ভারতের কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্র হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ৮১ বছর বয়সী সঙ্গীতশিল্পী শনিবার (৩০ জুলাই) রাতে কলকাতায় নিজ বাড়িতে মারা যান ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। শনিবার রাতে হঠাৎ করেই তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়। চিকিৎসা শুরু হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
বিজ্ঞাপন
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই নির্মলা অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্য গত ৫ বছরে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তিও হয়েছিলেন। তিনবার হৃদরোগে আক্রান্তও হয়েছেন। তিন-চার দিন আগে অসুস্থতা হঠাৎই বাড়ে। গত বৃহস্পতিবার তার রক্তচাপ বেশ খানিকটা কমে যায়।
কিন্তু তিনি আর হাসপাতালে যেতে চাইছিলেন না। শনিবার সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। রাতে তিনি মারা যান।
বিজ্ঞাপন
নির্মলার বিখ্যাত গানগুলির মধ্যে অন্যতম- এমন একটা ঝিনুক খুঁজে পেলাম না, সেই একজন দিও না তাকে মন, আবেশে মুখ রেখে, বলো তো আরশি তুমি, আমি তো তোমার হাসি কান্নার চিরদিনের সাথী, কাগজের ফুল বলে, ও তোতা পাখি রে... ইত্যাদি।
যখন থেকে জানা গেছে এবারের অস্কারের দৌড়ে আছেন কলকাতার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী, তখন থেকেই শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন এই তারকা।
তবে শুধু ইমন নন, এবারের অস্কারে বাংলার মোট পাঁচ জন, ৩ জন কণ্ঠশিল্পী এবং ২ জন সংগীতপরিচালক সেরা মৌলিক গান এবং সেরা মৌলিক স্কোরের জন্য এই দৌড়ে সামিল।
‘পুতুল’ ছবির বাংলা গান ‘ইতি মা’ এবং ‘ব্যান্ড অফ মহারাজাস’ ছবির পাঞ্জাবি গান ‘ইশক ওয়ালা ডাকু’ সেরা মৌলিক গানের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৮৯টি গান ও সেরা মৌলিক ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের জন্য নির্বাচিত ১৪৬টি গানের ব্যালটের মধ্যে রয়েছে।
আর এই দুটি গানের পিছনে আছেন বাংলার পাঁচজন শিল্পী। তারা হলেন সায়ন গঙ্গোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী, পন্ডিত বিক্রম ঘোষ, শমীক কুন্ডু এবং ডালিয়া মাইতি বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইমনের গাওয়া ‘ইতি মা’-তে সুর দিয়েছেন সায়ন। আর ‘ইশক ওয়ালা ডাকু’র সুরকার হলেন বিক্রম ঘোষ এবং গানটি গেয়েছেন শমীক ও ডালিয়া মাইতি।
১৭ ডিসেম্বর ভোটিংয়ের মাধ্যমে ১৫টি গান ও অরিজিনাল স্কোরের জন্য মোট ২০টিকে বাছাই করে নেওয়া হবে। ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে প্রথম রাউন্ডের ভোটিং। একাডেমির সংগীত শাখার সদস্যরা এদিন থেকে শুরু হওয়া প্রথম রাউন্ডের ভোটে ১৫টি গান এবং সেরা ২০টি অরিজিনাল স্কোরের জন্য ভোট দেবেন। আগামী ৩ মার্চ লস অ্যাঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারে বসবে অস্কারের আসর।
এর গানে ভারতীয় তামিল সিনেমার গান ‘নাটু নাটু’ সেরা মৌলিক ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের জন্য অস্কার জিতে সারা দেশের মান বাড়িয়েছে বিশ্বমঞ্চে। এখন দেখার বিষয় বাংলার কোনো শিল্পী আবার সেই মুকুটে নতুন পালক জুড়তে পারে কিনা!
গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ‘সেন্সর বোর্ড’ পুনর্গঠন এবং পরবর্তীতে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে নাম পরিবর্তন করে ‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন- দুই কমিটিতেই সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন নির্মাতা খিজির হায়াত খান। তবে নভেম্বরে এসেই সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি।
গতকাল (৩ ডিসেম্বর) খিজির হায়াত এক ফেসবুক পোস্টে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে পদত্যাগের কথা জানান। তিনি লিখেছেন, ‘সরকারি পদে থাকা মানে এই নয় যে মনের কথা এডিট করে বলতে হবে। সেই জন্য হাজারো মানুষ চব্বিশে আসিয়া আবারও প্রাণ দেয় নাই, আহত হয় নাই, আর যদি তাই নিয়ম হয় তবে সেই নিয়ম আমি মানি না। কোন পদ পদবীর জন্য নিজেকে বদলাইতে এই বয়সে আর পারবো না, সেই সুশীল আমি হইতে চাই না। খুশির সংবাদ এই যে এই সকল কিছু বিবেচনা করিয়া ব্যক্তিগত কারণে আজ হইতে ৩ সপ্তাহ আগেই আমি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড হইতে স্বেচ্ছায় নিজের পদ ছাড়িয়া আসিয়াছি।’
চলচ্চিত্রকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে গঠিত হয় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট এই বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ালেন খিজির। বর্তমান সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র গবেষক ড. জাকির হোসেন রাজু, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক রফিকুল আনোয়ার রাসেল, চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, পরিবেশক, লেখক ও সংগঠক জাহিদ হোসেন, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, চলচ্চিত্র সম্পাদক ইকবাল এহসানুল কবির ও চলচ্চিত্র পরিচালক তাসমিয়া আফরিন মৌ প্রমুখ।
এই বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব। এ ছাড়া সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি হিসেবে বোর্ডে সদস্য আছেন কাজী হায়াত।
অনেক দিন অভিনয় নিয়ে চর্চায় না থাকলেও সম্প্রতি ‘হাউজফুল ৫’-এর মতো তারকাবহুল সিনেমায় নাম লিখিয়ে আলোচনায় এসেছেন ই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেত্রী নার্গিস ফাকরি। তবে এবার অভিনয় নয়, বোনের কারণে খবরের শিরোনামে অভিনেত্রী। তার বোন আলিয়া ফাকরির বিরুদ্ধে উঠেছে জোড়া খুনের অভিযোগ। নার্গিসের বোন নাকি তার প্রাক্তন প্রেমিক ও সেই প্রেমিকের বর্তমান প্রেমিকাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন।
অভিনয়জগতের চেনা মুখ নার্গিস। বোনের সূত্রে তাই তার নাম জড়িয়ে গিয়েছে এই খুনের ঘটনায়। তবে এ ঘটনা নিয়ে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।
অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, একমাত্র বোন আলিয়ার সঙ্গে নাকি ২০ বছর আগেই সব যোগাযোগ বন্ধ করেছেন ‘রকস্টার’ অভিনেত্রী। তবে কী কারণে বোনের সঙ্গে নার্গিসের কোনো সম্পর্ক নেই, তা এখনো স্পষ্ট নয়। নার্গিসও নাকি বোনের এই ঘটনা সংবাদমাধ্যম সূত্রেই জানতে পেরেছেন।
নার্গিস তার বোনের দিকে ওঠা অভিযোগ–সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করেননি ঠিকই, তবে এই বিতর্কের মধ্যেই অভিনেত্রীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেসে উঠেছে তার আসন্ন ছবিরই একঝলক। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছবির সেই ঝলক পোস্ট করে নার্গিস লিখেছেন, ‘আমরা আসছি।’ ছবিতে নার্গিসের সঙ্গে আরও দুই অভিনেত্রী জ্যাকুইলিন ফার্নান্দেজ ও সোনম বাজওয়াকে দেখা যাচ্ছে।
প্রশ্ন উঠছে, কেন বোনের ঘটনায় কোনো রকম প্রতিক্রিয়া নেই নার্গিসের? অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, একমাত্র বোন আলিয়ার সঙ্গে নাকি ২০ বছর আগেই সব যোগাযোগ বন্ধ করেছেন ‘রকস্টার’ অভিনেত্রী। তবে কী কারণে বোনের সঙ্গে নার্গিসের কোনো সম্পর্ক নেই, তা এখনো স্পষ্ট নয়। নার্গিসও নাকি বোনের এই ঘটনা সংবাদমাধ্যম সূত্রেই জানতে পেরেছেন।
নার্গিসের বোন আলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। নিউইয়র্কের কুইনসে তার জন্ম। সেখানেই থাকতেন তিনি। বছর আটেকের ছোট এডওয়ার্ড জ্যাকবস নামের এক তরুণের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কে ছিলেন আলিয়া। কিন্তু সেই সম্পর্ক পরে ভেঙে যায়। তবে মেনে নিতে পারেননি আলিয়া। প্রাক্তন প্রেমিক নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়েছেন জানতে পেরেই প্রতিশোধের জেদ মাথায় চাপে তাঁর।
গত ২ নভেম্বর জ্যাকবসের বাড়িতে আগুন লেগে যায়। সে সময় ওই বাড়িতে ছিলেন তার বর্তমান প্রেমিকা অ্যানাস্টাশিয়া স্টার ইটেইনও। নিছক দুর্ঘটনা নয়, তদন্ত শুরু করে জানতে পারে পুলিশ। এই অভিযোগেই গ্রেপ্তার করা হয় আলিয়াকে।
কোরিয়ান পপ গানের পাশাপাশি কোরিয়ান ড্রামা বা কে ড্রামা সারা বিশ্বে এখন দারুণ জনপ্রিয়। সেই সুবাদে সেখানকার নাটকের তারকারাও জুটিয়ে ফেলেছেন দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের ভক্ত।
গেল নভেম্বরে নিজ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কে ড্রামা জগতের মডেল ও অভিনেতা সং জে রিমের মরদেহ। তখন তার ভক্তরা বেশ কষ্ট পেয়েছিলেন। এবার চলে গেলেন কে ড্রামার আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা পার্ক মিন জে।
কে ড্রামা জগতের একজন উঠতি তারকা ছিলেন পার্ক মিন। ‘টুমরো’, ‘লিটল উইমেন’, ‘কল ইট লাভ’, ‘দ্য কোরিয়া-খিতান ওয়ার’ এবং ‘মি. লি’ নামক কে ড্রামাগুলিতে অভিনয় করেছেন। আর তাতেই পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। মাত্র ৩২ বছর বয়সেই তার অকাল প্রয়াণে বিনোদন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তার মৃত্যুর মর্মান্তিক খবরটি প্রকাশ্যে এনেছে তার এজেন্সি। বিগ টাইটেল এবং কোরিয়ান মিডিয়া আউটলেটগুলি গত ২ ডিসেম্বর তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিনেতা গত ২৯ নভেম্বর চীনে থাকাকালীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলা হয়েছে।
তার মৃত্যুর সংবাদের পরে অনলাইনে পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পার্ক মিন জে একজন প্রতিভাবান অভিনেতা যিনি অভিনয়কে ভালোবাসতেন এবং সর্বদা তার সেরাটা দিয়েছিলেন। তিনি গত ২৯ নভেম্বর ইহলোক ত্যাগ করেন। পার্ক মিন জে-এর প্রতি আপনাদের ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আমরা তাকে আর অভিনয় করতে দেখতে পারবো না। আমরা গর্বিতভাবে তাকে বিগ টাইটেলের একজন অভিনেতা হিসাবে মনে রাখব। তার আত্মা শান্তি পাক।’
বিগ টাইটেলের সিইও হোয়াং জু-হে-ও অভিনেতার মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাকে কোনদিনও ভুলবেন না বলে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন।
পার্ক মিন জে-এর ছোট ভাইও অনলাইনে একটি হৃদয়গ্রাহী বার্তা শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের প্রিয় ভাই চিরতরে বিশ্রামে চলে গেছেন। আমরা আশা করি যতটা সম্ভব মানুষ তাকে দেখতে আসবে। আমরা ব্যক্তিগতভাবে সবার সাথে যোগাযোগ করতে অক্ষম হওয়ায় আমরা আপনাদের সবাইকে পাশে থাকার অনুরোধ করছি।’
স্বাভাবিকভাবেই তার মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে স্মরণ করছেন। অনেকে কোরিয়ান বিনোদনে তার অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।