ছবি সুপার ফ্লপ হলেও অরিজিনাল অভিনেতার প্রশংসায় ভাসলেন আমির
বেশ লম্বা বিরতির পর ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমা দিয়ে ২০২২ সালে বড়পর্দায় ফিরেছিলেন বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’খ্যাত অভিনেতা আমির খান। তাই এই ছবিটি ঘিরে প্রত্যাশা ছিলো তুঙ্গে। একে তো আমিরের কামব্যাক মুভি, তার উপর এটি কালজয়ী হলিউড সিনেমা ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর অফিসিয়াল রিমেক ছিল। ছবিটির জন্য বরাবরের মতোই প্রচণ্ড পরিশ্রম আর মনোযোগ দিয়েছিলেন আমির। কিন্তু ছবিটি মুক্তির পর বড্ড তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় এই সুপারস্টারের!
প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটির ভরাডুবিতে আমিরের মন ভেঙে দেয়। অনেকের মতে, দুর্বল চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের কারণে দর্শক-সমালোচকের মন জয় করতে পারেনি সিনেমাটি। বক্স অফিস থেকেও তুলতে পারেনি লগ্নিকৃত অর্থ। এমনকি ‘লাল সিং চাড্ডা’র চরিত্রে আমিরকে দেখেও রীতিমতো হাসাহাসি করেছে দর্শক। এরপর চলচ্চিত্র থেকে আবারও লম্বা বিরতি নেন এই অভিনেতা।
তবে এতোদিন পর হয়তো আমিরের সেই পরিশ্রম সার্থক হলো। কারণ ‘লাল সিং চাড্ডা’য় আমিরের অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেন হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস। তিনি যে শুধু হলিউডের একজন অন্যতম সেরা অভিনেতা তাই নয়। ‘লালি সিং চাড্ডা’য় যেমন আমির খানের চরিত্রটিই মূখ্য, তেমনি এর মূল সিনেমা ‘ফরেস্ট গাম্প’-এ এই টম হ্যাঙ্কসই অভিনয় করেছিলেন মূখ্য চরিত্রে। এই ছবি তাকে অস্কারও এনে দিয়েছিলো।
ছবি মুক্তির দুই বছর পর সেই অরিজিনাল ছবির অভিনেতার মুখে আমিরের প্রশংসা পাওয়াটা কোন অ্যাওয়ার্ড বা সাফল্যের চেয়ে কম কিছু নয়। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম জুমের সাক্ষাৎকারে টম হ্যাঙ্কস বলেন, ‘‘আমি সিনেমাটি দেখেছি। অসাধারণ। সিনেমার ওপর কিভাবে সিনেমা বিস্তৃত হয়, এটা তার নজির। শুধু নির্মাতা বা সংস্কৃতির পার্থক্য নয়, সিনেমার মধ্যকার পার্থক্য এবং সামঞ্জস্যগুলোও দেখুন। আমি মনে করি, নানাভাবে তারাও (বলিউড) জীবনের একই বন্দনা করে যাচ্ছে, তবে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে। সুতরাং এটাকে উদযাপন করা উচিত। ‘লাল সিং চাড্ডা’ দেখা আমার জন্য গৌরবময় অভিজ্ঞতা।’’
‘ফরেস্ট গাম্প’-এ নাম ভূমিকায় অভিনয় করে অস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন টম হ্যাঙ্কস। হলিউড বক্স অফিস রিপোর্ট অনুসারে, ১৯৯৪ সালে সিনেমাটি ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটির বেশি আয় করেছিল ফরেস্ট গাম্প।