salma-
সালমার কণ্ঠে ১০ লাখ ছাড়ালো ‘নয়া দামান’
‘আইলারে নয়া দামান আসমানেরও তেড়া/বিছানা বিছাইয়া দেও শাইল ধানের নেড়া/ দামান বও দামান বও।’ সিলেটি আঞ্চলিক ভাষার গানটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
আরটিভি মিউজিকের আয়োজনে কণ্ঠশিল্পী সালমার কণ্ঠে ধারণকৃত গানটি চারদিকে সাড়া ফেলেছে। ইতিমধ্যেই ইউটিউবে গানটি ১০ লাখের বেশি এবং ফেসবুকে ২৫ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সালমা বলেন, আরটিভিকে বিশেষ ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্মে আমাকে গান করার সুযোগ দেওয়ার জন্য। গানটি গাইতে পেরে বেশ ভালো লেগেছে। খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি।আরটিভি সামনে আরও ভালো ভালো গানের চমক দেখাবে আশা করছি। বাংলা গান বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাক এই প্রত্যাশা রইলো।
গত মার্চে গানের কথা থাকলেও করোনার কারণে ও ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় ময়মনসিংহে থাকায় গানটিতে কণ্ঠ দিতে পারেননি সালমা। তাই গানটি প্রচারে খানিকটা বিলম্ব হয়েছে। জে কে মজলিসের সঙ্গীতায়োজনে গানটিতে প্রচলিত কথা ও সুর ব্যবহার করা হয়েছে।
জনপ্রিয় প্রোগ্রাম আরটিভি ফোক স্টেশনের গানটি এত অল্প সময়ে গানটি মানুষ গ্রহণ করায় আরটিভি কর্তৃপক্ষ নতুন করে মিউজিক ভিডিও আকারে প্রকাশ করবে।
গানটির মূল শিল্পী একুশে পদকপ্রাপ্ত পণ্ডিত রামকানাই দাসের মা লোককবি দিব্যময়ী দাস। গানটির কথা ও সুর তারই। ৫০-৬০ বছর আগে প্রচলিত এই গানের রেকর্ড না থাকায় মুখে মুখে প্রচারিত হয়। মানুষের মুখে মুখে চলার কারণে গানের কথায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। যেহেতু মূল গানটি সেভাবে সংরক্ষিত হয়নি সেহেতু কিছুটা পরিবর্তন হওয়াই স্বাভাবিক। পণ্ডিত রামকানাই দাস নিজের অ্যালবামে গানটি ব্যবহার করলেও কোথাও তার মায়ের নাম লেখা ছিল না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল।
গত মার্চে প্রবাসী মিউজিশিয়ান মুজা গানটির অডিও ট্র্যাক লিরিক্যাল ভিডিও প্রকাশ্যে আনেন। গানটির ব্যতিক্রম সংগীতায়োজন, কথা ও সুরের কারণে শ্রোতাদের মুখে মুখে চলে আসে। মুজার সঙ্গীতায়োজনে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সিলেটের মেয়ে তসিবা বেগম। এবারই প্রথম তিনি কোনো গান কাভার করেছেন। গানটি ভাইরাল হওয়ার পর রামকানাই দাসের পরিবারের অনেকেই গানটি প্রকাশ করেন।