সালমানকে হত্যার হুমকিতে গ্রেফতার ২০ বছরের গুরফান

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মেগাস্টার সালমান খান

মেগাস্টার সালমান খান

গত ১২ অক্টোবর এনসিপি নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে গুলি হত্যা করা হয়েছিল। বাবা সিদ্দিকের ছেলে জিশানের অফিসের বাইরে তাকে গুলি করা হয়েছিল। এরপর গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে জিশান সিদ্দিকের দপ্তরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোন করে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। জিশানের সঙ্গে বলিউড মেগাস্টার সালমান খানকেও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে সেই ব্যক্তি।অজ্ঞাতপরিচয়ের এই ব্যক্তি তাদের কাছে টাকা দাবি করেছে। 

আবারও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি পাওয়ায় আইনের দারস্থ হন সালমান। এরইমধ্যে পুলিশ সন্দেহজনক ব্যক্তিকে নয়ডা থেকে গ্রেফতার করেছে। অজ্ঞাত পরিচয়ের সেই ব্যক্তির নাম গুরফান খান বলা হচ্ছে। আর তার বয়স ২০ বছর মতো।

বিজ্ঞাপন
মেগাস্টার সালমান খান

বাবা সিদ্দিককে হত্যার পেছনে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের হাত আছে বলে জানা গেছে। লরেন্স বিষ্ণোই নিজে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। বাবা সিদ্দিকের সঙ্গে সালমান খানের গভীর বন্ধুত্বের কথা কারও অজানা নয়। ভাইরাল হওয়া এক পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে ভাইজানের সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণে প্রাণ হারাতে হয়েছে বাবা সিদ্দিককে। তবে তার ছেলে জিশান এই দাবি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন। জিশানের মতে, সম্পত্তিগত বিবাদের কারণে তার বাবাকে প্রাণ হারাতে হয়েছে।

মেগাস্টার সালমান খান ও বাবা সিদ্দিক

এদিকে বাবা সিদ্দিকের মতো বন্ধুকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন সালমান। এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুর ১৬ দিনের বেশি পার হয়ে গেছে। সালমান নিয়মিত সিদ্দিক পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। আর এ কথা জিশান জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার বাবার মৃত্যুর ঘটনায় সালমান ভাই শোকাহত। উনি সব সময় পাপাকে (বাবা) স্মরণ করেন। আর আমাকে ফোন করে পরিবারের হালচাল জিজ্ঞাসা করেন৷ এ ঘটনার ১৬ দিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু সালমান ভাই রোজ আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। সালমান ভাই অনেক বেশি রাতে ফোন করে জানান যে উনি ঠিক আছেন। তবে ভাই সারা রাত ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না।’

মেগাস্টার সালমান খানের পুরনো ছবি

জিশান আরও বলেন, ‘সালমান ভাই আর পাপা আপন ভাইয়ের মতো একে অপরের কাছাকাছি ছিলেন। পাপার মৃত্যুর পর ভাই আমাদের খুব সঙ্গ দিয়েছেন। উনি আমাদের পাশে সব সময় আছেন আর আগামী দিনেও থাকবেন।’

বাবা সিদ্দিকের হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনো ৩ জন পলাতক। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই মামলার তদন্ত করছে।