মাদারীপুরের সমাদ্দার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মাসুম পারভেজ রুবেল। এছাড়াও এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৮ জন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালের দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সমাদ্দার নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
তাঁর আহতের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর জেলা ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক ওহিদুজ্জামান।
ওহিদুজ্জামান জানান, আজ সকালে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা দেন রুবেল। সেখানকার আমতলী এলাকায় একটি ক্লাবের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। সে জন্য রুবেল ও তার সহযোগীরা একটি মাইক্রোবাসে করে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মাদারীপুরের তাঁতিবাড়ি নামক এলাকায় গেলে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহন তাদের মাইক্রোবাসটিকে চাপা দেয় এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা গাছের সঙ্গে গাড়িটির ধাক্কা লাগে।
বিজ্ঞাপন
এ সময় চিত্রনায়ক রুবেল খুব বেশি আহত না হলেও তার এক সহযোগী ও ড্রাইভার গুরুতর আহত হয়েছেন।
পরে তাঁকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলিউড যুগল রণবীর-দীপিকার মেয়ের ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। তারকা দম্পতির মেয়ের ছবি দেখার জন্য ভক্তদের মাঝে উন্মাদনার শেষ নেই। অবশেষে সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেল রণবীর সিং ও দীপিকা পাডুকোনের মেয়ে 'দুয়া পাডুকোন সিং' এর ছবি।প্রতিবেদন- হিন্দুস্তান টাইমস।
ছবিতে দেখা যায়, মেয়েকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সদ্য বাবা-মা হওয়া এই বলি দম্পতি। তবে ছবি দেখে অনেকের মনেই খটকা লাগে। নেটিজেনরা বলছেন এটা ফেক (ভুয়া) ছবি। ছবিটি আসলে গায়িকা নীতি মোহন এবং তার স্বামী নিহার পান্ডিয়ার। আর কোলে থাকা বাচ্চাটি তাদের। কিন্তু সেই ছবিটিকে এডিট করে তাদের দুজনের জায়গায় রণবীর ও দীপিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই ছবি নিয়েই সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় অবস্থা ভক্তদের।
মাস দুয়েক আগে বাবা- মা হয়েছেন রণবীর ও দীপিকা। তাদের মেয়ের ছবি এখনো প্রকাশ্যে আনেন নি তারা। কিছুদিন আগে দীপাবলির উৎসবে প্রথমবার প্রকাশ্যে আনে মেয়ের ছবি। তবে মুখের নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়ের পায়ের ছবি শেয়ার করেছেন এই তারকা দম্পতি।
লাল কাপড়ের ওপর শুয়ে রয়েছে জরির কাজ করা পাজামা পরা দুটি পা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি শেয়ার করে দীপিকা লিখেছেন, ‘দুয়া পাড়ুকোন সিং। দুয়া শব্দের অর্থ প্রার্থনা। ও আমাদের সমস্ত প্রার্থনার উত্তর। আমাদের হৃদয় ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। দীপিকা ও রণবীর।’
ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল দেশ সৌদি আরবে উদযাপিত হলো অবাক করা এক অনুষ্ঠান। জনপ্রিয় তারকাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত পশ্চিমা স্টাইলের র্যাম্প শো এখন মুসলিম বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ইসলামি বিধিবিধানের রক্ষণশীল সৌদি আরবে এমন আয়োজন দেখে অবাক বিশ্ব। ১৩ নভেম্বর (বুধবার) আরবের প্রাচীন সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে ‘এলি সাব শো’র আয়োজন করা হয়েছিল।
শোতে অতিথি হয়ে এসেছিলেন জেনিফার লোপেজ, সেলিন ডিওন সহ বেশ কয়েকজন পশ্চিমা সঙ্গীত শিল্পী। অন্যান্য অমুসলিম দেশের প্রচলিত স্টাইলে ক্যাটওয়াক, উন্মুক্ত পোশাক-পরিচ্ছদ এবং পশ্চিমা নাচ-গান উপভোগ করতে দেখা যায় অংশগ্রহণকারীসহ স্থানীয় দর্শকদেরও। র্যাম্পওয়াকের কেন্দ্রীয় আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত হন অস্কার জয়ী অভিনেত্রী হ্যালি ব্যারিও।
রিয়াদের এই জমকালো ফ্যাশন শো-এর কারিগর এলি সাব। তিনি লেবানিজ একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। কর্মজীবনের ৪৫ বছর পূর্তির আনন্দে তার ডিজাইন করা ৩০০ টির মতো পোশাক পরে র্যাম্পওয়াক করেন মডেল এবং তারকারা। শো’য়ের থিম ছিল ‘১০০১ সিজনস অব এলি সাব’।
১০০১ রাতের গল্পের ‘এরাবিয়ান নাইটস’ বা ‘আরব্য রজনী’ অর্থাৎ স্থানীয় প্রচলিত লোককাহিনী ‘কিতাব আলফে লায়লা-ওয়া লায়লা’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই প্রচেষ্টা এলি সাবের।
রিয়াদ শহর দেখে যেন কিছুসময়ের জন্য চেনাই যাচ্ছিল না যে, এই সেই আদিকাল থেকেই রক্ষণশীল পোশাক পরার প্রচলিত নিয়মের দেশ সৌদি আরব। কঠোরভাবে ইসলামি রীতি মেনে চলার দেশ হলেও, গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব ক্রমাগত উদার হচ্ছে। রক্ষণশীল নিয়মগুলো শিথিল হচ্ছে। তবে পবিত্র ভূমিতে ব্যতিক্রম এই আয়োজনে কট্টর সমালোচনা করেছেন অনেকে।
সমালোচনার মধ্য দিয়েই বর্তমান যুবরাজ মুহম্মদ বিন সালমান একের পর এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন। নারী স্বাধীনতার প্রসার এবং আধুনিকতার তালে তাল মিলিয়ে এবার পশ্চিমা পোশাকেরও গৃহপ্রবেশ হলো মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্র সৌদিতে।
এদিকে সফল শো অনুষ্ঠানে খুশি আয়োজকরা। তারা জানান, এলি সাবের পোশাক সারা বিশ্বে নন্দিত। শো-তে প্রদর্শিত পোশাকে আগামী কয়েক মাসে বহু নারী বিয়ের আসরে বসবেন। এটি হয়ে উঠবে তাদের স্মৃতির এক অনুষঙ্গ।
প্রথম আলোর ‘ক্যাফে লাইভ’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে বেশ পরিচিতি পান সারা ফ্যায়রুজ যাইমা। এরপর তাকে নানা ধরণের শো উপস্থাপনা করতে দেখা গেছে। বর্তমানে তিনি আরটিভির ‘জুম বক্স’ নামে একটি জনপ্রিয় পডকাস্ট হোস্ট করছেন।
গত বুধবারেও তিনি এই পডকাস্টের একাধিক এপিসোডের শুটিং করেছেন। তার অতিথি হিসেবে সামনের সেই পর্বগুলোতে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম শিকদার ও তানহা তাসনিয়াকে।
আর আজই পাওয়া গেলো সারা’র বিয়ের খবর। অনেকেই জানেন, শোবিজে সারার প্রিয় দুই বান্ধবী মডেল-উপস্থাপক পিয়া জান্নাতুল আর অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। সেই পিয়াই তার প্রিয় বন্ধুর বিয়ের ছবি ফেসবুকে একটু আগে পোস্ট করেছেন।
পিয়া নব দম্পতির ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কি দারুণ ছবিটি! আমি তোমার জন্য খুব খুশি সারা। গরম গরম বিয়ের ছবি।’
পরে পিয়া জান্নাতুলকে ফোন করা হলে তার দুটি নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়। মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা২৪.কমকে জানান, ‘আমি ব্যাংককে রয়েছি। তাই ফোন নম্বর বন্ধ পাচ্ছেন।’
পিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, সারার বরের নাম কুশল। তিনি একইসঙ্গে চাকুরী এবং ব্যবসা করেন। কুশলের সঙ্গে পিয়াকে বেশ আগেই সারা পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
সারার বিয়ের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বর-বউয়ের খুবই সাদামাটা সাজ পোশাক। সারা সেজেছেন সাদা জামদানিতে। মাথায় একটি মেরুণ নেটের সোনালি কাজ করা ওড়না। আর হালকা কিছু গোল্ডের গয়না। আর তার স্বামীর পরণে সাদা সুতি পাজামা-পাঞ্জাবি।
বিয়ের ছবি দেখে মনে হচ্ছে তারা কোন মসজিদে ছোট্ট পরিসরে আকদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছেন। তবে বিয়ের আয়োজন কিংবা ছবি যতোই সাদামাটা হোক না কেন, ছবিটিতে তাদের অন্তরে প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঠিকই রয়েছে দারুণভাবে। দুজনকে বেশ মানিয়েছে এটা বলতেই হবে।
বিয়েটা মসজিদে হয়েছে কি না জানতে চাইলে পিয়া জান্নাতুল বলেন, ‘এখনই সবটা বলতে চাই না। বিয়ের ব্যাপারে সারাই সবকিছু বলুক সেটি চাই। আমি শুধু বলতে চাই, আজ একেবারেই দুই পরিবারের অল্পকিছু মানুষ নিয়ে আকদ সম্পন্ন হয়েছে সারার। সামনে ভালো দিনক্ষণ দেখে তারা বড় করে বিয়ের অনুষ্ঠান করবে। তাই আজ বন্ধুর বিয়ে মিস করলেও অনুষ্ঠানের দিন খুব আনন্দ করবো আশা করি।’
আগামী ২২ নভেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্যান্ড জলের গানের একক কনসার্ট ‘মনের আনন্দে জলের গান’। কারওয়ান বাজারে ঢাকা ট্রেড সেন্টারের ১৬ তলায় অ্যাটেনশন নেটওয়ার্কে সন্ধ্যা ৬ টায় শুরু হবে এই আয়োজন। টানা ২ ঘণ্টা গাইবেন জলের গানের শিল্পীরা।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান নূর ইভেন্টসের কর্ণধার সুমী নূর জানান, ‘আমরা এই শহরে গান ও কবিতার নানা নিয়মিত আয়োজনের মাধ্যমে সবার মনের ক্ষুধা মেটাতে চাই। মনের আনন্দে জলেন গান সেই প্রয়াসের একটি অংশ।’
জলের গানের পক্ষে কনক আদিত্য বলেন, ‘একটানা ২ ঘণ্টা গান গাইবো, আনন্দ করবো সবাই মিলে। এটাই মূল কথা। সবার আমন্ত্রণ রইলো।’