বিপাশা হায়াতের প্রতি বন্যা মির্জার কৃতজ্ঞতা
টেলিভিশন নাটকের দুই প্রজন্মের দুই মেধাবী অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত ও বন্যা মির্জা। দুজন অল্প বিস্তর কাজ করেছেন চলচ্চিত্রেও।
জনপ্রিয় এই দুই তারকাই লেখাপড়া করেছেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে। একজন চারুকলায়, অণ্যজন নাট্যকলায়।
তাদের মধ্যে আরও মিল রয়েছে। দুজনের অভিনয় শুরু মঞ্চ নাটক দিয়ে। আর এখন দুজনই শোবিজ ক্যারিয়ার ছেড়ে বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
তবে বিপাশা অভিনয়ে একেবারেই অনিয়মিত হলেও বন্যা এখনো থিয়েটার চর্চাটা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ বন্যা তার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তার পূর্বসূরী সুপারস্টার বিপাশা হায়াতের প্রতি।
গতকাল বিপাশার কাছে বেড়াতে গিয়েছিলেন বন্যা। সেই বেড়ানোর বেশকিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে বিপাশার কাজের আপডেট পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেই জানেন, বিপাশা এখন যুক্তরাষ্ট্রে ছবি আঁকা নিয়েই ব্যস্ত। বন্যার শেয়ার করা ছবিগুলোতেও তেমনটাই দেখা গেলো। নিমগ্ন চিত্তে তিনি শিল্পকর্ম সৃষ্টি করছেন।
ছবিগুলোর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া ক্যাপশনে বন্যা লিখেছেন, ‘আমরা কোথাও যাই, কিছুর মধ্যে নিজেকে নিয়ে যাই, তাই বা কতক্ষন? কতটুকুই বা যেখানে যাই তা আমাদের মগজে থাকতে থাকে? একটা সমস্ত দিনে যা যা করি তাতে কি একবারও ভুলে যেতে পারি যে কি ঘটছে আমদের জীবনে? কেমন জীবন আমরা বেছে নিয়েছি?’
বন্যা আরও লিখেছেন, ‘কত শত অসহজ হয়ে আছি আমরা সবাই! তবু কোথাও যাই, মৃত্যু আর আমাদের দূর্দশার কাল অতিক্রম হয় না তাতে। নিজেদের দেখি, আর সকল মাথায় নিয়ে হাঁটি। আজ সারাদিন নোলান পার্কে হাঁটাহাঁটি করি, বেদনার ভিতর না বলা কথাতে আমরা হাঁটতে থাকি। কিছু না বলে একটু ছুঁয়ে থাকবার আশায় আমরা কোথাও বসি। তেমন একদিনে আজ সারাদিন নিজেদের আয়নাতে নিজেরা নিজেদের দেখি। ধন্যবাদ সেবা একটা সারাদিন একসাথে কাটানোর জন্য।’
সবশেষে বিপাশাকে ধন্যবাদ দিয়ে বন্যা লিখেছেন, ‘বিপাশা আপু, ধন্যবাদ। আমাদের এমন একটা অফুরান দিন আর সমগ্র সত্বার ভিতরে এক জাগরুক মায়া তৈরী করে দেবার জন্য। আমি আর সেবা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। খুব মায়াময় এই মুখরতায় আপনাকে দেখা আমার দারুণ অভিজ্ঞতার অংশ হয়ে থাকবে। আবার ঠিক দেখা হবে এভাবেই। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।
নোলান পার্ক। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪।’