প্রথম সন্তানকে স্বাগত জানাতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল।
গত ৪ মার্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের বেবিবাম্পের একটি ছবি শেয়ার করে বিষয়টি নিজেই ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন শ্রেয়া।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আরও কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন শ্রেয়া ঘোষাল। এখানে দেখা গেছে তার বেবিবাম্প। এসময় তার পরনে ছিলো অ্যাশ কালারের একটি টপস।
ছবিগুলোর ক্যাপশনে শ্রেয়া ঘোষাল লিখেছেন, “জীবনের সবচেয়ে সুন্দর ও সেরা অধ্যায়টি অনুভব করছি।”
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয় এই গায়িকা ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শিলাদিত্যের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন।
বাংলা নাটকের অন্যতম দিকপাল মুনীর চৌধুরী। আজ ২৭ নভেম্বর এই শহীদ অধ্যাপকের শততম জন্মদিন। এ উপলক্ষে গতকাল ‘মুনীর চৌধুরী সম্মাননা’ এবং ‘মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতিপদক’প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেছে নাট্যদল থিয়েটার। এ বছর মুনীর চৌধুরী সম্মাননা পাচ্ছেন অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী শিমূল ইউসুফ। আর মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতিপদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন প্রাচ্যনাটের অভিনেতা জাহাঙ্গীর আলম। মুনীর চৌধুরী সম্মাননার অর্থমূল্য ৫০ হাজার টাকা ও মোহাম্মদ জাকারিয়া পদকের অর্থমূল্য ২৫ হাজার টাকা।
শহীদ মুনীর চৌধুরী স্মরণে ১৯৮৯ সাল থেকে একজন করে প্রবীণ গুণীকে সম্মাননা এবং মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মরণে ১৯৯৭ সাল থেকে একজন তরুণ গুণীকে পদক দেওয়া হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতিপদক পেয়েছিলেন শিমূল ইউসুফ। এবার তিনি মুনীর চৌধুরী সম্মাননার জন্য মনোনীত হয়েছেন।
থিয়েটারের পরিচালক (সাংগঠনিক) রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘গত বছরও আমরা সম্মাননা ও পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেছি; কিন্তু সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। এবার আমরা দুই বছরের সম্মাননা ও পদক একই অনুষ্ঠানে প্রদান করব। শিগগিরই অনুষ্ঠানটির তারিখ সবাইকে জানানো হবে।’
২০২৩ সালে মুনীর চৌধুরী সম্মাননায় ভূষিত হন কামালউদ্দিন নীলু এবং মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতিপদক পেয়েছিলেন বাকার বকুল।
আগামী বছর থেকে এক বছর অন্তর এই দুটি সম্মাননা ও পদক দেওয়া হবে বলে জানান রামেন্দু মজুমদার। মূলত মুনীর চৌধুরীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছরই এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
চলতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর আট মিনিটের স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছিলো ভারতীয় নির্মাতা পায়েল কাপাডিয়ার সিনেমা ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’। ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম ভারতীয় সিনেমা এটি, যা কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান প্রতিযোগিতা বিভাগে নিজের জায়গা করে নিয়েছিল। শুধু তাই নয়, ছবিটি কান উৎসবের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ জিতে নেয়।
‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ তৈরি হয়েছে ভারত, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ ও ইতালির যৌথ প্রযোজনায়। এতে অভিনয় করেছেন কানি কুশ্রুতি, দিব্যা প্রভা, ছায়া কদম, ঋধু হারুন। গত শুক্রবার নিজ দেশ ভারতে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। তবে সিনেমার একটি দৃশ্য অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। সিনেমায় চরিত্রের প্রয়োজনে একটি দৃশ্যে নগ্ন হয়েছেন মালয়ালম অভিনেত্রী দিব্যা প্রভা। তার অভিনীত দৃশ্যটিই অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। যা নিয়েই তৈরি হয়েছে আলোচনা।
দৃশ্যটি নিয়ে এবার মুখ খুললেন সেই অভিনেত্রী। দিব্যা প্রভা ইটিভি ভারতকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘নগ্নতা কোনো বিষয় না, সিনেমার বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ।’ এই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, সিনেমার বার্তা অনেকেই বুঝতে পারেননি। তাঁরা কেবল ওই দৃশ্যটি নিয়েই কথা বলেছেন।
অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে কোনো অস্বস্তি নেই জানিয়ে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে আমি অস্বস্তি বোধ করি না। আমার কাছে কেবল গল্প প্রাধান্য পায়, অন্য কিছু না।’
দিব্যা জানান, সিনেমার ওই দৃশ্যটির শুটিংয়ের সময় কেবল অল্প কয়েকজন কলাকুশলী উপস্থিত ছিলেন। দৃশ্যটি শুটিংয়ের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। এই অভিনেত্রী মনে করেন, সিনেমাটির গল্প বলা, নির্মাণ এবং সব মিলিয়ে যে বার্তা দিতে চেয়েছেন পরিচালক, সেটা তরুণ প্রজন্মের দর্শকের ভালো লাগবে।
সিনেমা মুক্তির পর দৃশ্যটি নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছেন, অনেকে আবার দিব্যার পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক দর্শক, বিশেষ করে পুরুষ দর্শকেরা যেভাবে আমাকে সমর্থন দিচ্ছেন, তাতে আমি আনন্দিত। সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য নয়, গল্পের প্রয়োজনেই নগ্ন হয়েছি। আমার ঝুলিতে অনেক পুরস্কার আছে, বেশ কয়েকটি প্রশংসিত সিনেমায় অভিনয় করেছি; সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য আমার পর্দায় নগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।’
২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘টেক অফ’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রথম আলোচনায় আসেন দিব্যা প্রভু। মহেশ নারায়নানের ‘আরিইপ্পু’ সিনেমা তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়। ২০২২ সালে এ সিনেমার জন্য তিনি লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
কয়েকদিন ধরেই ঐশ্বরিয়া রায় ও অভিষেক বচ্চনের ডিভোর্সের গুঞ্জন বেশ জোড়ালোভাবেই চলছে। শোবিজে রীতিমতো কাঁটাছেড়া হচ্ছে তাদের দুজনকে নিয়ে। তবে এ বিষয়ে দুজনের কেউই মুখ না খুললেও এবার সরব হয়েছেন ঐশ্বরিয়া।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও শেয়ার করেছেন ঐশ্বরিয়া রায়। জনপ্রিয় এ তারকা জুটির ভাঙন নিয়ে তুমুল আলোচনার মাঝে এই প্রথমবার কথা বলেছেন ঐশ্বরিয়া। তবে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও বার্তায় নিজের ডিভোর্স সম্পর্কে সরাসরি কিছু না বললেও সব মেয়েদের উদ্দেশ্যে হয়রানির প্রতিবাদে মাথা তুলে প্রতিবাদ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ভিডিওতে ঐশ্বরিয়াকে বলেন, ‘রাস্তায় হয়রানি, কীভাবে মোকাবিলা করবেন? চোখ নিচে নামিয়ে নিলে হবে না। বরং এদের চোখে চোখ রাখুন। মাথা উঁচু রাখুন। আপনার শরীর, আপনার মূল্য, কখনোই এগুলোর সঙ্গে আপস করবেন না। কখনো নিজেকে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবন না। আপনার পোশাক, লিপস্টিককে দোষারোপ করবেন না ভুলেও! রাস্তায় হওয়া হয়রানি কখনোই আপনার দোষ নয়।’
মূলত আন্তর্জাতিক বিউটি ব্র্যান্ড ল’রিয়াল এর ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হচ্ছেন ঐশ্বরিয়া রায়। L'Oréal Paris' Stand Up Against Street Harasment Training Program এর অংশ হিসেবে হয়রানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সব মেয়েদের উদ্দেশ্যে এ ভিডিও বার্তা দেন তিনি।
ঐশ্বরিয়ার এই ভিডিও বার্তা বলিপাড়ায় তাদের বিচ্ছেদের চর্চাকে আবারও নতুন মাত্রা দিয়েছে। নেটিজেনদের অনেকেই বলছেন এর মাধ্যমে ঐশ্বরিয়া হয়তো পরোক্ষভাবে নিজের সাথে হয়ে যাওয়া হয়রানির প্রতিবাদকেই ইঙ্গিত করেছেন। নিজের অভিজ্ঞতার থেকে যেকোন পরিস্থিতিতে মেয়েদের আত্মবিশ্বাসকে টিকিয়ে রাখতে উৎসাহ দিয়েছেন।
২০০৭ সালে অভিষেক-ঐশ্বর্য গাঁটছড়া বাঁধেন। এরপর তাদের জীবনে আসে কন্যা আরাধ্যা। বলিউডে গুঞ্জন, অভিষেক-ঐশ্বর্য বিচ্ছেদ হওয়া নাকি শুধু সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে ফেলেছেন দু’জনে। কখনও সম্পত্তি ভাগের জেরে পারিবারিক অশান্তির কথা শোনা গিয়েছে। আবার কখনও বা নিমরত কৌরের সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে জুনিয়র বচ্চনের বিরুদ্ধে।
দেড়শ’ পর্বে বৈশাখী টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘হাবুর স্কলারশিপ’। প্রচার হবে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে। ধারাবাহিক এ নাটকটি নিয়মিতভাবে প্রচার হচ্ছে প্রতি মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতিবার। প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই এ ধারাবাহিকের প্রতি দর্শক চাহিদা ঈর্ষণীয়। ইউটিউবে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ-ই এর বড় প্রমাণ।
গত ঈদ উল ফিতর এবং ঈদুল আজহায় প্রচারিত সাত পর্বের বিশেষ ধারাবাহিক ‘হাবুর স্কলারশিপ’ নাটকের অভাবনীয় সাফল্যের পরই নির্মিত হয়েছে দীর্ঘ ধারাবাহিক হাবুর স্কলারশিপ। নাটক দু’টি, দুই ঈদেই ইউটিউবে প্রথম হয় এবং দর্শকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি করে। দর্শকদের চাহিদার কথা চিন্তা করে তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দীর্ঘ ধারাবাহিক আকারে নাটকটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় বৈশাখী টেলিভিশন। এ নাটকের মাধ্যমেই জনপ্রিয় অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত এই প্রথম কোনো দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন। বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলনের গল্পে, আহসান আলমগীরের চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন আল হাজেন। প্রযোজনা করেছে ‘মিড এন্টারপ্রাইজ’।
রাশেদ সীমান্ত ছাড়াও এ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন- তানজিকা আমিন, অহনা রহমান, শফিক খান দিলু, নীলা ইসলাম, হায়দার আলী, ম. আ সালাম, বিনয় ভদ্র, সাইকা আহমেদসহ একঝাক নতুন মুখ। হাবুর স্কলারশিপ নাটকের শুটিং বাংলাদেশ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যে চিত্রায়িত হয়েছে। গল্পের প্রয়োজনে কোনো ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাইরে পৃথিবীর বৃহৎ দুটি দেশে শুটিং এটাই সম্ভবত প্রথম।
নাটকের গল্পে দেখা যায়, গ্রামের অত্যন্ত সহজ সরল একটি ছেলে হাবু স্কলারশিপ পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পড়ালেখা করতে যায় এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ছেলেটি ফার্স্ট হয়। হাবু অস্ট্রেলিয়ায় যে পাঁচ বছর পড়ালেখা করে সেই সময় হাবুর যে কোনো বিপদে আপদে পাশে এসে দাঁড়ায় তারই আরেক বাংলাদেশি সহপাঠী মারজান। এনএসডবি¬উ ইউনিভার্সিটি হাবুকে অফার করে সে যেন অস্ট্রেলিায় থেকে ইউনিভার্সিটিতে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে জয়েন করেন কিন্তু হাবু জানায় তিনি তার মেধা তার দেশের জন্যই কাজে লাগাতে চায়। সবকিছু উপেক্ষা করে হাবু দেশে ফিরে আসেন। আগের পর্বগুলো এভাবেই শেষ হয়। ঠিক এখান থেকেই শুরু- ‘হাবুর স্কলারশিপ’ ধারাবাহিক নাটকের গল্প। নানা ঘাত প্রতিঘাত আর প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলে নাটকের কাহিনী।
গল্পকার টিপু আলম মিলন বলেন, সমান জনপ্রিয়তা নিয়ে হাবুর স্কলারশিপ নাটকটি দর্শক চাহিদা পূরণ করে এগিয়ে চলেছে জেনে ভালো লাগছে। নাটকে যেমন বিনোদন এবং হাস্যরস আছে তেমনি আছে সমাজ সচেতনতা। ঘুণে ধরা এ সমাজের নানা অসংগতি তুলে ধরাই নাটকের মূল প্রতিপাদ্য। ভালো নাটক হলে মানুষ যে এখনো দেখে তার প্রমাণ হাবুর স্কলারশিপ।