একইসঙ্গে প্রশংসিত এবং বিতর্কিত কঙ্গনার জন্মদিন আজ
ক্যারিয়ার সুবিধা না করতে পেরেই সাধারনত তারকারা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। এমন তারকা খুব কমই আছে, যারা ক্যারিয়ারের শীর্ষ অবস্থানে থেকেও নানা বিতর্কে স্বেচ্ছায় জড়িয়ে পড়েন। তেমনি একজন বলিউডের কঙ্গনা রানৌত।
যদিও, কয়েক বছর ধরে সেভাবে হিট সিনেমা নেই। এই সময়ে তাকে নিয়ে বিতর্কও কম। আবার যখন একের পর এক হিট ছবি দিয়েছেন, তখন একদিকে দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে যেমন দর্শকের মন জয় করেছেন, অন্যদিকে নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন।
তাকে নিয়ে বিতর্ক যতোই হোক, হিন্দি সিনেমার দর্শক-সমালোচকদের কাছে কঙ্গনা রানৌত এক সমীহ জাগানিয়া নাম। কারণ, কঙ্গনার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কারও দ্বিমত নেই। আজ এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। এ উপলক্ষে হিন্দুস্তান টাইমস তার সেরা চারটি ছবির তালিকা প্রকাশ করেছে।
২০০৬ সালে মোহিত সুরির ‘ও লামহে’ সিনেমায় অভিনয় করেন কঙ্গনা। তার অভিনীত সানা আজিম চরিত্রটি তৈরি হয়েছিল পারভীন ববির আদলে। ধূসর চরিত্রটিতে দুর্দান্ত অভিনয় করে সমালোচকদের মন জয় করেন নেন কঙ্গনা।
২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া মধুর ভান্ডারকরের ‘ফ্যাশন’ কঙ্গনার ক্যারিয়ারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা। তরুণ মডেল সোনালি গুজরালের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। চরিত্রটির নানা সংগ্রাম পর্দায় দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলেন অভিনেত্রী। ‘ফ্যাশন’-এ অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
কঙ্গনা অভিনীত সবচেয়ে জনপ্রিয় ও চর্চিত সিনেমা সম্ভবত বিকাশ বেহেলের ‘কুইন’। ছবিটির ‘রানি’ চরিত্রটি ছিল যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু কঙ্গনা নিজের অভিনয় দিয়ে সেটিকে যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্যভাবে পর্দায় তুলে আনেন। ছবিটির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান কঙ্গনা।
আনন্দ এল রাইয়ের ‘তনু ওয়েডস মনু’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আবার নতুন রূপে ধরা দেন কঙ্গনা রনৌত। ভারতের ছোট শহরের প্রেক্ষাপটে সিনেমা বানিয়ে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পান আনন্দ এল রাই। সমালোচকদের প্রশংসার সঙ্গে ছবিটি বক্স অফিসেও সাফল্য পায়। ‘তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস’-এ দ্বৈত ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় করে পেয়ে যান ক্যারিয়ারের তৃতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।