রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প ‘তপস্বিনী’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘তপস্বিনী’। নাটকের প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো ও জাকিয়া বারী মম। এতে বরদানন্দ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো এবং ষোড়শী চরিত্রে দেখা যাবে জাকিয়া বারী মমকে।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, মাখন লালের ছেলে বরদানন্দ। নামের সঙ্গে মাখন লালের স্বভাবের কোনো মিল নেই। তাঁর মন গলানো খুব কঠিন। তাঁর অভিপ্রায় যতদিন ছেলে বরদানন্দ বিএ পাস না করে ততোদিন তাঁর বৌমা ষোড়শীর কাছ থেকে দূরে থাকবে। কিন্তু পড়াশোনার ধাত ছিল না শৌখিন বরদানন্দের মধ্যে। তাঁর বড় ইচ্ছে ছিল বিয়ের পর তামাক খাবে আর বউ নিয়ে আরামে এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করবে। অন্তত পড়াশোনাটা করতে হবে না তাঁকে। কিন্তু বরদানন্দর বিবাহোত্তর পর্বে তাঁর বাবা মাখন আরও কঠোর হয়ে উঠেন। ছেলেকে বিএ পাস করতেই হবে। আর তারপরেই সে ষোড়শীর সাক্ষাৎ পাবে। বরদানন্দের বিধবা পিসিকে মাখন বাবু নিযুক্ত করলেন বরদা ও ষোড়শীকে পাহারা দেওয়ার জন্য। আর শহরের যাবতীয় শিক্ষকমণ্ডলী নিয়োগ করলেন ছেলেকে বিএ পাস করাতে। পড়াশোনা বিমুখ বরদানন্দ প্রতিবারই অকৃতকার্য হতে লাগলো। আর ষোড়শীর দিন কাটতে লাগলে বরদার তপস্যায়। এভাবেই এগিয়ে যায় গল্পটি মিলনের দিকে।
বিজ্ঞাপন
অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন দিলারা জামান, জিয়াউল হাসান কিসলু, হেলাল, হান্নান শেলী প্রমুখ।
নাটকটির নাট্যরূপ ও পরিচালনায় রয়েছেন সুমন আনোয়ার। নাটকটি রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আরটিভিতে প্রচারিত হবে ৬ আগস্ট রাত ৮টায় মিনিটে।
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা চেরি। ইতোমধ্যেই ডজনখানেক ছবি উপহার দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন নায়িকা। তবে বর্তমানে সিনেমা বা শ্যুটিং এর ব্যস্ততা না থাকলেও নানাবিধ মেকওভারে শ্যুট বা মডেলিংয়ে সময় দিচ্ছেন পূজা চেরি। কখনো বিভিন্ন রঙের শাড়িতে আবার কখনো গাউনের মতো পোশাকে ভিন্ন সাজে নিজেকে ধরা দিচ্ছেন।
নায়িকা পূজা চেরির সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ছিল একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। বলা যায়, ঢালিউড মেগাস্টার শাকিবের ডাকে একজন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত হওয়ার সময় এক দুর্ঘটনার মধ্যে পড়তে যচ্ছিলেন নায়িকা!
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, ওই অনুষ্ঠানে বেগুনী রঙের একটি অফসোল্ডার গাউন পরে উপস্থিত হয়েছেন নায়িকা। তখন চলন্ত সিঁড়ি নেমে আসছিলেন নায়িকা। এসময় তার গাউনের পাইর সেই চলন্ত সিঁড়ির ফাঁকে আটকে যায়! এরপর তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন সেটা ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে সেটা বের করতে সফল হন তারা।
তবে এমন অবস্থায় পূজার মুখে কোনো শঙ্কার ছাপ না দেখা গেলেও তার অনুরাগীরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। যেন সাক্ষাৎ বড় কোনো দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন নায়িকা!
ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিওতে এক নেটিজেনের মন্তব্য ছিল, ‘ভাগ্যিস, খারাপ কিছু হয়নি। তবে এমন ড্রেস পরার সময় সাবধানতা জরুরি।’ আরেকজন আবার খানিকটা কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘যে পোশাক সামলাতে পারে না, সে পোশাক পরতে যায় কেন!’
সম্প্রতিই ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের ডাকে তারকাদের হাঁট বসেছিল রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। উপলক্ষ্যে ছিল হাইজিনিক টয়লেট ক্লিনিং ব্র্যান্ড টাইলক্সের ‘টাইলক্স হাইজিনিক আবাস’ নামের একটি ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন। সেখানকার আয়োজনের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে তারকাদের মিলনমেলার মুহূর্ত উঠে আসে।
শাকিব খান ও পূজা চেরি ছাড়াও সেদিন অনুষ্ঠানে ছিলেন সিয়াম আহমেদ, পরীমণি, বিদ্যা সিনহা মিম, দীঘিসহ অনেকে। বলা যায়, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে নানান অংশীদারিত্ব রয়েছে এ সকল তারকাদের সঙ্গে।
লেখালেখি, সঙ্গীত পরিচালনা, উপস্থাপনার পর এবার অভিনয়ে নাম লেখালেন তানভীর তারেক। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া অনন্য মামুন পরিচালিত ‘দরদ’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ
এখন থেকে কী অভিনয়ে নিয়মিত হবেন?
তা কখনওই না। অভিনয় আমাকে দিয়ে হবে না। ‘দরদ’-এর ব্যাপারটা ভিন্ন, কারণ এখানে আমি ‘তানভীর তারেক’ হিসেবেই হাজির হয়েছি। অনন্য মামুন আমাকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন অনেক আগে। এরপর একদিন হুট করেই বলেন, আমাকে একটি চরিত্রে কাজ করতে হবে। প্রথমে রাজী হইনি। পরে মামুন বললেন যে- ছবিতে আমি আমার চরিত্রেই থাকবো। ভাবলাম নিজের ক্যাম্পেইন হোক, ক্ষতি কী! আর শাকিব খানের ছবির একটা বাড়তি ক্রেজ করে। এরপর শুটিং করলাম।
শাকিব খানের মুভিতে নিজেকে বড় পর্দায় দেখে কেমন লাগলো?
আমার তো ভালই লেগেছে। বিশেষ করে আমি বলতে চাই, বড় পর্দায় আমার ছেলে আমাকে দেখে খুব অবাক আর খুশী হয়েছে। হলে সে চিৎকার দিয়ে উঠেছে। যেহেতু দেশের বাইরে। এই দৃশ্যটা আমি মিস করেছি। ছেলে আমাকে ফোন দিয়েছে সিনেমা হলে বসেই। ছেলের ঐ উচ্ছ্বাসটুকুর জন্য হলেও এই কাজটি আমার স্বার্থক। অনন্য মামুনের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
এর আগে তো আফজাল হোসেন এর নির্মানে একটি ছবিতেও অভিনয় করেছেন?
হুম, সেখানেও আমি আমার চরিত্রেই। একজন সঙ্গীতপরিচালক হিসেবে কাজ করেছি। ওটা অনেকটা আফজাল হোসেনের আদেশে মান্য করার জন্য করা। সরকারী অনুদানের শিশুতোষ সেই চলচ্চিত্রটি এখনও মুক্তি পায়নি।
বেশ দীর্ঘ সময় ধরে আপনি যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখানে একটি শো করেছেন। দেশে কী সহসা ফিরবেন না?
ফিরবো তো বটেই। এখানে এটিভি ইউএসএ চ্যানেলে ‘সমকালীন বাংলাদেশ’ নামের একটি অনুষ্ঠান করছি। অনুষ্ঠানটি সমকালীন রাজনীতি নিয়ে। সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের নিয়ে শো’টা আমি উপস্থাপনা করছি। এরইমধ্যে ১২টি পর্ব প্রচার হয়েছে। বর্তমান সময় ও বাংলাদেশের পলিটিক্যাল কালচার নিয়ে আলোচনা হয়। চ্যানেলটির জন্য নাটক লিখছি ও ডিজিটাল প্লাটফর্মে কাজ করছি। একই সাথে অনলাইনে কোলাহলও দেখাশোনা করছি। খুব শিগগিরই দেশে ফিরবো।
মোটেই না। তবে এবার একটি কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে খুব ভালো লাগছে, তা হলো আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর পর প্রথম কোনো আনরিলিজ গান নিয়ে একটি কাজ করেছি আমি। গানটা প্রখ্যাত গীতিকবি নিয়াজ আহমেদ অংশু’র লেখা। গানটির নাম ‘ইনবক্স’। গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছি আমি।
অভিনয়, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন ও মিউজক ভিডিও নির্মাণ- তার মানে পুরোদস্তুর ভিজ্যুয়াল মিডিয়াতেই ব্যস্ত আপনি?
না, গানটাও চলছে। দুটি চলচ্চিত্রের গানের কাজ করলাম। এখানে একটি পোর্টেবল রেকর্ডিং স্টুডিও রয়েছে আমার। এর সাথে কাইনেটিকের তানভীর শাহিনের ‘থ্রি এম স্টুডিওতে’ কাজ করলাম। সে গানগুলোও রিলিজ পাবে।
এখনকার কন্টেন্ট ও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ কী বলে মনে করেন?
ভবিষ্যত ভালো, তবে খুব প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও ঝুঁকিপুর্ণ। আগামীতে কাউকে তারকাখ্যাতি পেতে অনেক বেগ পেতে হবে। প্রচুর ভিউ হয়ত সে পাবে, কিন্তু তারকা হতে পারবে না। ভক্তদের মোহের মানুষ আগামীতে কমে যাবে। আজ আপনি গ্রামে যান, সেখানেও দেখবেন পপুলার টিকটকার রয়েছে। সেই টিকটকার ঐ এলাকায় শাহরুখ খানের সমাদর পাচ্ছে। তাই এখন সারাদেশের মোড়ে মোড়ে শাহরুখ খান। সুতরাং প্রত্যেকের ভেতরে এই যে কন্টেন্ট-এর নেশা ও এ থেকেই অর্থ আয়ের যে বিষয়, এটা আমাদের অস্থির করে তুলেছে। অনেকটা ঝড়ে আম পড়ার মতো অবস্থা! গ্লোবাল কন্টেন্ট ইন্ডাষ্ট্রিতেও এখন একই চিত্র। তাই চোরও যেমন আম কুড়াতে আসছে, ভদ্রলোকও আসছে। আম পাবার সুযোগটা সেও ছেড়ে দিতে চাইছে না! কাউকেই আপনি দোষ দিতে পারবেন না। এটা নিয়তি বা প্রযুক্তির প্রবণতা। আপনি এ থেকে বেরোতে পারবেন না।
মন্ত্রণালয়ের দৈনন্দিন কাজের বাইরে সাতটি অগ্রাধিকার কার্যক্রম ঘোষণা করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। গতকাল (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা তুলে ধরেন তিনি।
সাতটি অগ্রাধিকার কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভল্যুশন’, ‘তারুণ্যের উৎসব’, ‘দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান’, ‘ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রি প্রকল্প’, ‘বাংলা একাডেমি সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা ও গবেষণা প্রকল্প’, ‘জাতীয় জাদুঘরে আধুনিক ভিডিও প্রক্ষেপণ ব্যবস্থা স্থাপন’ এবং ‘শো-ক্রিয়েটর ওয়ার্কশপ’।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাফরিজা শ্যামা প্রথমে সাতটি অগ্রাধিকার কার্যক্রমের বিষয়টি তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা এবং নবতরঙ্গ সৃষ্টি করবে ‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভল্যুশন’। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ৮ জন শীর্ষ নির্মাতার মাধ্যমে ৮টি বিভাগে ৮টি ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরির কর্মশালার আয়োজন করা হবে। কর্মশালার আউটপুট হিসেবে ৮টি মাঝারি দৈর্ঘ্যের ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করা হবে। এ ছাড়া ৮টি নতুন থিয়েটার প্রোডাকশন তৈরি করা হবে। দেশের তরুণদের কাছে জনপ্রিয় শীর্ষস্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে নজরুলের গানের একটি অ্যালবাম তৈরি করা হবে এবং এর প্রকাশনা উপলক্ষে ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কনসার্ট আয়োজন করা হবে। এই কনসার্টটি সারা দেশে সম্প্রচার করা হবে। তা ছাড়া ফটোগ্রাফি পেইন্টিং ও কার্টুন প্রদর্শনী করা হবে।
রিমেম্বারিং মনসুন রেভল্যুশনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ফারুকী বলেন, ‘এর মাধ্যমে জুলাই–আগস্ট বিপ্লবের গল্প শোনানো হবে। একই সঙ্গে বিগত সরকারের ১৫ বছরের নির্যাতন ও দুর্নীতির গল্প শোনানো হবে। আগামী বছর জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।’
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘তারুণ্যের উৎসব’ আয়োজন করবে বাংলাদেশ সরকার, যেখানে দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশি শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং যুবক-যুবতীদের মধ্যে নতুন সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচি আয়োজন করবে মন্ত্রণালয়। ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রি প্রকল্পের’ অংশ হিসেবে একটা বৃহৎ ডিজিটাল আর্কাইভিং করা হবে। ‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভল্যুশন’–এ যে লাখো মানুষ যুক্ত হয়েছে, তাদের অংশগ্রহণের ইতিহাস ভিডিও ক্যামেরায় রেকর্ড করে সংগ্রহ করা হবে। এই ভিডিওগুলো প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে ‘
ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘দেশের সব মানুষের কাছে আহ্বান জানানো হবে জুলাই অভ্যুত্থানে যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তারা যেন নিজের মুঠোফোনে সেসব ঘটনার বয়ান দেন। কীভাবে গুলি করেছে, কীভাবে মারা গেছেন, তার বেদনার গল্পটা যেন বলেন। যারা আহত হয়েছেন, তারাও নিজেদের কথা বলবেন। কারা তাদের আক্রমণ করেছে, তারা কীভাবে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন এসব বিষয় ভিডিও করে পাঠাবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এসব রেকর্ডিং আর্কাইভে সংরক্ষণ করবে। ফারুকী বলেন, অপরাধী তার অপরাধ মুছতে চায়। বিগত সরকারের সেসব অপরাধ মুছতে দেওয়া হবে না।’
সংবাদ সম্মেলেন জানানো হয়, বাংলা একাডেমি প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের জন্য সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা এবং বই প্রকাশ করবে। পাশাপাশি ৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ ও ১০টি এক বছর মেয়াদি গবেষণাবৃত্তি প্রদান করবে। জাতীয় জাদুঘরের অডিটরিয়ামে প্রক্ষেপণ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করা হবে, যাতে স্টেজ পারফরম্যান্সসহ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র/ডকুমেন্টরি ও অন্যান্য ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট বছরব্যাপী প্রদর্শন করা যায়। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ-তরুণীদের জন্য শো-ক্রিয়েটর কর্মশালা আয়োজন করা হবে।
ফারুকী বলেন, ‘বিপ্লবের পর এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে কালচারাল ব্রিজ তৈরি করা। আমরা বলতে চাই, এই বাংলাদেশটা সবার। এখানে ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে আলাদা করা যাবে না। আমাদের সাংস্কৃতিক পলিসির মূলে থাকবে বহুজন, বহু ধর্ম, বহু ভাষা, সবার সংস্কৃতি এবং সবার সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোর জন্য আমরা কাজ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এতকাল সংস্কৃতিকে সংকীর্ণ জায়গা থেকে দেখেছি। আমরা দেখেছি, সংস্কৃতি বলতে শুধু গান–বাজনা–নাচ–সিনেমা। তবে এসব সংস্কৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল কিছু মানুষ। বর্তমান সরকার এসব সংকীর্ণ জায়গা থেকে উঠে আসবে।’
ফারুকী বলেন, ‘সাতটি কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে নতুন প্রাণের স্পন্দন হবে। জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরে ফারুকী বলেন, আওয়ামী লীগ এখনো অভ্যুত্থান অস্বীকার করছে। তারা এখনো ক্ষমা চায়নি। তাদের পাল্টা জবাব দিতে হবে। সাতটি কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক উন্মাদনা তৈরি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আতাউর রহমান, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলীসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক বিজয় দেবেরাকোন্ডার ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে রয়েছে নানা গুঞ্জন। বিশেষ করে ‘পুষ্পা’খ্যাত অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার সঙ্গে সম্পর্কের খবর দীর্ঘদিন ধরেই শিরোনামে উঠে আসছে। যদিও দুজনের কেউই এখন পর্যন্ত নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। এদিকে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিজয় দেবেরাকোন্ডা তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে মুখ খুলেছেন।
যেখানে বিজয় তার সম্পর্কের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি, তবে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, এখন তিনি প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। অভিনেতা বলেন, ‘এখন আমি একা নই। আমার জীবনে বিশেষ কেউ আছে, তবে আমি তার নাম বলতে চাই না।’ এরপরই তার ভক্তরা খুশিতে আত্মহারা, কারণ তারা অনেক দিন ধরে রাশমিকার সঙ্গে বিজয়ের সম্পর্কের গুঞ্জন শুনে আসছেন।
সেই সাক্ষাৎকারে প্রেমের বিষয়ে বিজয় বলেন, ‘নিঃশর্ত ভালোবাসা একটি রোমান্টিক অনুভূতি, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে, ভালোবাসা কখনোই নিঃশর্ত নয়। ভালোবাসা আসে কিছু প্রত্যাশা নিয়ে। তবে আমি জানি, ভালোবাসা অনুভব করার মুহূর্তে কী হয়, সেটা আমি অনুভব করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আমি এখনও জীবনে এমন কাউকে পাইনি যিনি তার সঙ্গী থেকে কোনো প্রত্যাশা রাখেন না। ভালোবাসা হতে পারে অনেক বড় অনুভূতি, তবে এর মধ্যে কিছুটা প্রত্যাশা তো থাকতে হবেই।’
এ ছাড়াও তিনি বিয়ে নিয়ে খোলাখুলি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে আমার ক্যারিয়ারের মাঝখানে বিয়ে কোনো প্রভাব ফেলবে। তবে নারীদের জন্য এটি একটু কঠিন হতে পারে, কারণ পেশাগত জীবনের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনকে সামলানো সহজ নয়।’
এদিকে, বিজয় তার সহশিল্পীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি একাধিকবার সহঅভিনেত্রীদের সঙ্গে ডেট করেছি। তবে আমি ডেটিং করি না। আমি তখনই বাইরে যাই, যখন আমি কাউকে ভালোভাবে চিনি এবং বন্ধুত্বের একটা দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে ওঠে।’