সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। সংগীতশিল্পীর মরদেহ এখন গ্রিন রোডের কমফোর্ড হাসপাতালে রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ।
খালিদের গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে- সরলতার প্রতিমা, যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে, কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে, হয়নি যাবারও বেলা, যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে, তুমি নেই তাই।
বিজ্ঞাপন
অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী খালিদের গান একসময় পাড়া-মহল্লার শ্রোতাদের মুখে মুখে থাকত, বাজত বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন দোকানে।
‘বিনা লাভে পণ্য বিক্রি করা একটি প্রতিষ্ঠান’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্যতিক্রমী এক ইকর্মাস প্রতিষ্ঠান পাইকারী.কম.বিডি’র মেম্বারশিপ প্রোগ্রাম-এর গ্র্যান্ড লঞ্চিং সেরেমনি অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল ১ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার একটি অভিজাত পাঁচ তারকা হোটেলে।
এ আয়োজনটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন এ সময়ের শোবিজের অন্যতম জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তাসনিয়া ফারিণ। আরও উপস্থিত ছিলেন পাইকারি.কম.বিডি’র বর্তমান মেম্বাররাও।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নাবির হোসেন সূচনা বক্তব্যে তুলে ধরেন কেন তার এই প্রতিষ্ঠান ব্যতিক্রমী এবং কেনই বা এর মূলমন্ত্র বিনা লাভে পণ্য বিক্রি করা। তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের মেম্বারশিপ ফি দিয়েই যে কেউ পাইকারি.কম.বিডি’র মেম্বার হতে পারবে। আর শুধুমাত্র মেম্বারই এক্সক্লুসিভলি পাবেন আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বিনা লাভে বিক্রি হওয়া পণ্য কেনার সুযোগ।’
মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘‘অনলাইনে কেনাকাটাতো সবাইকে করতেই হয়। কিন্তু অনলাইনে বিনা লাভে কেউ পণ্য বিক্রি করছে, এটা সত্যিই ব্যতিক্রম! পাইকারি.কম.বিডি’র প্রশংসা করতেই হয়।”
আর তাসনিয়া ফারিন বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের কথা শুনিনি যারা লাভ ছাড়া পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। পাইকারী.কম.বিডি গ্রাহকদের একটু স্বস্তি দেয়ার জন্য বিনা লাভেই পণ্য বিক্রি করছে!’
শুধুমাত্র এককালীন মেম্বারশিপ ফি প্রদান করেই একজন মেম্বার সারা বছর জুড়ে পাচ্ছেন পাইকারি.কম.বিডি থেকে বিনা লাভে বিক্রিত পণ্য কেনার সুবিধা। উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে বিপুল আগ্রহ পরিলক্ষিত হয় আকর্ষণীয় এই মেম্বারশিপ প্রোগ্রামের বিষয়ে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অতিথি অনুষ্ঠানস্থলেই মেম্বারশিপ গ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপনী সংস্থা হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই ইভেন্টটি সঞ্চালনা করেন বর্তমান সময়ের আলোচিত অভিনেতা এফ এস নাইম ও মডেল-অভিনেত্রী সারাহ আলম। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ব্যতিক্রমী উপস্থাপন ভঙ্গির জন্য খ্যাত আলোচিত গায়ক আলী হাসান।
মো. স্বপন মিয়া বাংলাদেশের একজন সফল তরুণ সংগঠক ও মিডিয়া পার্সোনালিটি। শাহরিয়ার স্বপন নামে তার পরিচিতি গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম বড় অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ‘বাইফা’র ফাউন্ডার হিসেবে।
এছাড়া তিনি ‘বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড’সহ নানা ধরনের ইভেন্ট অর্গানাইজ করে আসছেন বিগত এক দশক ধরে। কাজের স্বাীকৃতিস্বরূপ দেশ-বিদেশের নানা সম্মাননাও পেয়েছেন। তারমধ্যে রয়েছে ভারত, থাইল্যান্ড, দুবাইসহ নানা দেশের পুরস্কার।
সম্প্রতি ভারত থেকে পেয়েছেন ‘মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কার ২০২৪’। তরুণ সমাজসেবক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মানবাধিকার সংগঠক হিসেবে এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে অংশ নেন শাহরিয়ার স্বপন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন কলকাতার স্বনামধণ্য ব্যক্তিবর্গ।
আর এবার তিনি ভূষিত হলেন বিজিসিএফ অ্যাওয়ার্ডসে। সেরা ইভেন্ট অর্গানাইজার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তাকে এই পুরস্কার হাতে তুলে দেন ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস। গত ৩০ নভেম্বর রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল সোনারগাঁও-এ অনুষ্ঠিত হয় সিজিসিএফ পুরস্কারের তৃতীয় আসর।
পুরস্কার পেয়ে স্বপন বলেন, ‘বিগত এক দশক ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছি। প্রতিটি ইভেন্টের মাধ্যমে সমাজের জ্ঞাণী-গুণী মানুষদের সম্মান প্রদাণের চেষ্টা করি। দেশের স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস থেকে শুরু করে নারীশক্তির জয়কে সেলিব্রেট করতে নারী দিবস সম্মাননাসহ নানা ধরনের আয়োজন করে আসছি। এছাড়া সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও সম্মান থেকে দেশসেরা শিল্পীদের কাজের স্বীকৃতি দিতে একাধিক বড় পরিসরের আয়োজন করে থাকি। আগামীতে দেশের বাইরেও এ ধরনের কাজের মাধ্যমে আমার দেশের সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার ইচ্ছে। অর্থাৎ আমার সকল কাজই সমাজে শান্তি ও পজিটিভিটি ছড়িয়ে দেবার জন্য। আমার কাজের যথার্থ মূল্যায়ন দেবার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।’
২০২০ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। চার বছর আগের সেই ঘটনার ছায়া অবলম্বনে সম্প্রতি একটি নাটকের শুটিং শেষ হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাকিয়া বারী মম।
প্রীতি দত্তের পরিচালনায় তৈরি এই নাটকের নাম ‘টু বি অর নট টু বি’। নাটকটিতে মম ছাড়াও অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন প্রমুখ। মম বললেন, ‘ধর্ষণের শিকার একজন শিক্ষার্থীর ঘটনার ছায়া অবলম্বনে এই নাটক। কাজটি করতে গিয়ে সেই চার বছর আগের ঘটনাটা আবার চোখের সামনে এল। এই ধরনের চরিত্রে কাজ করাটা সত্যি সত্যিই বেশ কষ্টদায়ক। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকি। তারপরও অভিনয়শিল্পী হয়ে পর্দায় নানান চরিত্রে আসা লাগে।’
নাটকটির পরিচালক প্রীতি দত্ত জানালেন, ঢাকার একটি সংবাদপত্রের কার্যালয়, উত্তরা এবং দিয়াবাড়ি এলাকায় ‘টু বি অর নট টু বি’ নাটকের শুটিং করেছেন। নাটকটিতে মম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, আজাদ আবুল কালাম সাংবাদিক এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক চরিত্রে মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন অভিনয় করেছেন।
প্রীতি বললেন, ‘আমি তো নারীবিষয়ক কয়েকটি গল্পের কাজ করেছি। নারীদের উন্নয়ন, চাওয়া, অধিকার যা–ই বলি না কেন—যেকোনো ইস্যুই আমাকে অনেক বেশি টানে। আমার মনে হয়, ধর্ষণের মতো ঘটনা হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ, নিকৃষ্ট ঘটনা—যা একজন নারীর জীবনে ঘটে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার রেশ বয়ে বেড়াতে হয়। প্রতিবছর ধর্ষিত নারীর সংখ্যাও অবিশ্বাস্য, একটা সভ্য সমাজে। আমি সব সময় চেষ্টা করি, এটা হওয়া উচিত না এসব বলার। একজন নারীর জীবনে এই ধরনের ঘটনার আফটার ইফেক্ট কি ঘটে, ওই চিন্তাটা মাথায় নিয়ে নাটকটি বানানো। নাটকটির লেখক অদিতি করিমও ধর্ষণের সেই ঘটনায় বেশ মর্মাহত ছিলেন।’
প্রীতি দত্তের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে বলা হচ্ছি মমর কথাও। তিনিও একমত হয়ে জানালেন, মম আপু যে বললেন, এই ধরনের গল্পে কাজ করার সময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকতে হয়, এটা শতভাগ সত্যি।
প্রীতি বললেন, ‘প্রথমত পরিচালককে চরিত্রটা ধারণ করতে হয়, বিশ্বাস করতে হয়। এরপর অভিনয়শিল্পীকেও। আমরা যখন শুটিং সেটে মজার গল্প বা কৌতুকধর্মী কোনো গল্পে কাজ করলে হাসাহাসি হয়, অনেক ফান হয়। কিন্তু এই ধরনের গল্পে যখন কাজ করি, বলা যায় ওই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সংলাপ নিয়েও ভাবতে হয়, তখন তা সবার মনোজগতে প্রভাব ফেলে। মম আপু কিন্তু কখনো গ্লিসারিন দিয়ে কাঁদেন না, এই নাটকে তেমনটা হয়েছে। ওই সময় তো ক্যামেরার আশপাশের প্রত্যেকটা মানুষের চেহারা, মনে হয়েছে—ওই মুহূর্তকে ছুঁয়ে গেছে।’
পরিচালক প্রীতি দত্ত জানালেন, চলতি মাসে যেকোনো সময়ে নাটকটি পূর্ণতা ই-টেইনমেন্টের ইউটিউবে প্রচারিত হবে।
বর্তমানে ইউটিউব ইন্ডিয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল, যাতে বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী নীনা গুপ্তাকে ‘আইকনিক গাঞ্জি চুড়েল’ অর্থাৎ টেকো ভূতের আদলে হাজির হতে দেখা গেছে। ভিডিওটিতে অভিনেত্রীর কমেডি দিকটি এতোটাই সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে ভক্তদের মধ্যে দারুণ উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে।
নীনা এমনিতেই বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। কিন্তু তার এই অপ্রত্যাশিত রূপান্তর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের উচ্চস্বরে হাসতে বাধ্য করেছে।
কমেডি ভিডিওটিতে আরও দেখা যায় তিনজন সৌন্দর্য এবং লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার শিবশক্তি সচদেব, ঈশিতা মঙ্গল এবং সাক্ষী সিদওয়ানিকে। নীনার মজার এক্সপ্রেশনের সঙ্গে ভয়েসওভারে বলা হয়, ‘একবার তিনজন ইউটিউবারকে গাঞ্জি চুড়েল অপহরণ করেছিল।’
ইনফ্লুয়েন্সাররা টেকো ভূতের সবুজ রঙের ত্বকের জন্য নিখুঁত মেকওভার খুঁজে বের করার জন্য লড়াই করতে থাকে। তাতে তৈরি হয় দারুণ একটি মজার দৃশ্যকল্প। হেয়ার স্পা সেশন থেকে স্মোকি চোখ এবং একটি ঝকঝকে পোশাক পর্যন্ত, মেকওভার জার্নিটা দারুণ মজার। টেকো ভূত মেকওভারের মাধ্যমে উগ্র, ফ্যাশন-ফরোয়ার্ড জেন জি ডিভা হিসেবে রূপান্তরিত হয়ে ওঠে।
ভিডিওটি ইউটিউব ইন্ডিয়ার ইনস্টাগ্রাম পেজে শেয়ার করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ পেয়েছে। মন্তব্য বিভাগটি সেলিব্রিটি এবং প্রভাবশালীদের প্রতিক্রিয়ায় ভরে গেছে।
নীনা গুপ্তার কন্যা ও ভারতের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার মাসাবা গুপ্তা লিখেছেন, ‘‘আমি মারা গেছি’।
ডলি সিং (ভারতের তরুণ প্রজন্মের বিখ্যাত কমেডি কনটেন্ট ক্রিয়েটর) প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘কেউ কী ভেবেছিল নীনা জি এভাবে গাঞ্জি চুড়েল হয়ে একটি ব্র্যান্ডের প্রচারণা করবেন! এটি আইকনিক।"