যুক্তরাষ্ট্রে জিফাইভের যাত্রা শুরু
দক্ষিণ এশীয় কনন্টেন্টের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম জিফাইভ গত ২২ জুন সন্ধ্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা শুরু করেছে। এর মাধ্যমে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ এশীয় প্রবাসী এবং মূলধারার দর্শকদের জন্য খুলে গেল বহুমুখী সংস্কৃতিসমৃদ্ধ বিনোদনের এক পরিপূর্ণ ভাণ্ডার।
জি এন্টারটেইনমেন্টের ডিজিটাল বিজনেসেস অ্যান্ড প্ল্যাটফর্মস-এর প্রেসিডেন্ট অমিত গোয়েঙ্কা বলেন, “দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই মার্কেটের সাথে আমাদের সম্পর্ক, যেখানে আমাদের চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে ভারতের সেরা বিনোদন অনুষ্ঠানগুলো দর্শকদের দিতে পেরেছি। জিফাইভের মাধ্যমে আমরা এই দর্শকদের পাশাপাশি তরুণদের আরো বড় পরিসরে প্রিমিয়াম কন্টেন্টের অফার দিতে চাই। যার মাধ্যমে আমাদের অরিজিনালস, ডিজিটাল প্রিমিয়ারসহ আরো অনেক কিছু তাদের পছন্দ অনুযায়ী উপভোগ করতে পারবেন।’
জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে জিফাইভ গ্লোবাল’র চিফ বিজনেস অফিসার অর্চনা আনন্দ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিফাইভ-এর পথচলা ঘোষণা করেন। ওই মেগাইভেন্টে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সাংবাদিক এবং গ্রাহকরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী, প্রযোজক, এক্টিভিস্ট ও উদ্যোক্তা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস।
জিফাইভের আসন্ন অনুষ্ঠান সূচি এবং নতুন গ্লোবাল ব্র্যান্ড ক্যাম্পেইন “ওয়েলকাম টু সাউথ এশিয়া: স্টোরিজ ফ্রম আওয়ার ওয়ার্ল্ড”উদ্বোধনে অর্চনা আনন্দের সঙ্গে যোগ দেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস।
এ ক্যাম্পেইনে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার গল্প যেখানে সাধারণ গল্পও হয়ে ওঠে অসাধারণ। শেষ পর্যন্ত এটা নিয়ে যায় “ইফ দিস ইজ আওয়ার রিয়েলিটি, ইমাজিন আওয়ার স্টোরিজ”আখ্যানের দিকে।
যুক্তরাষ্ট্রে জিফাইভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্চনা আনন্দ এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে ঘোষণা দেন বিভিন্ন সিরিজ বা কনটেন্টের। তাদের আলোচনায় কীভাবে স্ট্রিমিং সার্ভিস কনটেন্ট দেখার ধরণ বদলে দিচ্ছে; দক্ষিণ এশীয়দের স্থানীয় কনটেন্ট দেখার আগ্রহ, আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার আকাঙ্খা এবং কীভাবে স্ট্রিমিং পরিসেবা সেই স্বপ্ন পূরণ করছে এসব বিষয় উঠে আসে।
জিফাইভকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস বলেন, “নতুন এই ঘোষণা উপলক্ষে জিফাইভে আমার সব বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দক্ষিণ এশিয়ার অবিশ্বাস্য সব মেধাবীদের নিয়ে আজকের এ উদযাপন আমি সত্যিই উপভোগ করছি। বিশ্বজুড়ে নতুন দর্শকরা এই গল্পগুলো উপভোগ করবেন এটাই আমার প্রত্যাশা এবং তাদের পাশে থেকে আমিও তাদের এই আনন্দ উদযাপনে উৎসাহিত করবো।”
জিফাইভ গ্লোবাল’র চিফ বিজনেস অফিসার অর্চনা আনন্দ বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিফাইভ নিয়ে আসা আমাদের কাছে শুধু দক্ষিণ এশীয় কনটেন্ট নিয়ে আসা নয়; বরং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম উন্মুক্ত করা যেখানে রয়েছে বৈচিত্র্যময় গল্পের সুবিশাল সম্ভার। এটা সংস্কৃতি ও ভাষার মধ্যে দৃঢ় সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। জিফাইভ’র মাধ্যমে মহাসাগরের এপার-ওপারে একইসাথে পরিবারের সবাই মিলে আমাদের কন্টেন্ট উপভোগ করার সুযোগ পাবেন দর্শকরা। আর এটি এমন এক প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে স্থানীয় গল্পগুলো দেখানো হবে আন্তর্জাতিক পরিসণ্ডলে। আমাদের শো-এর যে সমৃদ্ধ সংগ্রহ রয়েছে তাতে আমি নিশ্চিত যে, দক্ষিণ এশীয় কনটেন্টের ক্ষেত্রে আমরাই হব প্রথম পছন্দ। দক্ষিণ এশীয় এবং মূলধারার সকল বয়সের দর্শক যারা টিভি ও স্ট্রিমিং পছন্দ করেন তাদের কাছে স্বল্প সময়েই আমরা জনপ্রিয় হয়ে উঠব বলে আমার বিশ্বাস।”
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন অরিজিনাল এবং ব্লকবাস্টারের দারুণ একটি লাইন আপ প্রকাশ করা হয়েছে। এসব শো আগামী কয়েক মাস ধরে মুক্তি পাবে জিফাইভ প্ল্যাটফর্মে।