মারা গেছেন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গায়ক জুয়েল / ছবি: সংগৃহীত

গায়ক জুয়েল / ছবি: সংগৃহীত

কিছুদিনের ব্যবধানেই বাংলা সঙ্গীতজগতের আরও এক নক্ষত্রের পতন ঘটলো। ক্যান্সারের সঙ্গে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলমান লড়াইয়ে হেরে গেছেন কণ্ঠশিল্পী ও নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন গায়ক জুয়েল। বেলা ১২ টার কিছু মুহূর্ত আগে তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বেশ কিছুদিন ধরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ছিলেন জুয়েল। অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল তাকে। চিকিৎসকদের মতে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল লাইফসাপোর্টে থাকাকালে। তবে, চিকিৎসকদের ভুল প্রমাণিত করেছেন জুয়েল। সেই শারীরিক অবনতি আর কাটিয়ে উঠতে পারলেন না গুণী এই শিল্পী। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে প্রথম জানা যায়, যকৃত ক্যান্সারে ভুগছেন জুয়েল। তা পরবর্তীতে ফুসফুস এবং হাড়েও সংক্রমণ ছড়ায়। দেশ-বিদেশে নানাস্থানে চিকিৎসা করানো হয় তাকে। এই ১৩ বছর ধরে একটানা রোগের সঙ্গে লড়াই করে গেছেন তিনি। লড়াইয়ের অবসান ঘটিয়ে জীবন প্রদীপ নিভে গেছে জুয়েলের।      

নব্বইয়ের দশকে ব্যান্ড সংগীত তুমুল আলোচনায়, ঠিক তখনই ব্যতিক্রমী কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। মা-বাবার অনুপ্রেরণাতেই গানের জগতে পা রেখেছিলেন তিনি। জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে (১৯৯৪)’, ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। একটি করে গান নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে আরও দুটি অ্যালবাম ‘তাতে কি বা আসে যায়’ (২০১৬) এবং ‘এই সবুজের ধানক্ষেত’ (২০১৬)। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি।

বিজ্ঞাপন