নিঃসন্তান দিলীপ-সায়ারার ছেলের মতো শাহরুখ
ভালোবেসে ১৯৬৬ সালে ২২ বছরের ছোট সায়রা বানুর সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন দিলীপ কুমার। দাম্পত্য জীবনে ৫৪টি বসন্ত একসঙ্গে কাটিয়েছেন এই তারকা দম্পতি। সবসময় একে অপরের ছায়া হয়ে ছিলেন দু’জনের। স্বামী শেষ নিশ্বা:স পর্যন্ত তাকে নিস্বার্থভাবে সেবা করে গিয়েছেন সায়রা।
কিন্তু এই তারকা দম্পতির মনে হয়তো একটাই কষ্ট ছিলো। আর সেটি হলো- তাদের কোনো সন্তান ছিলো না। যদিও বা দিলীপ কুমার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের নিজের বাচ্চা থাকলে দুর্দান্ত হতো। তবে আমাদের কোনও আক্ষেপ নেই। আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছার বশীভূত। আমাদের সুখ ও হতাশা ভাগাভাগি করার জন্য পরিবার রয়েছে। এটিই আমাদের পক্ষে যথেষ্ট।’
সায়রার গর্ভে এসেছিল সন্তান। তবে সন্তানধারনের পর সায়রা অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসক বাঁচাতে পারেনি দিলীপ-সায়রার সন্তানকে। ঠিক এই ঘটনার পরেই দিলীপ কুমার ১৯৮১ সালে আসমা রেহমানকে বিয়ে করেন। যা টিকে ছিলো মাত্র দুবছর। প্রেমের টানে ফের সায়রার কাছেই ফিরে এসেছিলেন তিনি। আর দ্বিতীয় বিয়ে করা কিংবদন্তি এই তারকার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো সেটি নিজে মুখে স্বীকারও করেছেন।
এদিকে, দিলীপ-সায়রার নিজেদের কোনো সন্তান না থাকলেও শাহরুখ খানকে নিজের ছেলের মতোই ভালোবাসতেন এই তারকা দম্পতি। এমনকি তাদের ‘মুহ বোলা বেটা’ (মুখে বলা বা পাতানো ছেলে) বলিউডের এই অভিনেতা।
তিন বছর আগে দিলীপ কুমার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শাহরুখ খান। পরে এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা শেয়ার করেছিলেন সায়রা বানু।
Message from Saira Banu: Sahab's mooh-bola beta-"son" @iamsrk visited Sahab today. Sharing some photos of the evening. pic.twitter.com/UHV8gzOB8v — Dilip Kumar (@TheDilipKumar) August 15, 2017
হেমা মালিনী পরিচালিত 'দিল আশনা হ্যায়' ছবির মহরতে গিয়েছিলেন তিনি আর দিলীপ কুমার। যে ছবিতে শাহরুখের কাজ করার কথা ছিলো। তখনই কিং খানের সঙ্গে দিলীপ কুমারের প্রথম আলাপ হয়। সে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে সায়রা বানু বলেছিলেন,“'আমি সবসময়ই বলি, আমাদের যদি ছেলে থাকতো, তাহলে সে দেখতে শাহরুখের মতোই হতো। শাহরুখ ও দিলীপ সাহেবের চুল একদম একই রকম। আমি ওর (শাহরুখ) চুলে হাত বুলিয়ে দিয়েছিলাম। পরে যখন শাহরুখের সঙ্গে আমাদের দেখা হয় ও জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘আজ আপনি আমার চুলে হাত বুলিয়ে দেবেন না?’ ওর কথা শুনে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম।”