নিলয় দাসকে স্মরণ করে শিক্ষক দিবসে স্বপ্ন’র ওভিসি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ওয়ারফেজ ব্যান্ডের গিটারিস্ট  ইব্রাহিম আহমেদ কমল এবং পিয়ানিস্ট রোমেল আলী

ওয়ারফেজ ব্যান্ডের গিটারিস্ট ইব্রাহিম আহমেদ কমল এবং পিয়ানিস্ট রোমেল আলী

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ জাতীয় শিক্ষক দিবস। আর বিশেষ এই দিবসকে ঘিরে বাংলাদেশের বৃহৎ সুপারশপ  'স্বপ্ন' নতুন একটি ওভিসি (অনলাইন ভিডিও কমিউনিকেশন) দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছেন। নির্মাতা ফাহাদ খানের নির্দেশনায় ভিডিওটি নির্মাণ করেছে সল্ট ক্রিয়েটিভস। এই ওভিসিতে স্মরণ করা হয়েছে নিলয় কুমার দাসকে। অনেক পরিচয়ের মাঝে একটি হলো তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা গিটারিস্টদের একজন। নিলয় দাস ছিলেন একাধারে গায়ক, সুরকার, সঙ্গীতপরিচালক ও শিক্ষক। আমাদের এই বাংলাদেশে তিনিই প্রথম নিউক্ল্যাসিক্যাল, ব্লুজ, স্পিডমেটাল ও জ্যাজ মিউজিক চর্চা শুরু করেন। বিখ্যাত গিটারিস্ট কমল, পিয়ানিস্ট রোমেলসহ অনেকের হাতেখড়ি হয় প্রয়াত নিলয় দাসের হাত ধরেই।

নিলয় দাসকে স্মরণ করে জাতীয় শিক্ষক দিবসে  'স্বপ্ন'  বানিয়েছে এক স্মৃতিকাতর ভিডিও কন্টেন্ট।

নিলয় দাসের স্মৃতি চারণে ভিডিওটিতে অংশ নিয়েছেন নিলয়  দাসের দুজন প্রিয় সাহচর্য ওয়ারফেজ ব্যান্ডের গিটারিস্ট ইব্রাহিম আহমেদ কমল এবং পিয়ানিস্ট রোমেল আলী। ইব্রাহিম আহমেদ কমল কাজটি নিয়ে বলেন, নিলয় দা ছিলেন আমাদের হৃদয়ের কাছের মানুষ। হি রুলড দ্য রক।

রোমেল আলী বলেন, উনার গিটার বাজানো দেখে দেখে সেগুলো আমি ইমপ্লিমেন্ট করতাম কি-বোর্ড এ। উনি আমাকে দারুণ ভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন।

স্বপ্ন'র হেড অব বিজনেস মাহাদী ফয়সাল বলেন, শিক্ষকদের অবদান আমাদের সমাজে অতুলনীয় । সংগীত শিক্ষকদের স্মরণে আমরা স্মরণ করতে চাই প্রয়াত সংগীতজ্ঞ নিলয় দাসকে, যার অবদান বাংলাদেশের রক মিউজিকে অপরিসীম। বাংলাদেশের অনেক বড় বড় গিটারিস্ট উনার হাত ধরেই তৈরি হয়েছেন।  একজন গিটার শিক্ষক হিসেবে বর্তমান বাংলাদেশের অনেক মিউজিশিয়ানের অনুপ্রেরণায় আছেন নিলয় দাস।এই মহান সংগীতজ্ঞের স্মরণে আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস। স্বপ্ন’র ফেসবুকে পেইজে নতুন এই ওভিসি দর্শকরা আজ রাত ১১টায় দেখতে পাবেন।

নতুন এই ওভিসির নির্দেশক ফাহাদ খান বলেন, স্বপ্নর সঙ্গে কাজ করার আনন্দ সত্যিই আলাদা। এটাও ব্যতিক্রম একটি কাজ। এর আগে স্বপ্ন'র ( জার্সি কই, ছাড়খার অফার) দুটি কাজ করার পর বেশ প্রশংসা পেয়েছি। আশা করি, নতুন এ কাজটিও দর্শকরা পছন্দ করবেন। স্বপ্ন ও সল্ট ক্রিয়েটিভসকে এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

   

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

  • Font increase
  • Font Decrease

'সরলতার প্রতিমা’ ও ‘ফেরানো গেল না তাকে’র মত গানের শিল্পী খালিদ সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঢাকায় জানাজা শেষে সংগীত শিল্পী খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা হয়। এই শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, গীতিকার কবির বকুল, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, সংগীত শিল্পী জয় শাহরিয়ারসহ অনেকে।

পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজা হবে। তারপর শহরের নয়া গোরস্থানে শায়িত হবেন খালিদ।

গোপালগঞ্জে তার বড় ভাই আছেন, তিনিই সব প্রস্তুতি দেখছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় গ্রিনরোডের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন খালিদ, সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয় কমফোর্ট হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই শিল্পীর পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। আশি ও নব্বইয়ের দশকের ব্যান্ড সংগীতের শ্রোতারা তাকে খালিদ নামেই চেনেন। ১৯৬৫ সালের ১ অগাস্ট গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ শিল্পী স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

গানের জগতে খালিদের যাত্রা ১৯৮১ সালে। ব্যান্ড দল ‘চাইম’- এ যোগ দেন ১৯৮৩ সালে।

'সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ এমন বহু শ্রোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ।

১৯৮৯ সালে ‘নাতি খাতি বেলা গেল’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তার পর প্রথম বিদেশ সফরের ডাক আসে। সেবার কাতারের দোহায় একটি অনুষ্ঠানে গান করতে গিয়েছিলেন খালিদ।

গত কয়েক বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরেন। খালিদের স্ত্রী ও ছেলে যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছেন।গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

;

খালিদের সেরা ৫ গান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ। ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অন্যলোকে পাড়ি দিলেন তিনি। কিন্তু তার স্মৃতি, গায়কী থেকে গেছে শ্রোতাদের মাঝে। এই লেখায় থাকল খালিদের জনপ্রিয় পাঁচটি গানের কথা।

সরলতার প্রতিমা
খালিদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান সরলতার প্রতিমা। গানটি লিখেছিলেন তরুণ। সুর ও সঙ্গীত করেছিলেন জুয়েল-বাবু।

যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে
মধ্য নব্বইতে গেয়েছিলেন এই গান। লিখেছিলেন লতিফুল ইসলাম শিবলী। সুর করেছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। কাব্যধর্মী গানটি অনেকেরই বেশ পছন্দের।

কোনো কারণেই
প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা গান। খালিদের কণ্ঠের এই গান শ্রোতাদের কাছে বিরহগীতি হিসেবেই পরিচিত।

যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে
এই গানটিও প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে। খালিদের অসাধারণ গায়কী গানটিকে শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। গানটি দেড় দশক পরেও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

নাতি খাতি বেলা গেল
হাফিজুর রহমানের এই গানটি করেছিল চাইম। গেয়েছিলেন খালিদ। চাচীর দুঃখ অ্যালবামে স্থান পেয়েছিল লোকগানটি, যার মধ্যেও খালিদ তার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

;

খালিদের সেই গান আজও ফিরে মুখে মুখে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যার গান শুনে অনেক অনেক তরুণ-তরুণীর বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা পেরিয়েছে সেই 'চাইম' ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। তার বিদায়ে সঙ্গীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের ভুবনে পথচলা শুরু করেন। তিনি আশি ও নব্বইয়ের দশকে ভোকালিস্ট হিসেবে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন।

তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি। গানগুলো এখনও ফিরে মানুষের মুখে মুখে।

অনেকদিন ধরেই গানের সঙ্গে নেই খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে যেনো দূরে সরেন। বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ। নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

;

শেষ সময়টায় প্রবাসী জীবন বেছে নিয়েছিলেন খালিদ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক দিন ধরেই গানের সঙ্গে ছিলেন না 'সরলতার প্রতিমা' খ্যাত খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে দূরে সরে যান, বেছে নেন প্রবাস জীবন।

আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ।

নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি হাসপাতালে মারা যান চাইম ব্যান্ডের জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পী। এদিকে তার প্রথম নামাজে জানাজা সোমবার রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।

খালিদের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে- সরলতার প্রতিমা, যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে, হয়নি যাবারও বেলা, যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে, তুমি নেই তাই।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী খালিদের গান একসময় পাড়া-মহল্লার শ্রোতাদের মুখে মুখে থাকত, বাজত বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন দোকানে।

;