কনসার্ট করতে গিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার মুখে পড়লেন বিশ্ববিখ্যাত পপতারকা শাকিরা। মঞ্চে পারফর্ম করার সময়, এক অনুরাগীর কাণ্ডে একেবারে হতবাক গায়িকা। তবে স্পষ্ট প্রতিবাদ করলেন মঞ্চ থেকেই। অনুরাগীকে স্পষ্টই জানালেন, নো মিনস নো!
এদিন শাকিরার পরনে ছিল মিনি স্কার্ট এবং এক মাথা খোলা চুল। মঞ্চে নতুন গান ‘সলটেরা’র সঙ্গে নাচছেন শাকিরা। হঠাৎ শাকিরা খেয়াল করলেন এক অনুরাগী মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে তার পোশাকের নিচে ক্যামেরা ধরে ছবি তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। অনুরাগীর এমন কাণ্ড দেখে একেবারে হতবাক শাকিরা। সঙ্গে সঙ্গে গান থামিয়ে রীতিমতো মেজাজ হারিয়ে স্টেজ থেকে নেমে এলেন।
বিজ্ঞাপন
তবে নামার আগে অনুরাগীকে স্পষ্ট জানালেন, এই ধরনের আচরণ একেবারেই ঠিক নয়। শাকিরার এই ভিডিওই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
শাকিরার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় সোশ্যালে নিন্দার ঝড় বইছে। নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। গ্রেপ্তার হওয়া উচিত অভিযুক্ত। অনেকের আবার মত, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল।
সুন্দরী তরুণী জুঁইকে ঘিরে পাগল চার তরুণ। তবে জুঁই এদের একজনকে ভালোবাসে। বাকি তিন তরুণের কেউ চায় জুঁইয়ের সঙ্গে প্রেম করতে কেউ চায় বিয়ে করতে। এমনই এক রোমান্টিক কমেডি গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘এক মিনিট’।
সোহাইল রহমানের গল্পে এটি নির্মাণ করেছেন তিনি নিজেই। এটি তার নির্মিত প্রথম নাটক। তার সঙ্গে এখানে যৌথ নির্মাণে রয়েছেন আল হাদী। নাটকটিতে জুঁই চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা ফারিন খান। আর তার নায়ক হিসেবে রয়েছেন মেধাবী অভিনেতা আবু হুরায়রা তানভীর, জুনায়েদ বোকদাদী এবং সৈয়দ নাজমুস সাকিব। একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে মীর রাব্বীকেও।
আবু হুরায়রা তানভীর বলেন, ‘নাটকের গল্পটা একটু অন্যরকম। একদম লাইট কমেডি জনরার। কাজটি করতে গিয়েও বেশ মজা পেয়েছি। রোমান্স, ফান, কমেডি সবকিছুর মিশ্রণ রয়েছে এতে। দর্শকদের ভালো লাগবে।’
নির্মাতা সোহাইল রহমান বলেন, ‘আমি মূলত নাটক লিখি। এটা আমার নির্মিত প্রথম নাটক। সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি একটু ভিন্নরকম কিছু করার। গল্পটা রোমান্টিক কমেডি জনরা দিয়ে শুরু হয়ে শেষে একদম কমেডিতে চলে যায়। প্রতি মুহূর্তেই ফান রয়েছে। আশা করি সবার কাছে কাজটি ভালো লাগবে।’
মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রযোজিত ‘এক মিনিট’ নাটকটি দেখা যাচ্ছে কে এস এন্টারটেইনমেন্ট এর ইউটিউব চ্যানেলে।
চলতি বছরের দীপাবলিতে জমজমাট থাকবে বলিউড। অজয় দেবগনের ‘সিংহাম এগেইন’ এবং কার্তিক আরিয়ানের ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ মুক্তি পাবে একই সময়। দীপাবলি উপলক্ষে আগামী ১ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা এই সিনেমা দুটির। ফলে ‘কপ ইউনিভার্স’ এবং ‘হরর কমেডি’র যুদ্ধে কে জেতে, সেটাই দেখতে আগ্রহ বাড়ছে দর্শকের।
তবে অজয় দেবগন ও সিংহামের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে পেরে উঠবেন না, এমন ভাবনা জেঁকে বসেছে কার্তিক আরিয়ানের মনে। তাই অজয় ও রোহিত শেঠিকে অনুরোধ করেছিলেন কার্তিক যেন তাদের সিনেমাটির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হয়। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে কার্তিকের অনুরোধে নাকি রাজি হয়েছেন অজয়-রোহিত। ফলে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে অজয় দেবগনের সিনেমার মুক্তি।
অর্থাৎ ১ নভেম্বর শুধু মুক্তি পাবে ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ এবং ১৫ নভেম্বর হাজির হবে ‘সিংহাম এগেইন।’
তবে এবার শোনা যাচ্ছে নতুন কথা। এসব শুধুই জল্পনা! কার্তিকের অনুরোধে রাজি হননি রোহিত শেঠি এবং অজয় দেবগন। ফলে ১ নভেম্বর বক্স অফিসে ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’-এর সঙ্গে হাজির হবে ‘সিংহাম এগেইন’। বলতে গেলে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামবে দুই সিনেমা।
এই লড়াইয়ে ‘সিংহাম এগেইন’ সিনেমাকেই এগিয়ে রাখছেন দর্শকরা। কারণ সিনেমাটিতে বড় বড় তারকার মেলা। অজয়ের সঙ্গে আরো থাকছেন অক্ষয় কুমার, রণবীর সিং, দীপিকা পাডুকোন, কারিনা কাপুর খান, টাইগার শ্রফ এবং জ্যাকি শ্রফের মতো তারকা। অন্যদিকে কার্তিকের সঙ্গে ভুল ভুলাইয়ার তৃতীয় কিস্তিতে থাকছেন মাধুরী দীক্ষিত, বিদ্যা বালান, তৃপ্তি দিমরী, রাজপাল যাদবের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
নায়ক সালমান শাহ আর কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের সঙ্গে সম্পর্কটা পারিবারিক ও বন্ধুত্বের। সালমান নায়ক হওয়ার আগেই তাদের সঙ্গে পরিচয়। এমনকি সিনেমা করানোর জন্য সালমানকে প্রথম সোহানুর রহমান সোহানের কাছে নিয়ে যান আঁখির মা কবি খোশনূর।
প্রিয় বন্ধুকে অকালে হারানোর বেদনা তার রয়েই গেছে। তাইতো নায়কের জন্মদিনে আজ স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লেন আঁখি আলমগীর।
১৯৭১ সালের এই দিনে (১৯ সেপ্টেম্বর) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহ। এমন দিনে আঁখি আলমগীর বলেন, ‘আমরা আসলে সালমান শাহকে চিনি না। আমাদের বাসায় সালমান হলো ইমন। এখনও আমরা তাকে ইমন বলেই মনে করি। আমাদের যে কোনও গল্পে, স্মৃতিতে ইমনই ঘুরে ফিরে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইমন অসম্ভব ভালো একজন মানুষ ছিলো। হি ওয়াজ ভেরি সুইট পারসন। একেবারে তাজা প্রাণের একজন মানুষ। এজন্যই হয় তো আল্লাহ ওকে এতো দ্রুত নিয়ে গেছেন।’
আঁখি তার পুরনো স্মৃতি হাতড়ে চলে যান বহু বছর আগে, ‘ইমনের মা নীলা আন্টি রাজনীতি করতেন। পাশাপাশি কিন্তু গানও গাইতেন। উনি আমার মায়ের লেখা একটা গান করিছিলেন বিটিভিতে। সেই গানের সূত্রে আমার মায়ের সঙ্গে তার একটা পারিবারিক বন্ডিং তৈরি হয়। সেভাবেই ইমনের সঙ্গে আমাদের পরিচয়।’
ইমন তথা সালমান শাহের সঙ্গে আঁখি আলমগীরের সম্পর্কটা ছিলো তুই-তোকারি। একেবারে শৈশবের বন্ধুর মতো। আঁখি বলেন, ‘ইমন বয়সের আমার থেকে যথেষ্ট বড়। কিন্তু আমরা একে অপরকে নাম ধরে ডাকতাম। তুই তুই করতাম। এটা আমি আর ইমন না। আমরা ভাই-বোন সবগুলোই এভাবে তুই-তুই সম্পর্কে বাঁধা ছিলাম। ইমন আর ইমনের ছোটভাইও ছিলো আমাদের সার্কেলে। যেখানে বড়-ছোট বিষয় ছিলো না। সবাই সবাইকে তুই-তুই করতাম! সম্ভবত আমরা সবাই পাগল ছিলাম!’
আঁখি জানান, ইমনকে সালমান শাহ হিসেবে গড়ে তোলার প্রথম উদ্যোগটা নেন তার মা খোশনূর। তিনি বলেন, ‘‘যেহেতু আমাদের পরিবার সিনেমা ও সংগীতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, সেজন্য ইমন বার বার আম্মুকে দেখলেই বলতো, ‘আন্টি প্লিজ একটা কিছু করেন। আপনি চাইলে হবে’। তাই নয়, আমি দেখেছি ও আসলে নিজেকে ছোটবেলা থেকে নায়ক হিসেবেই গড়ে তুলেছে। ওর মধ্যে এর বাইরে আর কোনও প্ল্যান ছিলো না। এরপর ওকে নিয়ে আম্মু সোহান আঙ্কেলের কাছে যান। তারপরের ইতিহাস তো সবারই জানান।’’
অনেকটা আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনের মতোই ঘটলো অভিনয়শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটির পতন! দৃশ্যমাধ্যম শিল্পী সমাজ-এর ব্যানারে দেশের অর্ধশতাধিক সংস্কারকামী অভিনয়শিল্পী ৫ আগস্টের পর প্রতিনিয়ত দাবি করে আসছিলেন, সংঘের সংস্কার তথা বর্তমান কমিটির বিলোপ করার জন্য।
শিল্পী সংঘের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ যারা আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থনে ছিলেন, তাদের পদত্যাগের দাবি তুললেও কেউ পদত্যাগ করছেন না বলে জানা গেছে।
তবে সেই দাবির বিপরীতে শান্তিপূর্ণ সুরাহায় গড়ালো সংঘ। ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে সংঘের বর্তমান কমিটি ডাক দেয় সাধারণ সভার। সেখানে সদস্যদের তোলা সংস্কারের দাবিতে বর্তমান কমিটিকে যেকোনও সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়েছে। চার মাস মেয়াদী নতুন এই কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্বে থাকছেন তারিক আনাম খান। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংঘের সদস্যরা।
এ প্রসঙ্গে সংঘের নির্বাচিত সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘‘সবার সব কথা শুনে শ্রদ্ধেয় তারিক আনাম খানকে প্রধান করে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সংস্কার কমিটি’ নামে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিল্পীদের নিয়ে তিনি আগামী চার মাস কমিটিতে থাকবেন এবং সংস্কারের জন্য কাজ করবেন। এরপর একটা নির্দিষ্ট সময় দেখে নির্বাচনের ঘোষণা করবেন।’’
তিনি জানান, ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির কেউই পদত্যাগ না করলেও এই চার মাস তারা তাদের দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। কিন্তু তারা কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। সেটা শুধু কমিটি প্রধান তারিক আনাম খানই পারবেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকেই অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটির দায়িত্ব পালন করবেন তারিক আনাম খান। তবে তার সঙ্গে কমিটিতে আরও চারজন থাকবেন। যদিও কারা থাকবেন, সেটি এখনও জানাননি অন্তর্বর্তী প্রধান।