ফিল্ম, ফান, ফূর্তির জগতে স্বাগত



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চরকিতে লাগলো দোল। ঘুরলো ফিল্ম, ফান, ফূর্তির চাকা। আজ থেকে যাত্রা করল বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকি। দেশি প্ল্যাটফর্মে বিশ্বমানের বিনোদনের আভাস নিয়ে এলো তারা। সিনেমা, সিরিজ, শো, তথ্যচিত্র-সহ বৈচিত্রে ভরা প্রায় ২০০ কনটেন্ট দেখা যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মটিতে।

করোনা মহামারির প্রকোপে যখন দেশের চলচ্চিত্র শিল্প নাকাল, বন্ধ প্রেক্ষাগৃহের দ্বার, ঠিক তখনই বিশ্বজুড়ে বেড়ে যায় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের কদর।

বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হতে থাকে দেশি-বিদেশি প্ল্যাটফর্ম ও কনটেন্টগুলো, ডালপালা ছড়িয়ে বাড়তে থাকে দেশের কনটেন্ট ইন্ডাস্ট্রি। আর এই বিস্তৃতির সহযাত্রী হতে চলে এলো চরকি। ঢাকাকে বাংলা কনটেন্টের রাজধানী হিসেবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার প্রত্যয় তাদের। তাই তো কোনো প্রতিবন্ধকতাই আমলে নেয়নি তারা। মহামারির ছোবলে দেশজুড়ে চলমান লকডাউন দমাতে পারেনি চরকির গতি।

চরকিকে ঘিরে বাংলা চলচ্চিত্র ও নাটকের দর্শকদের আগ্রহের কমতি নেই। চলতি বছরের শুরুতে চরকি জানিয়েছিল তাদের একটি প্রতিশ্রুতির কথা। বলা হয়েছিল, ১২ মাসে ১২টি সিনেমা মুক্তি দেবে তারা। সেই থেকে শুরু হয় দর্শকদের অপেক্ষা। চরকির সামাজিক যোগাযগমাধ্যমের পাতাগুলো ভরে যেতে থাকলো দর্শকের বার্তা ও শুভকামনায়। অনেক দর্শক চরকির যাত্রা শুরুর সময়ক্ষেপন নিয়ে মন খারাপও করতো। কিন্তু চরকির সঙ্গ ছাড়তো না তারা। তাই চরকিও তার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যায়নি। ফিল্ম… ফান… ফূর্তির পসরা সাজিয়ে তারা দর্শকের সামনে হাজির।

বৈচিত্র্যময় কনটেন্টের ঝলক দেখিয়ে চরকি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় নেটিজেনদের মধ্যে। তারকাবহুল প্রযোজনা, গুণী নির্মাতার সম্মিলন, আন্তর্জাতিকমানের নির্মাণ আর টান টান উত্তেজনায় ভরা দেশি গল্পের অনন্য মিশেল থাকবে প্ল্যাটফর্মটির প্রতিটি সৃষ্টিতে, তা শুরুতেই আঁচ করে নেয় দর্শক। এরপর একে আসতে থাকে চরকির সব অভিনব আর নান্দনিক কনটেন্টের খবর। আর এসব নিয়ে দিন কয়েক পরপরই হইহই রইরই পড়ে যেত ফেসবুক, ইউটিউবের মতো যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয়।

সিরিজ-সিনেমা রিলিজের আগেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে চরকির কনটেন্টগুলোর পোস্টার, ট্রেলার আর ট্রেলারের রিভিউ। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার দর্শকের মধ্যে বাড়তে থাকে কৌতুহল, আগ্রহের পারদ উঠতে থাকে উঁচু থেকেও উঁচুতে।

চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও নির্মাতা রেদওয়ান রনি তার আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেন, “অপেক্ষার পালা শেষ! আজ থেকে শুরু হচ্ছে ফিল্ম ফান আর ফুর্তি নিয়ে চরকির এই পথচলা।

বাংলাদেশে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম কিছু কিছু নিজের গতিতে চলছে। তবে এখনো অনেক বড় করে স্বপ্ন দেখার সুযোগ আছে। আমরা চরকি দিয়ে সেই বড় স্বপ্নের মধ্যে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। কারণ ভিডিও স্ট্রিমিং এই একটি মাধ্যম দিয়ে আমরা বাংলা কন্টেন্টকে পৃথিবীময় ছড়িয়ে দিতে পারি । সম্ভাবনাময় সব নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলি মিলে বাংলা কনটেন্ট বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে যে–ই নির্মাণ করেন না কেন, কিংবা যে কোনো বাংলা ভাষাভাষি বিশ্বের যে প্রান্ত থেকে কনটেন্ট দেখেন না কেন— সবারই মিলনক্ষেত্র হবে চরকি। এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা বড় স্বপ্নটি দেখছি, পৃথিবীর সামনে বাংলা কনটেন্টটের রাজধানী হিসেবে চরকিকে প্রতিষ্ঠিত করার। আমরা খুব বিনীতভাবে যাত্রা শুরু করেছি। চেষ্টা করব, খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনাদের প্রত্যাশার সবটা স্পর্শ করার। বাংলাদেশের কনটেন্টকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এই স্বপ্ন একার চেষ্টায় পূরণ করা কঠিন। আমাদের এই যাত্রায় অনেকের কাছ থেকে অনেক সহযোগীতা ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তাদের সবার নাম বলে হয়তো শেষ করা যাবে না। বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই মিডিয়া স্টার লিঃ পরিবারের সবাইকে, এই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য। ধন্যবাদ পুরো চরকি টিমকে যারা এতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে চরকিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছেন … আর সবশেষে ভালোবাসা জানাই প্রতিটি দর্শক, শিল্পী,কলাকুশলি, নির্মাতা আর আমাদের শুভানুধ্যায়ীদের যারা আগামী দিনগুলোতে এই স্বপ্নযাত্রার সহযাত্রী হবেন। থাকবেন চরকির সঙ্গে, থাকবেন ফিল্ম… ফান… ফূর্তির সঙ্গে।”

শুধু দেশের দর্শক নয়, চরকি বিশ্বের নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষীদের প্ল্যাটফর্ম। এটি দেখে যাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশ থেকে। প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা আছে তাদের। যতটাই সহজে দেশে বসে এই প্ল্যাটফর্ম দেখতে পাবে বাংলাদেশের দর্শক, এটি ততটাই সহজলভ্য প্রবাসী ও ভিনদেশিদের জন্যও। প্রতিটি দর্শকই চরকির একান্ত আপনজন। যেমন আপন ফ্রি কনটেন্ট দেখতে আসা দর্শকেরা, ততটাই আপন সাবস্ক্রিপশন কিনে চরকিতে আসা স্থায়ী দর্শকেরা। তবে স্থায়ী দর্শক, যারা সাবস্ক্রিপশন কিনে চরকি দেখবেন, তাদের জন্য থাকবে কিছু বিশেষ সুযোগ। যেমন- বিজ্ঞাপনহীন কনটেন্ট দেখার সুবিধা, সবার আগে চরকির অরিজিনাল কনটেন্ট উপভোগের সুযোগ সহ, আরো অনেক কিছু।

স্থায়ী দর্শকেরা ছাড়া চরকির সঙ্গে মৌসুমী দর্শক হিসেবে যুক্ত হওয়া যাবে। অর্থাৎ, কেউ চাইলে একটা ঝাঁ চকচকে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ টিকেট কেটে দেখতে পারবে। ঠিক যেমন করে সিনেমা হলে দেখা যায়। এখানে সুবিধা হলো, সিনেমা হলে একটা টিকিট দিয়ে শুধু একজনই দেখতে পারে সিনেমা, কিন্তু চরকিতে দেখতে পারবে একসঙ্গে এক টিকিটে পুরো পরিবার। তা ছাড়া খরচও হবে একটা সাধারণ টিকিটের চেয়েও অনেক কম দামে।

এবার আসা যাক চরকি দেখার মাধ্যমগুলোতে। আধুনিক সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রায় সব ধরনের ডিভাইস থেকে চরকি দেখার সুযোগ রাখা হয়েছে। আইওস, অ্যান্ড্রয়েড ফোন, আইপ্যাড, ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, স্যামসং টিভি, অ্যান্ড্রয়েড টিভি বক্স, ফায়ার স্টিক-সবখানেই আজ থেকে পাওয়া যাবে চরকির অ্যাপ। তা ছাড়া যেকোনো ব্রাউজার ব্যবহার করে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থেকে চরকির ওয়েবসাইটে (www.chorki.com) দর্শক নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে পারবেন। আর যদি বিঘ্ন ঘটে? এর সমাধানও জানিয়েছে প্ল্যাটফর্ম কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকদের সার্বক্ষণিক নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে চরকি একটি হেল্পডেস্ক চালু করছে প্রথম দিন থেকেই। প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চরকির ওয়েবসাইটে থাকা চ্যাটবক্স ও চরকির অফিসিয়াল ই–মেইল, ফেসবুক পেইজে সমস্যার কথা জানালেই এর সমাধান করবে চরকির কাস্টমার কেয়ার টিম, জানতে পারবে চরকির অ্যাপ,
ওয়েবসাইট বা সাবস্ক্রিপশন সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য।

চলমান লকডাউনের কথা মাথায় রেখে চরকি তাদের উদ্বোধনী আয়োজনের জন্য বেছে নেয় অভিনব কৌশল। নিজেদের অরিজিনাল কনটেন্টের ক্যাটালগ প্রকাশের মধ্য দিয়ে সাড়া ফেলে সবখানে। চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও নির্মাতা রেদওয়ান রনি শুরুতে এ আয়োজনে রাখেন শুভেচ্ছা বক্তব্য। এরপর প্রতিটি কনটেন্টকে দর্শকের সামনে তুলে ধরা হয় শৈল্পিক কায়দায়। উপমহাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান পুরো আয়োজনের সূতধর হয়ে নিজের অভিনয়গুণে চরকির প্রতিটি কনটেন্টকে গাঁথেন এক সুতোয়। একেকটি অরিজিনালের জন্য একেকটি আলাদা চরিত্রে তিনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। যা দেখে দিব্যি আঁচ করা যায়, যে প্ল্যাটফর্মের প্রথম দর্শনেই সুনিপুণ অভিনয়ের ছটা লেগেছে, তার মৌলিক
প্রযোজনা তো সব প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে যেতেই পারে।

এক নজরে চরকি
১. চরকি কী?
– চরকি একটি ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম । যেখানে থাকবে বিনোদনের বিশাল ভান্ডার। ফিল্ম, ফান আর ফুর্তির দারুণ সব আয়োজন নিয়ে এসেছে চরকি। এখানে থাকবে অরিজিনাল সিনেমা, সিরিজ, শর্টফিল্ম,জনপ্রিয় টিভি নাটক, সোনালি দিনের বাংলা সিনেমা, সাড়া জাগানো ডকুমেন্টারি, বাংলায় ডাবিং করা বিদেশি ভাষার সিনেমা- সিরিয়াল সহ আরো অনেক কিছু।

২. চরকি কিভাবে দেখা যাবে?
– চরকির কন্টেন্ট দেখতে হলে লাগবে এক কাপ চা/কফি অথবা পপকর্ণ! আর এর সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগসহ একটি স্মার্ট ডিভাইস। ওয়েব থেকে www.chorki.com ভিজিট করুন অথবা গুগুল প্লেস্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে Chorki অ্যাপটি ইন্স্টল করে নিন। ব্যস! চরকির ফিল্ম, ফান আর ফুর্তির দুনিয়ায় হারিয়ে যাওয়ার জন্য আপনি তৈরি। এবার আপনি বিনামূল্যে দেখতে পারবেন ‘ফ্রি কনটেন্ট’। প্রিমিয়াম কনটেন্ট দেখার জন্য ৬ মাস ও এক বছরের প্যাকেজ সাবস্ক্রাইব করতে হবে। চরকিতে আছে তিনটি সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান—
১) ৫০ টাকায় ৩০ দিনের স্টার্টার সাবস্ক্রিপশন
২) ২৯৯ টাকায় ৬ মাসের সাবস্ক্রিপশন
৩) ৪৯৯ টাকায় ১ বছরের সাবস্ক্রিপশন
৪) ৭৯৯ টাকায় ১ বছরের সাবস্ক্রিপশন (২ টি ডিভাইসে একসাথে ভিডিও স্ট্রিম করা যাবে) সাবস্ক্রিপশন কেনার জন্য আপনি বিকাশ, নগদ, রকেট সহ অন্যান্য প্রচলিত মোবাইল পেমেন্ট ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে পেমেন্ট করা যাবে। এভাবেই চরকি দেখতে পারবে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা দর্শক।

৩. চরকিতে কনটেন্ট দেখতে অথবা পেমেন্টে কোনো সমস্যা হলে কোথায় যোগাযোগ
করব?
– চরকি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধানে ইমেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। এছাড়াও চরকি ওয়েবসাইটে ‘লাইভ চ্যাটের’ মাধ্যমেও জানাতে পারেন আপনার প্রশ্ন ও সমস্যার কথা। এছাড়া চরকির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজের (https://www.facebook.com/ChorkiOfficial) মেসেঞ্জারেও যোগাযোগ করতে পারেন ।

৪. চরকিতে কী কী ধরনের কনটেন্ট থাকছে?
– ওয়েব সিরিজ, ওয়েব ফিল্ম, অ্যান্থোলজি সিরিজ, তথ্যচিত্র, শর্টফিল্ম—বৈচিত্র্যময় কনটেন্টে ভরা অফুরান এক ঝাঁপি নিয়ে হাজির চরকি। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা দর্শকের জন্য আজ থেকে চরকির সব কনটেন্ট উন্মুক্ত। চলুক জেনে আসা যাক, চরকির ভান্ডারে কী কী রত্ন আছে। অরিজিনাল প্রিমিয়াম কনটেন্ট শিহাব শাহীন পরিচালিত অরিজিনাল ওয়েব সিরিজ মরীচিকা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে চরকি। একই দিনে মুক্তি পেয়েছে রবিউল আলম রবি পরিচালিত শিবব্রত বর্মনের লেখা গল্প নিয়ে অ্যান্থলজি সিরিজ ‘ঊনলৌকিক’–এর প্রথম পর্ব। এসবই চরকির প্রিমিয়াম কনটেন্ট। কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পাবে চরকির প্রথম অরিজিনাল ওয়েবফিল্ম ‘ইউটিউমার’। এটিও প্রিমিয়াম। প্ল্যাটফর্মটি আগেই ঘোষণা দিয়েছিল ১২ মাসে ১২টি সিনেমা মুক্তির দেওয়ার। তাই প্রস্তুত আছে অমিতাভ রেজার ‘মুন্সিগিরি’ ও মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ ছবি দুটো।

এছাড়াও প্রিমিয়াম কনটেন্টের তালিকায় আছে বাংলা ডাবিং ও সাইটাইল দিয়ে কিছু আলোচিত ভিনদেশি সিনেমা। যেমন– তুর্কি চলচ্চিত্র নির্মাতা নূরে বিলগে চেলানের ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন আনাতোলিয়া, ইরানি ছবি টপোলি, তুর্কিশ সিনেমা মিরাকেল ইন সেল নাম্বার সেভেন। ফ্রি কনটেন্ট চরকিতে ঢোকামাত্রই দেখবেন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে জহির রায়হান, এহতেশাম, আলমগীর কবির, আমজাদ হোসেন, রাজ্জাক, শাবানা, কবরী, ববিতার কালজয়ী সব চলচ্চিত্র। আর সবচেয়ে আনন্দের খবর, এসব কালজয়ী সৃষ্টি দর্শক দেখতে পাবেন বিনা মূল্যে। নাটকের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। হুমায়ূন আহমেদের আজ রবিবার থেকে শুরু করে একসময়ের আলোচিত প্যাকেজ নাটক বুয়া বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড কিংবা ধরুন তারা তিন জন সিরিজের নাটকগুলো দেখতে পাবেন চরকিতে। আনিসুল হকের লেখা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক একান্নবর্তী, ৬৯সহ দর্শকনন্দিত বিভিন্ন ফিকশন ও সিনেমা, নুরুল আলম আতিক, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, অনিমেষ আইচ, রেদওয়ান রনি, ইফতেখার আহমেদ ফাহমি, আশফাক নিপুণ, শিহাব শাহীনের মতো গুণী নির্মাতাদের জনপ্রিয় সব নাটক ও টেলিছবিও থাকবে চরকিতে।

   

২৩ এপ্রিলকে চলচ্চিত্রের কালো দিবস ঘোষণা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর সংঘবদ্ধ হামলার প্রতিবাদে বুধবার (২৪ এপ্রিল) মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনসহ বিনোদন সাংবাদিকেরা। এ সময় ২৩ এপ্রিলকে চলচ্চিত্রের কালো দিবস বলে ঘোষণা দেন তারা।

এদিকে, রাতে সাংবাদিক ও শিল্পী সমিতি মিলে গঠিত তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্তে শিল্পী সমিতি সাংবাদিকদের পাঁচ দফা দাবির চারটিই মেনে নেন। তবে জয় চৌধুরীকে দুই বছরের জন্য সমিতি থেকে বহিষ্কারের দাবি না মেনে এক মাসের জন্য নিষিদ্ধসহ সবার সামনে দুঃখ প্রকাশ করতে বলা হয়। কিন্তু জয় চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ না করে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন সাংবাদিকরা।

বুধবার দুপুরে এফডিসির গেটে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে ঘটনার সাথে যুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, এফডিসিতে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী, অভিনেতা শিবা শানু ও খলনায়ক আলেকজান্ডার ব্রো এর নেতৃত্বে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা পূর্ব পরিকল্পিত ও হত্যাচেষ্টার ঘটনা।

মানববন্ধনের পর সাংবাদিকরা এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানান।

এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য এফডিসিতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার পাশাপাশি ২৩ এপ্রিলকে চলচ্চিত্রের কালো দিবস বলে ঘোষণা দেন।

;

সুচিত্রা সেন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের থিম সং-এ কাজী মুস্তা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার কাজী মুস্তা

নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার কাজী মুস্তা

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য শেষ হলো প্রথমবারের মতো আয়োজিত বাংলা সিনেমার মহানায়িকা ‘সুচিত্রা সেন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এন্ড অ্যাওয়ার্ডস’-এর আসর। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আয়োজিত দুদিনব্যাপী এই আয়োজনে হাজির হন বাংলাদেশ, ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র তারকা, প্রযোজক, পরিচালক ও সিনেমাপ্রেমীরা।

এই সম্মানজনক ও বড় পরিসরের আয়োজনের থিম সং-এর কোরিওগ্রাফি এবং পারফর্ম করেছেন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মেধাবী নৃত্যশিল্পী কাজী মুস্তা। সাড়ে ৫ মিনিটের এই গানে যুক্তরাষ্ট্রের দারুণ বেশ কয়েকটি লোকেশনে বেশ কয়েকটি পোশাক পরিবর্তন করে নৃত্য পরিবেশন করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। সঙ্গে ছিলেন তার সহশিল্পীরা।

থিম সঙের দৃশ্যে সহশিল্পীদের সঙ্গে কাজী মুস্তা

কাজী মুস্তা বাংলাদেশের স্বনামধণ্য নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার কবিরুল ইসলাম রতনের ছাত্র। তবে পড়াশুনা ও পরবর্তীতে পেশাগত কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কেই অবস্থান করছেন। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও নাচকে তিনি ভুলে যাননি। যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালি কমিউনিটির নানা আয়োজনে তিনি নৃত্য পরিবেশনের জন্য ডাক পেয়ে থাকেন। ফলে নিয়মিতই তাকে নানা আয়োজনে নাচতে দেখা যায়।

নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার কাজী মুস্তা

থিম সঙে কাজ করা প্রসঙ্গে কাজী মুস্তা বলেন, ‘এটা অবশ্যই একজন শিল্পীর জন্য সম্মানের। সুচিত্রা সেনের ভক্ত নন এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি বাংলা সিনেমাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত করেছেন। সেই মহানায়িকার নামে প্রথমবার চলচ্চিত্র উৎসব হলো, তাও আবার যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত বিশ্বে। সেখানে থিম সং-এ নিজের আর্টকে প্রকাশ করতে পেরে আমি গর্বিত। আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা সুযোগটা আমাকে দিয়েছেন বলে।’

জনপ্রিয় মডেল ও নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌয়ের সঙ্গে কাজী মুস্তা

‘সুচিত্রা সেন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল এন্ড অ্যাওয়ার্ডস’-এর থিম সঙের সুর ও সঙ্গীতায়োজনের জন্য রাজর্ষী শীল। ভিডিও পরিচালনা করেছেন সৈয়দ ইমন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে থেকে এই উৎসবে যোগ দিতে নিউইয়র্ক গিয়েছিলেন চিত্রনায়ক ও সাংসদ ফেরদৌস আহমেদ, চিত্রনায়িকা তমা মির্জা, সোহানা সাবা, ফ্যাশন ডিজাইনার পিয়াল হোসেনসহ আরও বেশ ক’জন তারকা। কলকাতা থেকে উপস্থিত হন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মতো তারকা।

নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার কাজী মুস্তা

 

;

শাকিব খান বুবলীর প্রথম স্বামী নন, আগের ঘরে রয়েছে মেয়েও!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
(বাঁমে) শবনম বুবলী, শাকিব খান ও বুবলীর সঙ্গে বীর (ডানে)

(বাঁমে) শবনম বুবলী, শাকিব খান ও বুবলীর সঙ্গে বীর (ডানে)

  • Font increase
  • Font Decrease

কারণে-অকারণে সারা বছরই আলোচনায় থাকেন ঢালিউডের তিন তারকা শাকিব খান, অপু বিশ^াস আর শবনম বুবলী। বিশেষ করে ব্যক্তিজীবন নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুড়ির জন্যই বেশি আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাদের।

ঈদের আগে থেকেই টানা আলোচনায় অপু আর বুবলী। বিশেষ করে ঈদের একাধিক শোতে অপু ও বুবলী একে অপরের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন কড়াভাবে।

সেই আলোচনা-সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রকাশ্যে এলো শবনম বুবলীকে নিয়ে নতুন তথ্য। তাও আবার যেনতেন খবর না, এ যেন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে শাপ বের হওয়ার মতো খবর।

বুবলী ও সুরুজ বাঙালি

সম্প্রতি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ঢাকাই সিনেমার প্রবীণ কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি। সেখানেই তিনি বুবলীর জীবনের এক অজানা অধ্যায়ের কথা বলেন। সুরুজের দাবী, শাকিব খানই বুবলীর প্রথম স্বামী নন। তার আগেই বুবলীর আরও একটি বিয়ে ছিল। শুধু তাই নয়, সেই ঘরে নাকি বুবলীর একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে!

সুরুজের ভাষ্য, বুবলীকে সংবাদ পাঠিকা থেকে সিনেমায় সুযোগ দেন শাকিব খান। শাকিবের জন্যই সে এতোদূর উঠেছে। শাকিবের সঙ্গে ১০টি ছবি করেছে। শাকিব ছাড়া বুবলী কিছুই না। শাকিব খান সহজ সরল বলে তাকে সুন্দর একটি জায়গায় নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সে কোনদিন জানতো না যে বুবলীর আগে একটি বিয়ে ছিল। যখন জানতে পেরেছে তখন থেকে বুবলীকে এড়িয়ে চলছে। তবে বীর যেহেতু তার নিজের সন্তান, তাই বীরকে সে ফেলে দিতে পারে না। তার বর্তমান ভবিষ্যৎ সবকিছুর দায়িত্ব শাকিব খানই পালন করছে। কিন্তু এখন সে শাকিবের ঘাড়ে বন্দুক চালাতে চাচ্ছে। বীরকে ব্যবহার করে শাকিবের ধন দৈলত সব আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে।’

কক্সবাজারে শবনম বুবলী ও বীর

এটিএন নিউজে এই খবর প্রকাশের পর থেকেই নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা ঘিরে ধরেছে বুবলীকে। শাকিব খান আর অপু বিশ^াস জুটি ভেঙে যাওয়ার জন্য এখনো বুবলীকেই দায়ী করে অনেক দর্শক। তারা এই খবরে আবারও বুবলীকে নানাভাবে সমালোচনা করছে।

তবে বুবলীর ভক্তরাও দাঁড়িয়েছেন নায়িকার পাশে। তারা বলছে, বুবলীর যদি সত্যি বিয়ে থেকে থাকে তাহলে সেই স্বামী ও সন্তানকে সামনে আনা হোক। নয়ত অযথা একজন জনপ্রিয় তারকার নামে এমন খবর প্রকাশ করা অনুচিত।

বুবলী বর্তমানে সিয়াম আহমেদের কামব্যাক সিনেমা ‘জংলি’তে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত

 

;

মানসম্মত কাজে আগ্রহী মডেল আইরিন



নিউজ ডেস্ক
মানসম্মত কাজে আগ্রহী মডেল আইরিন

মানসম্মত কাজে আগ্রহী মডেল আইরিন

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের মেয়ে আইরিন। পুরো নাম আইরিন সুলতানা । কলেজে ওঠার পর হঠাৎ শখ হয় শোবিজে মডেল হিসেবে নাম লেখাবেন। তবে তখনই ভাবেননি যে, প্রতিনিয়ত একটা সময় ক্যামেরার সামনে থাকতে হবে। সেই ২০১৪ সালের কথা । কলেজে পড়া অবস্থায় শখের বসেই প্যারাসুট এডভান্স বেলিফুল স্টাইলিশ হেয়ার অফ দ্যা ক্যাম্পাস নামে এক প্রতিযোগিতায় নাম লেখান আইরিন। এরপর সাড়াও পান।সেখানে দ্যা মোস্ট বিউটিফুল হেয়ার অফ দ্যা ক্যাম্পাস এর পুরস্কার জিতে নেন।


এরপর দুয়ার খোলে বিজ্ঞাপন জগতের । মডেল হিসেবে প্যারাসুট এর একটা বিজ্ঞাপন করেন আইরিন। এরপর বিরতি । কিন্তু কেনো ? এর জবাবে আইরিন বলেন, পড়াশুনার জন্য মূলত মিডিয়া থেকে পুরোপুরি দূরে ছিলাম প্রায় ছয় বছর। ঢাকায় মাস্টার্স করতে আসার সুবাদে আবার টুকটাক শখের বসেই কাজ শুরু করা।


অভিনয় এর প্রতি আগ্রহ থেকে প্রাচ্যনাট থিয়েটার স্কুলে ভর্তি হয়ে ছয় মাসের কোর্স সম্পন্ন করেছি। ফ্যাশন মডেল হিসেবে নিয়মিত প্রথম আলোর ফ্যাশন পাতা নকশাতে মডেল হিসেবে কাজ করা হয়।

এছাড়া বিটলস ক্যাফে( বিজ্ঞাপন), স্বপ্ন মশারী(বিজ্ঞাপন), কিয়াম এভি, কিয়াম কুকিং শো ( হোস্ট)- ডিরেক্টর ইমন খানের নির্দেশনায় বেশ কিছু কাজ করা হয়। এছাড়া নিমন মোর্শেদ ও তৌফিক অংকুরের কাজও করা হয়।


সামনে নাটক নাকি চলচ্চিত্র কিসে আগ্রহ বেশি জানতে চাইলে জবাবে আইরিন বলেন, যেখানেই ভালো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আছে সেখানেই অভিনয় করতে চাই। হোক সেটা নাটক, সিনেমা কিংবা বিজ্ঞাপন। তবে চলচ্চিত্র যেহেতু বেশ বড় একটা ধাপ, তাই সেদিকে একটু ধীরে ধীরেই এগুতে চাই। কোয়ান্টিটি থেকে কোয়ালিটি আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই বেছে বেছে কাজ করতে শুরু থেকেই পছন্দ করি আমি ।

ঢাকার লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে মাস্টার্স করেছেন আইরিন । সামনে বুঝে শুনে ভালো কিছু কাজ দর্শকদের উপহার দিতে চান তিনি।

;