বর খোঁজার সভায় তাদের চান সারা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সারা আলি খান, বরুণ ধাওয়ান, ভিকি কৌশল, বিজয় দেবরকোন্ডা

সারা আলি খান, বরুণ ধাওয়ান, ভিকি কৌশল, বিজয় দেবরকোন্ডা

  • Font increase
  • Font Decrease

আনন্দ এল রাই পরিচালিত ‘আতরাঙ্গি রে’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। এতে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার, ধানুশ ও সারা আলি খান। বর্তমানে ছবিটির প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে এর কলাকুশলীদের।

‘আতরাঙ্গি রে’র প্রচারণার অংশ হিসেবে সম্প্রতি সহশিল্পী ধানুশকে নিয়ে করণের সঞ্চালিত অনুষ্ঠান ‘কফি উইথ করণ’-এ উপস্থিত হয়েছিলেন সারা আলি খান। সেখানেই করণ সারাকে প্রশ্ন করেন তিনি তার স্বয়ম্বর সভায় কোন কোন তারকাকে চান।

জবাবে সারা আলি খান বলেন, ‘আমি আমার স্বয়ম্বর সভায় রণবীর সিং, বিজয় দেবরকোন্ডা, ভিকি কৌশল ও বরুণ ধাওয়ানকে চাই।”

সারার এই জবাব শোনার পরই করণ বলেন, “বলিউডের এই চার তারকার স্ত্রী কিন্তু সবকিছু দেখছেন।” জবাবে মজা করে সারা বলেন, “আশা করছি তাদের স্বামীরাও অনুষ্ঠানটি দেখবেন।”

করণ ও সারার এমন কথা শুনে পাশে বসে থাকা ধানুশ হাসতে থাকেন। এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে অনুষ্ঠানটির প্রোমো। যা রীতিমতো ভাইরাল।

এদিকে, করণ ধানুশের কাছে জানতে চান ‘কফি ‍উইথ করণ’-এ প্রথমবার এসে কেমন লাগছে? জবাবে দক্ষিণের এই তারকা বলেন, “আমি বেশ উচ্ছ্বসিত। আমি একটু কম কথা বলি। কারণ আমি একটু লাজুক। তাই বুঝতে পারছি না আপনার (করণ জোহর) এই শোতে কতটুকু যুক্ত হতে পারব। তবে কিছু আনন্দ করার জন্য মুখিয়ে আছি।”

   

‘পারো’র ঘটনাগুলো সব নারীর জীবনেই ঘটে: সুষমা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
সুষমা সরকার / ছবি : নূর এ আলম

সুষমা সরকার / ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিনয়ের সবচেয়ে আদি ও নিপুণতম মাধ্যম ‘মঞ্চ’। এদেশের মঞ্চ অভিনয়শিল্পীর সংখ্যা নির্দিষ্ট করা কঠিন। তবে পুরো একটি নাটক একা অভিনয় করেছেন এমন শিল্পীর সংখ্যা হাতে গোনা। মজার বিষয় হলো, শোবিজ অনেকটাই পুরুষশাসিত হলেও মঞ্চে একক নাটকে অভিনয়ের ক্ষেত্রে নারীরাই এগিয়ে। এবার সেই সম্মানজনক তালিকায় যোগ হচ্ছেন মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেত্রী সুষমা সরকার। দেশ নাটকের একক নাটক ‘পারো’তে প্রথমবার অভিনয় করবেন আগামী ২৯ তারিখ। এই নাটক ও সমসাময়িক বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন বার্তা২৪.কমের সঙ্গে। কথা বলেছেন মাসিদ রণ

সুষমা সরকার / ছবি : নূর এ আলম

প্রথমবার একক নাটকে অভিনয় করতে যাচ্ছেন, অনুভূতি কেমন?


থিয়েটারের প্রায় সব অভিনয়শিল্পীর জীবনে যে কটা গোল থাকে তার একটি হলো একদিন তিনি একক নাটকে অভিনয় করবেন। একাই একটি গল্পের সবগুলো চরিত্র ফুটিয়ে তুলবেন। একাই পুরো মঞ্চ দাপিয়ে বেড়াবেন তার এতোদিনের অভিজ্ঞতা, ডেডিকশন আর চর্চার ওপরে সাওয়ার করে। কিন্তু গুটিকয়েক শিল্পী এই সুযোগ পান। আমাদের ‘দেশ নাটক’-এর শিল্পীরা সেদিক দিয়ে তুলনামূলক ভাগ্যবান। এরইমধ্যে ‘দেশ নাটক’ একাধিক একক নাটক এনেছে মঞ্চে। তাতে অভিনয় করেছেন নাজনিন হাসান চুমকী ও বন্যা মির্র্জা। এবার করতে যাচ্ছি আমি। ‘পারো’ নাটকটি মূলত নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা রচনা করেছেন বন্যা মির্জার কথা ভেবেই। তিনিই নাটকটির প্রথম দুটি শো করেছেন। আসছে ১ জুলাই আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। নতুন প্রযোজনা হিসেবে এটিকেই দল থেকে মঞ্চস্থ করার সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ২৯ জুন থেকে টানা ২ জুলাই পর্যন্ত পরপর চারটি শো করবো শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে।

সুষমা সরকার / ছবি : নূর এ আলম

বন্যা আপার অনুপস্থিতিতে আমি নাটকটি করব, এটা আগে থেকেই ঠিক ছিল। আমার দল, নির্দেশক মাসুম রেজা এবং অবশ্যই বন্যা আপার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা সবাই মিলে আমাকে যোগ্য মনে করেছেন বলেই এতো বড় দায়িত্ব খুশিমনে আমার কাঁধে নিয়েছি। ফলে একক নাটক করতে যাচ্ছি একটা একদিক থেকে যেমন অনেক বেশি আনন্দ ও সম্মানের, অন্যদিকে খুব নার্ভাস লাগছে। শোয়ের দিন কেমন পারফর্ম করবো? দর্শক কতোটা উপভোগ করবে- এসব নিয়ে এক ধরনের চাপ থেকেই যায়।

সুষমা সরকার / ছবি : নূর এ আলম

‘পারো’ একজন মধ্যবিত্ত পেশাজীবী নারীর গল্প। হাফ ডজনের বেশি চরিত্র রয়েছে নাটকটিতে। পুরো নাটকটি আত্মস্থ কবে থেকে রিহার্সেল করছেন?


অনেকদিন ধরেই একটু একটু করে রিহার্সেল করছিলাম। তবে পুরোদমে শুরু করি ঈদের আগে থেকে। ইচ্ছে ছিল অন্তত এক মাস টানা রিহার্সেল করার। কিন্তু ঈদের সময় তো টিভির কিছু কাজ করতেই হয়। তাই ঈদের পর থেকে টানা রিহার্সেল করছি। এরমধ্যে আর কোন শুটিং রাখিনি। শুধুমাত্র ‘পারো’ নিয়েই আছি। দেখা যাক প্রথম শো কেমন হয়, তাহলে অনেকটাই বুঝতে পারবো আর কোন কোন জায়গায় নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।

সুষমা সরকার / ছবি : নূর এ আলম

‘পারো’র গল্পে যে কনফ্লিক্টগুলো, সেগুলো সমাজের দৃষ্টিতে ছোট ছোট সমস্যা। অনেকে মনে করতে পারেন এ নিয়ে পারো কেন এতো বেশি রি-অ্যাক্ট করছে?


হ্যাঁ, এটা একদমই ঠিক বলেছেন। পারো খুবই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একটি মেয়ে। তার মানে এই নয় যে, সে অনেক বেশি অধিকার চায়, জীবনটাকে সম্পূর্ণ নিজের মতো করে সাজাতে চায়। সে আসলে একজন মানুষের যতোটুকু পাওনা সমাজের কাছে ঠিক অতোটুকু নিয়েই বাঁচতে চায়। কিন্তু সেটাও কি আমাদের সমাজ নারীদেরকে দেয়? আমি হলফ করে বলতে পারি, রাজধানীর বাসে চড়া প্রতিটি নারী আনকম্ফোর্টেবল সিচুয়েশনে পড়েন কোন না কোন সময়। অনেক নারীই স্বামীর দ্বারা, বসের দ্বারা, বাড়িওয়ালার দ্বারা আলাদা আলাদাভাবে নির্যাতিত হন। শারীরিক, মানসিক- এই নির্যাতন প্রতিদিন নারীর ভেতরের ‘আমি’কে ক্ষত বিক্ষত করে। সুতরাং ২০২৪-এ এসে আমরা শুধু বড় ইস্যু হিসেবে যেগুলো গণ্য সেগুলো নিয়ে কথা বলব, তা কিন্তু নয়। সময় এসেছে নারীর ছোট বড় সব ইস্যু নিয়ে কথা বলার। কারণ সমাজে টক্সিক রিলেশনশীপ এতোটাই প্রকট হচ্ছে যে এ নিয়ে এখন কথা না বললে বড্ড দেরী হয়ে যাবে।

সুষমা সরকার / ছবি : নূর এ আলম

‘পারো’ নাটকের কোন দিকটি আপনাকে সবচেয়ে আকর্ষণ করছে?


পুরো নাটকটাই মাসুম রেজা অসম্ভব বুদ্ধিমত্তা, যুক্তি এবং সমসাময়িক জায়গা থেকে লিখেছেন। তাই সবটাই আমার খুব ভালো লেগেছে। এই সময়ের নারীদের কণ্ঠ হয়ে আমি কথা বলতে পারছি দর্শকের সামনে, এটাই বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে সবচেয়ে আকর্ষণ করেছে ‘পারো’র শরীরি স্বত্তা ও অন্তর স্বত্তার কথোপকথনের জায়গাগুলো। আরেকটি বিষয়, তুমি গোপনে সব করতে পারবে, সবাই সবটা মেনে নেবে। তবে তুমি কিছু নিয়ে সরব হলেই জাত গেলো, কেউ তোমাকে পাতে তুলবে না! এই হিপোক্রেসি তো সমাজে রয়েছে, সেটা নিয়েও আলোকপাত করা হয়েছে ‘পারো’তে। এটাও আমাকে স্পর্শ করেছে। সব নারী এই নাটকের সঙ্গে একাত্ত হতে পারবেন। কারণ তাদের জীবনে এই ইনসিডেন্টগুলো কোন না কোন সময় ঘটেছে।

সুষমা সরকার / ছবি : নূর এ আলম


এর আগে বন্যা মির্জা ‘পারো’ নাটকটি করেছেন। এবার আপনি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে তুলনা চলেই আসে। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন? তার থেকে নিজের পারফরমেন্স আলাদা করার চেষ্টা করছেন কি না?


দর্শক তুলনা করতে পারেন, তাদের সেই স্বাধীনতা রয়েছে। তবে আমি পারফর্মার হিসেবে তেমন কিছু ভেবে কিছুই করছি না। আমি শুধু আমার সর্বোচ্চ দিয়ে নাটকটি যাতে ভালো হয় সেই চেষ্টা করছি। তাছাড়া যতোই একই চরিত্র করা হোক না কেন, প্রতিটি র্শিল্পী কিন্তু তা আলাদাভাবেই করেন। কারণ প্রতিজনের অভিনয়ের আলাদা স্টাইল থাকে। আমি বরং এই সুযোগটিকে আর্শিবাদ হিসেবে দেখছি যে বন্যা আপা আমাকে নাটকটি করার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন।

সুষমা সরকার / ছবি : নূর এ আলম

ঢাকার মঞ্চে আপনার দেখা প্রিয় একক নাটক কোনটি?


একটি নাটকের নাম বলা যাবে না কোনভাবেই। কারণ প্রতিটি নাটক বা তার শিল্পী স্পেশ্যাল বলেই একক নাটক নিয়ে মঞ্চে নামেন। তবে আমি যেগুলো দেখেছি তারমধ্যে প্রথমেই বলবো কলকাতার শিল্পী গৌতম হালদারের ‘মেঘনাদ বদ’-এর কথা। কলকাতার শাওলি মিত্রের একটি একক নাটক দেখেছিলাম, ওটাও খুব ভালো লেগেছে। এছাড়া শিমুল ইউসুফের ‘বিনোদিনী’, মোমেনা আপার ‘লালজমিন’, রোজি সিদ্দিকীর ‘পঞ্চনারী আখ্যান’ দেখেছি। জ্যোতি সিনহার ‘কহে বীরাঙ্গনা’ তো সম্প্রতি ১০০তম মঞ্চায়ন হলো। সবগুলোই ভালো লেগেছে। দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের দলের চুমকী আপার ‘সীতার অগ্নিপরীক্ষা’ দেখার সুযোগ হয়নি।

;

যে ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১০ বছর চেষ্টা করছেন স্কারলেট



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্কারলেট জোহানসন

স্কারলেট জোহানসন

  • Font increase
  • Font Decrease

জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ফ্র্যাঞ্চাইজির পরবর্তী সিনেমায় থাকছেন হলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীদের একজন স্কারলেট জোহানসন। খবরটি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজেই। গারেথ অ্যাডওয়ার্ড পরিচালিত নতুন এই ছবিটির নাম এখনো ঠিক হয়নি।

ভ্যারাইটিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্কারলেট বলেন, ‘আমি ১০ বছর ধরে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কাজ করার জন্য সব চেষ্টা করে গেছি। এমনকি সেটা যদি প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যে মৃত্যু ঘটে যায় এমন চরিত্রও হয়, তবুও। আমি জুরাসিক ওয়ার্ল্ডের বড় ভক্ত।’

স্কারলেট জোহানসন

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি সবসময়েই এই ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশ হতে চেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমার হলে দেখা প্রথম দিকের ছবিগুলোর মধ্যে একটি। খুব ভালোভাবেই মনে আছে। এটি আমার জীবন বদলে দিয়েছিল, মন ভরিয়ে দিয়েছিল। আমি কতটা এক্সাইটেড তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না!’

সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন ডেভিড কোয়েপ। জোহানসন জানিয়েছেন ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’-এর চতুর্থ কিস্তির স্ক্রিপ্ট অসাধারণ হয়েছে। প্রথম তিন কিস্তির থেকে এটি একেবারেই আলাদা হতে যাচ্ছে।

স্কারলেট জোহানসন

জানা গেছে ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ফোর’-এর শুটিং হবে থাইল্যান্ডে। এছাড়াও মাল্টা এবং যুক্তরাজ্যের স্টুডিওতে কিছু দৃশ্য ধারণ করা হবে।

;

কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার ম্যাচে বাংলাদেশের তিন তারকা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার ম্যাচে ফারিণ, সাব্বির ও মেহজাবীন

কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার ম্যাচে ফারিণ, সাব্বির ও মেহজাবীন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে আর্জেন্টিনার ম্যাচটা উপভোগ করলেন বাংলাদেশের তিন তারকা। তারা হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী, অভিনেতা মীর সাব্বির ও অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।

ম্যাচ শুরুর আগে ক্যামেরার সামনে ফারিণ

আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে শেষ হওয়া এই ম্যাচে চিলিকে ১ গোলে হারিয়েছেন মেসি, মার্তিনেজরা। গ্যালারিতে মেহজাবীনের সঙ্গে তোলা একটি সেলফি ফেসবুকে পোস্ট করে ফারিণ লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনা ১-চিলি ০।’ দুজনেই আর্জেন্টিনার সমর্থক। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে স্টেডিয়ামে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে মেহজাবীন লিখেছিলেন, ‘কে জিতবে?’

একফ্রেমে জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ ও মেহজাবীন চৌধুরী

দুই সন্তানকে নিয়ে খেলার মাঠে পৌঁছান অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক মীর সাব্বির। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এত মানুষ জীবনে কোনো দিন সামানসামনি দেখিনি। ৮০ হাজারের বেশি দর্শক খেলা দেখছেন। একসঙ্গে আনন্দ নিয়ে খেলা দেখছেন। গ্যালারিতে দেখলাম, প্রচুর বাংলাদেশিরাও আসছেন। অনেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তাঁরাও দারুণ মজা করছেন। খেলার মাঠে আমার ছেলেরা বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছে।’

দুই ছেলেকে নিয়ে আর্জেন্টিনার জয় উদযাপন করছেন মীর সাব্বির

সাব্বির আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক কোনো ফুটবল খেলা আমি প্রথমবার মাঠে বসে দেখলাম। বাংলাদেশে আমি আবাহনীর সমর্থক। আর এমনিতে দল হিসেবে ব্রাজিলের সমর্থক। কিন্তু আমার দুই ছেলে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। আসলে ওদের জন্যই এখানে খেলা দেখতে আসা।’

ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার জার্সি জড়ানো হাস্যোজ্জ্বল ছবিটি পোস্ট করেছেন মেহজাবীন

মেসির ভক্ত হলেও মাঠে বসে মেসির খেলার দেখার সুযোগ আসবে তা ভাবেননি মীর সাব্বির। প্রথমবার মেসিকে সামানসামনি দেখা প্রসঙ্গে মীর সাব্বির। তিনি বললেন, ‘মেসিকে এই প্রথম সামনাসামনি খেলতে দেখলাম। দারুণ, এক কথায় অসাধারণ অভিজ্ঞতা। একজন ম্যাজিশিয়ানকে দেখলাম। আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার হলেও কিন্তু মেসির ভক্ত। কারণ, মেসির খেলা মানে হচ্ছে আমার কাছে একটা শৈল্পিক ব্যাপার। ফুটবলের তিনি শিল্পী, মহানায়ক। দুই ছেলে অন্ধভাবে আর্জেন্টিনার সমর্থক।’

দুই ছেলেকে নিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে মীর সাব্বির

সাব্বির বলেন, ‘মেসির খেলা সামনাসামনি দেখার সুযোগটা আমার বড় ছেলে ফারশাদের কারণে সম্ভব হয়েছে। তার ও লেভেল পরীক্ষা শেষ করার পর আমার কাছে একটা গিফট চেয়েছিল, তা হচ্ছে মাঠে বসে মেসির খেলা দেখা। তখন সে নিজেই খুঁজে বের করেছে খেলার শিডিউল। এই খেলার টিকিট তো অনেক এক্সপেনসিভও। বাংলাদেশ থেকে দু-তিন মাস আগে আমরা এই টিকিট কিনেছি, যাতে মিস না হয়। শুনছি, পরের বিশ্বকাপে মেসিকে নাও পেতে পারি, তাই ভাবছি যে ছেলেদের সঙ্গে আমিও খেলাটা দেখতে যাই। আমার স্ত্রী চুমকী যায়নি। বাংলাাদেশে থাকার সময় সে বলছিল, তোমরা যাও। সমস্যা নেই। এখানে আসার পর সে বলছে, মিস করলাম। আফসোস করছে।’

কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখতে গ্যালারীতে মেহজাবীন চৌধুরী
;

ক্ষোভ নয়, মানুষের তীর্যক প্রশ্ন আমাদেরই শুনতে হয়: ফাহমিদা নবী



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ফাহমিদা নবী / ছবি : আজাদ আবুল কালাম

ফাহমিদা নবী / ছবি : আজাদ আবুল কালাম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী বরাবরই গভীর কথা ও মেলোডিয়াস সুরের গান গেয়ে আসছেন। শ্রোতাদের রুচির দোহাই দিয়ে কেউ তাকে হালকা কথা ও দুর্বল সুরের গান করতে বলে তিনি কখনোই তাতে রাজী হননি। এবার এই প্রসঙ্গে ধরেই ফাহমিদা নবীর এক ফেসবুক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচিত হচ্ছে। গত ২১ জুন বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উপলক্ষে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্টটি করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী।

বিষয়টি নিয়ে ফাহমিদা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কেউ ভাববেন না যে লেখাটি আমার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার কিংবা কোন ক্ষোভ থেকে লেখা! নির্দিষ্ট কোন শিল্পী বা কোন গান নিয়েও লিখিনি। আমি লিখেছি আমাদের সামগ্রিক মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে। বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে আমার মনে হলো- কি দিতে পারি শ্রোতাদের। আমার তো কোন ব্যক্তিগত অর্জন নেই, তারপরও আমি শিল্পী মাহমুদুন্নবীর সন্তান। গানকে আঁকড়ে ধরে আছি অনেক বছর। তাই কোথাও গেলে আমাকে নানা  তীর্যক প্রশ্নের মুখে পড়তেই হয়। সবাই যখন জিজ্ঞেস করেন, আপনাদের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এমন কেন? ভালো গান কেন হয় না? তখন কিন্তু উত্তরটা আমাকেই দিতে হয়। সেই কষ্ট ও সামগ্রিক উপলব্ধি থেকেই লেখাটি লিখেছি।’

ফাহমিদা নবী / ছবি : আজাদ আবুল কালাম

ফাহমিদা নবী তার সেই পোস্টে লিখেছেন, ‘তবে কি সঙ্গীত দিবস ব্যর্থ! আমাদের অস্থির মানসিকতার করাঘাতে? ভাবলাম বর্তমানে অনেক সিনেমা তৈরী হচ্ছে, কিছু সো কল্ড ভিউ গানের পাশাপাশি শোনার মতো গানও তৈরী হবে বোধ হয়। তা আসলে হবার নয়। রুচিহীনতা একটি বিশাল কারন ভালো গান না তৈরী হবার ক্ষেত্রে। ভালো গানের জন্য অস্থিরতার দৌঁড় নয়, ভালোবাসা দরকার, সেটাই তো নাই! তবে বলে রাখি, রুচিহীন গান বেশিদিন ধোপে টেকে না। দেখছি সেই ছোটবেলা থেকে। শ্রোতারা এতো গাঁধা না। যারা গান শোনে তারা ভালো মেলোডিয়াস গানই খোঁজে, মনেও রাখে। শ্রোতাকে দোষী করে কোন লাভ হবে না। যারা মেধার অপচয় করছে, তারাই বড় বিপদে পড়বে। রুচির হাহাকারে, প্রতিযোগীতাটা মারপিট সিনেমা সিনের মতো হয়ে গ্যাছে। কিন্তু সত্যিকার প্রতিযোগীতায় মেধার অ্যাকশন দরকার। সেটাই নাই! কেও সহজ করে হাসে না, প্রয়োজনে হাসে বলেই এই দুর্ভিক্ষ!’

সম্প্রতি দেশ টিভির ঈদের অনুষ্ঠানে গেয়েছেন ফাহমিদা ও নকিব খান

ফাহমিদা আরও লিখেছেন, ‘বর্তমানে সমাজে তো কোন সংস্কৃতি চর্চা, ভালোবাসা, সম্মান কিচ্ছু নাই। আছে উন্মদনা, অস্থিরতা আর কে কাকে পিছনে ফেলে দৌঁড় দিবে সেই স্বার্থপর চিন্তা! কোন সরল হাসি নাই। কর্পোরেট সিন্ডিকেট চর্চা যেখানে প্রবল, সেখানে আর যাই হোক সঙ্গীত হবে না। সঙ্গীতের ধারা শান্ত এবং রাজকীয়, তা সাজানোর জন্য ধীরতা দরকার। উটকো কথা আর সুরের চটপটিতে গান এখন পালিয়ে বাচঁতে চায়! সঙ্গীত সবার জন্য না। ইদানিং বিষয়টা আরো বুঝতে পারছি। কারণ যাহা মনে লয় উন্মাদনা ইন্ডাস্টিকে দিন দিন অশিক্ষিত করে তুলেছে। একটা দেশের রুচিশীলতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে? রুচির দুর্ভিক্ষে সত্যিই আমরা তলিয়ে গেছি, আফসোস! কিছু মানুষ হয়তো এখনো পরিশোধিত ফিল্টারে নিজেকে নিরব সাধনায় রাখছে। তারাই আশা, আশা ছাড়া অভিমান কি বাঁচে? অভিমান জরুরী, তা না হলে জ্ঞান আর অশিক্ষার মাঝে পার্থক্য বোঝা যাবে কি করে?’

ফাহমিদা নবী / ছবি : আজাদ আবুল কালাম

তাই এই স্ট্যাটাসে অনেকেই একমত পোষন করেছেন। ফাহমিদা নবী বার্তা২৪.কমকে আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস গানের জগতের এই অস্থিরতা একদিন থেমে যাবে। এরমধ্যে যে গানগুলো ভালো হবে সেগুলোই বেঁচে থাকবে।’

বর্তমানের সিনেমার গান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিনেমার মানুষরা যেমন একে অপরকে টেনে নিচে নামানোর প্রতিযোগীতায় মেতেছে, তেমনি তাদের গানগুলোও যেন অস্থির। কিন্তু সিনেমার গান কিন্তু এমন হওয়া উচিত নয়। সিনেমার প্রয়োজনে নানা ধরনের গান থাকবে, মেলোডিয়াস গান সিনেমার প্রাণ। একটি চটুল কথার গান থাকতেই পারে, কিন্তু সব গান এমন হলে মুশকিল। হয়তো অল্প দিনের জন্য দর্শক শ্রোতারা গানটি নিয়ে মাতামাতি করবে কিন্তু কিছুদিন পর তা আর মনেই আসবে না। সেটি কিন্তু সিনেমার জন্য ভালো কিছু নয়। একটি ভালো গান একটি সিনেমাকেও বহু বছর বাঁচিয়ে রাখে। সে প্রমাণ তো আমরা পুরনো দিনের সিনেমার গানের মাধ্যমে এখনো পাচ্ছি। তাই সবাইকে স্থির হয়ে সময় নিয়ে যত্ন সহকারে গান করার অনুরোধ করছি।’

ফাহমিদা নবী / ছবি : আজাদ আবুল কালাম

এদিকে, ফাহমিদা নবী তার পরবর্তী আমেরিকা ট্যুরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী মাসের শুরুর দিকেই তিনি সেখানকার ডেনভার কলরাডোতে চিকিৎসকদের আয়োজনে একটি কনসার্টে গাইবেন।

;