তরুণ প্রজন্মের নৃত্যশিল্পী এবং কোরিওগ্রাফার মোফাসসাল আলিফ তার আধুনিক নৃত্যধারায় কাজ করে যাচ্ছেন শোবিজের বিভিন্ন মাধ্যমে। তিনি বলিউডের বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার ট্যারেন্স লুইসের কাছে শিখে এসেছেন। এরপর ‘আলিফিয়া স্কোয়াড’ নামে নাচের দল খুলেছেন তিনি। যা অল্প সময়েই নাচের জগতে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।
এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেও পারফর্ম করেছেন আলিফ। তবে এবারই প্রথম পারফর্মেন্স করলেন ইউরোপে। গত ২৬ মার্চ নোদারল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের আমন্ত্রণে আমস্টারডামে নৃত্য পরিবেশন করেন তিনি। তার সঙ্গে পারফর্ম করেছেন মাটি সিদ্দিকী।
বিজ্ঞাপন
শুধু তাই নয়, আগামী ৬ এবং ৭ এপ্রিল ফ্রান্সে মিরাবাঈ ড্যান্স স্কুলের আমন্ত্রণে বলিউড এবং হাই হিলস ড্যান্সের ওপর দুটি নৃত্য কর্মশালা করাবেন আলিফ।
তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্যকলা বিভাগে নাচের উপর মাস্টার্স করছেন। পাশাপাশি আলিফ কোরিওগ্রাফি করছেন ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমার একটি গানে।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে একটি প্রসাধনসামগ্রীর শোরুম উদ্বোধনে বাধা পাওয়ায় ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীমণি।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি পরীমণি তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি লিখেন, ‘এতো চুপ করে থাকা যায় নাকি!!! পরাধীন মনে হচ্ছে। শিল্পীদের এতো বাধা কেন আসবে!? Insecure feel হচ্ছে ! এমন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নই কেন আমরা ‘
তিনি আরও লিখেন, ‘মেহজাবীন, পরশী এর আগে এমন হেনস্থার শিকার হয়েছেন! ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চলেছেন তারা!? কি বলার আছে আর ….এ দেশে সিনেমা/ বিনোদন সব বন্ধ করে দেয়া হোক তাহলে !’
সবশেষে পরীমণি লিখেন, ‘তাহলে কি আমরা ধরে নেব, আমরা ইমোশনালি ব্যবহার হয়েছিলাম তখন! নাকি এখন হচ্ছি? কোনটা ??? এই দায়ভার কিন্তু আমাদের সবার নিতে হবে।’
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অগ্রগতি এবং উন্নয়নে একত্রে কাজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’ আগামী ২৯ জানুয়ারি আয়োজন করছে ‘সংস্কারে চলচ্চিত্র, পরিবর্তনে দেশ’ স্লোগানে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫’। এই আয়োজনটি হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিকাল ৩টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।
চলচ্চিত্র একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর, সর্বাধুনিক অডিও-ভিজ্যুয়াল আর্ট যা গণযোগাযোগের মাধ্যমে সমাজকে প্রভাবিত করার অন্যতম হাতিয়ার। বিশ্বের অনেক দেশে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতও বটে। বাংলাদেশে গত ৬০ বছরে চলচ্চিত্রকে একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ, কলা ও বাণিজ্যের মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হলেও নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। দেশের প্রতিটি খাতে এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগিতায় সংস্কার কার্যক্রম চলমান। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহায়তায় সকল অংশীজন মিলে চলচ্চিত্রকে বাংলাদেশের অন্যতম গণযোগাযোগ, বিনোদন, শিল্প চর্চা ও বাণিজ্যক খাত হিসেবে গড়ে তুলতে অতীব জরুরী ভিত্তিতে কিছু দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করাই জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫ এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সার্চ কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আল আমিন রাকিব (তনয়)। উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন ৫০০’র অধিক চলচ্চিত্র শিক্ষার্থী, শিক্ষক, নির্মাতা, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকর্মী, অভিনয়শিল্পীসহ অনেকেই।
জাতীয় চলচ্চিত্র সম্মেলন ২০২৫ এ যেই বিষয় সমূহ উপস্থাপিত হবে-
১। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন এর সংস্কার
২। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন এর গঠন পরিবর্তন
৩। সিনেমা ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন, ই-টিকেটিং সার্ভার ও বক্স-অফিস
৪। জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র
৫। টিকিট শেয়ার মানি
৬। চলচ্চিত্র শিক্ষার প্রসার
৭। গাজীপুর ফিল্ম সিটি
৮। চলচ্চিত্র আমদানি-রফতানি উন্মুক্তকরণ
৯। এন্টি-পাইরেসি সেল গঠন
১০। চলচ্চিত্রে সরকারি বিনিয়োগ সহ ১৮ এর বেশি সংস্কার ,কর্ম প্রস্তাবনা এবং দাবি উপস্থাপিত হবে।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে একটি প্রসাধনসামগ্রীর শোরুম উদ্বোধনের জন্য কথা ছিল ঢাকােই ছবির আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির। কিন্তু তিনি আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে ঠেকাতে প্রস্তুতি নেয় স্থানীয় একটি মহল। এরপর চাপের মুখে ‘হারল্যান স্টোর’ নামে এলেঙ্গার টিন মার্কেটের ওই শোরুমের মালিক মীর মাসুদ রানা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করেন।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলার কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গার টিন মার্কেটে পরীমণির শোরুম উদ্বোধনের কথা ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৫ দিন ধরে এলেঙ্গায় টিন মার্কেটে ‘হারল্যান স্টোর’-এর শোরুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা পরীমনি উপস্থিত থাকার বিষয়টি জানিয়ে কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে দুই-তিন ধরে হেফাজতে ইসলামসহ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পরীমনিকে ঠেকাতে বিভিন্ন কর্মসূচির পরিকল্পনা করছিলেন।
পরীমণিকে যাতে এলেঙ্গার মাটিতে না আনা হয়, সে ব্যাপারে আন্দোলনসহ অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরীমণির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিলের ব্যাপারে পুলিশ ও শোরুম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন হেফাজতে ইসলামের নেতাসহ কয়েকজন মুসল্লি।
এ ছাড়া বিভিন্ন মসজিদে পরীমনির শোরুম উদ্বোধন ঠেকাতে আলোচনা হয়। এতে শোরুম উদ্বোধনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছিল, এলেঙ্গায় ততই উত্তাপের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে শোরুম কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন চাপের মুখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
শোরুমটির মালিক মীর মাসুদ রানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরীমণি থাকার কথা ছিল। এ নিয়ে হেফাজতে ইসলাম অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা ঘোষণা দেন, পরীমণি এলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মসজিদে আলোচনাও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হেফাজতে ইসলামের এক নেতা ফোন করেছিলেন। বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে থানা পুলিশ আপাতত নিষেধ করেছে। পরে কম্পানির সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। পরে ফেসবুকে দেখেছি তাদের কর্মসূচিও বাতিল করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘১০-১২ দিন ধরে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করেছি। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায় বড় ধাক্কা খেয়েছি।’
এই বিষয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রগ্রামটি নিয়ে কিছু হুজুর আপত্তি করেছিলেন। পরে কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্টোর কর্তৃপক্ষ আমার কাছে অনুমতি নিতে এসেছিল। তাদের শর্ত দেওয়া হয়েছিল সেখানে কোনো যানজট বা জনদুর্ভোগ করা যাবে না। সেটা মেনেই তারা রাজি হয়েছিল। তারা প্রগ্রামটি করতে পেরেছিল কি না, বিষয়টি জানায়নি।’
সাইফ আলী খানের ওপর হামলার মামলাকে ঘিরে এক প্রশ্ন উঠেছে বলিউডপাড়ায়। বড় প্রশ্ন, সাইফ-কারিনার সদগুরু শরণ আবাসন থেকে সামান্য দূরত্বে লীলাবতী হাসপাতাল। কিন্তু যেতে কেন এত সময় লাগল অভিনেতার।
সাইফ আলী খানকে ১৬ জানুয়ারি ভোররাত ৪টা ১১ মিনিটে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, সাইফ আলীর ওপর দিবাগত রাত প্রায় আড়াইটায় হামলা হয়েছিল। আর তাকে ভোর রাত ৪টা ১১ মিনিটে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এদিকে সাইফের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে লীলাবতী হাসপাতালের দূরত্ব মাত্র ১০–১৫ মিনিট। এখন প্রশ্ন যে হামলার ১ ঘণ্টা ৪১ মিনিট পর কেন সাইফকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।
আরেকটি প্রশ্ন, চিকিৎসকের রিপোর্ট অনুযায়ী সাইফের শিরদাঁড়ার কাছে চাকুর একটা টুকরা আটকে ছিল। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসক সাইফের শরীর থেকে ছুরির অংশটি বের করেছেন। এখন প্রশ্ন, অভিনেতা কী করে এতক্ষণ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিলেন।
বান্দ্রা পুলিশের কাছে যে মেডিকেল রিপোর্ট জমা করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী সাইফের বন্ধু ও ব্যবস্থাপক জেইদি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে জেইদি সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। রিপোর্টে জেইদির নাম, তার ফোন নম্বর ও ঠিকানা সব বিস্তারিত লেখা আছে। আর তিনিই সাইফকে হাসপাতালে ভর্তিসংক্রান্ত সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন।
এদিকে সাইফের ব্যবস্থাপকের বক্তব্য যে, অভিনেতা গৃহকর্মীর সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সাইফ আলী খানকে অটোরিকশাচালক ভজন সিং রানা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার দাবি, সাইফের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। আর অভিনেতার সঙ্গে ছোট একটি বাচ্চা ও আরেক ব্যক্তি ছিলেন। সাইফ অটোতে উঠে চালককে প্রথম প্রশ্ন করেছিলেন যে কত সময় লাগবে। লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, সাইফ যখন রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছিলেন, তখন তার সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয় বছরের এক শিশু ছিল।