মেয়ের জন্য ‘জি লে জারা’ থেকে সরে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা
বিনোদন
সদ্য মা হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সারোগেসি পদ্ধতির মাধ্যমে গত ২২ জানুয়ারি কন্যা সন্তানকে স্বাগত জানিয়েছেন নিক জোনাস ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া দম্পতি।
কিন্তু প্রিয়াঙ্কার মা হওয়ার খবরে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ‘জি লে জে’ ছবির নির্মাতাদের কপালে। কেননা গত বছরের শেষ দিকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, আলিয়া ভাট ও ক্যাটরিনা কাইফকে নিয়ে ছবিটি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন ফারহান আখতার।
বিজ্ঞাপন
শোনা যাচ্ছে, ‘জি লে জারা’ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। আর ছবিটি থেকে সরে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো- বলিউডের এই অভিনেত্রীর সন্তান।
বলিউড হাঙ্গামার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, এখন মেয়েকে নিয়েই সময় কাটাতে চান প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তাই এখন আপাতত সব কাজ থেকে বিরত থাকতে চান এই অভিনেত্রী।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যদি ছবিটি থেকে সরে দাঁড়ান তাহলে তার পরিবর্তে অন্য কাউকে নেওয়ার বিষয়ে ভাবছেন নির্মাতারা। যদিও বা এসব বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি প্রিয়াঙ্কা বা নির্মাতাদের পক্ষ থেকে।
‘বিশ্বজুড়ে বাঙালিয়ানা’ এই শ্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাভিত্তিকি টিভি চ্যানেল এটিভি ইউএসএ-এর থিম সং গাইলেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবর, কোনালসহ মোট ১৮ জন কন্ঠশিল্পী। থিম সংটির কথা লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ। এর সুর, সঙ্গীত, ভিডিও পরিকল্পনা ও পরিচালনায় রয়েছেন তানভীর তারেক।
মোট ১১ টি দেশে চিত্রায়িত ও অর্ধশত শিল্পীর অংশগ্রহণে এই থিম সংটির অডিও-ভিডিও নির্মাতা তানভীর তারেক বলেন, ‘টানা ২ মাস ধরে আমরা এই থিম সংটির ভিডিও প্ল্যান করি। সেখানে বাংলাদেশের মফস্বলের টং দোকানি থেকে শুরু করে হলিউউ শহর লস এঞ্জেলসেও আমরা শুটিং করেছি। মোট ১১ টি দেশে এর চিত্রায়ন হয়। তাই বিভিন্ন শাখার অর্ধশত’রও বেশি শিল্পী এই গানটিতে অংশ নিয়েছেন। এই পরিশ্রমলব্ধ কাজটি একারনেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি, যাতে আমাদের থিম সংয়ের মর্মার্থ সারাবিশ্বের বাঙালিয়ানা কালচারকে যে আমরা এক করার চিন্তা করেছি তা প্রকাশ পায়। এই আয়োজনের প্রত্যেক শিল্পী থেকে শুরু করে আমাদের প্রডাকশন ক্র’র প্রতিও আমার অকুন্ঠ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’
গানটিতে সহশিল্পী হিসেবে কন্ঠ দিয়েছেন ঢাকা-নিউইয়র্কের আরও ১৬ জন কন্ঠশিল্পী। নিউইয়র্ক স্টুডিওতে কন্ঠ দিয়েছেন কামরুজ্জামান বকুল, শামীম সিদ্দিকী, চন্দ্রা রায়, নাজু আখন্দ, কৃষ্ণা তিথি, মরিয়ম মারিয়া, শাহ মাহবুব, সৌরভ। ঢাকার ধ্রুব মিউজিক স্টেশন স্টুডিওতে কন্ঠ দিয়েছেন ৮ তরুন কন্ঠশিল্পী। তারা হলেন অংসুক রায়, সুকল্যান মুখার্জি, নয়ন দাস, রুদ্র দাস, তিথি মজুমদার, নন্দিতা সাহা, সোনালী সাহা ও সম্বিতা তালুকদার লতা।
গানটির সাউন্ড ডিজাইন, কম্পোজিশন ও মিক্স মাস্টারিং হয়েছে ঢাকা, নিউইয়র্ক ও লাস ভেগাসের স্টুডিওতে। কাজ করেছেন লাস ভেগাসের টিএফপি স্টুডিওর এলেক্স, নিউইউয়র্কের তানভীর তারেক ও অভিজিৎ চক্রবর্তী জিতু, ঢাকার মার্সেল। পুরো সাউন্ড ডিজাইন, নির্দেশনা ও ভিডিও পরিচালনা করেছেন তানভীর তারেক। ভিডিও প্রডাকশনের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছেন ইয়ামিন ইলান, তার ই-মিউজিক টীম ও কোলাহল কমিউনিকেশন। সম্পাদনা ও কালার গ্রাফিক্স এসএম তুষার। কারিগরি সহযোগিতায় আরো ছিলেন বায়োস্কপ ফিল্মস।
এছাড়া এটিভি ইউএসএর থিম সংটির ভিডিও শুটিংয়ে মোট ১১ টি দেশের বিভিন্ন স্থানে বাঙালি গুণীজনরা অংশ নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অঙ্গরাজ্যসহ, দুবাই, সৌদি আরব, জাপান, সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, যুক্তরাজ্য, কাতার, ভারত, অষ্ট্রেলিয়া ও কানাডাতে এই থিম সংয়ের ভিডিও দৃশ্য ধারন করা হয়েছে।
ঢাকার ২০ জন নৃত্যশিল্পী এই থিম সংয়ে অংশ নিয়েছেন। নৃত্যশিল্পীদের কোরিওগ্রাফার হিসেবে ছিলেন এ মাহবুব হোসেন। ঢাকার স্মৃতি সৌধ, লালবাগের কেল্লা, শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ পুরনো ঢাকার একাধিক লোকেশনে টানা ৫ দিন শুটিং করা হয়। থিমসংয়ের মিউজিক ভিডিওতে দুজন শিশুশিল্পীও কাজ করেছেন কথামনি ও শুদ্ধ।
এটিভি ইউএসএর প্রযোজনায় এমন ব্যয়বহুল ও ব্যপ্তির মিউজিক থিমসং এর আগে কোনো যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক টেলিভিশন উপস্থাপন করেনি। এ প্রসঙ্গে এটিভি ইউএসএর কর্ণধার আকাশ রহমান বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই শুধু কমিউনিটি টেলিভিশনের ভেতরেই এটিকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনি। কারণ এখন কোনোকিছুই আর লোকাল নেই। সবই গ্লোবাল বাজারেই ফাইট দিতে হয়। আর যেহেতু এটিভি ইউএসএ আমাদের নিজস্ব অ্যাপ ও ডিজিটাল প্লাটফর্মে একই ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমরা এর আঙ্গিকটাও বিস্তৃত রাখছি। সেই অনুযায়ীই আমরা তানভীর ভাইয়ের নির্দেশনায় গত প্রায় ২ মাস ধরে পরিকল্পনা করে এই থিমসংটি তৈরি করার কথা ভাবি। সংশ্লিষ্ট সকল শিল্পী কলাকুশলীদের প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা। বিশ্বজুড়ে বাঙালিয়ানা’ আমাদের এই শ্লোগানটির মতো করেই আমরা সারাবিশ্বে বাংলা সংস্কৃতিতে তুলে ধরতে চাই।’
আগমী শনিবার পর্দা উঠবে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসরের। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে উৎসব চলবে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল শোভন ঢাকা ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১১ জানুয়ারি শনিবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। এটি আয়োজিত হবে বাংলাদেশ ঢাকার জাতীয় যাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. ইয়াও ওয়েন এবং চীনের চলচ্চিত্র প্রশাসনের আন্তর্জাতিক বিভাগের পরিচালক ঝু ইয়াং। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জালাল আহমেদ।
প্রতিবারের ন্যায় এবারেও এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল বিশ্বাস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম সেকশনে বাংলাদেশ-সহ দেশ বিদেশের শতাধিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে উৎসবে। থাকবে নানা রকম সেমিনারের আয়োজন। এতে বাংলাদেশের তারকা শিল্পী-নির্মতাদের পাশাপাশি অংশ নিতে উপস্থিত হবেন নানা দেশের সিনেমার মানুষেরা।
এদিকে, ভারত থেকে এবার কোনো ডেলিগেট আসছেন না উৎসবে। তবে থাকছে ভারতের ৪টি ছবি। যারমধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নন্দিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত 'পদাতিক' ছবিটি। পরিচালক সৃজিত মুখার্জি এই ছবিটি নির্মাণ করেছেন উপমহাদেশের অন্যতম সেরা পরিচালন মৃণাল সেনের জীবনের উপর ভিত্তি করে। এছাড়া থাকছে ভারতীয় পরিচালক শমীক রায় চৌধুরীর 'বেলাইন', পরিচালক যতলা সিদ্ধার্থ'র 'ইন দ্য বেলি অফ এ টাইগার', পরিচালক অভিলাষ শর্মা'র 'সোয়াহা' ও পরিচালক উজ্জ্বল পলের 'ক্লার্ক'।
উৎসবে ছবিগুলি প্রদর্শিত হবে ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, ঢাকার আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে।
আমেরিকা প্রবাসী মেকাপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদকে বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে চলছে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা, সমালোচনা।
এরইমধ্যে রোজার ‘প্রাক্তন প্রেমিক’ দাবি করে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ফায়েজ বেলাল নামের একজন। তিনি বলেছেন, ২০১৬ সাল থেকে রোজার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। গত সাড়ে তিন মাস আগে এই সম্পর্ক ভেঙে গেছে। এই ব্রেকআপের কারণও ছিল তাহসান!
রোজার প্রাক্তন প্রেমিক দাবি করেছেন, তাদের ব্রেকআপের পরে রোজার নতুন সম্পর্কের খবর তাকে বিস্মিত করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, তাদের সম্পর্কের গভীরতা ছিল এবং তাহসানের সঙ্গে রোজার সম্পর্কের সময়কাল নিয়ে কিছু বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, রোজা তার কাছ থেকে বিপুল অর্থ নিয়েছে এবং সে অর্থ ফেরত দেওয়ারও অঙ্গীকার করেছেন। রোজার এই প্রাক্তন প্রেমিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলেও দাবি করেন সাক্ষাৎকারে।
তবে রোজাকে নিয়ে যেসব অভিযোগ ইতিমধ্যে করেছেন ফায়েজ, এ নিয়ে রোজা মন্তব্য না করেলেও সরব হয়েছেন তার ছোট ভাই উৎস আহমেদ। বুধবার সকালে ফায়েজ বেলালের সাথে স্ক্রিনশটের একটি ভিডিও পোস্ট করেন উৎস। সেখানে নিজের বোনের উপর আনা ফায়েজের সব অভিযোগকে ‘মিথ্যাচার’ দাবি করেন তিনি।
তবে ফায়েজের সাথে যে সম্পর্ক ছিলো, এ বিষয়েও কথা বলেন উৎস। ফায়েজের ‘চিট’ করার কারণে যে রোজার সাথে সম্পর্ক টিকেনি- এ নিয়েও অকপট তিনি।
এ বিষয়ে রোজা আহমেদের ছোট ভাই ফায়েজ বেলালের সাথে একটি স্ক্রিনশটের ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ‘ফায়েজ বেলালের ভাইরাল হবার আকাঙ্ক্ষা থেকে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ হিসেবে এই স্ক্রিনশটের প্রকাশ। তার প্রত্যেকটা অভিযোগ মিথ্যে। এই ফায়েজ বেলাল আপুর অগোচরে আপুকে চিট করেছে বারবার এক মেয়ের সাথে এটাই ছিল মেইন কারণ ব্রেকআপের। এর প্রমাণ দিয়ে মেয়েটির রেপুটেশন নষ্ট করতে চাচ্ছি না। এই ঘটনা বরিশালের সবার জানা।'
গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে রোজা তার কাছ থেকে বিপুল অর্থ নিয়েছে বলে ফায়েজ যে দাবি করেছে, সেটিকে পুরোপুরি মিথ্যাচার বলে ফায়েজ বেলালের উপর পাল্টা অভিযোগ তুলেন উৎস। এ বিষয়ে উৎস লিখেন, ‘আমি রোজা আপুর আপন ছোট ভাই হিসেবে ফায়েজ বেলাল এর সাথে যোগাযোগ করে আপুর দেয়া টাকা ফেরত চেয়েছি। তাদের বেশ অনেক আগে ব্রেকআপ এর পরে আপু যোগাযোগ রাখেননি কিন্তু ফায়েজের কাছে পাওনা টাকা কাউকে না কাউকে চাইতে হবে বলে আমি যোগাযোগ রাখি।’
উৎস বলেন, ‘স্ক্রিন রেকর্ডিং এ স্পষ্ট দেখতে পাবেন, টাকাটা ফায়েজ বেলাল অনেকদিন ধরে ধীরে ধীরে ফেরত দেন। স্ক্রিন রেকর্ডিং এ দেখতে পাবেন সে তার ভেরিফাইড আইডিতে স্পষ্ট দেখতে পাবেন সে টাকাটা আস্তে আস্তে ফেরত দেন। যেখানে আমার বোন তাকে টাকা ধার দিল এবং ফেরত নিল সেখানে তার এমন মিথ্যাচার একটা গর্হিত অপরাধ।’
কেন এমন প্রতিবাদ করলেন, এ বিষয়ে উৎস এদিন লিখেন, ‘আমার বোন আমাদের ছায়ার মত আগলে রেখেছে, আপু আমার বাবার সমান। তার ওপর এমন মিথ্যাচারের প্রতিবাদ আমাকে করতেই হবে।’
স্ক্রিনশটে দেখা যায়, ফায়েজ বেলালকে ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালের দুপুর ৩টা ১১ মিনিটে বার্তা পাঠিয়েছিলেন উৎস। সেখানে কথোপকথনে উৎস লিখেন, ‘ভাইয়া, রোজা আপুর কি টাকা নাকি তোমার কাছে?’ জবাবে ফায়েজ লিখেন,‘না ভাই, সব একাউন্টে দিয়ে দিছি।’ উৎস আবার লিখেন, ‘কিসের নাকি টাকা পায় বললো আমারে’, জবাবে ফায়েজ লিখেন,‘যেদিন এফবি দিয়ে লিভ নিছি ওইদিনই দিয়ে দিছি’, আবারও উৎস লিখেন, ‘তোমারে দিছিলো নাকি কিসের’, জবাবে ফায়েজ লিখে পাঠান, ‘হ্যাঁ, দুই লাখ। ওইটাও এড করে দিছি ভাই’। উৎস আবার লিখে, ‘ওহ, ব্যাংকে দিছো?’ জবাবে ফায়েজ লিখে, ‘হ্যাঁ ভাই, তোমরা কেউ তো দেশে নাই, সো ব্যাংক ছাড়া কোনো অপশন ছিলো না। এখন সব পেইড।’
বিয়ে পরবর্তী আলোচনা, সমালোচনা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন তাহসান। সোমবার প্রকাশিত হয় তার একটি নতুন গান। সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই শিল্পী ও অভিনেতা। মঙ্গলবার স্ত্রী রোজা আহমেদকে নিয়ে তিনি হানিমুনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন, গন্তব্য মালদ্বীপ।
গত শুক্রবার রাতে বিয়ে ঘিরে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। তার গায়েহলুদের একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ফলে তাহসানের ফেসবুক পেজে প্রতি মূহুর্তে অনুসারী বাড়তে থাকে। বিয়ের আগে তার ফেসবুক অনুসারী ছিলো ৯.৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৯৬ লক্ষ। আর এখন আরও প্রায় তিন লাখ অনুসারী বেড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগির কোটি ভক্তের ফেসবুক পেজ হতে যাচ্ছে এই তারকার। গত শনিবার বিয়ের পর ফেসবুকে তাঁদের ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবি সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পোস্টটিতে ১৭ লাখ ভক্ত রিয়্যাক্ট করেছেন। এক লাখের বেশি ভক্ত পোস্টটি শেয়ার করেছেন। মন্তব্যে শুভকামনা জানিয়েছেন তিন লাখ অনুসারী।
অন্যদিকে, বিয়ের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় আসেন তাহসানের নববধূ রোজা আহমেদও। তাহসান ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে খুঁজতে থাকে। ফলে তার ‘রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার’ নামের পেজটি শনিবার সকাল থেকে ভাইরাল হয়। শুধু তাই নয়, এই ফেসবুক পেজে অনুসারীও প্রতিমুহূর্তে বেড়েই চলে।
২০২০ সালে তৈরি করা এই ফেসবুক পেজে বিয়ের আগে রোজার অনুসারী ছিলো ৯ লাখের মতো। সেটি দুই দিনের মাথাতেই ৫ লাখ বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ লাখে। বর্তমানে অনুসারী ১.৪ মিলিয়ন। ৫ জানুয়ারি এই ফেসবুক পেজ থেকে প্রথম তাহসানের সঙ্গে বিয়ে ছবি পোস্ট করেন রোজা। সেই ছবি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। তিন হাজারের বেশি পোস্টটি শেয়ার হয়। অন্যদিকে প্রায় সাড়ে তিন লাখ অনুসারী ছবিটিতে রিয়্যাক্ট করেন। ২৪ হাজার ভক্ত তাদের অভিনন্দন জানান।
রোজা আহমেদ বরিশালের মেয়ে। তিন বছরের বেশি সময় ধরে নিউইয়র্কে ব্রাইডাল মেকআপ নিয়ে কাজ করছেন। নিউইয়র্কে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার নামে নিজের প্রতিষ্ঠানও আছে। নিউইয়র্কে ব্রাইডাল মেকআপ নিয়েই তিনি থাকতে চান। তবে দেশেও কাজ করার ইচ্ছা আছে। গত মাসে তিনি দেশে এসেছেন। জানুয়ারিতে দুই দিনব্যাপী ব্রাইডাল মেকআপের ওপর বেসিক মাস্টার ক্লাস নেবেন। বর্তমানে এই দম্পতি হানিমুনে মালদ্বীপে রয়েছেন।