সরকার শুরুই করলো বৈষম্য দিয়ে: জ্যোতিকা জ্যোতি
মেধাবী অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ ও পরে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দলটির পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলেন। বর্তমানে একটি সরকারি চাকরী করছেন এই তারকা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে শুরুতে চুপ থাকলেও একটা পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মৃত্যু ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধংসের পর তিনি সরকারের পক্ষেই দাঁড়ান। বিটিভি কার্যালয়ে যে শিল্পীরা রাষ্ট্রীয় ভবন ধংসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন তারমধ্যে তিনিও ছিলেন।
এজন্য আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বাজেভাবে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে তাকে। প্রতিনিয়ত অশ্লিল গালি ও কটাক্ষ করা হচ্ছে এই অভিনেত্রীকে।
এমন পরিস্থিতিতে কিছুদিন চুপ থাকলেও জ্যোতি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি আজ (৯ আগস্ট) ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শুভ দিন! নতুন বাংলাদেশের প্রথম দিন। ভয়ঙ্কর কটা দিনের পর, বাক স্বাধীনতার প্রথম দিনে এই লেখার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা উদযাপন শুরু করলাম!’
এরপর তিনি লেখেন, ‘গতকাল সরকার শপথ নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে শুধু কোরআন থেকে পাঠ হলো, অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ বাদ দেওয়া হয়েছে। যেসব অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয় সেসব অনুষ্ঠানে কুরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। এটাই আমরা দেখে আসছি সারাজীবন। ব্যক্তিগতভাবে আমি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ পাঠের প্রয়োজনীয়তা দেখি না। যেহেতু ধর্মগ্রন্থ পাঠ করাই হলো তাহলে গতকালের শপথ অনুষ্ঠানে কোরআন ছাড়া বাকি ধর্মগ্রন্থগুলো বাদ দেওয়া হলো কিসের ভিত্তিতে? কী উদ্দেশ্যে?’
শুধু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েই থেমে যাননি জ্যোতি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলোনের মধ্য দিয়ে অর্জিত সরকার শুরুই করলো বৈষম্য দিয়ে! যে কোন সরকারের মেয়াদ নির্ধারিত থাকে। অনির্বাচিত অন্তঃবর্তীকালীন এই সরকারের মেয়াদ কতোদিন? সেটা জানানো হচ্ছে না কেন? কবে জানব আমরা?’