বদলে ফেলা হচ্ছে গাজীপুরের কবিরপুরে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি’র নাম। প্রাথমিকভাবে নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ফিল্ম সিটি’। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ দেশের সর্ববৃহৎ এই ফিল্ম সিটির নাম পরিবর্তনে প্রস্তাব দেয়।
আজ (১০ নভেম্বর) বিকেলে ফিল্ম সিটির ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাশ হয়নি। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে নতুন নাম হবে ‘বাংলাদেশ ফিল্ম সিটি’। তবে লিখিতভাবে এখন আমরা কোথাও আগের নামটি ব্যবহার করছি না।
বিজ্ঞাপন
‘এফডিসি থেকে নির্দেশ আছে কবিরপুরস্থ ‘বাংলাদেশ ফিল্ম সিটি’ বলতে। ১৯৮০ সালে যখন ফিল্ম সিটি নির্মাণে উদ্যোগ নেয়া হয় তখন এই নামটিই ছিল। ২০১৫ সালে থেকে ‘বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি’ রাখা হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর সবকিছু পরিবর্তন হচ্ছে, বাকিটা সবারই জানা আছে।’
৩৮৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০৫ একর (৩১৭ বিঘা) জমির উপর ফিল্ম সিটিটি অবস্থিত। এই প্রকল্পের পুরোপুরি কাজ হবে ২০২৮ সালে। যেখানে থাকবে শিল্পীদের শুটিংয়ের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। সেইসঙ্গে আধুনিক সব শুটিং স্পট, ফ্লোর, ভিএফএক্স, যন্ত্রপাতি ও স্টুডিও।
বিজ্ঞাপন
সিনেমা সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন, ফিল্ম সিটি পুরোপুরি চালু হলে দেশে মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মিত হবে। শুটিং করতে বিদেশ নির্ভরতা কিছুটা কমবে। চলচ্চিত্রপ্রেমী দর্শকদের সিনেমা হলে যাওয়ার আগ্রহ বাড়বে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
থিয়েটার আর্টিস্টস এসোসিয়েশন অব ঢাকা (TAAD)-এর মূল লক্ষ্য হলো ঢাকা মহানগরীর থিয়েটার চর্চায় মঞ্চে এবং নেপথ্যে যুক্ত নাট্যশিল্পীদের অধিকার, স্বার্থ ও দাবি, কল্যাণ, পারস্পরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ, শৈল্পিক দক্ষতা উন্নয়ন। সে তাগিদ থেকেই মূলত তাদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠন হিসেবে থিয়েটার আর্টিস্টস এসোসিয়েশন অব ঢাকা গঠিত হয়েছে।
গতকাল (২২ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হলো TAAD-এর প্রথম সাধারণ সভা। রেজিট্রেশনকৃত ১৭০ জন সদস্যের মধ্যে ৮০ জন সদস্য উপস্থিত থেকে তাদের মতামত প্রদান করেন। তারা ঞঅঅউ এর ১৩ সদস্যের একটি এক্সিকিউটিভ কমিটি অনুমোদন করেন, যা ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত কাজ করবে।
TAAD-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন গুণী অভিনেতা ও থিয়েটার ব্যক্তিত্ব আজাদ আবুল কালাম পাভেল। ভাইস প্রেসিডেন্ট- আইরিন পারভীন লোপা, সেক্রেটারি জেনারেল- সাইফ সুমন, সেক্রেটারি অর্গানাইজেশন- তৌফিকুল ইসলাম ইমন, ট্রেজারার- শামীম সাগর, সেক্রেটারি অফিস- আসাদুল ইসলাম, সেক্রেটারি কমিউনিকেশন- নাজনীন হাসান চুমকি, সেক্রেটারি ইভেন্ট- অপু শহীদ, সেক্রেটারি ওয়েলফেয়ার- কাজী রোকসানা রুমা এবং সেক্রেটারি ক্লাব- এ কে আজাদ সেতু। এছাড়া এক্সিকিউটিভ মেম্বাস হিসেবে আছেন অম্লান বিশ্বাস, রেজা আরিফ ও সঞ্জিতা শারমীন পিয়া।
TAAD কোনভাবেই থিয়েটার দল বা থিয়েটার দলগুলিকে নিয়ে গঠিত কোনো সংগঠনের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। কারণ এটি শুধুমাত্র ব্যক্তির সংগঠন, কোনো দলের নয়। ঢাকা মহানগরে নিয়মিতভাবে অন্তত গত পাঁচ বছর ধরে নাট্যচর্চার সাথে যুক্ত যে কোনো নাট্যশিল্পী (অভিনেত্ব, নির্দেশক, নাট্যকার, ডিজাইনার, নেপথ্য মঞ্চশিল্পী) এই এসোসিয়েশনে আবেদন করতে পারবেন। এখানে প্রতিটি সদস্য একজন একক ব্যক্তি হিসেবে যুক্ত হবেন। তিনি কোনো থিয়েটার দলের প্রতিনিধিত্ব করতেও পারেন আবার নাও পারেন। তবে তাকে অবশ্যই ঢাকা মহানগরের থিয়েটার সংশ্লিষ্ট কোনো না কোনো কাজের সাথে যুক্ত থাকতে হবে।
স্থপতি ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা এনামুল করিম নির্ঝরের কথা ও সুরে গাইলেন দেশের প্রখ্যাত তিন তারকা সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, বাপ্পা মজুমদার ও সায়ান চৌধুরী অর্ণব। তাদের গানগুলো প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বাংলাভাষায় অন্যতম বৃহৎ মৌলিক গানের সংকলন ‘যেটা আমাদের নিজের মতোন’-এ।
চলতি বছরের ৮ জুন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিল্পী, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট গুণীজনের উপস্থিতিতে ৬৩ গানের এ সংকলনের প্রকাশযাত্রা শুরু করেন নির্ঝর। গানগুলো তৈরি ও প্রকাশ করছে ইকেএনসি (এক নির্ঝর কোলাবরেশানস) ও গানশালা। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ৩৫টি গান। বছরজুড়ে গান প্রকাশের এই যাত্রায় এবার দেশিয় সংগীতের এই তিন জনপ্রিয় তারকা শিল্পীর গানও শোনা যাবে।
প্রকাশিত ভিন্নধর্মী গানগুলো ইতিমধ্যেই সমাদৃত হয়েছে শ্রোতামহলে। শুধু বড়দের নয়, শিশুদের কণ্ঠে ‘অ তে অজগর আসবে কেন তেড়ে’, ‘কোনটা বড়দের’ কিংবা ‘বাঘ বলে মিয়াঁও’-এর মতো গানগুলোও প্রশংসিত হয়েছে শ্রোতাদের কাছে।
উদ্বোধনী আয়োজনে প্রকাশিত হয় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে সংকলনের প্রথম গানটি। এরপর প্রকাশিত গানগুলোয় কণ্ঠ দিয়েছেন ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, শফি মণ্ডল, নবনীতা চৌধুরী, কোনাল, সভ্যতাসহ অনেকেই। সংগীতসংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতিটি গানের কথাই চিন্তার দুয়ার খুলে দিচ্ছে সকল বয়সী শ্রোতাদের।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় এনামুল করিম নির্ঝর তার ‘নয় বছরের বড়’ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্থাপত্য, চলচ্চিত্র ও সঙ্গীত এবং অন্যান্য সৃজনশীল- সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে নয়টি চলচ্চিত্রের মধ্যে পাঁচটির নির্মাণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বছরজুড়ে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হচ্ছে সংকলনটির গানগুলো।
শুধু গান প্রকাশই নয়, সংকলনটির মধ্য দিয়ে সঙ্গীত মাধ্যমের পেশাজীবিদের লড়াইয়ের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছেও যুক্ত ছিল নির্ঝরের। তাই প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের পাশপাশি নবীন শিল্পীদেরও তিনি এ সংকলনে যুক্ত করেছেন। পাশাপাশি, নবীন ও প্রবীণ শিল্পীদের মধ্যে একটা আন্তরিকতা নির্মাণের প্রয়োজনও তিনি অনুভব করেছেন।
এনামুল করিম নির্ঝর বলেন, ‘এই ৬৩টি গানের মধ্যে ১০ জন শিল্পী খুব জনপ্রিয়, ১০ জন কিছুটা পরিচিত, বাকি ১০ জন্য হয়তো ভালো গান গায় কিন্তু তেমনভাবে পরিচিতি পায় নাই কিংবা কেউ কেউ শিশু শিল্পী। সবাইকে একসাথে করার মানে হচ্ছে একটা স্মৃতি, অনুপ্রেরণা এবং নতুন যোগসূত্র তৈরি করা। এর মাধ্যমে একটা সম্ভাবনা তৈরি হলেও হতে পারে। এই ৬৩ টা গানের মাধ্যমে অন্তত একটা স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখার চেষ্টা ছিলো সব সময়; কারণ এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেব করা হচ্ছে।’
‘যেটা আমাদের নিজের মতোন’-প্রকাশিত হচ্ছে গানশালা- ইকেএনসির ইউটিউব চ্যানেলে। সংকলনটিতে উল্লেখিত শিল্পীরা ছাড়াও আরও গান গেয়েছেন সুজিত মোস্তফা, লাবিক কামাল গৌরব, তানভীর আলম সজীব, সুনিধি নায়েক, সভ্যতা, ফারহিন খান জয়িতা, সাগর দেওয়ানসহ মোট ৫৪ জন তরুণ ও প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। গানগুলোর সংগীতায়োজন করেছেন ১২ জন তরুণ সঙ্গীত পরিচালক।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে গানশালা থেকেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মৌলিক গানের সংকলন এক নির্ঝরের গান প্রকাশিত হয় যেখানে ১০১টি গান সন্নিবেশিত ছিল।
আরও উল্লেখ্য এই যে, ব্যক্তিগত মেধা ও প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতার পারস্পরিক ঐক্যচর্চা হিসেবে ইকেএনসি (এক নির্ঝর কোলাবরেশানস) বিভিন্ন সৃজনশীল মাধ্যমে তরুণ পেশাজীবীদের নিয়ে নিরলস কাজ করে চলেছে। করপোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি (সিএসআর) প্রক্রিয়াকে আরো অনুপ্রাণিত করতে এনামুল করিম নির্ঝর তার ইন্টেলেকচুয়াল সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটির (আইএসআর) মাধ্যমে নিঃস্বার্থভাবে নিজের মেধা (গানের কথা ও সুর) বিনিয়োগ করছেন। এই প্রকল্পে সিএসআর ফান্ডের সহায়তা নিয়ে গানশালার সাথে আছে স্বনামধন্য সিটি গ্রুপ।
ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দেশটির মর্যাদাপূর্ণ ‘বালি যাত্রা উৎসব ২০২৪’ মাতালেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘কল্পতরু’র শিল্পীরা। সাংস্কৃতিক কূটনীতির অনবদ্য প্রয়াসের অংশ হিসাবে ‘কল্পতরু’র নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয় এই উৎসবে।
প্রতি বছর ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের ঐতিহাসিক শহর কটকে অনুষ্ঠিত উৎসবটিকে এশিয়ার বৃহত্তম উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক উৎসব হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৫-২২ নভেম্বর (২০২৪) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৭ দিনের এই উৎসবে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং স্লোভাকিয়ার বিখ্যাত সব সাংস্কৃতিক দল অংশ নেয়। উড়িষ্যা রাজ্য সরকারের আতিথ্যে উৎসবে অংশ নেয় বাংলাদেশের নৃত্যদল কল্পতরু।
উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক দল পৌছালে তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রথায় রাজসিক অভ্যর্থনা জানানো হয়। উৎসবে যোগ দিয়ে ‘কল্পতরু’ নৃত্য বিদ্যালয়ের ৯ জন শিল্পী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গানের আবহে মনোমুগ্ধকর নাচ পরিবেশন করেন। এছাড়াও উৎসবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ‘লাঠিখেলা’ এবং ‘রায়বেশে’ পরিবেশনা আয়োজনে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।
‘বালি যাত্রা’ উৎসব দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। উৎসবটি ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও নিবিড় করে তুলেছে বলেই মনে করেন এর উদ্যোক্তারা।
উৎসবে যোগ দিয়ে নিজের উচ্ছ্বসিত অনুভূতি তুলে ধরে ‘কল্পতরু’র অধ্যক্ষ ড. লুবনা মারিয়াম বলেন,‘ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গভীর ও বহুমুখী। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু তা আমাদের সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করতে পারে না।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বালি উৎসবে বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহণকে ‘দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান শক্তিশালী সম্পর্কের এক অনন্য দৃষ্টান্ত এবং যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতিফলন’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রাজীব, কালা আজিজ, মুকুল তালুকদার, মতিসহ অনেকেই মারা গেছেন নভেম্বর মাসে। তাদের স্মরণে আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই মিলাদে অংশ নেন সমিতির শতাধিক শিল্পী। আজ বাদ আসর শিল্পী সমিতির প্রাঙ্গণে এফডিসির মসজিদের ইমাম এই মিলাদ পড়ান।
এ সময় শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর প্রয়াত শিল্পীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন। সভাপতি ছাড়াও এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর এবং কোষাধ্যক্ষ কমল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুব্রত, চুন্নু, রিয়ানা পারভিন পলি, সনি রহমান এবং চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি প্রমুখ।