দোরগোড়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, তারকারা কে কার পক্ষে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দোরগোড়ায় চলে এসেছে। আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই মহাযজ্ঞ। এবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে পুরো দেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। প্রত্যেকে চান তার পছন্দের প্রার্থী জয়লাভ করুক।
হলিউড তারকারাও এর বাইরে নন। তারা বরং নিজেদের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাচ্ছেন। দুই প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে নেমেছেন হলিউড তারকারা। কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন, কেউ হাজির হয়েছেন তহবিল সংগঠনের আয়োজনে।
গত মাসেই বিশ্বের শীর্ষ গায়িকা টেইলর সুইফট সমর্থন জানান কমলা হ্যারিসকে। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে কমলার প্রতি সমর্থনের কথা জানান এ সময়ের বিশ্বসংগীতের অন্যতম বড় তারকা। ইনস্টাগ্রামে সেই পোস্টে সুইফট লিখেছেন, ‘আমি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস ও টিম ওয়ালজকে ভোট দেব।’
২৮ কোটি ৩০ লাখ অনুসারীর উদ্দেশে ৩৪ বছর বয়সী মার্কিন গায়িকা আরও বলেন, ‘আমি কমলা হ্যারিসকে ভোট দেব। কারণ, তিনি অধিকারের জন্য লড়াই করেন এবং আমি বিশ্বাস করি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য একজন যোদ্ধার প্রয়োজন। আমি মনে করি, তিনি একজন প্রতিভাধর নেত্রী এবং আমি বিশ্বাস করি, আমরা এই দেশে আরও অনেক কিছু অর্জন করতে পারব, যদি আমরা বিশৃঙ্খলা না করে শান্ত হয়ে পরিচালিত হই।’
এ সময়ের আরেক জনপ্রিয় গায়িকা বিয়ন্সেও কমলার পক্ষে। কেবল তা–ই নয়, কমলার নির্বাচনী প্রচারে নিজের গান ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছেন বিয়ন্সে।
সম্প্রতি কমলার নির্বাচনী প্রচারে পারফর্ম করেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী অ্যান হ্যাথওয়ে। এদিন প্রথমবারের মতো খোলাখুলিভাবে কমলাকে সমর্থনের কথা জানান এই অভিনেত্রী।
রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে সব সময়ই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন জর্জ ক্লুনি। গত জুলাই মাসের শেষের দিকেই তিনি কমলার পক্ষে কথা বলেছেন। তখন সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘ঐতিহাসিক এই সফরে আমি কমলার পাশে আছি।’ এখানেই শেষ নয়, গত সেপ্টেম্বরে সুইফট যখন কমলাকে সমর্থনের ঘোষণা দেন, ক্লুনি সেটারও প্রশংসা করেছিলেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের ঘোষণা দেন অভিনেতা রবার্ট ডি নিরো। কমলাকে সমর্থন দিয়ে ‘রোমাঞ্চিত’ অনুভব করছেন বলেও জানান প্রখ্যাত এই হলিউড অভিনেতা। তবে কমলার সমর্থকদের অতি আত্মবিশ্বাসী না হতেও সতর্ক করে দেন তিনি।
এ ছাড়া কমলা হ্যারিসের পক্ষে প্রচারে নেমেছেন জনপ্রিয় র্যাপার এমিনেম। গত মঙ্গলবার মিশিগানের ডেট্রয়েটে এক নির্বাচনী প্রচারে কমলার হয়ে কথা বলেন ৫২ বছর বয়সী এই গায়ক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে কমলা হ্যারিসের পক্ষে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছেন অভিনেত্রী সারা জেসিকা পার্কারও। ক্যাপশনে লিখেছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রকে ভালোবাসেন, তাদের কমলার পক্ষেই থাকা উচিত। এ ছাড়া কমলাকে সমর্থন জানিয়েছেন লিজ্জো, ম্যাট ডেমন, জেন ফন্ডা, বেন স্টিলার, জেনিফার লরেন্সের মতো প্রথম সারির তারকারা।
অন্যদিকে, তারকা শেফ পাউলা ডিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারও চালিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের পক্ষে আছেন অভিনেতা ডেনিস কোয়েড, জন স্কেইনডার। জন তো গত বছর জো বাইডেন নিয়ে মন্তব্যের জন্য প্রবলভাবে সমালোচিতও হন; তখনই তার রাজনৈতিক অবস্থানও স্পষ্ট হয়। ট্রাম্পের সমর্থনে ডেনিস বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প যা করেছেন, তার সবই আমার পছন্দ।’
সংগীত তারকা জেসন আলডিনও ট্রাম্পের বড় সমর্থক। গত জুলাই মাসে তিনি ট্রাম্পের ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘যোদ্ধাদের দেখতে এমনই হয়।’ অভিনেতা ও গায়ক জাকারি লিভাইও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করছেন।
এ ছাড়া ট্রাম্পকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছেন অ্যাম্বার রোজ, জেসন আলডিন, স্টিভ ওয়েন, রোসানে বার, জন ভোয়েট, ৫০ সেন্ট প্রমুখ।