চলতি বছরের শুরুর দিকে অভিনেতা আদিত্য রয় কাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙে বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডের। তার পরে নাকি ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। প্রায়ই বিষণ্ণ থাকতেন, কান্নাকাটিও করতেন। অনন্যার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এই প্রথম নয়। ক্যারিয়ারের শুরু দিকে অভিনেতা ঈশান খাট্টারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান চাঙ্কি পান্ডে-কন্যা। সে বারও মন ভাঙে অনন্যার।
প্রতিবারই সম্পর্কের জন্য কিছু না কিছু আপস করেছেন তিনি। এ বার শোনা যাচ্ছে, অম্বানীদের বেতনভুক্ত কর্মচারী ও সাবেক সুপার মডেল ওয়াকার ব্লাঙ্কোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন অনন্যা। কিন্তু বাকি দু’বারের মতো আর আপস করবেন না, প্রেমিকের জন্য বেঁধে দেবেন শর্ত, জানালেন অনন্যা।
গত কয়েক বছরে বার বার নিজের চাওয়া-পাওয়াকে অবহেলা করে গুরুত্ব দিয়েছেন প্রেমিকের ইচ্ছেকে। তারা যেমনটা চেয়েছেন তেমনটাই করছেন। তারা যেমন খাবার খেতে চাইতেন তাতেই হ্যাঁ বলছেন। নিজের অনেকটা বদল ঘটিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি কাউকেই।
অনন্যার কথায়, ‘সকলকেই হয়তো পাল্টাতে হয়। আমিও নিজেকে অনেকটা বদলে ফেলেছিলাম। বলছি না তাতে আমার কোনও ক্ষতি হয়েছে। আমি বরাবর ভালবাসার মানুষের মনের মতো হওয়ার চেষ্টা করেছি। তাদের ‘হ্যাঁ’-তে ‘হ্যাঁ’ বলেছি। তারা বাড়িতে থাকতে চাইলে সেটা মেনে নিয়েছি, নিজেকে পিছনে রেখেছি সব সময়।’
কিন্তু এবার আর তেমনটা করবেন না অনন্যা। অভিনেত্রী সাফ জানান, আর আপস করবেন না বরং তিনি যেমন, তার প্রেমিককে সে ভাবেই তাকে গ্রহণ করতে হবে।
বয়স বেড়েছে, বদলেছে প্রেমের সংজ্ঞা। অনন্যার কথায়, ‘আমার একটাই চাহিদা, এমন মানুষ চাই যে আমার কথা শুনবে। আমার ছোটখাটো বিষয়গুলো মনে রাখবে। এমন নয় যে আমার সমস্যার সমাধান করে দিতে হবে, কেবলমাত্র শুনলেই হবে।’
কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপের সূত্র ধরে তামিল সিনেমার দুই শীর্ষ তারকার মধ্যে বিরোধ এখন চরমে। যা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
অভিযোগ, নয়নতারা পরিচালিত নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারি ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারি টেল’-এ ধানুষের অনুমতি ছাড়াই কয়েক সেকেন্ডের ফুটেজ ব্যবহার করেছেন। যেটা ধানুষের প্রযোজনা সংস্থা নানুম রাউডি ধান-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। এমন অভিযোগে নয়নতারা, তার স্বামী ভিগনেশ শিবান এবং তাদের প্রোডাকশন হাউজ রাউডি পিকচার্স প্রাইভেট লিমিটেড-এর বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন ধানুষ।
ধানুষের আইনজীবী পি.এস. রামান আদালতে এই মামলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে নয়নতারা এবং নেটফ্লিক্সের পক্ষে আইনজীবী সত্যীশ পরাশরণ এবং আর. পার্থসারথি এই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানান। শুনানি শেষে বিচারক ধানুষের আবেদনে সম্মতি দেন।
এই আইনি পদক্ষেপের আগে ধানুষ গত সপ্তাহে একটি আইনি নোটিশ জারি করেন, যেখানে তিনি দাবি করেন যে নয়নতারা এবং নেটফ্লিক্স ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার প্রযোজনার ফুটেজ সরিয়ে না নিলে তিনি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তার আইনজীবীর বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘আমার মক্কেলের কপিরাইট লঙ্ঘন করে আপনার ক্লায়েন্ট যে ফুটেজ ব্যবহার করেছেন, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলুন। তা না হলে, আমার মক্কেল ১০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণসহ উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।’
এদিকে, নয়নতারা ইনস্টাগ্রামে একটি খোলা চিঠিতে ধানুষের ক্ষতিপূরণের দাবিকে ‘সবচেয়ে নিচু পর্যায়’ বলে অভিহিত করেন। তিনি জানান, ‘শাহরুখ খান, চিরঞ্জীবী, রাম চরণ এবং অন্যান্য প্রযোজকরা তাদের সিনেমার ফুটেজ ব্যবহারের জন্য কোনও ধরনের দ্বিধা ছাড়াই আমাকে অনুমতি দিয়েছেন। অথচ ধানুষ এই আচরণ করছেন।’
মাস কয়েক আগেই ঢাকা মাতিয়ে গেলেন পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলাম। চলতি মাসের শেষ দিকে ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ শীর্ষক এক কনসার্ট মাতাতে আবারও ঢাকায় আসছেন তিনি। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে টিকিট বিক্রিও।
আর সেই কনসার্টের টিকিট ক্রেতাদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিল একটি চক্র। এরপর সেই চক্রের বিরুদ্ধে গত ১৮ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে আয়োজক প্রতিষ্ঠান ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশনস। এবার সেই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
ওই মামলায় গত রবিবার ঢাকার পাইকপাড়া থেকে আরিফ আরমান (৩০) নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম।
টিকিট টুমরো প্ল্যাটফর্মে সাইবার আক্রমণের জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আশরাফুল আলম বলেন, কনসার্টের টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইটে ঢুকে ক্রেতাদের তথ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ২৯ নভেম্বর আর্মি স্টেডিয়ামে গাইবেন আতিফ আসলাম।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড সেইলর তাদের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকা সিয়াম আহমেদ এবং বিদ্যা সিনহা মিমকে চুক্তিবদ্ধ করেছে। সম্প্রতি এক আয়োজনের মাধ্যমে এ ঘোষণা করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে সেইলরের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেজাউল কবির এবং ইপিলিয়ন গ্রুপের পরিচালকবৃন্দ সহ উপস্থিত ছিলেন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘আমি আর মিম সিনেমায় খুব বেশি কাজ করিনি। তবে আমরা ভালো বন্ধু। আমরা একসঙ্গে মডেলিং করেছি অনেক। এবার একসঙ্গে সেইলরের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হয়ে ভালো লাগছে। আমি বরাবরই বলি, কোন ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে আমি সেটার ব্যাপারে খোজ খবর নিই। যখন সবকিছু পারফেক্ট মনে হয় তখনই যুক্ত হই। সেইলর তেমনি একটি ব্র্যান্ড। আশা করছি আমাদের মাধ্যমে সেইলর আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছবে।’
বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, ‘সেইলরের ডিজাউন ও কাপড়ের কোয়ালিটি আমার খুব ভালোলাগে। তাই আমি এমনিতেই কিনে পরতাম। আর এখন তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হলাম, ফলে আনন্দ লাগছে। আগেই আমি আর সিয়াম এই ব্র্যান্ডের দুটি প্রমোশনাল কাজ করেছি। মানুষ সেই কাজ দুটি খুব পছন্দ করে। আর এবার অ্যাম্বাসেডর হয়ে মনে হচ্ছে সেইলর আমারই ব্র্যান্ড।’
২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা সেইলর আজ বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড। সেইলর-এর এই উদ্যোগ ফ্যাশন দুনিয়ায় এক বিপ্লব বয়ে আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।
সেইলরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘সিয়াম ও মিমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যোগদান আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। তাদের প্রতিভা, স্টাইল এবং জনপ্রিয়তা সেলরের দর্শনকে পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করে।’
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এই উদ্যোগ শুধু গ্রাহক সন্তুষ্টির দিকে লক্ষ্য রাখে না, বরং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির প্রতি সেইলর-এর দায়বদ্ধতাও প্রতিফলিত করে। সেইলর দেশের ফ্যাশন দৃশ্যপটে এক নতুন মানদণ্ড তৈরি করতে চায়, যেখানে কাস্টমারদের চাহিদা, চিত্তবিনোদন এবং গুণগত মান সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।
এটি সেইলর-এর জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা । প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, এর মাধ্যমে তাদের ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকের দৃষ্টিভঙ্গি ও গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে ।সেইলর এক্ষেত্রে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা , ব্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি ও নতুন সংগ্রহ নিয়ে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেন, যা ব্র্যান্ডটির অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে এবং বাংলাদেশী ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।