স্ট্যাটাস দেওয়ার পাঁচ মিনিটে কল চলে আসত: শবনম ফারিয়া
বিনোদন
জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার নামে একটি পোস্টের স্ক্রিনশট আজ সকাল থেকে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ভাইরাল! ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে সেই পোস্টে। বিষয়টি চোখে পড়া মাত্রই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ফারিয়া। তিনি সেই স্ক্রিনশটটি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি গত ৩ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত । আমি কোনও স্ট্যাটাস পোস্ট করিনি কোনও বিষয়ে। বিশেষ ভাবে রাজনীতিবিষয়ক! এই পোস্ট সম্পূর্ণ এডিটেড। এটার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই ।’
শবনম ফারিয়ার নামে ফেসবুকে যে স্ক্রিনশট ছড়িয়েছে, তাতে ঠিক এ রকম লেখা রয়েছে, ‘আজকে কিছু কথা বলতে চাই। হয়তো আপনাদের ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু আমি নিরুপায়। আর চুপ করে থাকতে চাই না। ৫ আগস্ট আমরা যেই আশা নিয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য উদ্যাপন করেছিলাম, সত্যিই কি আমরা সেই স্বাধীনতা পেয়েছি? সেই আমরা তো ছাত্র-জনতার পক্ষে, সারা বাংলার মানুষের কথা চিন্তা করে রাস্তায় নেমেছিলাম। আমরা তো কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে রাস্তায় নামিনি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নামে তাহলে কি আমাদের ধোঁকা দেওয়া হলো? একজন সমন্বয়ককে দেখলাম স্বীকার করে নিল, বিপ্লব সফল করতে মেট্রোরেলে আগুন দেওয়া, পুলিশ হত্যা এসব তাদের পূর্বপরিকল্পিত ছিল। আমার তো এখন সন্দেহ হচ্ছে, এত এত ছাত্র নিহত হলো, বারান্দায়, বাসার ছাদে নিষ্পাপ শিশুগুলো হত্যার শিকার হলো, এসব কি সত্যিই পুলিশের গুলিতেই হয়েছিল?
বিজ্ঞাপন
নাকি দেশবিরোধী কোনো অপশক্তির চক্রান্ত ছিল এগুলো? আজকের পরিস্থিতিতে আমরা কথা বলতে পারছি না। সামান্য ফেসবুকের একটি পোস্ট দুই–তিনবার কাটাছেঁড়া করতে হয়। শিল্পকলা একাডেমিতে আমার কলিগদের ওপর আক্রমণ করা হলো। এসব নিয়ে অনেকেই কথা বলতে চাচ্ছে, কিন্তু মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। আজ আমরা যাদের স্বৈরাচারী বলছি, তারা সত্যিই কি স্বৈরাচারী ছিল? গত ১৫ বছরে কখনো তো আমাকে কোনো পোস্ট ডিলিট করতে হয়নি। কেউ জয় বাংলা ধ্বনি দিলে তাকে নির্বিচার মারা হচ্ছে। জয় বাংলা তো শুধু আওয়ামী লীগের স্লোগান না। এটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলের স্লোগান।’
যে কুচক্রী মহল এই কাজটি করেছে তাদের উদ্দেশ্যে ফারিয়া নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আপনাদের অবস্থা এত খারাপ যে এখন এডিট করে অন্যদের নামে পোস্ট চালায় নিজেদের কথা বলতে হচ্ছে!’
বিজ্ঞাপন
শবনম ফারিয়া সেই পোস্টে এও লিখেছেন, ‘আমি এই পোস্ট দিয়েছি ভেবে যারা খুশি, তারা প্লিজ খুশি হবেন না। আবার লিখছে ১৫ বছরে নাকি কোনো পোস্ট ডিলিট করতে হয় নাই! গত ১৫ বছরে কয়েক হাজার পোস্ট ডিলিট করতে হয়েছে!’
সবশেষে শবনম ফারিয়া লিখেছেন, ‘স্ট্যাটাস দেওয়ার পাঁচ মিনিটে কল চলে আসত, “আপা ডিলিট করেন, সমস্যা হবে।” অন্যদের মতো তেল মারি নাই দেখে কোনো সুযোগ-সুবিধাও পাই নাই! আমার আলোও আসে নাই। আর এমন কোনো স্টেটমেন্ট দিলে সেটা রাখার সাহসও রাখি।’
২০২৪-এর আছে আর মাত্র অল্প ক’টা দিন। বছর শেষে শুরু হয়েছে নানা হিসাব-নিকাশ। শোবিজ অঙ্গনও তার বাইরে নয়। আর শোবিজের কথা আসলে শুরুতেই উঠে আসে চলচ্চিত্রের প্রসঙ্গ। ফিরে দেখা যাক কেমন ছিলো এ বছরের ঢালিউডের চিত্র-
বলা যায়, শুরুতে ভর করা ব্যর্থতা শেষে রূপ নিয়েছে হতাশায়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ৪৯ ছবি। ২৭ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে আরও এক ছবি। বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি গল্পনির্ভর মিলিয়ে সিনেমার সংখ্যা ৫০টি।
এবারও সিনেমা ছিল উৎসবকেন্দ্রিক। অর্থাৎ দুই ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো নিয়েই বেশি আলোচনা ছিল। বছরের বাকি সময় কেটেছে হতাশায়। বছরের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারিতে মুক্তি পায় ‘শেষ বাজি’, ‘কাগজের বউ’, ‘রুখে দাঁড়ও’ তিনটি সিনেমা।
এই তিনটি সিনেমা মুখথুবড়ে পড়ে। চলচ্চিত্রের বছর শুরু হয় ব্যর্থতা দিয়ে। এর পর রোজার ঈদ পর্যন্ত মুক্তি পায় আরও চার সিনেমা। প্রার্থনা ফারদিন দীঘি অভিনীত ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’, অপু বিশ্বাসের ‘ট্র্যাপ’ ও ‘ছায়াবৃক্ষ’ এবং জয়া আহসানের ‘পেয়ারার সুবাস’। জয়া ও আহমেদ রুবেল অভিনীত ছবিটি কিছুটা আলোচনা তৈরি করলেও বাকিগুলো একেবারেই দর্শকখরা দেখা যায়। হল মালিকরা অভিযোগ করেন, তারা নাকি ছবিগুলো চালিয়ে বিদ্যুৎ বিলও তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। ‘পেয়ারার সুবাস’-্এর প্রিমিয়ারে এসে মারা যান অভিনেতা আহমেদ রুবেল।
চলতি বছর রোজার ঈদে মুক্তির প্রতিযোগিতা করে এক ডজন ছবি। অধিকাংশ ছবি নিয়েই দর্শকদের আগ্রহ তেমন দেখা যায়নি। তবে হিমেল আশরাফ পরিচালিত শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘রাজকুমার’ কিছুটা আশার আলো দেখায়। কিন্তু সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা ও অভিনেতা যে গালগল্প শোনা গিয়েছিল সেটা প্রেক্ষাগৃহে দেখাতে পারেননি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ছবিটি ব্যবসাসফল হয়েছে ঠিকই কিন্তু ছবির মান ও নির্মাণে দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি তেমনভাবে। বাকি ১০ সিনেমার মধ্যে ‘দেয়ালের দেশ’, ‘ওমর’, ‘কাজল রেখা’ ব্যবসায়িকভাবে সফল না হলেও প্রশংসিত হয়। এ ছাড়া ‘সোনার চর, ‘মেঘনা কন্যা’, ‘আহারে জীবন’, ‘গ্রিন কার্ড’, ‘মোনা: জ্বিন ২’, ‘মায়া: দ্য লাভ’, ‘পটু’, ‘লিপস্টিক’ ব্যবসায়িক দিক থেকে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
তবে দৃশ্য বদলায় ঈদুল আজহায়। মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত এবং রায়হান রাফী পরিচালিত সিনেমা ‘তুফান’। এই সিনেমা দিয়ে চাঙা হন হল মালিকরা। এই সিনেমার একাধিক গান জনপ্রিয়তা পায়। সিনেমা মুক্তির পর সেই জনপ্রিয়তার পারদ আরও ছড়াতে থাকে দর্শকদের হৃদয়ে। বছরের সেরা হিট তকমা পায় ‘তুফান’। ব্যবসায়িকভাবেও ছবিটি প্রত্যাশার তুলনায় বেশি সফলতা পায়। এই ছবির তাণ্ডবে মুক্তি পাওয়া বাকি আরও চার ছবি ‘ময়ূরাক্ষী’, ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’, ‘রিভেঞ্জ’, ‘আগন্তুক’ আলোচনায় আসতে পারেনি। যদিও ট্রেলার, পোস্টার ও বিষয়বস্তু দিয়ে কৌতূহল জাগিয়েছিল ‘ময়ূরাক্ষী’। ইয়ামিন হক ববিও নজর কেড়েছিলেন। তবে সফলতার দৌড়ে বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারেনি।
উৎসবের সিজনে অর্থাৎ দুই ঈদের মাঝে মুক্তি পায় সোহেল মণ্ডল-নীলার ‘শ্যামাকাব্য’, তাসনিয়া ফারিনের ‘ফাতিমা’, ‘ডেডবডি’, ‘ময়নার শেষ কথা’, ‘সুস্বাগতম’, ‘আন্তঃনগর’ সিনেমাগুলো। এসব ছবি দেখতে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে ভিড় করেননি।
তবে দর্শক খরার মাঝেই আরো কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয় দেশের পটপরিবর্তনে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও বন্যার কারণে স্থবিরতা নেমে আসে দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনে। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। এগুলো হলো ‘আজব কারখানা’ ও ‘অমানুষ হলো মানুষ’। পাঁচ মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাওয়া ‘আজব কারখানা’র মাধ্যমে ঢালিউডে ক্যারিয়ারের অভিষেক হয় সুপার মডেল শাবনাজ সাদিয়া ইমির। তার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা হলেও সফলতার মুখ দেখেনি। মনোয়ার হোসেন ডিপজল অভিনীত ‘অমানুষ হলো মানুষ’ ছবিটিও চরমভাবে হতাশ করে দর্শকদের।
অক্টোবরে আবারও শুরু হয় সিনেমা মুক্তি। ঈদের বাইরে মুক্তি পায় শাকিব খান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘দরদ’। অনন্য মামুন পরিচালিত এতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। সিনেমাটি নিয়ে হল মালিকরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু ছবিটি মুক্তির পর একেবারেই মুখথুবড়ে পড়ে। শাকিব খান বছরের শেষে এসে হতাশ করেন দর্শক ও হল মালিকদের। সাদামাটা গল্প ও নির্মাণ দিয়ে ছবিটি দর্শক ফেরাতে পারেনি। ‘দরদ’ ছাড়াও মুক্তি পেয়েছে আরও ১৫টি সিনেমা। এগুলো হচ্ছে ‘জিম্মি’, ‘শরতের জবা’, ‘বাদশা দ্য কিং’, ‘হৈমন্তীর ইতিকথা’, ‘চরিত্র’, ‘রংঢং’, ‘৩৬ ২৪ ৩৬’, ‘ভয়াল’, ‘দুনিয়া’, ‘নয়া মানুষ’, ‘৮৪০’, ‘হুরমতি’, ‘ডেঞ্জার জোন’, ‘মাকড়শার জাল’, ‘প্রিয় মালতী’। সিনেমাগুলোর প্রতি আগ্রহ দেখাননি দর্শক।
গত ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পায় ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’। এই সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে তার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি প্রশংসা পেলেও সিনেমা হলে দর্শকদের ভিড় নেই মোটেও। আগামী ২৭ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে জয়া আহসান অভিনীত সিনেমা ‘নকশী কাঁথার জমিন’। এটিই হবে বছরের শেষ মুক্তি পাওয়া সিনেমা। এই সিনেমার ভাগ্যে কী আছে এখনো বোঝা মুশকিল।
বছরজুড়ে দেশের সিনেমার পাশাপাশি আমদানি করা হয় চারটি সিনেমা ‘হুব্বা’, ‘মি. অ্যান্ড মিসেস মাহি’, ‘ক্রু’ ও ‘স্ত্রী ২’। প্রদর্শক সমিতির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারতে ভালো করলেও দেশে ব্যবসা করতে পারেনি ছবিগুলো।
‘পুষ্পা ২’ দেখতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে নারী মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক বিতর্কেই জড়াচ্ছেন দক্ষিণের সুপারস্টার অভিনেতা আল্লু অর্জুন। ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। এমনকী জেলও খাটতে হয়েছে অভিনেতাকে। তবে এবার আগুনে কিছুটা জল ঢেলে পরিস্থিতি শান্ত করলেন আল্লু।
প্রথমে ২৫ লাখ টাকা দেয়ার কথা থাকলেও এবার নিহতের পরিবারকে ২ কোটি টাকা দিলেন অভিনেতা। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ক্রিসমাসের দিন হায়দরাবাদের কেআইএমএস হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে থাকা শ্রী তেজাকে দেখতে যান আল্লু অর্জুনের বাবা আল্লু অরবিন্দ এবং সিনেমার অন্যান্য নির্মাতারা। শ্রী তেজা পদপিষ্ট হয়ে নিহত সেই নারীর ছেলে। সেখানে গিয়ে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন আল্লু অরবিন্দ। তিনি ‘পুষ্পা ২’-এর প্রযোজক।
শ্রী তেজাকে দেখে হাসপাতালের বাইরে এসে আল্লু অর্জুনের বাবা আল্লু অরবিন্দ জানান, আট বছরের শ্রী তেজার জন্য আমরা সকলে মিলে ২ কোটি টাকা দেবেন তারা। এতে তার চিকিৎসা খরচসহ অন্যান্য সহায়তা মিলবে। আল্লু অরবিন্দ বলেন, শ্রী তেজার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। পরিবারের সহায়তায় আমরা ২ কোটি টাকা দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আল্লু অর্জুন দেবে ১ কোটি, চলচ্চিত্র নির্মাতা দেবে ৫০ লক্ষ এবং পরিচালক সুকুমার দেবেন ৫০ লক্ষ টাকা। তেলঙ্গানা ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সভাপতি দিল রাজুর মাধ্যমে এই টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে।
গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ার শোয়ে ভিড়ের মধ্যে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় শ্রী তেজার মায়ের। মারাত্মক জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শ্রী তেজাকে।
এ ঘটনার পর থেকেই তোপের মুখে পুষ্পা অভিনেতা। মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে একরাত জেলও খেটেছেন তিনি। এরপর অভিনেতার বাড়িতেও হামলা করে জনতা। তেলেঙ্গনার বিধানসভাতেও উঠে আসে আল্লু অর্জুনের প্রসঙ্গ। যা নিয়ে বেশ কঠিন সময় পার করছেন আল্লু অর্জুন।
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী জেফার রহমানের সঙ্গে উপস্থাপক রাফসান সাবাবের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জনের শুরু হয় প্রায় এক বছর আগে। রাফসানের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ পেলেই সামনে আসে জেফারের সঙ্গে তার প্রেমের বিষয়টি। কথা ওঠে, জেফারের কারণেই বিচ্ছেদ হয়েছে রাফসানের।
এদিকে, গত ১৫ নভেম্বর থাইল্যান্ডে একান্তে সময় কাটাতে দেখা যায় জেফার ও রাফসানকে। এরপর সেই প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে আবারও চর্চা শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও কেউই বিষয়টি নিয়ে এতোদিন প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।
তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাফসানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জেফার বলেন, তাদের দুজনকে নিয়ে যে গুঞ্জন চলছে সেসব বিষয়ে তার কিছু পরিষ্কার করার নেই। কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এই শিল্পী। তার কথায়, বিয়ে না করলেও মানুষ ইতোমধ্যে তার ব্যক্তিগত জীবন, বিয়ে, সম্পর্ক নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন।
এ বিষয়ে জেফার বলেন, ‘আমার বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিচ্ছে আগে থেকেই। এসব বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই। তাদের যা ইচ্ছা ভাবুক।’
রাফসানের সঙ্গে থাইল্যান্ডে ঘুরতে যাওয়া ও প্রেম নিয়ে এই গায়িকা বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কোনো কিছুই শেয়ার করতে পছন্দ করি না। তবুও আমি যেহেতু একজন পাবলিক ফিগার, তাই আমার জীবন নিয়ে তারা নানা কিছু ভাবছে, বিভিন্ন রকম গল্প তৈরি করছে...আমি তাদের সেসব ভাবতে দিচ্ছি। আপনাদের যা ইচ্ছা ভেবে নেন।’
উপস্থাপক রাফসান সাবাব ২০২০ সালের অক্টোবরে চিকিৎসক সানিয়া এশাকে বিয়ে করেন। তিন বছর সংসারের পর চলতি মাসে এসে সম্পর্কের ইতি টানেন তারা। অন্যদিকে, তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও ইউটিউবার জেফার। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম ইউটিউবভিত্তিক মিউজিশিয়ান। ২০১০ সাল থেকে বিখ্যাত সব ইংরেজি গান কাভার করে শোরগোল ফেলে দেওয়া জেফার ধীরে ধীরে পৌঁছে যান জনপ্রিয়তার শিখরে। সম্প্রতি তিনি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মনোগামী’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয়ও করেছেন।
অনেকেই জানতেন যে বরুণ ধাওয়ানের ‘বেবি জন’ সিনেমায় একটি ক্যামিও চরিত্রে হাজির হবেন বলিউড মেগাস্টার সালমান খান। ছবির প্রযোজক অ্যাটলি নিজেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সালমান খানের ক্যামিও নিয়ে কথা বলেছিলেন। অবশেষে মুক্তি পেল সেই ছবিটি।
আর ছবি মুক্তির পরই সালমান খানের ক্যামিও সোশ্যাল মিডিয়ায় হয়েছে ভাইরাল। আর তার এই ভিডিও লিক হয়ে যাওয়াতেই এবার ক্ষেপে আগুন তার ফ্যানরা।
ছবিতে সালমানকে ‘এজেন্ট ভাইজান’ এর চরিত্রে ক্যামিও করতে দেখা গিয়েছে। আর ভাইজানকে এমন একটি চরিত্র, এমন এক বীরত্বপূর্ণ অবতারে দেখা তার ভক্তদের জন্য বড়দিনের বড় ট্রিট তা তো বলাই বাহুল্য। বিগ স্ক্রিনে সালমানকে এই অবতারে দেখার যে মজাই আলাদা, তা তার ভক্তরা খুব ভালো করেই জানেন।
কিন্তু সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ফাঁস হওয়াতেই রেগে লাল সালমান ভক্তরা। তারা এই সারপ্রাইজ প্রেক্ষাগৃহে বসে উপভোগ করতে চেয়েছিলেন, তাই তারা এই ভিডিও যারা শেয়ার করেছেন তাদের এটি ডিলিট করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘এটি ডিলিট করুন প্লিজ, পাইরেসিকে উৎসাহ দেবেন না।’ আর একজন লেখেন, ‘ডিলিট করে দিন ভাই, এইভাবে আমাদের ছবি দেখার অভিজ্ঞতাটা নষ্ট করবে না।’
এর আগে পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাটলি সালমান খানের সঙ্গে তার কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘সালমান খানের মতো একজন বড় সুপারস্টার আসছেন বলে আমাকে খুব দায়িত্বশীল হতে হয়েছিল। আমি চেয়েছিলাম সবকিছু নিখুঁত হোক। আমরা ওকে গিয়ে দৃশ্যটি ব্যাখ্যা করে আমাদের পরিকল্পনা জানাতেই, সালমান স্যার বললেন, ‘আপনাকে বলতে হবে কেন? আমি এসে এটা করব, কোন সমস্যা নেই। এমন সুপারস্টার আমি কখনও দেখিনি।’- টাইমস অব ইন্ডিয়া