জন্মদিনে সাবিলার বড় কাজের ঘোষণা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
সাবিলা নূর /  ছবি : ফেসবুক

সাবিলা নূর / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটক একেবারেই বেছে বেছে করছিলেন, গুটি কয়েক যা করছিলেন তাতেও ছিল গল্প-চরিত্রের শক্তিশালী অবস্থান। তবে বর্তমানে ভালো কাজের সুযোগ বেশি পাওয়া যাচ্ছে ওটিটি আর সিনেমায়। তাই ছোটপর্দার নন্দিত অভিনেত্রী সাবিলা নূরও সেই পথে এগোচ্ছেন।

তিনি একটি সিনেমার ঘোষণা দিয়ে ফেললেও অবাক হওয়ার কিছুই নেই। তবে আপাতত ওটিটিতে বড় চমকের ঘোষণা এসেছে এই অভিনেত্রীর। আজ সাবিলা নূরের জন্মদিন। নায়িকার জীবনের বিশেষ এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নির্মাতা শিহাব শাহীন। বলা ভালো, সাবিলাকে তার নতুন কাজের পোস্টার প্রকাশের মাধ্যমে জন্মদিনে সারপ্রাইজ দিয়েছেন তিনি।

‘গোলাম মামুন’ সিরিজে সাবিলা নূরের লুক

সেই পোস্টারে দেখা যাচ্ছে- গাঢ় নীল ফুলহাতা শার্ট আর কালো প্যান্ট-বেল্ট পরা সাবিলাকে। চুল টেনে বাঁধা, হাতে পিস্তল, চোখে তিক্ষ্ন দৃষ্টি। পোস্টারেই লেখা আছে, এটি জনপ্রিয় ওয়েব প্ল্যাটফর্ম হইচই-এর ‘গোলাম মামুন’ সিরিজে সাবিলার লুক। এতে তিনি রাহী নামের একজন ডিফেন্স কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

পোস্টার প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই নির্মাতা শিহাব শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কাজটি নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। কারণ এই গল্পের সঙ্গে আমাদের সমাজের প্রতিটি মানুষ সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন। আমরা আইনের মানুষদের সেভাবে দেখার স্বপ্ন দেখি এখানে সেভাবেই দেখা যাবে অপূর্বকে। তিনি গোলাম মামুন চরিত্রে রূপদান করেছেন। সাবিলা নূর রয়েছেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে।’

‘গোলাম মামুন’ সিরিজে অপূর্বর লুক

সাবিলার পোস্টারের একদিন আগেই অর্থাৎ গতকাল (২৬ মে) অপূর্বর পোস্টার প্রকাশ করেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। তাতেই লেখা ছিল, সিরিজটি হইচই প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে আগামী ১৩ জুন।

এদিকে, জন্মদিন কেমন কাটছে জানতে চাইলে সাবিলা নূর বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সাদামাটাভাবেই জন্মদিন কাটাচ্ছি। বড় করে কোন আয়োজন করিনি। তবে আমার জন্মদিন কিছুতেই সাদামাটা থাকে না। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে সবাই জেনে যাওয়ার ফলে অনেক মানুষের দোয়া, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা পাই। প্রতিটি জন্মদিনেই পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু বান্ধব থেকে শুরু করে আমার সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী, ভক্ত- সবার ভালোবাসার সিক্ত হই। এতো এতো শুভেচ্ছাবার্তা আসে যে গুনে শেষ করা যায় না। জন্মদিন আসলে আমি আরেকবার বুঝতে পারি আমাকে সবাই কতোটা ভালোবাসেন। এটা সবার ভাগ্যে জোটে না। আমি এই ভালোবাসাকে মনের মধ্যে আজীবন ধারণ করে রাখতে চাই।’

সাবিলা নূর /  ছবি : ফেসবুক

   

যে ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১০ বছর চেষ্টা করছেন স্কারলেট



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্কারলেট জোহানসন

স্কারলেট জোহানসন

  • Font increase
  • Font Decrease

জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ফ্র্যাঞ্চাইজির পরবর্তী সিনেমায় থাকছেন হলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীদের একজন স্কারলেট জোহানসন। খবরটি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজেই। গারেথ অ্যাডওয়ার্ড পরিচালিত নতুন এই ছবিটির নাম এখনো ঠিক হয়নি।

ভ্যারাইটিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্কারলেট বলেন, ‘আমি ১০ বছর ধরে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কাজ করার জন্য সব চেষ্টা করে গেছি। এমনকি সেটা যদি প্রথম পাঁচ মিনিটের মধ্যে মৃত্যু ঘটে যায় এমন চরিত্রও হয়, তবুও। আমি জুরাসিক ওয়ার্ল্ডের বড় ভক্ত।’

স্কারলেট জোহানসন

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি সবসময়েই এই ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশ হতে চেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমার হলে দেখা প্রথম দিকের ছবিগুলোর মধ্যে একটি। খুব ভালোভাবেই মনে আছে। এটি আমার জীবন বদলে দিয়েছিল, মন ভরিয়ে দিয়েছিল। আমি কতটা এক্সাইটেড তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না!’

সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন ডেভিড কোয়েপ। জোহানসন জানিয়েছেন ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’-এর চতুর্থ কিস্তির স্ক্রিপ্ট অসাধারণ হয়েছে। প্রথম তিন কিস্তির থেকে এটি একেবারেই আলাদা হতে যাচ্ছে।

স্কারলেট জোহানসন

জানা গেছে ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ফোর’-এর শুটিং হবে থাইল্যান্ডে। এছাড়াও মাল্টা এবং যুক্তরাজ্যের স্টুডিওতে কিছু দৃশ্য ধারণ করা হবে।

;

কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার ম্যাচে বাংলাদেশের তিন তারকা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার ম্যাচে ফারিণ, সাব্বির ও মেহজাবীন

কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার ম্যাচে ফারিণ, সাব্বির ও মেহজাবীন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে আর্জেন্টিনার ম্যাচটা উপভোগ করলেন বাংলাদেশের তিন তারকা। তারা হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী, অভিনেতা মীর সাব্বির ও অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ।

ম্যাচ শুরুর আগে ক্যামেরার সামনে ফারিণ

আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে শেষ হওয়া এই ম্যাচে চিলিকে ১ গোলে হারিয়েছেন মেসি, মার্তিনেজরা। গ্যালারিতে মেহজাবীনের সঙ্গে তোলা একটি সেলফি ফেসবুকে পোস্ট করে ফারিণ লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনা ১-চিলি ০।’ দুজনেই আর্জেন্টিনার সমর্থক। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে স্টেডিয়ামে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে মেহজাবীন লিখেছিলেন, ‘কে জিতবে?’

একফ্রেমে জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ ও মেহজাবীন চৌধুরী

দুই সন্তানকে নিয়ে খেলার মাঠে পৌঁছান অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক মীর সাব্বির। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এত মানুষ জীবনে কোনো দিন সামানসামনি দেখিনি। ৮০ হাজারের বেশি দর্শক খেলা দেখছেন। একসঙ্গে আনন্দ নিয়ে খেলা দেখছেন। গ্যালারিতে দেখলাম, প্রচুর বাংলাদেশিরাও আসছেন। অনেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তাঁরাও দারুণ মজা করছেন। খেলার মাঠে আমার ছেলেরা বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছে।’

দুই ছেলেকে নিয়ে আর্জেন্টিনার জয় উদযাপন করছেন মীর সাব্বির

সাব্বির আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক কোনো ফুটবল খেলা আমি প্রথমবার মাঠে বসে দেখলাম। বাংলাদেশে আমি আবাহনীর সমর্থক। আর এমনিতে দল হিসেবে ব্রাজিলের সমর্থক। কিন্তু আমার দুই ছেলে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। আসলে ওদের জন্যই এখানে খেলা দেখতে আসা।’

ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার জার্সি জড়ানো হাস্যোজ্জ্বল ছবিটি পোস্ট করেছেন মেহজাবীন

মেসির ভক্ত হলেও মাঠে বসে মেসির খেলার দেখার সুযোগ আসবে তা ভাবেননি মীর সাব্বির। প্রথমবার মেসিকে সামানসামনি দেখা প্রসঙ্গে মীর সাব্বির। তিনি বললেন, ‘মেসিকে এই প্রথম সামনাসামনি খেলতে দেখলাম। দারুণ, এক কথায় অসাধারণ অভিজ্ঞতা। একজন ম্যাজিশিয়ানকে দেখলাম। আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার হলেও কিন্তু মেসির ভক্ত। কারণ, মেসির খেলা মানে হচ্ছে আমার কাছে একটা শৈল্পিক ব্যাপার। ফুটবলের তিনি শিল্পী, মহানায়ক। দুই ছেলে অন্ধভাবে আর্জেন্টিনার সমর্থক।’

দুই ছেলেকে নিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে মীর সাব্বির

সাব্বির বলেন, ‘মেসির খেলা সামনাসামনি দেখার সুযোগটা আমার বড় ছেলে ফারশাদের কারণে সম্ভব হয়েছে। তার ও লেভেল পরীক্ষা শেষ করার পর আমার কাছে একটা গিফট চেয়েছিল, তা হচ্ছে মাঠে বসে মেসির খেলা দেখা। তখন সে নিজেই খুঁজে বের করেছে খেলার শিডিউল। এই খেলার টিকিট তো অনেক এক্সপেনসিভও। বাংলাদেশ থেকে দু-তিন মাস আগে আমরা এই টিকিট কিনেছি, যাতে মিস না হয়। শুনছি, পরের বিশ্বকাপে মেসিকে নাও পেতে পারি, তাই ভাবছি যে ছেলেদের সঙ্গে আমিও খেলাটা দেখতে যাই। আমার স্ত্রী চুমকী যায়নি। বাংলাাদেশে থাকার সময় সে বলছিল, তোমরা যাও। সমস্যা নেই। এখানে আসার পর সে বলছে, মিস করলাম। আফসোস করছে।’

কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখতে গ্যালারীতে মেহজাবীন চৌধুরী
;

ক্ষোভ নয়, মানুষের তীর্ষক প্রশ্নের উত্তর আমাকেই দিতে হয়: ফাহমিদা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ফাহমিদা নবী / ছবি : আজাদ আবুল কালাম

ফাহমিদা নবী / ছবি : আজাদ আবুল কালাম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী বরাবরই গভীর কথা ও মেলোডিয়াস সুরের গান গেয়ে আসছেন। শ্রোতাদের রুচির দোহাই দিয়ে কেউ তাকে হালকা কথা ও দুর্বল সুরের গান করতে বলে তিনি কখনোই তাতে রাজী হননি। এবার এই প্রসঙ্গে ধরেই ফাহমিদা নবীর এক ফেসবুক পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচিত হচ্ছে। গত ২১ জুন বিশ্ব সঙ্গীত দিবস উপলক্ষে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্টটি করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী।

বিষয়টি নিয়ে ফাহমিদা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কেউ ভাববেন না যে লেখাটি আমার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার কিংবা কোন ক্ষোভ থেকে লেখা! নির্দিষ্ট কোন শিল্পী বা কোন গান নিয়েও লিখিনি। আমি লিখেছি আমাদের সামগ্রিক মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে। বিশ্ব সঙ্গীত দিবসে আমার মনে হলো- কি দিতে পারি শ্রোতাদের। আমার তো কোন ব্যক্তিগত অর্জন নেই, তারপরও আমি শিল্পী মাহমুদুন্নবীর সন্তান। গানকে আঁকড়ে ধরে আছি অনেক বছর। তাই কোথাও গেলে আমাকে নানা  তীর্ষক প্রশ্নের মুখে পড়তেই হয়। সবাই যখন জিজ্ঞেস করেন, আপনাদের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এমন কেন? ভালো গান কেন হয় না? তখন কিন্তু উত্তরটা আমাকেই দিতে হয়। সেই কষ্ট ও সামগ্রিক উপলব্ধি থেকেই লেখাটি লিখেছি।’

ফাহমিদা নবী / ছবি : আজাদ আবুল কালাম

ফাহমিদা নবী তার সেই পোস্টে লিখেছেন, ‘তবে কি সঙ্গীত দিবস ব্যর্থ! আমাদের অস্থির মানসিকতার করাঘাতে? ভাবলাম বর্তমানে অনেক সিনেমা তৈরী হচ্ছে, কিছু সো কল্ড ভিউ গানের পাশাপাশি শোনার মতো গানও তৈরী হবে বোধ হয়। তা আসলে হবার নয়। রুচিহীনতা একটি বিশাল কারন ভালো গান না তৈরী হবার ক্ষেত্রে। ভালো গানের জন্য অস্থিরতার দৌঁড় নয়, ভালোবাসা দরকার, সেটাই তো নাই! তবে বলে রাখি, রুচিহীন গান বেশিদিন ধোপে টেকে না। দেখছি সেই ছোটবেলা থেকে। শ্রোতারা এতো গাঁধা না। যারা গান শোনে তারা ভালো মেলোডিয়াস গানই খোঁজে, মনেও রাখে। শ্রোতাকে দোষী করে কোন লাভ হবে না। যারা মেধার অপচয় করছে, তারাই বড় বিপদে পড়বে। রুচির হাহাকারে, প্রতিযোগীতাটা মারপিট সিনেমা সিনের মতো হয়ে গ্যাছে। কিন্তু সত্যিকার প্রতিযোগীতায় মেধার অ্যাকশন দরকার। সেটাই নাই! কেও সহজ করে হাসে না, প্রয়োজনে হাসে বলেই এই দুর্ভিক্ষ!’

সম্প্রতি দেশ টিভির ঈদের অনুষ্ঠানে গেয়েছেন ফাহমিদা ও নকিব খান

ফাহমিদা আরও লিখেছেন, ‘বর্তমানে সমাজে তো কোন সংস্কৃতি চর্চা, ভালোবাসা, সম্মান কিচ্ছু নাই। আছে উন্মদনা, অস্থিরতা আর কে কাকে পিছনে ফেলে দৌঁড় দিবে সেই স্বার্থপর চিন্তা! কোন সরল হাসি নাই। কর্পোরেট সিন্ডিকেট চর্চা যেখানে প্রবল, সেখানে আর যাই হোক সঙ্গীত হবে না। সঙ্গীতের ধারা শান্ত এবং রাজকীয়, তা সাজানোর জন্য ধীরতা দরকার। উটকো কথা আর সুরের চটপটিতে গান এখন পালিয়ে বাচঁতে চায়! সঙ্গীত সবার জন্য না। ইদানিং বিষয়টা আরো বুঝতে পারছি। কারণ যাহা মনে লয় উন্মাদনা ইন্ডাস্টিকে দিন দিন অশিক্ষিত করে তুলেছে। একটা দেশের রুচিশীলতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে? রুচির দুর্ভিক্ষে সত্যিই আমরা তলিয়ে গেছি, আফসোস! কিছু মানুষ হয়তো এখনো পরিশোধিত ফিল্টারে নিজেকে নিরব সাধনায় রাখছে। তারাই আশা, আশা ছাড়া অভিমান কি বাঁচে? অভিমান জরুরী, তা না হলে জ্ঞান আর অশিক্ষার মাঝে পার্থক্য বোঝা যাবে কি করে?’

ফাহমিদা নবী / ছবি : আজাদ আবুল কালাম

তাই এই স্ট্যাটাসে অনেকেই একমত পোষন করেছেন। ফাহমিদা নবী বার্তা২৪.কমকে আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস গানের জগতের এই অস্থিরতা একদিন থেমে যাবে। এরমধ্যে যে গানগুলো ভালো হবে সেগুলোই বেঁচে থাকবে।’

বর্তমানের সিনেমার গান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সিনেমার মানুষরা যেমন একে অপরকে টেনে নিচে নামানোর প্রতিযোগীতায় মেতেছে, তেমনি তাদের গানগুলোও যেন অস্থির। কিন্তু সিনেমার গান কিন্তু এমন হওয়া উচিত নয়। সিনেমার প্রয়োজনে নানা ধরনের গান থাকবে, মেলোডিয়াস গান সিনেমার প্রাণ। একটি চটুল কথার গান থাকতেই পারে, কিন্তু সব গান এমন হলে মুশকিল। হয়তো অল্প দিনের জন্য দর্শক শ্রোতারা গানটি নিয়ে মাতামাতি করবে কিন্তু কিছুদিন পর তা আর মনেই আসবে না। সেটি কিন্তু সিনেমার জন্য ভালো কিছু নয়। একটি ভালো গান একটি সিনেমাকেও বহু বছর বাঁচিয়ে রাখে। সে প্রমাণ তো আমরা পুরনো দিনের সিনেমার গানের মাধ্যমে এখনো পাচ্ছি। তাই সবাইকে স্থির হয়ে সময় নিয়ে যত্ন সহকারে গান করার অনুরোধ করছি।’

ফাহমিদা নবী / ছবি : আজাদ আবুল কালাম

এদিকে, ফাহমিদা নবী তার পরবর্তী আমেরিকা ট্যুরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী মাসের শুরুর দিকেই তিনি সেখানকার ডেনভার কলরাডোতে চিকিৎসকদের আয়োজনে একটি কনসার্টে গাইবেন।

;

অর্জুনের জন্মদিনের পর মালাইকার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মালাইকা আরোরা ও অর্জুন কাপুর

মালাইকা আরোরা ও অর্জুন কাপুর

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৮ সাল থেকে প্রেম করছেন মালাইকা আরোরা আর অর্জুন কাপুর। বয়সের পার্থক্যের জন্য সমালোচনার শিকার হয়েছেন বহুবার। কিন্তু সেসবে কখনোই কান দেননি তারা।

পাঁচ বছর সম্পর্কের ইতি টেনেছেন মালাইকা ও অর্জুন কাপুর- সম্প্রতি এমন গুঞ্জন ওঠে বলিউডপাড়ায়। এ নিয়ে তারা এখনও মুখ খোলেননি। তবে মালাইকার ম্যানেজার সম্পর্ক ভাঙার খবর অস্বীকার করেছেন। এবার অর্জুন কাপুরের জন্মদিনের পার্টিতে মালাইকার অনুপস্থিতি সম্পর্ক ভাঙার গুঞ্জনের পালে নতুন হাওয়া দিলো।

অর্জুন কাপুর ও মালাইকা আরোরা

গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে জুহুর বাড়িতেই বসে অর্জুনের জন্মদিন উদ্যাপনের আসর। পরিবারের সদস্য ছাড়াও বি-টাউনের বেশ ক’জন তারকা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। যে মালাইকা প্রতিবার হাজির হতেন সবার আগে, তাকে এবার দেখাই গেল না। অর্জুনের জন্মদিনের পার্টিতে মালাইকার অনুপস্থিতিই যেন বিচ্ছেদের খবর নিশ্চিত করলো!

মালাইকা অর্জুনের জন্মদিনের পার্টিতে না গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন আজ। তাতে তিনি ইংরেজিতে লিখেছেন, ‘চোখ বন্ধ করে এবং পেছনে ফিরেও যে মানুষদের আমি বিশ্বাস করতে পারি আমি তাদেরকেই পছন্দ করি।’

মালাইকা এই পোস্টে যে অর্জুনের প্রতি অবিশ্বাসের কথা ইঙ্গিত করেছেন তা বুঝতে আর বাকী নেই নেটিজেনদের।

অর্জুন কাপুর ও মালাইকা আরোরা

যদিও গত মাসে বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে জানা যায়, সম্পর্ক ভাঙলেও নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব বজায় রাখবেন। কিন্তু এদিন মালাইকার অনুপস্থিতি দেখে নেটাগরিকরা প্রশ্ন তুলছেন, সত্যিই কি দু’জনের মধ্যে আর বন্ধুত্বটুকুও বজায় রয়েছে?

মালাইকা ও অর্জুনের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছিলেন, ‘ওদের মধ্যে ভালোবাসার ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটা স্থায়ী হল না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ওদের মধ্যে কোনও তিক্ততা তৈরি হয়েছে। ওরা সব সময়ে পরস্পরকে শ্রদ্ধা করেছেন এবং সব সময়ে পাশে থেকেছেন। ওরা সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার বিষয়টিকেই সব সময়ে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।’

 মালাইকা আরোরা ও অর্জুন কাপুর

জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন জাহ্নবী কাপুর, শানায়া কাপুর, মোহিত মারওয়া, সঞ্জয় কাপুর, বরুণ ধওয়ান, নাতাশা দলাল, আদিত্য রায় কাপুরসহ আরও অনেকে।

;