স্বামীর নাম জুড়ে দেওয়ায় অসন্তুষ্ট জয়া বচ্চন
বলিউডের প্রভাবশালী পরিবার এবং পাওয়ার কাপল হলেন অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চন। অর্ধশতাব্দী ধরে একত্রে সংসার করছেন তারা। বার্ধক্য ঘনিয়ে এলেও এখনো কাজ করা ছাড়েনি অমিতাভ-জয়া। এখনো এই দম্পতিকে সুপারহিট বিভিন্ন সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়।
যদিও কাজ এবং খ্যাতির পাল্লা অমিতাভের দিকেই ভারী বেশি। তবু জয়াও কোনো অংশে কম যান না। তবে অমিতাভ এই বয়সে এসেই তার স্ত্রী ও পুত্র দু’জনের তুলনায় অধিক জনপ্রিয় বলা যায়। আর ভারতীয় সংস্কৃতিতে পিতৃপ্রধান পরিবার হওয়ায়, স্বাভাবিকভাবেই কর্তার প্রভাব এমনিই একটু বেশি থাকে। তাই বলে স্ত্রীর আলাদা কৃতিত্ব তো থাকেই। এইরকম মনোভাব রয়েছে জয়া বচ্চনের মধ্যেও, যা আবার জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যমে ধরা পড়লো।
অভিনেত্রীর পাশাপাশি জয়ার আরেকটি পরিচয় রয়েছে। তিনি একজন এমপি এবং টানা ২০ বছরে ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। ভারতীয় বাজেট নিয়ে বসা রাজ্যসভার মিটিংয়ে তাকে ‘শ্রীমতি জয়া অমিতাভ বচ্চন’ বলে তাকে সম্বোধন করা হয়। পার্লামেন্টে উপস্থিত ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ তাকে এই নামে ডাকেন। এতে রীতিমতো তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন জয়া। দাঁড়িয়েই বলে ওঠেন,‘শুধু জয়া বচ্চন বলাই যথেষ্ট। এখন নতুন এই পদ্ধতি চালু হয়েছে, স্বামীর নামে স্ত্রীকে ডাকার। যেন মেয়েদের কোনো অস্তিত্বই নেই, আলাদা পরিচয় নেই।’
এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ছড়িয়ে পড়েছে। জয়ার প্রতিক্রিয়া দেখে ভক্তদের মধ্য়ে আলোচনা-সমালোচনা দুই‘ই হচ্ছে।
জয়া ভাদুড়ি তার সময়ের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী ছিলেন। এখনো তাকে গুণী অভিনেত্রী বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে সিনেমায় স্বামীর চেয়ে তুলনামূলক কম কাজ করলেও, তার অভিনীত সিনেমা অধিকাংশই ব্যবসাসফল। তাছাড়া গত দুই দশক ধরে রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত আছে তিনি। ২০০৪ সালে সমাজবাদী পার্টির মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং এখানে নিয়মিতভাবে কাজ করছেন।