আপনি নিজে কী বিগত ১৬ বছর দেশের বাইরে ছিলেন?: তমা মির্জা

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তমা মির্জা । ছবি: ফেসবুক

তমা মির্জা । ছবি: ফেসবুক

দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন হয়েছে অনেক বেশি। তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

শোবিজ তারকাদের ট্রল করতে এমনিতেই নেটিজেনরা খুব ভালোবাসে। নারী তারকা হলে তা আরও বেড়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

আর এখন শুধু তারকা নয়, সাধারন জনগনও ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছাড়া আর কোন বিষয়ে পোস্ট করলেই কমেন্ট বক্সে অসংখ্য কটুক্তি, গালাগালি আর অহেতুক সমালোচনা মুখে পড়ছে।

তমা মির্জা । ছবি: ফেসবুক

কেউ কিছু লিখলেই একদল নেটিজেন এসে কমেন্ট বক্সে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। তাদের কমন সংলাপ, এখন এতো কথা বলতে এসেছ কেন? বিগত ১৬ বছর কোথায় ছিলে তোমরা? কোথায় ছিলো তোমাদের অধিকার, যুক্তি?

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিয়ে এবার সরব হয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা।

জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘যারা আমাদের অনেকের পোস্টে এসে জিজ্ঞাসা করছেন ১৬ বছর কই ছিলা? সাথে আরো যা যা বলছেন (কটুক্তি, গালাগালি, ট্রল) সেটা আপনার পারিবারিক শিক্ষার বহিঃপ্রকাশ! আচ্ছা আমার প্রশ্ন এখন, এতো কথা যে বলছেন, সব মানুষের পোস্টে এসে কমেন্ট করে দেশপ্রেম প্রকাশ করছেন, আপনি নিজে কী ১৬ বছর দেশের বাইরে ছিলেন? না মানে, আপনার ফেসবুকে তো পূর্বের ১৬ বছরের কোনো বিদ্রোহী আওয়াজ পাচ্ছি না! যদিও এরমধ্যে ফেক আইডি অগণিত। যাদের কাজ মানুষের আইডিতে গিয়ে বাজে কমেন্ট করা।’

তমা মির্জা । ছবি: ফেসবুক

তমা সেইসব ট্রলারদের উদ্দেশ্যে আরও লিখেছেন, ‘শোনেন, আগে মানবিক হন। আমাদের বীর সাহসী ছাত্রযোদ্ধারা আমাদের জন্য, দেশের জন্য যা করেছে এবং এখনও যা করছে তা আমি আপনি করার মতো সাহস ভবিষ্যতে আদৌ হবে কিনা জানি না। তাই চাই না বিচ্ছিন্ন কিছু অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য তাদেরকে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হোক। তাদের এখন অনেক দায়িত্ব যেটা তারা সততার সাথে পালন করছে। আর আমার আপনার দায়িত্ব নিজেদের শুধরানো। পারলে সেটা করেন, না পারলে আমার ওয়াল-এ কমেন্ট করতে আসবেন না। আপনাকে আমি চিনি না, চিনতে চাইও না। আপনার বিকৃত মনমানসিকতা প্রকাশ পায় আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকলাপে। ধন্যবাদ।’

ইয়াশ রুদ্র নামের এক নেটিজেন তমার এই পোস্টের নিচে কমেন্ট করেছেন, ‘এরা ১৬ বছর মনে মনে বিদ্রোহ করেছে। আর সপ্তাহ দুয়েক ধরে এদের মুখে খই ফুটেছে। সবচেয়ে বড় কথা, এদের মধ্যে অধিকাংশই এই ১৬ বছর নিয়ে কনসার্ন না। তাদের মূল লক্ষ্য সুযোগ পেলেই অন্যদের ছোট করা, যেটা সারা বছরই চলে। এসব তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে আসলে। মানুষকে ছোট না করলে, উল্টাপাল্টা কথা না বললে অস্বস্তি হয় তাদের ‘

এই কমেন্টের সঙ্গে তমা মির্জাও একমত পোষন করেছেন।

তমা মির্জা । ছবি: ফেসবুক