সবার একটাই কথা ছিল- ‘নাচ করে কী হবে?’ : পূজা সেনগুপ্ত



রুদ্র হক, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা ২৪.কম
পূজা সেনগুপ্ত

পূজা সেনগুপ্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্তকে ফ্রেন্ডশীপ মেডেল দিচ্ছেন ভিয়েতনামের মহামান্য প্রেসিডেন্ট গুয়েন সুয়ান ফুক। বিদেশিদের জন্য ভিয়েতনাম সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সম্মাননাগুলোর একটি হল ‘ফ্রেন্ডশীপ মেডেল’ ভিয়েতনামের মহামান্য প্রেসিডেন্ট এর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি লিখে পূজা সেনগুপ্তকে এই পুরষ্কার প্রাপ্তির ব্যাপারে অবহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করায় অবদান রাখা এবং ‘হোচিমিনঃ আ জার্নি টু এক্সপ্লোর দ্য লাইট উইদইন’ শিল্পকর্ম নির্মাণে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে পূজা সেনগুপ্তকে ফ্রেন্ডশীল মেডেল সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ ভিয়েতনাম দূতাবাসে আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ভিয়েতনাম এম্বাসি।


উক্ত অনুষ্ঠানে ভিয়েতনামের মহামান্য প্রেসিডেন্ট এর পক্ষ থেকে পূজা সেনগুপ্ত’র হাতে ফ্রেন্ডশীপ মেডেল তুলে দেবেন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন। এ বছর একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এই পুরষ্কার পাচ্ছেন তরুণ নৃত্যশিল্পী ও সাংস্কৃতিক উদ্যোক্তা এবং তুরঙ্গমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক পূজা সেনগুপ্ত। ভিয়েতনামের সাথে অন্যান্য দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন এবং নিজ কর্মক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে বিদেশিদের এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

এ প্রসঙ্গে বার্তা ২৪.কমকে বিস্তারিত জানালেন পূজা, “ব্যাপারটা ভীষণ আনন্দের, সেই সাথে গর্বেরও। দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে নিজের কাজের মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে পারা নিঃসন্দেহে একটা আনন্দের ব্যাপার। এই প্রোডাকশানটা আমি অনেক ভালোবেসে করেছিলাম। এটা অনেক মন থেকে করা একটা কাজ। পুরস্কার পাবো এমন ভাবনা চিন্তার মধ্যেও ছিল না। পুরস্কার পাওয়ার পর নিঃসন্দেহে ভালো লাগছে।”

২০১৯ সালে কিংবদন্তী নেতা হোচিমিন এর জীবন নিয়ে একটি নৃত্য প্রযোজনা নির্মাণের জন্য তুরঙ্গমীকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় ভিয়েতনাম দূতাবাস। সে বছর ৫-৬ সেপ্টেম্বর তাদের প্রযোজনায় এবং ভিয়েতনাম সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথম মঞ্চে আসে বিশ্বের প্রথম জীবনীভিত্তিক ড্যান্স থিয়েটার ‘হোচিমিন’।


প্রথম প্রদর্শনীতেই দর্শক, সমালোচক, মিডিয়া এবং দেশি ও বিদেশি দর্শকদের কাছে ব্যাপকভাবে প্রসংশিত হয় প্রযোজনাটি। ঐ বছরই ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স কাউন্সিল এর প্যানোরমায় এটি প্রথম বাংলাদেশি প্রযোজনা হিসেবে জায়গা করে নেয়। প্যানোরমায় পূজা সেনগুপ্ত’র হোচিমিন প্রযোজনাটিকে বিশ্বের প্রথম জীবনীমূলক নৃত্য নাটক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ৪০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই প্রযোজনার মূল ভাবনা, নকশা, পান্ডুলিপি, নৃত্য নির্মাণ ও নির্দেশনায় ছিলেন পূজা। ২০১৭ সালে ভিয়েতনাম সরকারের আমন্ত্রণে আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য সরাসরি প্রতিযোগিতা করে নির্বাচিত হয় তুরঙ্গমীর আরেকটি জনপ্রিয় প্রযোজনা ‘অনামিকা সাগরকন্যা’। সে সময় পূজার নেতৃত্বে তুরঙ্গমীর ১০ সদস্যের দল উৎসবে অংশগ্রহণ করে ও পুরষ্কৃত হয়।

২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশের নাচের নিজস্ব ধারা নির্মাণ ও নাচে পেশাদারিত্ব অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন পূজা সেনগুপ্ত ও তার নৃত্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুরঙ্গমী স্কুল অব ড্যান্স। এর মধ্য ২০১৪ ব্যাংকক ফেস্টিভ্যাল, ২০১৭ ভিয়েতনাম আন্তর্জাতিক নৃত্য উতসব, ২০১৭ দিল্লী ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ফেস্টিভ্যাল, ২০১৮ চীন সিল্ক রোড এক্সপো- ডুঙহুয়াং কনফারেন্স, ২০১৮ রাশিয়া সেন্ট পিটার্সবুর্গ নৃত্য শিক্ষা সম্মেলন, ২০১৮-২২ ফিলিপাইন ড্যান্স এক্সচেঞ্জ, ২০১৯ প্যারিসে জাতিসংঘের ইউনেস্কো সদর দপ্তরে পূজা সেনগুপ্ত’র ভাষন, ২০২২ ম্যানিলাতে আইটিআই ও জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট উৎসব, ২০২২ দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যাল, ২০২২ এ জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়া ইন্টারন্যাশনাল কালচার ফেস্টিভ্যাল এবং জাভার জনপ্রিয় বান্দুং আর্টস ফেস্টিভ্যাল ২০২২ এ অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৯ সালে প্রথম তুরঙ্গমী এবং ব্যক্তিগতভাবে পূজা সেনগুপ্ত ইন্টারন্যাশনাল ড্যান্স কাউন্সিল ইউনেস্কোর সদস্যপদ লাভ করেন। সংস্কৃতিকে উদ্যোগ হিসেবে গড়ে তরুণ শিল্পীদের কাজের ক্ষেত্র নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালে সম্মানজনক উদ্যোক্তা পুরষ্কার ‘নুরুল কাদের সম্মাননা’ লাভ করেন পূজা সেনগুপ্ত।


মাত্র নয় বছরেই পুরস্কার ও স্বীকৃতিতে বর্ণাঢ্য অর্জন হলে পূজা জানালেন, শুরুর পথটা এত মসৃন ছিল না তার। তিনি বলেন, “আমি যখন নাচকে পেশা হিসেবে নেই, তখন আমার আশেপাশে সবাই আমাকে নিরুৎসাহিত করেছে। আমার উপর কেউ ভরসা করেনি। সবার একটাই কথা ছিল, নাচ করে কী হবে? আমাদের সমাজে নাচ, গান, অভিনয় এগুলো আমরা শখে করি। আমরা পেশাদারিত্বের দায়িত্ব নিয়ে করি না। ”

তাই পূজার অভিমত, “কেউ যদি তার ভালো লাগার কাজটিই মন দিয়ে করে তার মাধ্যমেই নাম, যশ-খ্যাতি পেতে পারে। আমি যে বার্তাটা সমাজকে দিতে চাই, তা আমার কাজের মাধ্যমেই সমাজকে দিতে চাই, দিয়েছি, দিবো।”

তুরঙ্গমী বিশ্বাস করে বাংলাদেশের নাচ ও ড্যান্স থিয়েটার এর এত বড় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদের দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্য মাইলফলক। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের বন্ধুত্ব আর সাংস্কৃতিক আদান প্রদানের নতুন ইতিহাসের সূচনা হল।

এবার স্মার্টফোনের বিজ্ঞাপনে তাসনিয়া ফারিণ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃহস্পতি তুঙ্গে এখন হালের দর্শকপ্রিয় মুখ তাসনিয়া ফারিণের। কারাগার- তারকা ফারিণ একের পর এক ছক্কা মেরে যাচ্ছেন মিডিয়ার সীমানায়। এবার তার অর্জনের মুকুটে জুড়লো আরেকটি পালক। একটি স্মার্টফোনের মডেল হয়ে আসছেন।

‘লেডিজ অ্যান্ড জেন্টেলম্যান’, ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’, ‘সিন্ডিকেট’খ্যাত তাসনিয়া ফারিণ কাজ করছেন গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠা ভিভোর সাথে।

সূত্রমতে, ভিভো ভি সিরিজের নতুন দুই স্মার্টফোন নিয়ে আসছে আগামী মাসে। এর একটি ভিভো ভি২৭ ও অন্যটি ভিভো ভি২৭ই। জানা যায়, ভি সিরিজের নতুন স্মার্টফোনের বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন ফারিণ।

চলতি বছরই বিবিএর গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন ফারিণ। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)তে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন তিনি। এরইমধ্যে ঢাকার পাশাপাশি সামলাতে হয়েছে কলকাতাও। সম্প্রতি ভারতের কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে জনপ্রিয় পরিচালক অতনু ঘোষের ‘আরো এক পৃথিবী।’ সেখানে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারিণ। ‘আরো এক পৃথিবী’র দিয়ে দুই বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেমিদের মন জয় করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপনসহ বিভিন্ন নাটক ও ওয়েবসিরিজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাসনিয়া ফারিণ। এছাড়া আসছে ঈদেও বেশ কিছু নাটকে তাঁকে দেখা যাবে। এরইমধ্যে নতুন খবর এসেছে যে ফারিণ স্মার্টফোনের বিজ্ঞাপনে কাজ করছেন। দ্রুতই বিজ্ঞাপনটি প্রচারিত হবে বলে জানা গেছে।

ভিভোর ভি সিরিজের স্মার্টফোনে ভিডিও ও ক্যামেরা বেশ গুরুত্ব। সম্ভবত এসব বিষয় তুলে ধরতেই ভিভোর বিজ্ঞাপনে কাজ করবেন তিনি। জেনারেশন জেড মানেই নতুন মডেলের ফোনে দারুণ ছবি আর ভিডিও করার সহজ উপায় খোঁজা। একারণেই তরুণ এই তারকা যুক্ত হয়েছেন এই বিশেষ ফোন কোম্পানির সঙ্গে।

উল্লেখ্য আগামী মাসের শুরুতে ভিভোর ভি সিরিজের দুইটি স্মার্টফোন দেশের বাজারে যাত্রা শুরু করবে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র।

;

২৪ হাজার ফিট উচ্চতায় দেশের গান গেয়ে সাড়া ফেললেন ‘বাপকা-বেটা’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
২৪ হাজার ফিট উচ্চতায় মুক্তিযুদ্ধের গান গেয়ে সাড়া ফেলেছেন ‘বাপকা-বেটা’

২৪ হাজার ফিট উচ্চতায় মুক্তিযুদ্ধের গান গেয়ে সাড়া ফেলেছেন ‘বাপকা-বেটা’

  • Font increase
  • Font Decrease

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ২৪ হাজার ফিট উপরে মুক্তিযুদ্ধের গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলেছেন শুভাশীষ ভৌমিক ও তার ৪র্থ শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে ঋতুরাজ ভৌমিক। বেসরকারি বিমান সংস্থা ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’র ঢাকা টু কক্সবাজারের একটি ফ্লাইট আকাশে উড়ছে, ঠিক তখনই বাবা-ছেলেকে গিটার বাজিয়ে গাইতে দেখা গেছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল…’ গানটি।

ওই দিনে বাবা-ছেলের এই গানের সুন্দর মুহূর্তটি তাদের ‘বাপকা-বেটা’ নামের ফেসবুক পেজে ভিডিও পোস্টও করেছেন। এরপর থেকে নেটিজেনরা বাপ-বেটার গাওয়া গানটি বেশ প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি কমেন্ট বক্সে লিখেছেন তাদের জন্য প্রশংসার বাক্য।

ভিডিওতে দেখা গেছে, যাত্রীরা বাপ-বেটার কণ্ঠে দেশের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছেন। তারা হাত তালি দিয়ে তাদের উৎসাহ প্রদান করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত বেশিরভাগ গানই ছিল মুক্তিযুদ্ধের উৎসাহ-উদ্দীপনা আর অনুপ্রেরণার সঙ্গী। এর মধ্যে বেশি জনপ্রিয় গান হচ্ছে ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল’। গানটির গীতিকার গোবিন্দ হালদার। সুর করেছেন সমর দাস।

গানটির ভিডিও ভাইরাল প্রসঙ্গে শুভাশীষ ভৌমিক বলেন, আমার ঋতুরাজ ভৌমিক অস্ট্রেলিয়ার একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। আমার ছেলে যেহেতু ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করে, তাই আমি বাংলা সাহিত্য ও দেশের গান তার ভেতরে ধারণ করানোর চেষ্টা করছি। ছোট বেলা থেকে বাংলার সংস্পর্শে রাখার চেষ্টা করেছি, যেনো আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের বাংলা ভাষার ইতিহাস ভুলে না যায়।

তিনি জানান, রক্ত লাল গানটি গাওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে, আমরা যখন ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাত্রা করছিলাম, সেই বিমানের পাইলট হঠাৎ আমাদের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে একটি গান গাওয়ার জন্য বলেন। তখন এই গানটি করা। এরপর গানটি ফেসবুকে শেয়ার করার পর এতোটা প্রশংসা পাচ্ছি সবমিলিয়ে খুবই ভালো লাগছে।

;

‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ সিনেমার মুক্তির স্মৃতি স্মরণ করলেন বব ডিলান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে সাহায্যার্থে ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কনসার্টের আয়োজন করেছিলেন পণ্ডিত রবি শঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসন। সেই কনসার্টে মানবতার ডাকে ছুটে এসেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। আর তাদের গানে গানে মাতিয়েছিলেন হ্যারিসনের দলের বব ডিলান, আলী আকবর খান, রিঙ্গো স্টার, বিলি প্রেস্টন, এরিক ক্ল্যাপটনের মতো তারকারা।

কনসার্টের নেপথ্যের ঘটনা নিয়ে পরের বছর একই নামে তথ্যচিত্র বানান সল সুইমার। ২৩ মার্চ ছবিটি মুক্তির ৫১ বছর হয়েছে। বিশেষ এই দিনে স্বর্ণালি স্মৃতি স্মরণ করলেন বব ডিলান, শেয়ার করলেন বাংলাদেশকে নিয়ে আয়োজিত কনসার্টের বিশেষ মুহূর্ত।

বিশ্ব সংগীতের সর্বকালের সেরাদের একজন বব ডিলান। নোবেল, পুলিৎজার, অস্কার কিংবা গ্র্যামির মতো বিখ্যাত সব পুরস্কার যার অর্জনে, সেই কিংবদন্তি শিল্পীই শেয়ার করলেন বাংলাদেশকে নিয়ে আয়োজিত কনসার্টের বিশেষ মুহূর্ত।

নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে আয়োজিত সেই কনসার্টে চমক হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন বব ডিলান। এর পর গিটার-মাউথ অর্গান বাজিয়ে শোনান তার বিখ্যাত কিছু গান। এর মধ্যে ‘জাস্ট লাইক আ ওম্যানের ভিডিও ক্লিপ নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন শিল্পী।

ভিডিওর ক্যাপশনে বব ডিলান লিখেছেন, “মার্চ ২৩, ১৯৭২: ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ সিনেমার মুক্তির দিন।”

ভিডিওতে দেখা যায়, বব ডিলানের সঙ্গে জর্জ হ্যারিসনও গিটারে সঙ্গ দিচ্ছেন। ঐতিহাসিক আয়োজনের এমন দুর্লভ মুহূর্ত দেখে তাই উচ্ছ্বাস শ্রোতাদের মনে। বিশেষত বাংলাদেশিদের মুগ্ধতার ছাপ লক্ষ্য করা গেল ডিলানের পোস্টের নিচে। অনেকেই তাকে ভালোবাসা জানাচ্ছেন। এ ছাড়া দেশের সংগীতাঙ্গনের অনেকেও ভিডিওটি নিজ নিজ ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেছেন।

‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ সিনেমার পরিচালনা করেছিলেন মার্কিন নির্মাতা সল সুইমার। এর প্রযোজনায় ছিলেন জর্জ হ্যারিসন ও অ্যালেন ক্লেইন। এই ছবিতে মূলত কনসার্টের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে এর বাস্তবায়ন অব্দি সব কিছু তুলে ধরা হয়েছে। মুক্তির পর ছবিটি আড়াই মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল।

;

প্রথমবার এক ফ্রেমে জয়া-স্বস্তিকা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টলিউডে জয়া আহসানের যাত্রা এক দশকের। এই সময়ে, তিনি বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছেন, অর্জন করেছেন অসংখ্য পুরস্কার। স্বস্তিকা মুখার্জি এই দৌড়ে জয়ার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী যিনি টলিউডে অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত। গ্ল্যামারের সীমানা ছাড়িয়ে, তারা দুজনেই গল্প-ভিত্তিক কাজে মুগ্ধতা ছড়াতে সক্ষম। তাই ভক্তরা তাদের অভিনয়কে ভালোবাসে এবং তাদের বাংলার দেবী বলে ডাকে।

তবে তারা দুজন একই ইন্ডাষ্ট্রিতে কাজ করলেও, এতোদিন সরাসরি তাদের দেখাই হয়নি। একসঙ্গে অভিনয়তো দূরের কথা। এবার প্রথমবারের মতো এই দুই অভিনেত্রীকে মুখোমুখি করলেন কলকাতার একটি ম্যাগাজিন। একসঙ্গে কাজের পাশাপাশি ক্যামেরাবন্দীও হয়েছেন তারা।

ভারতীয় গণমাধ্যম “দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস” এর ম্যাগাজিন “ইনডালজ” এর জন্য প্রথমবার একসঙ্গে একটি ফটোশুটে অংশ নিলেন জয়া ও স্বস্তিকা। তাদের শেয়ার করা ছবিতে গ্ল্যামারাস লুকে দেখা গেছে এই লাস্যময়ী দুই অভিনেত্রীকে।

পত্রিকাটির সিনিয়র সহকারী সম্পাদক শর্মিষ্ঠা ঘোষাল ফটোশুটের একটি ছবি পোস্ট করে বিষয়টি সামনে আনেন। তারকা জুটিকে 'দেবী' বলেও সম্বোধন করেন তিনি।

তিনি লিখেছেন, “এই সময়ে ব্রেকিং নিউজ সম্ভব নয় কে বলেছে? প্রশ্রয় শুধু এটা করেছে! প্রথমবারের মতো আমরা অভিনয়ের দুই দেবী স্বস্তিকা মুখার্জি এবং জয়া আহসানকে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে একটি নতুন ফটোশুটের জন্য একসঙ্গে পেয়েছি।”

শর্মিষ্ঠা জানান, দু”জনেই নিজ নিজ জায়গায় তারকা। তবে জয়া ও স্বস্তিকার এর আগে কখনো মুখোমুখি হননি। তাদের ফটোশুটের বিশদ বিবরণ ৩১ মার্চ ম্যাগাজিনের বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত হবে।

;