৪১তম জন্মদিনে যা বললেন বাঁধন
আজমেরী হক বাঁধন, তবে নামের অর্থের সঙ্গে তার স্বভাবের কোন মিল নেই! কারণ শোবিজের এই বাঁধন কোন বাঁধন মানেন না। আটকে থাকতে চান না কোন শৃঙ্খলে। বাঁধনহীন মুক্ত প্রাণই যেন তার আকাঙ্ক্ষা। সকল নারী যেন নিজের অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারেন সেটাই তার সবচেয়ে বড় চাওয়া।
তবে এই বাঁধনহীন স্বভাব খুঁজে পেতে বাঁধনকে পোহাতে হয়েছে অনেক যন্ত্রণা, পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক দুর্গম পথ।
তিনি প্রায়ই বলেন, ‘নিজেকে খুঁজে পেতেই আমার ৩৪ পার হয়ে গেছে। সমাজের চোখে ভালো মেয়ে হতে গিয়ে বার বার নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। কিন্তু এখন শুধুই নিজের জন্য, নিজের পছন্দে বাঁচি।’
আসলেই তাই, ৩৪ বছরের আগের বাঁধন আর এখনকার বাঁধনকে মেলানো যায় না, বিস্তর ফারাক। সেটা হোক অভিনয়জীবন কিংবা ব্যক্তিজীবন। যে বয়সে আমাদের দেশের নায়িকারা মোটামুটি বোন-ভাবীর চরিত্র করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত হন, বাঁধন সেই বয়সে করলেন একটা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। যা কান চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে ইতিহাস তৈরি করেছিলো। এরপর বাঁধনকে ছকভাঙা চরিত্রে দেখা গেছে পরপর ‘খুঁফিয়া’, ‘রবীন্দ্রনাথ এখনো কখনো খেতে আসেনি’ কিংবা ‘গুটি’তে।
বয়স নিয়ে কখনোই লুকোছাপা নেই অন্য অনেক অভিনেত্রীর মতো। তাইতো নিজের ৪১তম জন্মদিনে বাঁধন যে বার্তা দিলেন, তার প্রথম লাইনেই উল্লেখ করলেন বয়সের সংখ্যা।
আজ বাঁধনের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে বাঁধন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হ্যালো ওয়ার্ল্ড, এটা আমার ৪১তম জন্মদিন! কি চমৎকার একটি ভ্রমণ আমার ছিল! এটা সবসময় মসৃণ এবং শান্তিপূর্ণ ছিল না; সম্ভবত এটি সবসময় বেশিরভাগই উত্তেজিত এবং রুক্ষ ছিল, কিন্তু এটি নির্দিষ্ট সময়ে এসেছিল। আমি জিতেছি, আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমি কেঁদেছি, আমি হেসেছি, আমি সংগ্রাম করেছি, আমি অর্জন করেছি, এবং আমার ৪০ বছরের জীবন শেষে আমার এই বাঁধন আছে! আমি সত্যিই বিশ্বাস করি এটা আমার জীবনের শুরু মাত্র! আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত, এবং আমি সবসময় আমার পাশে থাকব।’
বাঁধন সম্প্রতি অভিনয়ের বাইরে রাজপথে নিজের মতামত প্রকাশের কারণে আলোচনায় এসেছেন। তবে অতি সম্প্রতি তিনি যেন বেশ চুপ। সে কথাও উল্লেখ করলেন জন্মদিনের বিশেষ বার্তায়। বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে তিনি লিখেছেন, ‘যখনই আমি চুপ করে থাকি, সবসময় নতুন কিছু আসে! এটার জন্য অপেক্ষা করুন!’