কাদের ‘এ যুগের রাজাকার’ বললেন ফারুকী?

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী দম্পতি

নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী দম্পতি

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বরাবরই নিজের অবস্থানের ব্যাপারে পরিষ্কার। যে কোন ইস্যুতে তার নিজস্ব মত প্রকাশ করেন তার সিনেমা, কলাম কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখার মাধ্যমে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও একেবারে প্রাথমিক পরিস্থিতি থেকে সরব ছিলেন তিনি। রাজপথে না মানলেও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রদের পাশে, যখন সত্যি সত্যি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাহস ও অনুপ্রেরণার দরকরা ছিলো।

বিজ্ঞাপন

ফারুকী একের পর এক হাসিনা সরকারের নানা কৃতকর্ম নিয়ে লিখেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল তিনি কিছু স্ক্রিনশট প্রকাশ করেন। তাতে জানা যায়, আওয়ামীপন্থি শতাধিক শিল্পীর একটি ওয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছিলো আন্দোলনের সময়। ‘আলো আসবেই’ নামের সেই গ্রুপে ফারুকীকে তিব্র কটাক্ষ করার পাশাপাশি ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে নানা কথোপকথন রয়েছে।

‘আলো আসবেই’ ওয়াটস অ্যাপ গ্রুপের সরব শিল্পীরা

ফারুকী লেখেন, ‘সহকর্মী এবং শিল্পের লোকেরা যারা অত্যাচারের সাথে সহযোগী হিসাবে কাজ করেছিল এবং আমার সম্পর্কে নোংরা শব্দ ব্যবহার করেছিল তাদের ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটগুলির উল্লেখ করছি এবং সম্ভবত যদি অত্যাচারী বেঁচে যায় তবে আমাকে এবং তিশাকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আমার ব্যক্তিগত নিরাময় উপায় ‘ভুলে যাওয়া’! যাই হোক, সরকারের উচিত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা। ১৪৬টি স্ক্রিনশট পাওয়া যাচ্ছে। যারা এই আন্দোলনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক উস্কানি দিয়েছে তাদের উচিত তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনা!’

বিজ্ঞাপন

এই বিষয়টি দু’দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এমন প্রেক্ষিতে ফারুকী আজ আরেকটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এটা নিশ্চয়ই বেদনার যে আমাদের দেশে শিল্পীর সাইন বোর্ড নিয়ে এমন লোকজন ঘুরে বেড়াতো (আওয়ামীপন্থি শিল্পীদের উদ্দেশ্যে) যারা গণহত্যায় প্রত্যক্ষ উস্কানিদাতা অথবা কেউ কেউ নিরব সমর্থক ছিলো। এরা শুধু শিল্পী হিসাবে না, মানুষ হিসাবেও নীচু প্রকৃতির। একাত্তরে জন্ম নিলে এরা রাজাকারের দায়িত্ব পালন করতো। ফলে এদের এ যুগের রাজাকার বলতে পারেন। নিশ্চয়ই এদের বিচার হবে গণহত্যায় সমর্থন এবং উস্কানী দেয়ার অপরাধে।’

নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী দম্পতি

ফারুকী আরও লিখেছেন, ‘কিন্তু আশার দিকটা আপনাদের বলি। দেখবেন এই গ্রুপের বেশিরভাগই আসলে কোনো শিল্পচর্চার সাথে সেই অর্থে জড়িত না। আমাদের মেইনস্ট্রিম (মানে টেলিভিশন, ওটিটি এবং ফিল্মে যারা প্রধান শিল্পী; তথাকথিত এফডিসি বোঝানো হয়নি মেইনস্ট্রিম শব্দটা দিয়ে) অভিনয়শিল্পী বা ফিল্মমেকারদের কেউই এদের সাথে নাই। এরাই আমাদের প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার।’