কান চলচ্চিত্র উৎসবের আসরে বিজয়ী হলেন যারা



কামরুজ্জামান মিলু, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সময় শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর ঘোষণা করা হয় ৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের বিজয়ীদের নাম। আবারও কান চলচ্চিত্র উৎসবে নারী নির্মাতার বাজিমাত। ৭৬তম আসরে স্বর্ণপাম বা পামদর পেয়েছেন ফ্রান্সের নির্মাতা জাস্টিন ত্রিয়েত। তিনি ‘অ্যানাটমি অব আ ফল’ সিনেমার জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন। কানের ইতিহাসে নারী নির্মাতাদের মধ্যে জেন ক্যাম্পিয়ন প্রথম স্বর্ণপাম জিতেছেন ১৯৯৩ সালে। এরপর ২৮ বছরের বিরতি দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ২০২১ সালে ‌তিতান সিনেমার জন্য স্বণর্পাম জেতেন ফরাসি নির্মাতা জুলিয়া দুকুরনো। এক বছরের ব্যবধানেই তৃতীয় নারী নির্মাতা হিসেবে বাজিমাত করলেন জাস্টিন ত্রিয়েত।

এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়েছে ২০টি সিনেমা ও ১টি তথ্যচিত্র। এসব সিনেমার মধ্যে একাধিক পরিচালক রয়েছেন, যাঁরা এর আগেও উৎসবের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পামদর বা স্বর্ণপাম ঘরে তুলেছেন। এই তালিকায় ছিলেন কেন লোচ, নুরি বিলগে জিলান, আকি কাউরিসমাকি, নানি মোরেত্তিও, টড হায়েন্সে, হিরোকাজু কোরে এদা, ভিম ভেন্ডার্সসহ খ্যাতিমান নির্মাতারা।

 

৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের বিজয়ী তালিকা
মূল প্রতিযোগিতা

স্বর্ণপাম: অ্যানাটমি অব অ্যা ফল (জাস্টিন ত্রিয়েত, ফ্রান্স)
গ্রাঁ প্রিঁ: দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট (জনাথন গ্লেজার, যুক্তরাজ্য)
সেরা পরিচালক: ট্র্যান আন হাং (দ্য পত অঁ ফু, ভিয়েতনাম/ফ্রান্স)
জুরি প্রাইজ: ফলেন লিভস (আকি কাউরিসমাকি, ফিনল্যান্ড)
সেরা অভিনেতা: ফুজি ইয়াকুশো (পারফেক্ট ডেজ, জাপান)
সেরা অভিনেত্রী: মারভে দিজদার (অ্যাবাউট ড্রাই গ্রাসেস, তুরস্ক)
সেরা চিত্রনাট্যকার: ইউজি সাকামাতো (মনস্টার, জাপান)
ক্যামেরা দ’র: থিয়েন আন ফাম (ইনসাইড দ্য ইয়েলো কোকুন শেল, ভিয়েতনাম)
সম্মানসূচক স্বর্ণপাম: মাইকেল ডগলাস, হ্যারিসন ফোর্ড

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: টোয়েন্টি সেভেন (ফ্লোরা আন্না বুদা, ফ্রান্স ও হাঙ্গেরি)
স্পেশাল মেনশন (স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি): ফার (কুন্নুর মার্তিন্সদত্তির স্লুতার, আইসল্যান্ড)

আঁ সাঁর্তা রিগা

সেরা চলচ্চিত্র: হাউ টু হ্যাভ সেক্স (মলি ম্যানিং ওয়াকার, যুক্তরাজ্য)
জুরি প্রাইজ: হাউন্ডস (কামাল লাজরাক, মরক্কো)
সেরা পরিচালক: আসমা এল মুদির (দ্য মাদার অব অল লাইস, মরক্কো)
সেরা অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীর সম্মিলন: দ্য বুরিটি ফ্লাওয়ার (জোয়াও সালাভিৎসা, পর্তুগাল এবং রেনে নাদের মেসোরা, ব্রাজিল)
ফ্রিডম প্রাইজ: গুডবাই জুলিয়া (মোহাম্মদ কোর্দোফানি, সুদান)
নিউ ভয়েস অ্যাওয়ার্ড: অমেন (বালোজি, বেলজিয়াম/কঙ্গো)

লা সিনেফ

প্রথম পুরস্কার: নরওয়েজিয়ান অফস্প্রিং (মারলেয়ানা এমিলিয়া লিংস্তা, ন্যাশনাল ফিল্ম স্কুল অব ডেনমার্ক)
দ্বিতীয় পুরস্কার: হোল (হোয়াং হাইন, কোরিয়ান অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম আর্টস)
তৃতীয় পুরস্কার: মুন (জিনেব ওয়াকরিম, ইএসএভি মারাকেশ)

মুক্ত পুরস্কারের তালিকা
ফিপরেসি অ্যাওয়ার্ড

মূল প্রতিযোগিতা: দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট (জনাথন গ্লেজার, যুক্তরাজ্য)
আঁ সাঁর্তা রিগা: দ্য সেটেলার্স (ফেলিপে গালভেজ আবের্লে, চিলি)
প্যারালাল শাখা (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস’ উইক): পাওয়ার অ্যালি (লিলা হালাহ, ব্রাজিল/প্রথম সিনেমা)

ইকুমেনিকাল জুরি পুরস্কার: পারফেক্ট ডেজ (ভিম ভেন্ডার্স, জার্মানি)

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস’ উইক

গ্র্যান্ড প্রাইজ (গ্রাঁ প্রিঁ): টাইগার স্ট্রাইপস (আমান্ডা নেল ইউ, মালয়েশিয়া)
ফ্রেঞ্চ টাচ জুরি প্রাইজ: ইট’স রেইনিং ইন দ্য হাউস (পালোমা সারমন-দাই, বেলজিয়াম)
লাইৎজ সিনে ডিসকোভারি প্রাইজ (শর্ট ফিল্ম): বোলেরো (ন্যঁ ল্যাবোর-দ্যুজুরদা, ফ্রান্স)
লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড: জোভান গিনিচ (লস্ট কান্ট্রি, সার্বিয়া)
গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন: ইনশাল্লাহ অ্যা বয় (আমজাদ আল রশীদ, জর্ডান)
ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (শর্ট ফিল্ম): বোলেরো (ন্যঁ ল্যাবোর-দ্যুজুরদা, ফ্রান্স)
এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড: দ্য র‌্যাপচার (ইরিস ক্যালটেনব্যাক, ফ্রান্স)

ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট

সেরা ইউরোপিয়ান সিনেমা (ইউরোপা সিনেমাস লেবেল অ্যাওয়ার্ড): ক্রেয়াতুরা (এলেনা মার্তিন হিমেনো)
সেরা ফরাসি ভাষার সিনেমা (এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড): অ্যা প্রিন্স (পিয়ের ক্রোঁতো)
সেরা শর্টফিল্ম: ক্যারোস দ’র: সুলেমান সিসে

   

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

  • Font increase
  • Font Decrease

'সরলতার প্রতিমা’ ও ‘ফেরানো গেল না তাকে’র মত গানের শিল্পী খালিদ সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ঢাকায় জানাজা শেষে সংগীত শিল্পী খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের জানাজা হয়। এই শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, গীতিকার কবির বকুল, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, সংগীত শিল্পী জয় শাহরিয়ারসহ অনেকে।

পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে আরেক দফা জানাজা হবে। তারপর শহরের নয়া গোরস্থানে শায়িত হবেন খালিদ।

গোপালগঞ্জে তার বড় ভাই আছেন, তিনিই সব প্রস্তুতি দেখছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় গ্রিনরোডের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন খালিদ, সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয় কমফোর্ট হাসপাতালে। সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই শিল্পীর পুরো নাম খালিদ সাইফুল্লাহ। আশি ও নব্বইয়ের দশকের ব্যান্ড সংগীতের শ্রোতারা তাকে খালিদ নামেই চেনেন। ১৯৬৫ সালের ১ অগাস্ট গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এ শিল্পী স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন।

গানের জগতে খালিদের যাত্রা ১৯৮১ সালে। ব্যান্ড দল ‘চাইম’- এ যোগ দেন ১৯৮৩ সালে।

'সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ এমন বহু শ্রোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন খালিদ।

১৯৮৯ সালে ‘নাতি খাতি বেলা গেল’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তার পর প্রথম বিদেশ সফরের ডাক আসে। সেবার কাতারের দোহায় একটি অনুষ্ঠানে গান করতে গিয়েছিলেন খালিদ।

গত কয়েক বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরেন। খালিদের স্ত্রী ও ছেলে যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছেন।গ্রামের বাড়ির পথে খালিদের কফিন

;

খালিদের সেরা ৫ গান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী খালিদ। ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অন্যলোকে পাড়ি দিলেন তিনি। কিন্তু তার স্মৃতি, গায়কী থেকে গেছে শ্রোতাদের মাঝে। এই লেখায় থাকল খালিদের জনপ্রিয় পাঁচটি গানের কথা।

সরলতার প্রতিমা
খালিদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান সরলতার প্রতিমা। গানটি লিখেছিলেন তরুণ। সুর ও সঙ্গীত করেছিলেন জুয়েল-বাবু।

যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে
মধ্য নব্বইতে গেয়েছিলেন এই গান। লিখেছিলেন লতিফুল ইসলাম শিবলী। সুর করেছিলেন প্রিন্স মাহমুদ। কাব্যধর্মী গানটি অনেকেরই বেশ পছন্দের।

কোনো কারণেই
প্রিন্স মাহমুদের লেখা ও সুর করা গান। খালিদের কণ্ঠের এই গান শ্রোতাদের কাছে বিরহগীতি হিসেবেই পরিচিত।

যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে
এই গানটিও প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে। খালিদের অসাধারণ গায়কী গানটিকে শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে দেয়। গানটি দেড় দশক পরেও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।

নাতি খাতি বেলা গেল
হাফিজুর রহমানের এই গানটি করেছিল চাইম। গেয়েছিলেন খালিদ। চাচীর দুঃখ অ্যালবামে স্থান পেয়েছিল লোকগানটি, যার মধ্যেও খালিদ তার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

;

খালিদের সেই গান আজও ফিরে মুখে মুখে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

যার গান শুনে অনেক অনেক তরুণ-তরুণীর বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যা পেরিয়েছে সেই 'চাইম' ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। তার বিদায়ে সঙ্গীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সাল থেকে গানের ভুবনে পথচলা শুরু করেন। তিনি আশি ও নব্বইয়ের দশকে ভোকালিস্ট হিসেবে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন।

তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ ইত্যাদি। গানগুলো এখনও ফিরে মানুষের মুখে মুখে।

অনেকদিন ধরেই গানের সঙ্গে নেই খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে যেনো দূরে সরেন। বেছে নেন প্রবাস জীবন। আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ। নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

;

শেষ সময়টায় প্রবাসী জীবন বেছে নিয়েছিলেন খালিদ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সংগীতশিল্পী খালিদ

সংগীতশিল্পী খালিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক দিন ধরেই গানের সঙ্গে ছিলেন না 'সরলতার প্রতিমা' খ্যাত খালিদ। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে একেবারেই গান থেকে দূরে সরে যান, বেছে নেন প্রবাস জীবন।

আমেরিকার নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস করতেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশুনা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসলেও একাই থাকতেন খালিদ।

নিজের গন্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে। এবারও এলেন। কিন্তু আর প্রবাসে ফেরা হলো না। ফিরলেন অনন্তের পথে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজধানীর গ্রিন রোডে একটি হাসপাতালে মারা যান চাইম ব্যান্ডের জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পী। এদিকে তার প্রথম নামাজে জানাজা সোমবার রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।

খালিদের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে- সরলতার প্রতিমা, যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে, হয়নি যাবারও বেলা, যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে, তুমি নেই তাই।

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী খালিদের গান একসময় পাড়া-মহল্লার শ্রোতাদের মুখে মুখে থাকত, বাজত বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন দোকানে।

;