ওস্তাদ রশিদ খান স্মরণে জয় গোস্বামীর লেখা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
জয় গোস্বামী ও প্রয়াত ওস্তাদ রাশিদ খান

জয় গোস্বামী ও প্রয়াত ওস্তাদ রাশিদ খান

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ওস্তাদ রশিদ খান আর নেই। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এই কিংবদন্তি। রশিদ খানের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

এই গুণী শিল্পীর অকালে চলে যাওয়ায় সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী ও ২০২২ সালে পদ্মভূষণ সম্মান লাভ করেন ওস্তাদ রশিদ খান। পদ্মভূষণ পাওয়ার পর তাকে নিয়ে জনপ্রিয় কবি জয় গোস্বামীর একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায়। তার স্মরণে সেই লেখাটি তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য-

‘‘এক সত্যিকারের সুসংবাদ এসে পৌঁছেছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতে। ওস্তাদ রাশিদ খান ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান লাভ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের পক্ষেও এ এক বড় সম্মান, কেননা ওস্তাদ রাশিদ খান কলকাতায় বাস করেন এবং তিনি বাংলার আপনজন। ওস্তাদ রাশিদ খানের গান আশির দশক থেকে শুনে আসছি। তাকে আমি পরিবারের সদস্য বলেই মনে করি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওস্তাদ রাশিদ খানকে আগেই সঙ্গীত মহাসম্মান ও বঙ্গবিভূষণে ভূষিত করেছেন। সেই সব অনুষ্ঠানে দু’-এক মিনিটের সৌজন্য সাক্ষাতের সূত্রে তাকে পরিবারের সদস্য হিসেবে দাবি করছি না। তার গান আমরা তিন জনে, অর্থাৎ আমি, কাবেরী ও বুকুন, একসঙ্গে শুনে থাকি প্রায়ই। আমাদের ঘরে তার গান পৌঁছনো মানেই তিনি ঘরের লোক হয়ে উঠেছেন।

কবি জয় গোস্বামী

ওস্তাদ রাশিদ খান তার দাদু ওস্তাদ নিসার হুসেন খানের কাছে প্রাথমিক তালিম পেয়েছিলেন এ কথা সকলেই জানি। তবে রাশিদ খানের গাওয়া ছায়ানট রাগের ‘ঝনক ঝনক ঝন নন নন নন বাজে বিছুয়া’ বন্দিশটি যারাই শুনেছেন তারা জানেন, রাগটি তিনি অবিকল ওস্তাদ নিসার হুসেন খানের ধরনে পরিবেশন করেননি। ওস্তাদ নিসার হুসেনের গাওয়া এই বন্দিশটি দ্রুত তিন তালে নিবদ্ধ। অন্য দিকে ওস্তাদ রাশিদ খান বন্দিশটি গেয়েছেন মধ্য লয়ে— অনেক ধীরে চলেছেন তিনি। গানের প্রথম শব্দ ‘ঝনক’ কথাটিতে মধ্য সপ্তকের আরম্ভের সা থেকে মন্দ সপ্তকের পঞ্চম পর্যন্ত নেমে গিয়ে আবার উঠতে থাকে বন্দিশটি। এই অংশে রাশিদ খানের কণ্ঠের গম্ভীর মন্দ্রতা যেন এই বন্দিশটির সূচনায় এক সতেজ সুরদীপ্তি দেয়। আবার মালবিকা কাননের গাওয়া ছায়ানট-এর একই বন্দিশ যারা শুনেছেন, তারা বুঝবেন বড় বড় শাস্ত্রীয় শিল্পীর গান শুনতে শুনতে রাশিদ খান তৈরি করেছেন তার নিজস্ব এক গায়কী। তার মারওয়া রাগে গাওয়া ক্যাসেটটির বিলম্বিত অংশে ওস্তাদ আমির খানকে মনে পড়েছিল বটে— কিন্তু সে-ক্যাসেট বেরিয়েছিল তিরিশ বছরেরও বেশি আগে। পরে আর ওই বিলম্বিত বিস্তারের ধরন রাশিদ খানের গানে প্রবেশ করতে পারেনি।

তার আরও দু’টি বড় গুণবাচক দিক নিশ্চয়ই শ্রোতাদের কানে ধরা পড়েছে- তা হল একই রাগ, তিনি দু’বার ঠিক একই রকম ভাবে পরিবেশন করেন না, রাগটিকে প্রতিবার নতুন রাস্তায় এগিয়ে নেওয়ার দিকে তার সুরকল্পনা কাজ করে। শ্যামকল্যাণ রাগে তার যে সিডি পাওয়া যায়, সেখানে আরম্ভে, আওচারের সময়ে তীব্র মধ্যমটি লাগান একটু দেরি করে। শ্রোতাদের আকুলতা বাড়িয়ে তবে পৌঁছন কড়িমা পর্দাটিতে। আবার কলামন্দিরে একবার শ্যামকল্যাণ রাগে তীব্র মধ্যমে আসতে এতই সময় নিলেন তিনি যে শ্রোতারা ব্যাকুল উঠলেন। ওস্তাদ শাহিদ পারভেজের সেতারের সঙ্গে তার যুগলবন্দির রেকর্ডটি চিরস্মরণীয় হয়ে আছে— রাগ বাগেশ্রীর রূপায়ণে দু’জনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না— বরং ছিল রাগটির রূপমাধুর্যকে খুলে ধরা, ছিল নানা বৈচিত্র্যপূর্ণ সুরের রাস্তা ধরে ধরে এগোনো।

শরৎ সদনে এক বার গৌড় সারং শুনেছিলাম। রাগের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বেহাগের জায়গাটি কেমন ভাবে এসে চলে যায়, তা হঠাৎ চমকের মতো এলেই ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন ওস্তাদ রাশিদ খান। অত্যন্ত সংযম ও পরিমিতি বোধের পরিচয় ছিল সেখানে। গৌড় সারংকে কেন ‘দিন কা বেহাগ’ বলা হয়, শ্রোতারা অনুভব করেছিলেন সে দিন।

প্রয়াত ওস্তাদ রাশিদ খান

ওস্তাদ রাশিদ খানের কাছে আমি বিশেষ কৃতজ্ঞ অন্য একটি কারণে। আমি অন্তত দু’বার তার গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনেছি। প্রথম বার শুনেছিলাম গ্র্যান্ড হোটেলে আনন্দ পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে। প্রথমে একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ তিনি শ্রী রাগের আওচার ধরেছিলেন, একেবারে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধরনে। আমার আতঙ্ক জন্মাচ্ছিল, হয়তো রবীন্দ্রনাথের বাণীর উপর উক্ত রাগটির নানাবিধ সুরকৌশল ও অলঙ্করণ প্রয়োগ করবেন তিনি। রবীন্দ্রগানে বাণীর যে-শুদ্ধতা, তা বুঝি বা ছিঁড়েখুঁড়ে যাবে। রবীন্দ্রনাথ তো তার গানকে বাহুল্যমুক্ত করতেই চেয়েছিলেন। অথচ আশ্চর্য হয়ে দেখলাম, যখন গানের বাণীতে প্রবেশ করলেন, কোথাও একটিও অতিরিক্ত স্বর প্রয়োগ করলেন না। একাগ্র মনে গেয়ে চললেন ‘কার মিলন চাও বিরহী’, শ্রী রাগের আত্মা প্রতিষ্ঠিত হল যেন সংযমী গায়নে। দ্বিতীয় গানটি ছিল ‘কে বসিলে আজি হৃদয়াসনে ভুবনেশ্বর প্রভু’। সিন্ধুরাগে আশ্রিত এই গানের শুরুতে আবারও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধরনেই আওচার রাখলেন। কিন্তু গানের বাণীর মধ্যে অতিরিক্ত অলঙ্করণ এল না। প্রথম লাইনের শেষ শব্দ ‘প্রভু’ যখন এল, তখন শুদ্ধ রে থেকে পঞ্চমে গিয়ে তিনি দাঁড়ালেন একটুক্ষণ, আর প্রেক্ষাগৃহ ভরে গেল গভীর সুরের আচ্ছাদনে।

মাতৃভাষা বাংলা না-হলেও, বাংলার বিশ্বকবির গান ওস্তাদ রাশিদ খান যে-বিহিত শ্রদ্ধা নিয়ে নিবেদন করলেন, তা তার প্রতি আরও শ্রদ্ধাবান করে তুলল আমাকে। এই শ্রদ্ধা বাংলার ঘরে ঘরে তার শ্রোতাদের মনে সঞ্চিত আছে। আজ যে সম্মান তিনি লাভ করলেন, তার দ্বারা ওস্তাদ রাশিদ খানের প্রতি আমাদের মতো সাধারণ শ্রোতার ভালবাসাই জয়যুক্ত হল। জয়যুক্ত হল বাংলা।’’

১৯৬৮ সালের ১ জুলাই উত্তর প্রদেশের বদায়ুঁতে জন্ম রশিদ খানের। মূলত শাস্ত্রীয় সংগীত গাইলেও ফিউশন, হিন্দি ও বাংলা ছবিতে জনপ্রিয় গানও গেয়েছেন শিল্পী। বাংলাদেশেও একাধিকবার সংগীত পরিবেশন করেছেন এই শিল্পী।

   

নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করছেন বুবলী : অপু বিশ্বাস



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অপু বিশ্বাস  ও শবনম বুবলী /  ছবি : ফেসবুক

অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২০ সালের মার্চে জন্ম হয় শবনম বুবলীর ছেলে শেহজাদ খান বীরের। যদিও দুই বছর সে কথা লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ২০২২ সালে প্রকাশ্যে আনেন ছেলের কথা।

তার কয়েক মাস পরই হঠাৎ বুবলীর সঙ্গে তার সম্পর্ককে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন শাকিব খান। যদিও বুবলীর দাবি, তারা সময় নিচ্ছেন। তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। কিন্তু মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী; এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

অপু বিশ্বাস ঢালিউড অভিনেতার প্রথম স্ত্রী। শোনা যায়, অপু থাকাকালীনই বুবলীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ান শাকিব। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।

অপু বিশ্বাস /  ছবি : ফেসবুক

এসব বিষয় নিয়ে বুবলীর গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

বেশ কিছুদিন ধরেই শাকিবের ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কে মন্তব্য করা, নিজের প্রচারের নতুন কৌশল হতে পারে বলে মনে করছেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’

শবনম বুবলী /  ছবি : ফেসবুক

বুবলীকে ইঙ্গিত করে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তা হলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’

;

বিয়ের পোশাক ছিঁড়ে ফেললেন সামান্থা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিয়ের আসরে পরা এই গাউনটিই ছিড়ে ফেলেছেন সামান্থা রুথ প্রভু

বিয়ের আসরে পরা এই গাউনটিই ছিড়ে ফেলেছেন সামান্থা রুথ প্রভু

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৭ সালে ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন দক্ষিণের জনপ্রিয় তারকা জুটি সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য। দক্ষিণী আচার ও খ্রিস্টান রীতিনীতি মেনে বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে বাড়তে থাকে জটিলতা। শেষমেষ বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন দু’পক্ষই।

তবে বিবাহবিচ্ছেদ যে সামান্থাকে যথেষ্ট যন্ত্রণা দিয়েছে, তা বিভিন্ন সময় কথাবার্তায় বুঝিয়ে দেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি অভিনেত্রী শোভিতা ধূলিপালা ও সামান্থার প্রাক্তন স্বামী নাকি জঙ্গলে বেড়াতে গিয়েছেন। শোভিতার দেওয়া ছবি ঘিরে এমনই জল্পনা নেট মাধ্যম জুড়ে। এর মাঝেই নিজেই নিজের বিয়ের পোশাক ছিঁড়ে ফেললেন সামান্থা। কেন এমনটা করলেন, সেই যুক্তি নিজেই দিয়েছেন অভিনেত্রী।

বিয়ের আসরে নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভু

সাদা নেটের গাউন। তাতেই ফুলের নকশা করা। এমন পোশাক পরে নাগাকে বিয়ে করেন সামান্থা। কিন্তু সেই পোশাককেই ছিঁড়ে নতুন করে তৈরি করলেন সামান্থা। জামাকাপড়ের অপচয় বন্ধ করতেই এমন উদ্যোগ নাকি অভিনেত্রীর। সাদা বিয়ের গাউনকে কেটে বানিয়েছেন কালো রঙের ককটেল ড্রেস।

সেই পোশাক পরেই সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে যান তিনি। অবশ্য শুধু সামান্থা নন, আলিয়া ভাট থেকে আনুশকা শর্মা অনেকেই সম্প্রতি জামাকাপড়ের অপচয় বন্ধের কথা বলছেন।পুরানো পোশাককে নতুনভাবে তৈরি করার স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন, আমার মনে হয়, প্রকৃতির স্বার্থেই আমাদের সকলের এ বার এগিয়ে আসা উচিত। কারণ, প্রকৃতিকে আর অবহেলা করার জায়গায় আমরা নেই।

সাদা বিয়ের গাউনকে কেটে বানিয়েছেন কালো রঙের ককটেল ড্রেস

আমি আমার পুরনো একটা পোশাককে নতুন করে তৈরি করেছি। আমি গত কয়েক বছর নিজের যাপনের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন এনেছি তাতেই বুঝেছি, যে কোন জিনিসের অপচয় বন্ধ হওয়া উচিত। আপনারাও এগিয়ে আসুন।’

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

;

৬০ বছর বয়সে মিস ইউনিভার্স হলেন আলেজান্দ্রা, তবে...



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
৬০ বছরে সেরা সুন্দরীর মুকুট পরে ইতিহাস গড়েছেন আলেজান্দ্রা

৬০ বছরে সেরা সুন্দরীর মুকুট পরে ইতিহাস গড়েছেন আলেজান্দ্রা

  • Font increase
  • Font Decrease

৬০ বছর বয়সে সেরা সুন্দরীর খেতাব জিতে ইতিহাস তৈরি করলেন আর্জেন্টাইন নারী আলেজান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজ। তবে এখনো তিনি মিস ইউনিভার্সের মুল আসর জয় করতে পারেননি। গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি বুয়েনস এইরেস প্রদেশের মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতেছেন। এর মাধ্যমে তিনি মিস ইউনিভার্সের আগামী আসরে অংশ নেওয়ার দৌড়ে সামিল হলেন! 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুয়েনস এইরেসের লা প্লাটার বাসিন্দা আলেজান্দ্রা। তিনি পেশায় একজন সাংবাদিক ও আইনজীবী। 

আলেজান্দ্রাই প্রথম নারী যিনি এই বয়সে সেরা সুন্দরীর খেতাব জিতলেন। মার্জিত ভাব, লাবণ্য এবং নজরকাড়া হাসিতে তিনি বিচারক এবং দর্শক উভয়কেই বিমোহিত করেছেন।

৬০ বছরে সেরা সুন্দরীর মুকুট পরে ইতিহাস গড়েছেন আলেজান্দ্রা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে আলেজান্দ্রা জানান, তিনি আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া মিস ইউনিভার্স আর্জেন্টিনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। এ ছাড়া এ বছরের সেপ্টেম্বরে মেক্সিকোতে হতে যাওয়ায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনার হয়ে অংশ নিতে চান আলেজান্দ্রা।

সেরা সুন্দরীর খেতাব জেতার প্রসঙ্গে আলেজান্দ্রা বলেন, ‘আমি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় এই নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরে রোমাঞ্চিত। কারণ আমরা একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করেছি।’

গত বছর মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা প্রতিযোগীদের ক্ষেত্রে বয়সের সীমা রাখবে না। এর আগে, ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী তরুণীরাই মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারতেন।

;

‘আদিম’-এর পর মস্কো উৎসবে পুরস্কৃত ‘নির্বাণ’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পুরস্কার হাতে পরিচালক আসিফ ইসলাম

পুরস্কার হাতে পরিচালক আসিফ ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক চলচ্চিত্র উৎসব রাশিয়ার ‘মস্কো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’। এই চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে বাংলাদেশের অনেক পুরনো সম্পর্ক। আমাদের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতা এই উৎসবে একাধিকবার আমন্ত্রন পেয়ে রেড কার্পেট মাতিয়েছেন। আর যুরাজ শামীম তো সম্প্রতি তার ‘আদিম’ সিনেমাটি নিয়ে পুরস্কারও ছিনিয়ে এনেছেন। সেটি ছিল আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য অনন্য এক অর্জন।

এবার সেই উৎসব থেকে পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের আরেক সিনেমা ‘নির্বাণ’। সিনেমা স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। রাশিয়া থেকে পুরস্কারের খবর জানালেন পরিচালক আসিফ ইসলাম। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, পুরস্কার ঘোষণার খবর তিনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। পুরস্কার হাতে নিয়ে এখনো তিনি কাঁপছেন।

আসিফ আরও বলেন, ‘এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। সারা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার সিনেমার মধ্যে অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নিয়েছে মাত্র ১১টি সিনেমা। সেই সিনেমার মধ্যে আমাদের সিনেমাটি স্পেশাল জুরি পুরস্কার জিতেছে। আমাদের সিনেমার নাম ঘোষণার পর আমি চমকে উঠি। পুরস্কার হাতে নেওয়ার পরও একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। এখানো আমি কাঁপছি। কথা বলতে পারছি না। এই অর্জনটা আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে।’

পুরস্কার হাতে পরিচালক আসিফ ইসলাম

১৯ এপ্রিল শুরু হয় মস্কো উৎসব। আজ ২৬ এপ্রিল ছিল সমাপনী আয়োজন। এই আয়োজনে শুরু থেকে অংশ নেন পরিচালক আসিফ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গতকাল ছিল সমাপনী দিন। আমি ভাবিনি পুরস্কার পাব। আমি আর অল্প কিছু সময় আছি রাশিয়ায়। পরে কালই বাংলাদেশে থাকব। এখন রাশিয়ায় আসা সাংবাদিক, প্রযোজকেরা যেভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছেন, সেটা হয়তো পারব না। অনেক কিছু মিস করব। বাংলাদেশে পুরস্কার নিয়ে যেতে পারছি—এটাই আমার জন্য বড় প্রাপ্তি।’

‘নির্বাণ’ সিনেমার শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালে। তখন করোনায় অনেকেই আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। আতঙ্কিত সেই সময়ে তরুণ নির্মাতা আসিফ ইসলামের মাথায় ভর করে, ছোট টিম নিয়ে সিনেমা বানাবেন তিনি। গল্পের ওপর গুরুত্ব দিয়ে নিরীক্ষাধর্মী সিনেমার কাজ শুরু করেন। এটা পরিচালকের প্রথম সিনেমা। দীর্ঘ সময় নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন।

আসিফ আরও জানান, শুরুতে সিনেমার চিত্রনাট্য ছিল ছোট। শুধু একটি আইডিয়া ছিল তাঁদের। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিনেমার লেখক। দুজন একসঙ্গে শুটিংয়েও ছিলেন। দিনের পর দিন তাঁরা সংলাপহীন এই সিনেমা দাঁড় করিয়েছেন। পরিচালক বলেন, ‘এই পুরস্কার আমাদের আরও বড় স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য সুখবর।’

মস্কো উৎসবের লাল গালিচায় অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি ও পরিচালক আসিফ ইসলাম

সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়াম অর্চি। পুরস্কারের খবর রাতেই শুনেছেন তিনি। প্রিয়াম বলেন, ‘এই খুশি কীভাবে প্রকাশ করব, জানি না। সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। পরিচালক নিজেই জানিয়েছেন। শোনার পরে ভাবছিলাম যে সিনেমাটি দুজন মানুষ দিয়েই শুরু। সেখানে চারজন অভিনেত্রী যোগ দিল। সিনেমা নির্মাণের পেছনের ঘটনার কথাই বেশি মনে পড়ছে। সিনেমার পরিচালক আসিফ ভাই, লিখেছেন আনোয়ার হোসেন ভাই। তাঁরা যে পরিশ্রম করেছেন, সেটাই মনে পড়ছে। আমরা টিমটা যে জার্নি নিয়ে শুরু করেছিলাম, সেটা আজ সফল হলো। এই প্রাপ্তি আমাদের অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করবে।’

‘শেম’ সিনেমার জন্য সেরা ছবির অভিনেতার পুরস্কার হাতে জ্যাঁ র‌্যামন লোপেজ ও সেরা সিনেমার পুরস্কার হাতে নির্মাতা মিগেল স্যালগাডো

উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার জিতে নেয় মেস্কিকো ও কাতারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবি ‘শেম’। ইরানের সিনেমা ‘ব্রেথ অব কোল্ড’-এর জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন নাহিদ আজিজি। ‘শেম’ এর জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন জ্যাঁ র‌্যামন লোপেজ। জার্মানি ছবি স্লামাশেল-এর জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নেন মারাইকে বিকির। রাশিয়ান প্রিমিয়ার শাখায় সেরা সিনেমা হয়েছে লি।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ৪১তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘শনিবার বিকেল’ ছবিটি। সেবার দুটি ইন্ডিপেনডেন্ট জুরি পুরস্কার পেয়েছে ‘শনিবার বিকেল’ ছবিটি; রাশান ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস জুরি পুরস্কার আর অন্যটি কমেরসান্ত পুরস্কার।

ইরানের সিনেমা ‘ব্রেথ অব কোল্ড’-এর জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন নাহিদ আজিজি

২০২২ সালে রাশিয়ার মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিল যুবরাজ শামীম পরিচালিত সিনেমা ‘আদিম’। পরের বছর আবার অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা পায় নূরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘পেয়ারার সুবাস’।

;