অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া রাজধানীর ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী। শনিবার (৩০ জুলাই) রাতে অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশন হয়েছে।
তিনি জানান, শনিবার (৩০ জুলাই) রাতে স্পর্শিয়ার অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশন হয়েছে। তার অপারেশনটি করেছেন প্রফেসর ডক্টর ফিরোজ কবির। অপারেশনের পর স্পর্শিয়ার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক আছে।
স্পর্শিয়াকে সর্বশেষ ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমায় দেখা গেছে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার অভিনীত ‘ফিরে দেখা’ নামের সরকারি অনুদানের একটি সিনেমা। এটি নির্মাণ করেছেন এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা রোজিনা। এতে প্রথমবার নিরবের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি।
নব্বই দশকের সাড়া জাগানো মডেল লামিয়া তাবাসসুম চৈতী। সাম্প্রতিক সময়ে পর্দায় তাকে সেভাবে না দেখা গেলেও দর্শক তাকে মনে রেখেছেন বেশকিছু বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে।
একটি রংয়ের বিজ্ঞাপনচিত্রে ‘শোবার ঘরটা নীল হোক, আকাশের মত’ বা ‘মনের মাধুরী মেশানো রং’ সংলাপ কিংবা নারকেল তেলের বিজ্ঞাপনচিত্রের জিঙ্গেল ‘হারানো সেই দিন, মনে ভাসে আজও, এখনো সজীব যেন হয়নি বিলীন’-এর মাধ্যমে চৈতীকে এখনো স্মরণে রেখেছেন তার ভক্ত-দর্শক।
সেই দর্শকদের জন্যই আসছে ঈদে মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ ঈদ আয়োজনে অতিথি হয়ে আসছেন লামিয়া তাবাসসুম চৈতী। এই বিশেষ পর্বে চৈতী জানিয়েছেন, মনের মত চরিত্র পেলে তিনি অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন করতে চান।
২৫ বছর আগে একটি মাত্র টেলিফিল্মেই অভিনয় করেছিলেন তিনি। আফজাল হোসেন পরিচালিত ‘ছবির মত মেয়ে’ নামের সেই টেলিফিল্মে শুটিংয়ের মাঝেই প্রাণপ্রিয় বাবা প্রয়াত ফয়েজ উদ্দিন আহমেদকে হারিয়েছিলেন চৈতী। বাবার মৃত্যুর পর নতুন করে আর অভিনয়ের পথে পা বাড়াননি।
জনপ্রিয় তারকা সাদিয়া ইসলাম মৌ সম্পর্কে চৈতীর খালাতো বোন। মৌ’য়ের মা প্রয়াত রাশা ইসলামের সঙ্গেই চৈতী তার ক্যারিয়ারের ১ম মডেলিং করেছিলেন। তখন তার বয়স মাত্র ৮-৯ মাস।
বড় হবার পর ভারতের প্রখ্যাত নির্মাতা রাজীব মেননের পরিচালনায় ‘রেক্সোনা’র বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং করেছিলেন তিনি। রাজীব মেনন সে সময় ‘সাপনে’ (কাজল, প্রভু দেবা, অরবিন্দ সোয়ামী) এবং পরবর্তীতে তামিল সিনেমা ‘কান্ডুকোন্ডাইন কান্ডুকোন্ডাইন’ (ঐশ্বরিয়া রাই, টাবু, মাম্মুতি, অজিত) পরিচালনা করেছিলেন।
চৈতী শিক্ষকতাও করছেন অল্প বয়স থেকে। শিক্ষকতার সাথেও তার প্রায় ২৫ বছর কেটে গেছে।
রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্য’র সঞ্চালনায়, জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় ‘রাঙা সকাল’-এর এই বিশেষ পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের ৪র্থ দিন, সকাল ৭টায়।
কেরালায় শুরু হয়েছে দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার বিজয় থলপতির নতুন ছবি ‘দ্য গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম’-এর শুটিং। বিমানবন্দর থেকে অভিনেতার গাড়ি হোটেলের উদ্দেশে যখন রওনা দেয়, তখনই একদল ভক্ত পিছু নেন। গাড়ি হোটেলে পৌঁছাতেই প্রিয় নায়ককে এক নজর দেখার জন্য তার গাড়ির উপর রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়লেন ভক্তরা। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিজয়! তার কোটি টাকার গাড়ির অবস্থা শোচনীয়। সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও এখন ভাইরাল!
তবে ভক্তদের তাণ্ডব শুরুর আগেই নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে নিরাপদে গাড়ি থেকে বের হতে পেরেছেন অভিনেতা।
ভেঙ্কট প্রভু পরিচালিত এবং অর্চনা কালপাথি প্রযোজিত ‘দ্য গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’ অভিনেতার ৬৮ তম সিনেমা। সিনেমাটিতে থালাপতি বিজয় ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন—মাইক মোহন, প্রশান্ত, প্রভু দেবা, স্নেহা, লায়লা, জয়রাম, মীনাক্ষী চৌধুরী এবং যোগী বাবু।
বিজয়কে সর্বশেষ দেখা গেছে লোকেশ কানাগরাজ পরিচালিত ‘লিও’তে। এটি গত বছর দক্ষিণের সর্বাধিক আয় করা সিনেমা। বিশ্বব্যাপী ৬২৩ কোটি রুপির বেশি আয় করে সিনেমাটি।
এদিকে, অভিনয়ের পাশাপাশি বিজয় থালাপতি এখন রাজনীতির মাঠেও নেমেছেন। ‘তামিলাগা ভেত্রি কোঝাগম’ নামে নতুন দল প্রতিষ্ঠা করতে চলেছেন তিনি।
বরাবরই মানবিক ও সামাজিক কাজে দেখা যায় প্রখ্যাত তারকা জয়া আহসানকে। রোজার শুরুতেই পথের কুকুরদের জন্য নিয়ে বার্তা দেন জয়া। এবার তিনি সমাজের এমন একটি দিকে দৃষ্টিপাত করলেন, যা সচারচর সবার দৃষ্টিগোচর হয় না। জয়া শোবিজের তারকা হয়ে মাদ্রাসার বিশেষ কিছু শিক্ষার্থীর পীড়ার কথা বলেছেন। যাদের কষ্টে মন পুড়ছে এই তারকার।
জয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রোজার শেষ দিকে বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে এক করুন দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত ২৫ রোজা থেকে মাদ্রাসাগুলো ছুটি হতে থাকে। বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক এসে বাচ্চাদেরকে বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু একদল বাচ্চাকে নিতে কেউ আসে না। এদের কারো বাবা-মা নেই, কারো বাবা নেই মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা বাচ্চার খোঁজ রাখে না। খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারও কারও মামা-খালা-চাচা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়। বাকীরা সারাদিন কান্না করে। তারা জানে তাদেরকে কেউ নিতে আসবে না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘তারা সারা বছর কাঁদে না। কিন্তু যখন সহপাঠীদেরকে সবাই বাসায় নিয়ে যায় অথচ তাদেরকে কেউ নিতে আসে না তখন তাদের দুঃখ শুরু হয়ে যায়। মৃত মা-বাবার উপর তাদের অভিমান সৃষ্টি হয়- কেন তারা তাদেরকে দুনিয়ায় রেখে এই বয়সে মারা গেল? তারা কি আর কিছুটা দিন বেঁচে থাকতে পারত না? মা-বাবা বেঁচে নাই তো কী হয়েছ? মামা-চাচারা কেউ তাদেরকে নিতে আসল না কেন? মা বেচে থাকতে মামারা কত আদর করত! বাবা বেঁচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এই বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে।’
জয়া সবার কাছে অনুরোধ করেছেন, ‘এই ঈদে আপনার কাছাকাছি এতিমখানায় যান। কয়জন বাচ্চা ঈদে বাড়ি যায়নি খোঁজ নিন। তাদের জন্য আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন তা নিয়ে যান। এই গরমে তাদের আইসক্রিম খাওয়াতে পারেন। নিদেন পক্ষে একটা চকলেট খাওয়ান। মনে রাখবেন, আজ আপনি বেঁচে না থাকলে আপনার ছোট সন্তান এতিম হয়ে যাবে! আমি ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব যদি আল্লাহ্ সহায়ক হয়।’