেই গানটা আমার পছন্দ। কী সহজে কত সুন্দর উপস্থাপন। সুর এবং কথার অনবদ্য মেলবন্ধন। অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিলো যে এই গানটিকে যদি নতুন সাউন্ডে কিছু করা যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ গানটি যিনি তৈরি করেছেন। তার লেখা ও সুরে হাজারো গান এদেশের মানুষ ধরে ধারণ করছে। আমি বিনয়ের সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই দেশের গুণী গীতিকার সুরকার ও চেনাসুরের কর্ণধার শ্রদ্ধেয় হাসান মতিউর রহমান আঙ্কেলকে। তিনি আমাদের এ গানটি উপস্থাপনের অনুমতি দিয়েছেন। আমাদের ভালোবাসা দিয়েছেন।’

লিভিং রুম সেশানের প্রথম সিজনে গানগুলোর মধ্যে রয়েছে আটটি রিমিক্স ও একটি মৌলিক গান। প্রখ্যাত গুণী শিল্পী ও তরুণ শিল্পীদের সমন্বিত এ প্লাটফর্মে এর আগে প্রকাশিত গানগুলোতে দেখা গেছে জনপ্রিয় শিল্পী কনা, ইমরান, কাজল দেওয়ান, জাহিদ নীরব ও ইন্নিমাকে।

পাভেল আরিন ও মুজিব পরদেশি
;