গত বছর থেকে মহামারি করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা শুরু হওয়ার পর থেকে যেভাবে অসহায় মানুষকে সাহায্য করে গিয়েছেন সোনু সুদ তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। সকলের কাছে তিনি এখন ‘মাসিহা’।
Very happy to announce that the first set of my Oxygen Plants will be set up at Kurnool Government Hospital & one at District Hospital, Atmakur,Nellore, AP in the month of June!This would be followed by setting more plants in the other needy states! Time to support rural India ?? pic.twitter.com/vLef9Po0Yl
এবার বলিউডের এই অভিনেতা সাধারণের সমস্যা মেটাতে নিলেন আরও একটি উদ্যোগ। অন্ধ্রপ্রদেশে নেল্লোরের দুটি হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বসাতে চলেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনু লিখেছেন- “অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল সরকারি ও জেলা হাসপাতালে দু’টি অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হচ্ছে। জুনেই প্লান্ট বসানোর কাজ হয়ে যাবে। এরপর যে সমস্ত রাজ্যে প্রয়োজন, সেখানেও প্লান্ট বসাবো। গ্রামগুলোর পাশে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।”
বর্তমান সময়ে ছোটপর্দার অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ইয়াশ রোহান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। দুজনে একের পর এক নাটকে দর্শকদের নজর কাড়ছেন। এরইমধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, শুধু পর্দায় নয় বাস্তবেও এই জুটির রয়েছে বিশেষ সম্পর্ক। যা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই ভক্তদের।
ইয়াশ ও তটিনীর সম্পর্কের বিষয়টি নেটিজেনদের নজরে ছিল অনেক আগে থেকেই। ফেসবুকে তাদের দুজনের চলাফেরা মিলে যেত! যদিও বিষয়টি নিয়ে ভাবেন না ইয়াশ-তটিনীর কেউই। গুঞ্জন তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তবে বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই দেখছেন তাদের অনুরাগীরা।
তটিনী জানিয়েছিলেন, ইয়াশের সঙ্গে নাটকের সূত্রেই এই বন্ধুত্ব! বিভিন্ন সময়েই তারা দুজনে মেতে উঠেন খুনসুটিতে। ফেসবুকে একইরকমের ছবি পোস্ট করেন, সঙ্গে ক্যাপশনও থাকে একই, যা নিয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলায় নেটিজেনরা। কিছুদিন আগেই একটি ছবি শেয়ার করেন ইয়াশ রোহান। ছবিতে দেখা যায়, এক করিডোরে মুখোমুখি দাঁড়ানো ইয়াশ ও তটিনী। দুজনের হাতেই ফোন, তবে ইয়াশের নজর ছিল ফোনের দিকেই, আর তটিনীর নজর ছিল ইয়াশের দিকে। ক্যাপশনে ইয়াশ লেখেন, ‘আনসোশ্যাল ফ্রেন্ড টু তানজিম সাইয়ারা-টটস’। একই ছবি নিজের প্রোফাইল থেকেও শেয়ার দেন তটিনী। সেখানে ইয়াশকে জুড়ে দিয়ে তটিনী লেখেন, ‘আনসোশ্যাল ফ্রেন্ড ইয়াশ রোহান’।
এই জুটি এখন কক্সবাজারে মহিদুল মহিমের একটি নাটকের শুটিং করছেন। আসছে ভালোবাসা দিবসেও তাদের দেখা যাবে একাধিক নাটকে।
এবার নিজের সহশিল্পীর প্রতি নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন তটিনী। ইয়াশের সঙ্গে পর্দা শেয়ার করা নিয়ে সহশিল্পীর প্রশংসায় রীতিমতো পঞ্চমুখ তিনি।
তটিনী বলেন, আমরা একসঙ্গে ১৫টির মতো নাটকে কাজ করেছি। দর্শকরা আমাদের ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। আমাদের একসঙ্গে দেখে তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। সেদিক থেকে আমরা দুজনে আসলেই অনেক সৌভাগ্যবান।
তিনি আরও বলেন, সহশিল্পীর পাশাপাশি ইয়াশ ভাই আমার খুব ভালো বন্ধুও। কিন্তু আমি এটিও কখনো ভুলি না যে, তিনি আমার সিনিয়র। তাকে সবসময় তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিই আমি। তার উৎসাহী ব্যক্তিত্বে কাজের দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে।
বক্স অফিসে মুক্তির পর দুর্দান্ত ব্যবসা করছে আনিস বাজমির ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’। ১ নভেম্বর মুক্তির পর এ পর্যন্ত ভারতে ১৫৮ কোটি রুপি ব্যবসা করেছে ছবিটি। দিওয়ালিতে মুক্তি পাওয়া আরেক তারকাবহুল সিনেমা রোহিত শেঠী পরিচালিত ‘সিংহাম এগেইন’কে পেছনে ফেলে দিয়েছে ছবিটি। এখনো সগৌরবে চলছে প্রেক্ষাগৃহে।
এর মধ্যেই এল নতুন ঘোষণা, ‘ভুল ভুলাইয়া ৪’ ছবির প্রস্তুতি শুরু করে ফেলেছেন আনিস বাজমি। সূত্র বলছে, ইতিমধ্যেই নাকি চিত্রনাট্য তৈরি। ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’-এর মতোই এই ছবির চতুর্থ পর্বতেও থাকবে প্রচুর চমক।
শোনা যাচ্ছে, ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ ছবিতে যেমন ‘মঞ্জুলিকা’ রূপে ফিরেছেন বিদ্যা বালান, তেমনি চতুর্থ পর্বেও থাকছেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, শোনা যাচ্ছে, ‘ভুল ভুলাইয়া ৪’-এ ‘ভুল ভুলাইয় ‘ প্রথম কিস্তির অক্ষয় কুমার ও ‘ভুল ভুলাইয়া ২’-এর কিয়ারা আদভানিকেও। তবে সর্বশেষ দুই সিজনে নায়কের চরিত্রে থাকা কার্তিক আরিয়ান চতুর্থ কিস্তিতেও থাকবেন কিনা তা নিয়ে এখনো কোন খবরই আসেনি। তবে এখনই এই ছবি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ছবির টিম।
ঠিক ১৭ বছর আগে মুক্তি পায় ‘ভুল ভুলাইয়া’, যা কিনা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের ঘরানাকে মেনেই তৈরি করেছিলেন পরিচালক প্রিয়দর্শন। হঠাৎই দুই বছর আগে পরিচালক আনিস বাজমি ‘ভুল ভুলাইয়া’কে করে তুললেন হরর-কমেডি। ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’-এর গল্প দুই বোন মঞ্জুলিকা-অঞ্জুলিকা, ভাই দেবেন্দ্রকুমার এবং রাজ সিংহাসন দখলের। মঞ্জুলিকা-অঞ্জুলিকা একাধারে যোদ্ধা ও দুরন্ত নৃত্যশিল্পী।
কিন্তু তবু রাজ সিংহাসন জোটে রাজকুমার দেবেন্দ্রর কপালে। ব্যস, হিংসার আগুন। বদলা। ক্ষমতার লড়াই। আর সঙ্গে পরিচালক টেনে আনেন ভয়ের ছবির পুরোনো ফর্মুলা পুনর্জন্মকে। যেখানে মঞ্জুলিকা-অঞ্জুলিকা হয়ে ওঠেন মন্দিরা (মাধুরী দীক্ষিত) এবং মলিকা (বিদ্যা বালান)।
‘ভুল ভুলাইয়া ২’ ছবিতে কার্তিকের নায়িকা ছিলেন কিয়ারা আদভানি। তবে তৃতীয় কিস্তিতে দেখা গেছে তৃপ্তি দিমরিকে। শোনা যাচ্ছে, পরের কিস্তিতে অভিনয়ের জন্য কিয়ারার সঙ্গে কথাবার্তা অনেকটাই বাকি।
আমেরিকার নিউইয়র্কে দীর্ঘ প্রবাস জীবন অবশেষে ঢাকা আসছেন ‘ব্লাক ডায়মন্ড’খ্যাত সংগীত তারকা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন।
জানা গেছে, ১০ নভেম্বর রোববার সকাল ১০টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি।
বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনামলে নিজের পেশাগত কাজকর্মে বারবার বিভিন্নভাবে বাধগ্রস্থ হয় বেবী নাজীনের সঙ্গীতজীবন। বাংলাদেশ বেতার-টিভি-মঞ্চ কোন মাধ্যমেই বেবী নাজনীন সাচ্ছন্দে কাজ করতে পারেননি। এক পর্যায়ে দেশ ছাড়তেই বাধ্য হন বেবী নাজনীন।
তবে আন্তর্জাতিকভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে বেবী নাজনীন সবসময়ই সমাদৃত। ফলে বিদেশের মাটিতে তার কাজকর্মে কোন বাধা আসেনি। বরং এই সময়ে আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ব্লাক ডায়মন্ড বেবী নাজনীন।
সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে আধুনিক সংগীতের অর্ধশতাধিক একক অডিও অ্যালবামসহ অসংখ্য দ্বৈত অডিও অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি। ভারতের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোসলে, বাপ্পি ল্যাহেরী, কুমার শানু, কবিতা কৃষ্ণমূতির সঙ্গেও একাধিক অডিও অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিশেষ শ্রণির তালিকাভূক্ত সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন চলচ্চিত্র, অডিও মাধ্যমে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন।
মানুষ নিষ্পাপ পৃথিবীতে আসে, আমার একটা মানুষ আছে, ওই রংধনু থেকে, পত্রমিতা, এলোমলো বাতাসে উড়িয়েছি শাড়ির আঁচল, কাল সারা রাত ছিল স্বপনেরও রাত, দু'চোখে ঘুম আসে না তোমাকে দেখার পর, আমার ঘুম ভাঙাইয়া গেলোরে মরার কোকিলে, লোকে বলে আমার ঘরে নাকি চাঁদ উঠেছে, আজ পাশা খেলবো রে শাম, প্রিয়তমা, সারা বাংলায় খুঁজি তোমারে, ও বন্ধু তুমি কই কই রে.. এ প্রাণো বুঝি যায় রে...এমন অসংখ্য গানের মাধ্যমে বাংলা গানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করেছেন এই সংগীত তারকা।
মেধাবী অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ছোটপর্দার ‘কুইন’ তকমা পেয়েছিলেন অপূর্ব, আফরান নিশোসহ জনপ্রিয় অভিনেতাদের সঙ্গে রোমান্টিক গল্পে অভিনয় করে। তবে সর্বশেষ কয়েক বছর মেহজাবীন রোমান্টিক গল্প এড়িয়ে চলেছেন। তাকে চ্যালেঞ্জিং সব চরিত্রে ভিন্ন ধরনের গল্পে দেখা গেছে। সেসব কাজও দর্শক পছন্দ করেছে। তবে তারা সবসময় চেয়েছে মেহজাবীন যেন আবারও রোমান্টিক নাটকে ফিরে আসেন।
বিশেষ করে সর্বশেষ কয়েকদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তরা রীতিমতো এক দফা এক দাবি জানায় যে তাদের প্রিয় তারকা রোমান্টিক না করলে তারা মেহজাবীনের ফ্যানপেজ ত্যাগ করবে।
অবশেষে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে চলেছেন মেহজাবীন। তিনি অচিরেই হাজির হবেন একটি রোমান্টিক নাটকে।
প্রবীর রায় চৌধুরীর নির্দেশনায় মেহজাবীন-জোভান জুটির নাটক ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। ২০১৮ সালের জোভান-মেহজাবীনকে জুটি করে প্রবীর বানিয়েছিলেন নাটকটি। এরপর আরও দুটি নাটক বানান একই নামে। যেন প্রবীর গড়ে তোলেন নাটকের একটি সফল ট্রায়ো! তবে মাঝে লম্বা সময় এই নাম নিয়ে সামনে আসতে দেখা যায়নি তাদের। এরমধ্যে মেহজাবীন চৌধুরীও সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত হলেন।
আশার কথা, লম্বা বিরতির পর ফের এক হলো এই সফল ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ট্রায়ো। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি ঘোষণা দিয়েছে এই ত্রয়ীকে এক করার। নিশ্চিত করেছেন প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পুও। ফের এক হতে পেরে বেশ খুশি প্রবীর-মেহজাবীন-জোভান।
জোভান বলেন, ‘অনেক দিন পর এই ট্রায়ো কাজ করবে। ঘোষণার পর থেকে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। আমাদের কাছে দর্শকদের প্রত্যাশা আরও বেড়ে গেছে।’
এদিকে মেহজাবীন তাদের এই ট্রায়ো প্রজেক্ট প্রসঙ্গে অনেকটাই বিস্তারিত ও স্মৃতিকাতর। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ২০১৮ সালে শুট করা হয়েছিল। এবং এটি ছিল পরিচালক প্রবীর রায় চৌধুরীর সাথে আমার প্রথম কাজ। এই নাটকটি অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, বিশেষ করে ‘অভিযোগ’ গানের জন্য। পরে এটি ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ সিরিজে পরিণত হয়েছিল। তাই এটি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিল।’’
এরপর মাঝে লম্বা সময়। এরমধ্যে নাটক থেকেও অনেকটা দূরে সরেছেন মেহজাবীন। তাহলে ফের এক হলো কেমন করে এই ট্রায়ো? জবাবে মেহজাবীন বলেন, ‘অনেক দিন ধরে প্রবীর রায় চৌধুরী বলছিলেন যে, আমাদের সেই ত্রয়ী মিলে আবার কিছু করা উচিত। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২০২৫ সালের ভালোবাসা দিবসে আবারও একসঙ্গে কাজ করার। আমি আশা করি ২০১৮ এবং পরবর্তী সিরিজের সময় যে ভালোবাসা আমরা পেয়েছিলাম, এবারও সমান ভালোবাসা পাবো।’
নির্মাতা প্রবীর রায় চৌধুরী জানান, এবারের গল্পটি আর ১, ২ বা ৩ নম্বর পরিচয়ে থাকছে না। এবারের গল্পটির নাম ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০’।
প্রবীর বলেন, ‘‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ সিরিজের শেষ গল্প নির্মাণের প্রায় ৪ বছর পর আবারও আমরা এক হচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সালের ভ্যালেন্টাইন ডে (১৪ ফেব্রুয়ারি)। এবার একেবারে নতুন একটা গল্প। মূলত এই গল্পের অভাবেই মাঝে আমাদের লম্বা সময় গ্যাপ। অবশেষে, এই গল্পটি নিয়ে আমরা সবাই সম্মত হয়েছি। আশা করি, এই কাজটি করে দর্শকদের যে উন্মাদনা রয়েছে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ ফ্র্যাঞ্জাইজির প্রতি, তা পূরণ করবে।’’
নির্মাতা জানান, নাটকটির শুটিং হবে মূলত দুই ভাগে। প্রথম অংশ ডিসেম্বরে, পরের অংশ জানুয়ারি। এদিকে আগাম অনুমান করা যাচ্ছে, আসন্ন ভ্যালেন্টাইন ডে’র সবচেয়ে বড় বাজেটের প্রজেক্ট হতে যাচ্ছে ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২.০’।