একটা সময় যাকে ছাড়া একটা দিনও কাটাতে পারবেন না বলে মনে হয়, বিচ্ছেদের ছ’মাস পেরুতেই তার মোবাইল নাম্বার ভুলে যাবেন, বছর যেতে ঠিকানা ভুলে যাবেন, হয়তো নামও ভুলে যাবেন একদিন!
যদি এসবের উল্টো হয় তবে বুঝে নেবেন সে আপনাকে প্রচণ্ড ভালোবেসেছিল, অথবা আপনি। এমনই এক সম্পর্কের রেশ নিয়ে ঈদের বিশেষ নাটক নির্মাণ করলেন মিজানুর রহমান আরিয়ান। সিএমভি’র ব্যানারে নির্মিত এই নাটকটির নাম ‘ব্যবধান’। নির্মাতার সঙ্গে নাটকটির গল্প যৌথভাবে লিখেছেন সোহাইল রহমান।
বিজ্ঞাপন
এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোভান ও মেহজাবীন চৌধুরী।
নাটকটির গল্প প্রসঙ্গে আরিয়ান বলেন, ‘‘কিছু কিছু সম্পর্কের কোনও সমাপ্তি থাকে না। এর মানে এই নয় যে সম্পর্কটা শেষ। বরং এর মানে সম্পর্কটির আসলে কোনও শেষ নেই। গল্পটি ভিন্ন ধারার দু’জন মানুষের ভালোবাসা নিয়ে। কিন্তু সেই ভালোবাসার পরিণতি জানতে হলে দেখতে হবে ‘ব্যবধান’।’’
বিজ্ঞাপন
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ‘ব্যবধান’ উন্মুক্ত হচ্ছে আসছে ঈদে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে।
গ্রাম থেকে উঠে আসা শামসুন্নাহার স্মৃতির পরীমণি হয়ে ওঠা অনেকটা সিনেমার কাহিনির মতোই। মাকে হারিয়েছেন খুব কম বয়সেই; তার বাবারও মৃত্যু হয়েছে দুর্বৃত্তের গুলিতে। পরে অভিভাবকের দায়িত্ব নেন নানা শামসুল হক গাজী।
আর আজ তিনি সারাদিন চর্চিত প্রথম স্বামীর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের খবরকে কেন্দ্র করে। এরপর আবার তার প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালকের লাইফ সাপোর্টের খবর আসে।
তবে পরী আছেন তার নিজের মতো। ফেসবুকে আঁড়ি পাতলে দেখা যায়, তিনি এখন গ্রামে। তার বাড়িতে খাসি কোরবানি করা হয়েছে। মেয়েকে নিয়ে প্রথমবার নিজের নানাবাড়ি গেলেন পরী। এমন সময়ে পরী ফেসবুকে দিলেন এক রহস্যময় স্ট্যাটাস। পরীমণি কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের জনপ্রিয় গানের দু’লাইন তুলে ধরেছেন, ‘নিয়তির ডাকে দিলে যে সাড়া, ফেলে গেলে শুধু নীরবতা। যার চলে যায় সেই বোঝে হায় বিচ্ছেদের কি যন্ত্রণা!’
পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পরীর অনুসারীদের একজন লিখেছেন, কথাগুলো সত্য...। নায়িকার সঙ্গে একমত হয়ে অন্য একজন লিখেছেন, ‘যার চলে যায় সেই বোঝে।’
তবে পরীর এই স্ট্যাটাস কার উদ্দেশে তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি কি কথাগুলো তার প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যুতে লিখেছেন? নাকি তার নানার মৃত্যুবার্ষিকীতে উপলক্ষ্যে স্মৃতিচারণ?
গেল বছরের ২৩ নভেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। দেখতে দেখতে পরীমণির নানার মারা যাওয়ার এক বছর পূর্ণ হলো শনিবার (২৩ নভেম্বর)। নানার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বরিশালেই আছেন পরীমণি। আয়োজন করেছেন দোয়া-মাহফিলের।
অন্যদিকে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার পাচ্চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রাতে জানাজা শেষে নিজবাড়ি ছোট শৌলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গতকাল রাত থেকেই সংবাদ শিরোনামে আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। তার প্রথম স্বামীর মৃত্যুর খবরটি তাকে জড়িয়ে করা হয়েছে, যদিও তার সঙ্গে পরীর কোন সম্পৃক্ততা ছিলো না। একই দিনে আবারও আরেকটি খবরে জুড়ে গেলো পরীর নাম।
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে দিন দিন তার অসুস্থতা বাড়তে থাকে। এরপর দ্রুত মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এভাবে ৫ হাসপাতাল ঘুরে গতকাল শুক্রবার এই পরিচালককে ভর্তি করানো হয় গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। পরিস্থিতির অবনতি হলে আজ শনিবার ভোরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন পরিচালকের স্ত্রী উম্মে কুলসুম।
তিনি জানালেন, শাহ আলম মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত দুই দিনে ১৩ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। কোনো অবস্থায় তার শরীরের রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না। চিকিৎসকের বরাতে এই পরিচালকের পরিবার জানিয়েছে, শাহ আলম মণ্ডলের লিভার ফাংশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেটা সিরিয়াস পর্যায়ে আছে। তার জন্য প্রচুর ‘এ’ পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন। এর আগে চলতি বছরের জুলাই মাসে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শাহ আলম মণ্ডল।
শাহ আলম মণ্ডলের হাত ধরে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। এই পরিচালক তাকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবিটি। পরিচালকের অন্য ছবিগুলো হচ্ছে ‘আপন মানুষ’, ‘ডনগিরি’ এবং ‘লকডাউন লাভ স্টোরি’ (২০২২)। পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের সহকারী হিসেবে শাহ আলম মণ্ডল ২০১১ সালে চলচ্চিত্রে আসেন। প্রথম কাজ করেছেন ‘সত্যের জয়’ ছবিতে। এরপর সহকারী হিসেবে কাজ করেন বদিউল আলম এবং এফআই মানিকের সঙ্গেও।
নায়ক-নায়িকা জুটি হন এ কথা তো সবাই জানেন। কিন্তু কোন কোন সময় কাজের রসায়ন এতোটাই ভালো হয় যে নির্মাতা-শিল্পীও জুটি হয়ে ওঠেন। যেমন সত্যজিৎ রায়-সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ডেভিড ধাওয়ান-গোবিন্দ, মনিরত্মম-ঐশ্বরিয়া, করণ জোহর-শাহরুখ খান। এইসব জুটি একের পর এক সিনেমা করে মুগ্ধ করেছেন দর্শককে। আবার এমন জুটিও আছে যারা একিট দুটি কাজ করেই এতোটা সাড়া ফেলেন যে তাদের আবার দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকেন ভক্তরা। তেমনি একটি জুটি ‘দেবদাস’ সিনেমার নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানশালি আর নায়ক শাহরুখ খান।
সঞ্জয় লীলা বানশালির ‘দেবদাস’ হয়ে দর্শকদের কাঁদিয়েছিলেন শাহরুখ খান। ২০০২ সালের সেই মেগাবাজেট সিনেমা আজও সিনেদুনিয়ায় চর্চিত। তারপর কেটে গিয়েছে ২২টি বছর। বানশালির ফ্রেমে আর দেখা মেলেনি বাদশার।
বারবার জল্পনা শোনা গেলেও, দর্শক-অনুরাগীদের স্বপ্ন সত্যি হয়নি। অতঃপর অধরাই থেকেছে বানশালির ছবিতে আবার কিং খানের ম্যাজিক দেখার সাধ। এবার সম্ভবত ভক্তদের সেই ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে।
শোনা যাচ্ছে, বানশালির ত্রিকোণ প্রেমের সিনেম্যাটিক মহাকাব্য ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এ এবার শাহরুখ খানকে দেখা যাবে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। যে ছবিতে অভিনয় করছেন আলিয়া ভাট, রণবীর কাপুর এবং ভিকি কৌশল। বলিপাড়ায় জোর জল্পনা, ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ ছবিতে কিং খান থাকছেন ক্যামিও চরিত্রে।
সম্প্রতি বানশালির সঙ্গে দেখা করেছেন শাহরুখ। আর সেই সাক্ষাতেই ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ সিনেমার এক বিশেষ দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য শাহরুখের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাদশা সবুজ সংকেত দিলেই ২০২৫ সালে সেই দৃশ্যের শুটিং হবে বলে শোনা গেছে।
সূত্রের খবর, ’লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ ছবির দ্বিতীয়ার্ধে এক মোড় ঘোরানো দৃশ্যে বাদশাকে দেখা যাবে। যেখানে কিং খানের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করবেন রণবীর কাপুর। এই দৃশ্যে ভিকির উল্লেখ অবশ্য পাওয়া যায়নি। তবে এই জল্পনা সত্যি হলে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ যে কিং ম্যাজিকে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে, এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী সিনেমহলের।
ইতিমধ্যেই সিনেমার শুটিং শুরু করে দিয়েছেন রণবীর কাপুর এবং ভিকি কৌশল। আলিয়া ভাটও খুব শিগগির শুটিং শুরু করবেন। সিনেমার পর্দায় সঞ্জয় লীলা বানশালির গল্প বলার ধরণ বরাবরই অনবদ্য।
এযাবৎকাল বহু মাস্টারপিস উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। এবারের জল্পনা সত্যি হলে ২২ বছর পর পরিচালকের ফ্রেমে দেখা যাবে শাহরুখ খানকে। এবার দেখার বিষয় আলিয়া, ভিকি, রণবীরের ত্রিকোণ প্রেমের গল্প ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এ কিং ম্যাজিক কি আদৌ সত্যি হবে?
বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল। ইতিমধ্যে সিনেমাটির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। বছর কয়েক আগেই কাজটি শুরু করতে চেয়েছিলেন মানস। কিন্তু নানা কারণে আর সেটি শুরু করা হয়নি। তবে এবার শুরু করছেন।
জানা গেছে, এতে অভিনয় করবেন ভারতের কিংবদন্তি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তার বিপরীতে দেখা যাবে বাংলাদেশের নন্দিত অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে।
সিনেমাটির চিত্রনাট্য হবে হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে। আর তাই নির্মাতা আগামী সপ্তাহে আসছেন বাংলাদেশ।
পরিচালক ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেন, ‘আসলে হুমায়ুন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের অনেক জায়গার উল্লেখ থাকবে। সেই কারণেই ঢাকা, কিশোরগঞ্জ-সহ একাধিক ঐতিহ্যবাহী জায়গায় যাওয়ার কথা। যদি জায়গাগুলো দেখা থাকে তবেই তার সঠিক উপলব্ধি আমার মধ্যে থাকবে। আর আমি চিত্রনাট্য সেভাবে লিখতে পারব।'
আগামী সপ্তাহেই বাংলাদেশে এসে আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে মানসের। তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘চিত্রা নদীর পারে’ সিনেমা দেখা পর থেকেই মিমির ভক্ত বনে গেছেন মানস। ‘নদীর নাম মধুমতী’, ‘প্রিয়তমেষু’র মতো ছবিও রয়েছে অভিনেত্রীর ঝুলিতে।
কিন্তু গণ অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে এখন পালাবদলের সরকার। সেখানে শুটিং করতে পারবেন, এমন প্রশ্নে নির্মাতার উত্তর, তিনি পারবেন। বললেন, ‘আমি এখন সবে চিত্রনাট্য লেখার কাজে হাত দিচ্ছি। তার আগে আমার তিনটি ছবির লাইন-আপ রয়েছে। সেই কাজ শেষ করেই এই নতুন কাজ শুরু করতে পারব। ততদিনে শুটিং নিশ্চয়ই করতে পারব সেখানে।’
উল্লেখ্য, ‘সহজ পাঠের গপ্পো’র সাফল্যের পর কলকাতার প্রায় প্রত্যেকটা প্রযোজনা সংস্থা থেকেই ছবি তৈরি করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন মানস। তবে পরিচালকের পাখির চোখ দীনেশ গুপ্তর বায়োপিক। বার বার বাধা এসেছে। শুধু টাকার জন্য নয়, কখনও প্রকৃতির সঙ্গে, কখনও আবার নিয়তির সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে মানসকে।
২০২০ সালেই শুটিং শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু শুটিংয়ের ঠিক চার দিন আগেই বিপত্তি। সারা দেশে লকডাউন। সমস্ত কিছু ওলটপালট হয়ে যায়। মানসের এই ছবিতেই কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ের কথা ছিল। কিন্তু কোভিড কালেই প্রাণ হারান অভিনেতা। কিন্তু দীনেশ গুপ্তর গল্প বড়পর্দায় তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর মানস। সেই সঙ্গে নতুন কাজগুলোও চালিয়ে যাচ্ছেন সমান্তরালভাবে।